বারনাবাস এর ইঞ্জিল (Gospel) থেকে...পর্ব ৪
{ আগের পর্ব পড়ে না থাকলে, পড়ে আসতে অনুরোধ করছি... যদি পড়া না থাকে তাহলে ৩য় পর্বের লিঙ্ক এখানে আর, একদম প্রথম থেকে পড়তে চাইলে, এখানে ক্লিক করুন }
এ পোস্ট পড়ার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে পূর্বজ্ঞান...
ঈসা (আ) এর সময়, ইসরাইলের এহুদিয়া অঞ্চল (ঈসার জন্মভূমি) ছিল একটি রোমান প্রদেশ। তাই ইহুদীদেরকে রোমান নিয়ম কানুন মেনে চলতে হত। ০০৬ সাল থেকে এহুদিয়া রোমান প্রদেশ।
ঈসা (আ) এর নবুয়াতের সময় এহুদিয়ার রাজা ছিলেন হেরোদ।
আজকের পর্বে ২ জন ইসরায়েলি নবীর নাম আসবে, এরা হলেন হযরত ইয়ারামিয়া (আ) আর আরেকজন হযরত মিকাইয়া (আ)। এদের সময় ভণ্ড নবীর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছিল।
হযরত ইয়ারামিয়া (আ) ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ৬৫৫ সাল থেকে ৫৮৬ সাল পর্যন্ত। মারা যান মিসরে।
হযরত মিকাইয়া (আ) ছিলেন ইসরাইলের বাদশাহ আহাব এর সময়, এর মানে সালটা হবে, খ্রিস্টপূর্ব ৮৫০ সাল এর দিকে।
ইসরাইলের আশপাশের মানুষ (এমনকি কিছু পথভ্রষ্ট ইসরায়েলিও) যেসব দেবতার উপাসনা করত তাদের মধ্যে প্রধান ছিল দেবতা বা’আল। বা’আল এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন নবী ইলিয়াস (আ)।
কুরআন বলছে-
“নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল। যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ? তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে। যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা? অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে ... ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!” (কুরআন, ৩৭:১২৩-১৩০)
এ পোস্ট পড়ার আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে পূর্বজ্ঞান...
ঈসা (আ) এর সময়, ইসরাইলের এহুদিয়া অঞ্চল (ঈসার জন্মভূমি) ছিল একটি রোমান প্রদেশ। তাই ইহুদীদেরকে রোমান নিয়ম কানুন মেনে চলতে হত। ০০৬ সাল থেকে এহুদিয়া রোমান প্রদেশ।
ঈসা (আ) এর নবুয়াতের সময় এহুদিয়ার রাজা ছিলেন হেরোদ।
আজকের পর্বে ২ জন ইসরায়েলি নবীর নাম আসবে, এরা হলেন হযরত ইয়ারামিয়া (আ) আর আরেকজন হযরত মিকাইয়া (আ)। এদের সময় ভণ্ড নবীর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছিল।
হযরত ইয়ারামিয়া (আ) ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ৬৫৫ সাল থেকে ৫৮৬ সাল পর্যন্ত। মারা যান মিসরে।
হযরত মিকাইয়া (আ) ছিলেন ইসরাইলের বাদশাহ আহাব এর সময়, এর মানে সালটা হবে, খ্রিস্টপূর্ব ৮৫০ সাল এর দিকে।
ইসরাইলের আশপাশের মানুষ (এমনকি কিছু পথভ্রষ্ট ইসরায়েলিও) যেসব দেবতার উপাসনা করত তাদের মধ্যে প্রধান ছিল দেবতা বা’আল। বা’আল এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন নবী ইলিয়াস (আ)।
কুরআন বলছে-
“নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিল রসূল। যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি ভয় কর না ? তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে। যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা? অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে ... ইলিয়াসের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক!” (কুরআন, ৩৭:১২৩-১৩০)
যাক, আমরা বারনাবাস এর ইঞ্জিলে ফিরে আসি... আগের পর্বের পর থেকে...
