বারনাবাস এর ইঞ্জিল (Gospel) থেকে...পর্ব ৩
গত পর্বের পরে থেকে... (আগের পর্ব পড়ে আসতে অনুরোধ করছি, যদি পড়া না থাকে ..২য় পর্ব আর, একদম প্রথম থেকে পড়তে চাইলে, ১ম পর্ব )
এ পর্বে লিখা হবে হযরত ঈসা (আ) এর সাহাবীদের পরিচয়। ঈসার ক্রুশের আসল ঘটনার ইঙ্গিত। আমি সাজেস্ট করব, সাহাবীদের নামগুলো ইংরেজিতেও মনে রাখতে। ভাল করে মনে রাখতে। নামগুলো বহুল ব্যবহৃত।
আমি প্রথম পর্বে লিখেছিলাম, একজনের নামের পরে রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলা যাবে না, বলা ঠিক না। তার নাম এহুদা, ইংরেজিতে JUDAS, এ নামটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
এ পর্বে লিখা হবে হযরত ঈসা (আ) এর সাহাবীদের পরিচয়। ঈসার ক্রুশের আসল ঘটনার ইঙ্গিত। আমি সাজেস্ট করব, সাহাবীদের নামগুলো ইংরেজিতেও মনে রাখতে। ভাল করে মনে রাখতে। নামগুলো বহুল ব্যবহৃত।
আমি প্রথম পর্বে লিখেছিলাম, একজনের নামের পরে রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলা যাবে না, বলা ঠিক না। তার নাম এহুদা, ইংরেজিতে JUDAS, এ নামটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
ইহুদীদের প্রধান ঈদ হল ঈদুল ফিসাখ। ইংরেজিতে Passover ; মুসা (আ) এর মিসর থেকে লোহিত সাগর দিয়ে পার হবার মাধ্যমে ইসরাইলের মুক্তি celebrate করতে এ উৎসব করা হয়।
এ ইঞ্জিলে মুহাম্মাদ (স) এর কথা বলা আছে, এটা আগেই লিখেছি। এখানে, আজকের পর্বে, সেটার একটু ইঙ্গিত দেয়া হল।
হযরত ঈসার (আ) জন্মের প্রায় ৭০০ বছর আগে ইসরায়েলের আরেক বিখ্যাত নবী ইসাইয়া (আ) ২ জন প্রধান নবীর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বলে ইসলামিক স্কলাররা বলে থাকেন-
וְרָ֣אָה רֶ֗כֶב צֶ֚מֶד פָּֽרָשִׁ֔ים רֶ֥כֶב חֲמֹ֖ור רֶ֣כֶב גָּמָ֑ל וְהִקְשִׁ֥יב קֶ֖שֶׁב רַב־ קָֽשֶׁב׃
“একজন চড়বেন গাধার পিঠে আর আরেকজন চড়বেন উটে।” (ইসাইয়া, ২১:৭)
ঈসা (আ) শেষবার জেরুজালেমে ঢুকেছিলেন গাধার পিঠে চড়ে... আর তখন সবাই “হোসান্না হোসান্না” বলে উল্লাস করছিল।
মুহাম্মাদ(স) উটের পিঠে চড়ে মদিনায় প্রবেশ করেন আর শিশুরা সবাই আনন্দে গান গাচ্ছিল।
বর্তমান বিকৃত বাইবেলেও এরূপ ভবিষ্যৎবাণীর রেশ আছে। John১৪:১৬ তে বলা আছে যীশু বলেছেন,
καγὼ ἐρωτήσω τὸν πατέρα καὶ ἄλλον παράκλητον δώσει ὑμῖν, ἵνα ᾖ μεθ’ ὑμῶν εἰς τὸν αἰῶνα (গ্রিক)
ואני אשאלה מאבי והוא יתן לכם פרקליט אחר אשר ישכן אתכם לנצח (হিব্রু)
ܘܐܢܐ ܐܒܥܐ ܡܢ ܐܒܝ ܘܐܚܪܢܐ ܦܪܩܠܛܐ ܢܬܠ ܠܟܘܢ ܕܢܗܘܐ ܥܡܟܘܢ ܠܥܠܡ (আরামায়িক)
এখানে বলা হয়েছে, তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন আর ঈশ্বর একজন Paraclete প্রেরণ করবেন। Paraclete এর আরবি অনুবাদ আহমদ, যা মুহাম্মাদ (স) এর অন্য নাম।
আসলে, সকল ধর্মগ্রন্থে মুহাম্মাদ (স) এর আগমনের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে লিখতে গেলে একটা বিশাল নোট হয়ে যাবে। তাই এখানে আর বিস্তারিত লিখতে পারলাম না। এমনিতেই এই টপিকে নেট এ অনেক জায়গায় অনেক আর্টিকেল পাওয়া যায়, তাই এটা নিয়ে লিখব কিনা বুঝতে পারছি না।
এ পর্বে বেশ কয়েকজন নবীর নাম পাওয়া যাবে যাদের নাম অনেকেই হয়ত শুনেন নি, অথবা জানেন না তাদের পরিচয়... কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট-এ প্লিজ করবেন। :)
এখন আগের পর্বের continuation এ যাওয়া যাক... ঈসার ধারাবাহিক জীবনী...
এ ইঞ্জিলে মুহাম্মাদ (স) এর কথা বলা আছে, এটা আগেই লিখেছি। এখানে, আজকের