অধ্যায় ২৬
... ঈসা বললেন, “আমি যা বলি সত্য বলি। কারণ, আমার কথা আসে আল্লাহর কাছ থেকে, যিনি আমাকে ইসরাইলের জন্য নবী করে পাঠিয়েছেন। তাই আমি বলছি, যা কিছু তোমাদের আছে সবই আল্লাহর দেয়া উপহার। এখন বল, উপহার বেশি দামী নাকি উপহারদাতা? যদি তোমার বাবা মা আল্লাহর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাদের ত্যাগ কর। আল্লাহ কি ইব্রাহিমকে বলেননি, তোমার পিতৃগৃহ ত্যাগ কর এবং আমি আমি তোমাকে যে পবিত্র ভূমি দিচ্ছি সেখানে এসে বাস কর? আল্লাহ এ কারণেই বলেছিলেন যে, ইব্রাহিমের বাবা দেবমূর্তি বানাতো, আর পূজা করত। ছেলেকে পোড়াতেও তাঁর কোন আপত্তি ছিল না।” পিটার বলল, “আপনার কথা সব সত্য। অনুগ্রহ করে ইব্রাহিম আর তাঁর বাবার কাহিনী আমাদের বলুন।”
ঈসা বললেন, “ইব্রাহিমের বয়স ছিল ৭, যখন তিনি আল্লাহকে খোঁজা শুরু করেন। একদিন ইব্রাহিম তাঁর বাবাকে বললেন, ‘বাবা, মানুষকে বানিয়েছে কে?’ বোকা বাবা উত্তর দিল, ‘মানুষই মানুষকে বানিয়েছে। আমি তোকে বানিয়েছি, আমার বাবা আমাকে বানিয়েছে।’ ইব্রাহিম বললেন, ‘না বাবা, আমি এক বৃদ্ধকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শুনেছি, হে দেবতা! তুমি কেন আমাকে কোন সন্তান দিলে না?!’
বাবা বলল, ‘এটা সত্য যে, দেবতা মানুষকে কিছু সাহায্য করেন মানুষ বানাতে, তবে বেশি না। এজন্য, আমাদেরকে কিছু মেষ উৎসর্গ করতে হয় দেবতার জন্য।’
ইব্রাহিম বললেন, ‘বাবা, দেবতা কত জন?’ বাবা বলল, ‘অসংখ্য, বাছা।’
তখন ইব্রাহিম বললেন, ‘বাবা, আমি যদি এক দেবতাকে পূজা করি, তাহলে যদি অন্য এক দেবতা নারাজ হয়ে আমার ক্ষতি করতে চায় তাহলে কী হবে?? তাহলে তো দেবতা দেবতায় যুদ্ধ লেগে যাবে। ঐ দেবতা যদি আমার দেবতাকে মেরে ফেলে? এরপর তো আমাকেও মেরে ফেলবে।’
বাবা হাসতে হাসতে বলল, ‘ভয় পাস নে, বাছা। দেবতারা কলহ করেন না। দেখিস না, বড় মন্দিরে আমাদের ১০০০ দেবতা আছে, অথচ কেউ কাউকে আক্রমন করে না? ওদের সাথে দেবতারাজ বা’আল আছেন... আমার বয়স ৭০ হতে চলল, আজ পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি। আর, এক এক মানুষ এক এক দেবতাকে পূজা করে। সবাই একজনকে না।’
ইব্রাহিম বললেন, ‘ও, তাহলে উনাদের মধ্যে শান্তি বিরাজ করছে?’ বাবা বলল, ‘হ্যাঁ।’
এরপর ইব্রাহিম জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাবা, দেবতারা দেখতে কেমন?’ বাবা ধমক দিল, ‘বোকা কোথাকার!! প্রতিদিন আমি একটা করে দেবতা বানাই, আর বিক্রি করি। অথচ, তুই জানিস না দেবতা দেখতে কেমন!!’ ঐ মুহূর্তে বাবা একটা দেবমূর্তি বানাচ্ছিল। ওটা দেখিয়ে বলল, ‘এই যে এটা পাম কাঠে বানানো। আর ঐ যে ওটা জলপাই কাঠে। আর ঐ ছোট্টটা আইভরি। দেখে মনে হচ্ছে না, এরা যেন জীবিত? আহা, কেবল শ্বাসটাই নেই!’
ইব্রাহিম বললেন, ‘ও, তাহলে দেবতাদের শ্বাস নেই? বাবা, তাহলে তারা বাঁচে কেমন করে? যারা নিজেরাই জীবিত না, তারা জীবন দান করে কীভাবে? তাহলে তো এরা দেবতা না। ঈশ্বর না।’
বাবা রেগে গিয়ে বলল, ‘তোর যদি বয়স বেশি হত, তাহলে এই কুড়াল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিতাম।’
ইব্রাহিম আবার বললেন, ‘বাবা, দেবতা মানুষ বানালে, মানুষ আবার দেবতা বানায় কেন? আর, দেবতাদেরকে যেহেতু কাঠ দিয়ে বানানো হয়, তাহলে কাঠ পোড়ান তো গুনাহ। আচ্ছা বাবা, তুমি এত্ত এত্ত দেবতা বানালে অথচ তোমাকে দেবতারা বেশি সন্তান দিল না কেন? তোমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ বানাল না কেন?’
বাবা এসব শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেল। ইব্রাহিম বলেই চলল, ‘বাবা, এমন কি সময় ছিল যখন দুনিয়াতে মানুষ ছিল না?’
বাবা বলল, ‘হ্যাঁ। কেন?’
ইব্রাহিম বললেন, ‘কারণ, আমি জানতে চাই প্রথম দেবতাকে কে বানিয়েছিল?’
‘যা তো আমার সামনে থেকে! আমার এ দেবতাটা তাড়াতাড়ি বানাতে হবে। কথা বলিস না।’ বাবা বলল।
ইব্রাহিম বললেন, ‘কী এমন দেবতা! তুমি যেভাবে চাও সেভাবেই কাটতে পার, নিজেকে রক্ষা পর্যন্ত করতে পারেনা!’
বাবা রেগে বলল, ‘সারা দুনিয়ে বলে এটা দেবতা, আর তুই পিচ্চি বাচ্চা বলিস এটা দেবতা না! দেবতাদের কসম, তুই সাবালক হলে আমি তোকে মেরেই ফেলতাম !’ এ কথা বলে বাবা ইব্রাহিমকে লাথি দিল আর পলায়নরত ইব্রাহিমের পিছু পিছু তাড়া করতে লাগল...”
অধ্যায় ২৭
সাহাবীরা এ কাহিনী শুনে হাসতে থাকলেন, অবাক হলেন ইব্রাহিমের বুদ্ধির কথা শুনে। কিন্তু ঈসা বললেন, “তোমরা কি ভুলে গেছ সেই নবীর কথা যিনি বলেছিলেন, ‘এখনের হাসি অনাগত কান্নার পূর্বাভাস। এত হেসো না, বরং কাঁদ, কারণ এ জীবন তো দুঃখ ভরা। সুখ তো পরকালে।’ ? ” ...
(এরপর ঈসা সেই কাহিনী বর্ণনা করলেন যেখানে ইব্রাহিম মন্দিরে সব মূর্তি ভাংচুর করেন আর কুড়াল রেখে দেন দেবরাজ বা’আল এর মূর্তির কাছে। এরপর ঈসা শোনান ইবাহিমকে শাস্তি হিসেবে আগুনে ফেলে দেয়ার ঘটনা...)
অধ্যায় ২৬
... ঈসা বললেন, “আমি যা বলি সত্য বলি। কারণ, আমার কথা আসে আল্লাহর কাছ থেকে, যিনি আমাকে ইসরাইলের জন্য নবী করে পাঠিয়েছেন। তাই আমি বলছি, যা কিছু তোমাদের আছে সবই আল্লাহর দেয়া উপহার। এখন বল, উপহার বেশি দামী নাকি উপহারদাতা? যদি তোমার বাবা মা আল্লাহর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাদের ত্যাগ কর। আল্লাহ কি ইব্রাহিমকে বলেননি, তোমার পিতৃগৃহ ত্যাগ কর এবং আমি আমি তোমাকে যে পবিত্র ভূমি দিচ্ছি সেখানে এসে বাস কর? আল্লাহ এ কারণেই বলেছিলেন যে, ইব্রাহিমের বাবা দেবমূর্তি বানাতো, আর পূজা করত। ছেলেকে পোড়াতেও তাঁর কোন আপত্তি ছিল না।” পিটার বলল, “আপনার কথা সব সত্য। অনুগ্রহ করে ইব্রাহিম আর তাঁর বাবার কাহিনী আমাদের বলুন।”
ঈসা বললেন, “ইব্রাহিমের বয়স ছিল ৭, যখন তিনি আল্লাহকে খোঁজা শুরু করেন। একদিন ইব্রাহিম তাঁর বাবাকে বললেন, ‘বাবা, মানুষকে বানিয়েছে কে?’ বোকা বাবা উত্তর দিল, ‘মানুষই মানুষকে বানিয়েছে। আমি তোকে বানিয়েছি, আমার বাবা আমাকে বানিয়েছে।’ ইব্রাহিম বললেন, ‘না বাবা, আমি এক বৃদ্ধকে কাঁদতে কাঁদতে বলতে শুনেছি, হে দেবতা! তুমি কেন আমাকে কোন সন্তান দিলে না?!’
বাবা বলল, ‘এটা সত্য যে, দেবতা মানুষকে কিছু সাহায্য করেন মানুষ বানাতে, তবে বেশি না। এজন্য, আমাদেরকে কিছু মেষ উৎসর্গ করতে হয় দেবতার জন্য।’
ইব্রাহিম বললেন, ‘বাবা, দেবতা কত জন?’ বাবা বলল, ‘অসংখ্য, বাছা।’
তখন ইব্রাহিম বললেন, ‘বাবা, আমি যদি এক দেবতাকে পূজা করি, তাহলে যদি অন্য এক দেবতা নারাজ হয়ে আমার ক্ষতি করতে চায় তাহলে কী হবে?? তাহলে তো দেবতা দেবতায় যুদ্ধ লেগে যাবে। ঐ দেবতা যদি আমার দেবতাকে মেরে ফেলে? এরপর তো আমাকেও মেরে ফেলবে।’
বাবা হাসতে হাসতে বলল, ‘ভয় পাস নে, বাছা। দেবতারা কলহ করেন না। দেখিস না, বড় মন্দিরে আমাদের ১০০০ দেবতা আছে, অথচ কেউ কাউকে আক্রমন করে না? ওদের সাথে দেবতারাজ বা’আল আছেন... আমার বয়স ৭০ হতে চলল, আজ পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি। আর, এক এক মানুষ এক এক দেবতাকে পূজা করে। সবাই একজনকে না।’
ইব্রাহিম বললেন, ‘ও, তাহলে উনাদের মধ্যে শান্তি বিরাজ করছে?’ বাবা বলল, ‘হ্যাঁ।’
এরপর ইব্রাহিম জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাবা, দেবতারা দেখতে কেমন?’ বাবা ধমক দিল, ‘বোকা কোথাকার!! প্রতিদিন আমি একটা করে দেবতা বানাই, আর বিক্রি করি। অথচ, তুই জানিস না দেবতা দেখতে কেমন!!’ ঐ মুহূর্তে বাবা একটা দেবমূর্তি বানাচ্ছিল। ওটা দেখিয়ে বলল, ‘এই যে এটা পাম কাঠে বানানো। আর ঐ যে ওটা জলপাই কাঠে। আর ঐ ছোট্টটা আইভরি। দেখে মনে হচ্ছে না, এরা যেন জীবিত? আহা, কেবল শ্বাসটাই নেই!’
ইব্রাহিম বললেন, ‘ও, তাহলে দেবতাদের শ্বাস নেই? বাবা, তাহলে তারা বাঁচে কেমন করে? যারা নিজেরাই জীবিত না, তারা জীবন দান করে কীভাবে? তাহলে তো এরা দেবতা না। ঈশ্বর না।’
বাবা রেগে গিয়ে বলল, ‘তোর যদি বয়স বেশি হত, তাহলে এই কুড়াল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিতাম।’
ইব্রাহিম আবার বললেন, ‘বাবা, দেবতা মানুষ বানালে, মানুষ আবার দেবতা বানায় কেন? আর, দেবতাদেরকে যেহেতু কাঠ দিয়ে বানানো হয়, তাহলে কাঠ পোড়ান তো গুনাহ। আচ্ছা বাবা, তুমি এত্ত এত্ত দেবতা বানালে অথচ তোমাকে দেবতারা বেশি সন্তান দিল না কেন? তোমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ বানাল না কেন?’
বাবা এসব শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেল। ইব্রাহিম বলেই চলল, ‘বাবা, এমন কি সময় ছিল যখন দুনিয়াতে মানুষ ছিল না?’
বাবা বলল, ‘হ্যাঁ। কেন?’
ইব্রাহিম বললেন, ‘কারণ, আমি জানতে চাই প্রথম দেবতাকে কে বানিয়েছিল?’
‘যা তো আমার সামনে থেকে! আমার এ দেবতাটা তাড়াতাড়ি বানাতে হবে। কথা বলিস না।’ বাবা বলল।
ইব্রাহিম বললেন, ‘কী এমন দেবতা! তুমি যেভাবে চাও সেভাবেই কাটতে পার, নিজেকে রক্ষা পর্যন্ত করতে পারেনা!’
বাবা রেগে বলল, ‘সারা দুনিয়ে বলে এটা দেবতা, আর তুই পিচ্চি বাচ্চা বলিস এটা দেবতা না! দেবতাদের কসম, তুই সাবালক হলে আমি তোকে মেরেই ফেলতাম !’ এ কথা বলে বাবা ইব্রাহিমকে লাথি দিল আর পলায়নরত ইব্রাহিমের পিছু পিছু তাড়া করতে লাগল...”
অধ্যায় ২৭
সাহাবীরা এ কাহিনী শুনে হাসতে থাকলেন, অবাক হলেন ইব্রাহিমের বুদ্ধির কথা শুনে। কিন্তু ঈসা বললেন, “তোমরা কি ভুলে গেছ সেই নবীর কথা যিনি বলেছিলেন, ‘এখনের হাসি অনাগত কান্নার পূর্বাভাস। এত হেসো না, বরং কাঁদ, কারণ এ জীবন তো দুঃখ ভরা। সুখ তো পরকালে।’ ? ” ...
(এরপর ঈসা সেই কাহিনী বর্ণনা করলেন যেখানে ইব্রাহিম মন্দিরে সব মূর্তি ভাংচুর করেন আর কুড়াল রেখে দেন দেবরাজ বা’আল এর মূর্তির কাছে। এরপর ঈসা শোনান ইবাহিমকে শাস্তি হিসেবে আগুনে ফেলে দেয়ার ঘটনা...)
অধ্যায় ৫১
সাহাবীরা ঈসার কাছে এলেন আর বললেন, “প্রভু, আমাদের দুটো জিনিস জানান। একটা হল, শয়তানের সাথে আপনার যে কথোপকথন হয়েছিল সেটা। আরেকটা হল, হাশরের ময়দানে শেষ বিচারের দিন কী কী হবে।”
ঈসা বললেন, “আমি সত্যি বলছি, শয়তানের প্রতি আমার আসলেই অনেক সহানুভূতি ছিল তাঁর পতনকাহিনী জেনে। আর সেসব মানুষের প্রতিও সহানুভূতি যাদেরকে সে প্রলুব্ধ করে পাপের প্রতি। আমি রোজা রেখে আল্লাহে কাছে দোয়া করলাম। আল্লাহ জিবরাঈলকে পাঠালেন, আর তাঁর মাধ্যমে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে ঈসা, বল, তুমি কী চাও?’
আমি বললাম, ‘হে আল্লাহ! তুমি তো জানই শয়তানের জন্য এ দুনিয়ায় কত পাপ। শয়তান তো তোমারই সৃষ্টি। তাকে মাফ করে দাও।’
আল্লাহ বললেন, ‘ঈসা, আমি তাকে মাফ করব, তাকে কেবল এতটুকু বলতে বল, হে আল্লাহ! আমি পাপ করেছি! আমাকে মাফ কর। তাহলেই আমি তাকে আগের মতো বানিয়ে দিব।’
আমি তো শুনে অনেক খুশি হয়ে গেলাম। ভাবলাম, সমস্যা বুঝি প্রায় সমাধান করেই ফেলেছি। আমি শয়তানকে ডাকলাম। শয়তান এলো। বলল, ‘বল, ঈসা, আমি তোমার জন্য কী করতে পারি?’
আমি বললাম, ‘আমার জন্য না। বরং তোমার জন্য করতে পার।’
শয়তান বলল, ‘আমার সেবা যদি তোমার না লাগে, তাহলে আমারও তোমার সেবা দরকার নেই। কারণ, আমি তোমার থেকে শ্রেষ্ঠ। তুমি মাটি থেকে আর আমি আগুন থেকে।’
আমি বললাম, ‘আচ্ছা, বাদ দাও এ কথা। তুমি তোমার আগের গৌরব আর মর্যাদা ফিরে পাবে এমন একটা প্রস্তাব কি তোমার জন্য বেশ ভাল না? তুমি তো জানই, শেষ বিচারের দিনে মিকাইল (Michael) ফেরেশতা তোমাকে কত শাস্তি দেবেন।’
শয়তান বলল, ‘দেখা যাবে কী হয়। আমার কত অনুসারী থাকবে জান না?? এত বেশি থাকবে, যে, আল্লাহ বুঝে যাবে ঐদিন, কত্ত বড় ভুল সে করেছে আমাকে বিতাড়িত করে। সামান্য এক কাদামাটির জন্য।’
আমি বললাম, ‘শয়তান! তুমি জান না তুমি কী বলছ!’
‘আচ্ছা বাদ দাও,’ শয়তান আমাকে বলল, ‘তুমি কি কাজের কথা বলছ যেটা করলে আমার আর আল্লাহর বিবাদ মিটে যাবে? শুনি তোমার প্রস্তাব।’
‘তোমাকে শুধু দুটো কথা বলতে হবে।’ আমি বললাম।
‘কী কী কথা?’
‘কথা দুটো হল, আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ কর। ’ আমি বললাম।
শয়তান বলল, ‘আমি সত্যি বিবাদ মিটিয়ে ফেলব, যদি আল্লাহ নিজের মুখে এ কথা দুটো আমাকে বলে। আল্লাহ যদি নিজের ভুল স্বীকার করে।’
আমি চিৎকার করে বললাম, ‘দূর হয়ে যা পাপিষ্ঠ! তুই হলি সব পাপের মূল। আর আল্লাহ পাপশুন্য। ন্যায়বান।’
শয়তান চিতকার করে বলল, ‘তুমি কেবল আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য একটা মিথ্যা বললে !’ ... ”
(এরপর ঈসা শেষ বিচারের দিনের অবস্থা বললেন)
অধ্যায় ৯৭
জনতার মাঝে ঈসা কথা বলছেন।
“আল্লাহর কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, আমি ইসরাইলের ত্রাণকর্তা মাত্র। সারা বিশ্বের ত্রাণকর্তা নই। আমাদের পিতা ইব্রাহিমকে আল্লাহ বলেছিলেন, ‘তোমার বংশধারায় আমি একজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে আশীর্বাদ করব।’ আল্লাহ যখন আমাকে তুলে নেবেন, তখন শয়তান বিভ্রান্তি ছড়াবে, কাফিরদের বিশ্বাস করাবে যে, আমি আল্লাহ আর আল্লাহর পুত্র, আমার কিতাব বিকৃত হবে। হয়ত ৩০ জন ইমানদারও থাকবে না। তখন আল্লাহ তাঁর সেই রাসুলকে পাঠাবেন। তিনি আসবেন ইসরাইলের দক্ষিন থেকে। তিনি মূর্তিপূজা রোহিত করবেন। তিনি আল্লাহর করুণা বয়ে আনবেন, তাঁর জীবন সার্থক যে তাঁর কথায় বিশ্বাস করবে। আমি তাঁর জুতোর ফিতে বাঁধারও যোগ্য নই। তবুও আল্লাহ আমাকে দয়া করেছেন যে, আমি তাঁকে জীবিত অবস্থাতেই দেখতে পাব।”
তখন একজন ইমাম বললেন, “হতাশ হবেন না, আল্লাহর বান্দা ঈসা। আমরা আদেশ জারি করব যেন কেউ আপনাকে খোদা বা খোদার পুত্র না বলে।”
ঈসা বললেন, “আপনার কথায় আমি সান্ত্বনা পাচ্ছি না। যেখানে আপনি আলো আশা করেন, সেখানে থাকবে অন্ধকার। কিন্তু, আমার খুশি এ কারণে যে, প্রতিশ্রুত সেই রাসুল এসে আমাকে নিয়ে প্রচলিত সব মিথ্যা ধ্বংস করবেন আর আমাকে মহিমান্বিত করবেন। তাঁর মধ্যে দিয়ে বিশ্ব আশীর্বাদ পাবে, যেমন আল্লাহ ইব্রাহিমকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমি সান্ত্বনা পাই এজন্য যে, আমাকে দেয়া কিতাব বিকৃত হয়ে যাবে, কিন্তু সেই রাসুলকে দেয়া কিতাব কখনও বিকৃত হবে না।”
ইমাম বললেন, “প্রতিশ্রুত সেই রাসুলের পর আর কোন নবী কি আসবেন?”
ঈসা বললেন, “তাঁর পর আল্লাহর প্রেরিত কোন নবী আসবেন না। কিন্তু অনেক ভণ্ড নবী আসবে। এর জন্য দায়ী শয়তান।”
রাজা হেরোদ বললেন, “এটা কি আল্লাহর ন্যায়বিচার যে এমন ভণ্ড নবী আসবে?”
ঈসা বললেন, “আল্লাহর ন্যায়বিচার হচ্ছে, কেবল অধার্মিকরাই তাদের বিশ্বাস করবে। বিশ্ব দেখেছে, ভণ্ড নবীদের অবস্থা কেমন হয়; যেমন দেখা গিয়েছে হযরত মিকাইয়া আর হযরত ইয়ারামিয়ার সময়। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়, হবে।”
ইমাম তখন জিজ্ঞেস করলেন, “প্রতিশ্রুত রাসুলের নাম কী হবে? তাঁর আগমনের চিহ্ন কী?”
ঈসা বললেন, “তাঁর নাম প্রশংসিত। আল্লাহ নিজে তাঁকে এ নাম দিয়েছেন। আল্লাহ যখন তাঁর রূহ সৃষ্টি করে স্বর্গীয় আলোতে রাখলেন তখন বলেছিলেন, ‘যে তোমাকে প্রশংসা করে সে প্রশংসিত। আর যে তোমাকে অভিশাপ দেয় সে অভিশপ্ত। আমি তোমাকে দুনিয়ায় পাঠাব মানুষের পরিত্রাণের জন্য।’ তাঁর পবিত্র নাম হল... মুহাম্মাদ।”
তখন জনতা উঁচু গলায় বলল, “হে আল্লাহ! আপনার সেই রাসুলকে পাঠান! হে মুহাম্মাদ! আপনি তাড়াতাড়ি আসুন দুনিয়ার পরিত্রাণের জন্য।”
{এর পরের পর্বে থাকবে, রোমান সরকারের আদেশ, ৫০০০ এর বেশি মানুষকে খাওয়ানোর বিখ্যাত মিরাকল... আর থাকবে Mary Magdalene এর কথা... }
পরের পর্ব
সাহাবীরা ঈসার কাছে এলেন আর বললেন, “প্রভু, আমাদের দুটো জিনিস জানান। একটা হল, শয়তানের সাথে আপনার যে কথোপকথন হয়েছিল সেটা। আরেকটা হল, হাশরের ময়দানে শেষ বিচারের দিন কী কী হবে।”
ঈসা বললেন, “আমি সত্যি বলছি, শয়তানের প্রতি আমার আসলেই অনেক সহানুভূতি ছিল তাঁর পতনকাহিনী জেনে। আর সেসব মানুষের প্রতিও সহানুভূতি যাদেরকে সে প্রলুব্ধ করে পাপের প্রতি। আমি রোজা রেখে আল্লাহে কাছে দোয়া করলাম। আল্লাহ জিবরাঈলকে পাঠালেন, আর তাঁর মাধ্যমে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে ঈসা, বল, তুমি কী চাও?’
আমি বললাম, ‘হে আল্লাহ! তুমি তো জানই শয়তানের জন্য এ দুনিয়ায় কত পাপ। শয়তান তো তোমারই সৃষ্টি। তাকে মাফ করে দাও।’
আল্লাহ বললেন, ‘ঈসা, আমি তাকে মাফ করব, তাকে কেবল এতটুকু বলতে বল, হে আল্লাহ! আমি পাপ করেছি! আমাকে মাফ কর। তাহলেই আমি তাকে আগের মতো বানিয়ে দিব।’
আমি তো শুনে অনেক খুশি হয়ে গেলাম। ভাবলাম, সমস্যা বুঝি প্রায় সমাধান করেই ফেলেছি। আমি শয়তানকে ডাকলাম। শয়তান এলো। বলল, ‘বল, ঈসা, আমি তোমার জন্য কী করতে পারি?’
আমি বললাম, ‘আমার জন্য না। বরং তোমার জন্য করতে পার।’
শয়তান বলল, ‘আমার সেবা যদি তোমার না লাগে, তাহলে আমারও তোমার সেবা দরকার নেই। কারণ, আমি তোমার থেকে শ্রেষ্ঠ। তুমি মাটি থেকে আর আমি আগুন থেকে।’
আমি বললাম, ‘আচ্ছা, বাদ দাও এ কথা। তুমি তোমার আগের গৌরব আর মর্যাদা ফিরে পাবে এমন একটা প্রস্তাব কি তোমার জন্য বেশ ভাল না? তুমি তো জানই, শেষ বিচারের দিনে মিকাইল (Michael) ফেরেশতা তোমাকে কত শাস্তি দেবেন।’
শয়তান বলল, ‘দেখা যাবে কী হয়। আমার কত অনুসারী থাকবে জান না?? এত বেশি থাকবে, যে, আল্লাহ বুঝে যাবে ঐদিন, কত্ত বড় ভুল সে করেছে আমাকে বিতাড়িত করে। সামান্য এক কাদামাটির জন্য।’
আমি বললাম, ‘শয়তান! তুমি জান না তুমি কী বলছ!’
‘আচ্ছা বাদ দাও,’ শয়তান আমাকে বলল, ‘তুমি কি কাজের কথা বলছ যেটা করলে আমার আর আল্লাহর বিবাদ মিটে যাবে? শুনি তোমার প্রস্তাব।’
‘তোমাকে শুধু দুটো কথা বলতে হবে।’ আমি বললাম।
‘কী কী কথা?’
‘কথা দুটো হল, আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ কর। ’ আমি বললাম।
শয়তান বলল, ‘আমি সত্যি বিবাদ মিটিয়ে ফেলব, যদি আল্লাহ নিজের মুখে এ কথা দুটো আমাকে বলে। আল্লাহ যদি নিজের ভুল স্বীকার করে।’
আমি চিৎকার করে বললাম, ‘দূর হয়ে যা পাপিষ্ঠ! তুই হলি সব পাপের মূল। আর আল্লাহ পাপশুন্য। ন্যায়বান।’
শয়তান চিতকার করে বলল, ‘তুমি কেবল আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য একটা মিথ্যা বললে !’ ... ”
(এরপর ঈসা শেষ বিচারের দিনের অবস্থা বললেন)
অধ্যায় ৯৭
জনতার মাঝে ঈসা কথা বলছেন।
“আল্লাহর কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, আমি ইসরাইলের ত্রাণকর্তা মাত্র। সারা বিশ্বের ত্রাণকর্তা নই। আমাদের পিতা ইব্রাহিমকে আল্লাহ বলেছিলেন, ‘তোমার বংশধারায় আমি একজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে আশীর্বাদ করব।’ আল্লাহ যখন আমাকে তুলে নেবেন, তখন শয়তান বিভ্রান্তি ছড়াবে, কাফিরদের বিশ্বাস করাবে যে, আমি আল্লাহ আর আল্লাহর পুত্র, আমার কিতাব বিকৃত হবে। হয়ত ৩০ জন ইমানদারও থাকবে না। তখন আল্লাহ তাঁর সেই রাসুলকে পাঠাবেন। তিনি আসবেন ইসরাইলের দক্ষিন থেকে। তিনি মূর্তিপূজা রোহিত করবেন। তিনি আল্লাহর করুণা বয়ে আনবেন, তাঁর জীবন সার্থক যে তাঁর কথায় বিশ্বাস করবে। আমি তাঁর জুতোর ফিতে বাঁধারও যোগ্য নই। তবুও আল্লাহ আমাকে দয়া করেছেন যে, আমি তাঁকে জীবিত অবস্থাতেই দেখতে পাব।”
তখন একজন ইমাম বললেন, “হতাশ হবেন না, আল্লাহর বান্দা ঈসা। আমরা আদেশ জারি করব যেন কেউ আপনাকে খোদা বা খোদার পুত্র না বলে।”
ঈসা বললেন, “আপনার কথায় আমি সান্ত্বনা পাচ্ছি না। যেখানে আপনি আলো আশা করেন, সেখানে থাকবে অন্ধকার। কিন্তু, আমার খুশি এ কারণে যে, প্রতিশ্রুত সেই রাসুল এসে আমাকে নিয়ে প্রচলিত সব মিথ্যা ধ্বংস করবেন আর আমাকে মহিমান্বিত করবেন। তাঁর মধ্যে দিয়ে বিশ্ব আশীর্বাদ পাবে, যেমন আল্লাহ ইব্রাহিমকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমি সান্ত্বনা পাই এজন্য যে, আমাকে দেয়া কিতাব বিকৃত হয়ে যাবে, কিন্তু সেই রাসুলকে দেয়া কিতাব কখনও বিকৃত হবে না।”
ইমাম বললেন, “প্রতিশ্রুত সেই রাসুলের পর আর কোন নবী কি আসবেন?”
ঈসা বললেন, “তাঁর পর আল্লাহর প্রেরিত কোন নবী আসবেন না। কিন্তু অনেক ভণ্ড নবী আসবে। এর জন্য দায়ী শয়তান।”
রাজা হেরোদ বললেন, “এটা কি আল্লাহর ন্যায়বিচার যে এমন ভণ্ড নবী আসবে?”
ঈসা বললেন, “আল্লাহর ন্যায়বিচার হচ্ছে, কেবল অধার্মিকরাই তাদের বিশ্বাস করবে। বিশ্ব দেখেছে, ভণ্ড নবীদের অবস্থা কেমন হয়; যেমন দেখা গিয়েছে হযরত মিকাইয়া আর হযরত ইয়ারামিয়ার সময়। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়, হবে।”
ইমাম তখন জিজ্ঞেস করলেন, “প্রতিশ্রুত রাসুলের নাম কী হবে? তাঁর আগমনের চিহ্ন কী?”
ঈসা বললেন, “তাঁর নাম প্রশংসিত। আল্লাহ নিজে তাঁকে এ নাম দিয়েছেন। আল্লাহ যখন তাঁর রূহ সৃষ্টি করে স্বর্গীয় আলোতে রাখলেন তখন বলেছিলেন, ‘যে তোমাকে প্রশংসা করে সে প্রশংসিত। আর যে তোমাকে অভিশাপ দেয় সে অভিশপ্ত। আমি তোমাকে দুনিয়ায় পাঠাব মানুষের পরিত্রাণের জন্য।’ তাঁর পবিত্র নাম হল... মুহাম্মাদ।”
তখন জনতা উঁচু গলায় বলল, “হে আল্লাহ! আপনার সেই রাসুলকে পাঠান! হে মুহাম্মাদ! আপনি তাড়াতাড়ি আসুন দুনিয়ার পরিত্রাণের জন্য।”
{এর পরের পর্বে থাকবে, রোমান সরকারের আদেশ, ৫০০০ এর বেশি মানুষকে খাওয়ানোর বিখ্যাত মিরাকল... আর থাকবে Mary Magdalene এর কথা... }
পরের পর্ব
লেখককে ফলো করুন
|
© 2013 by Ask Islam Bangla.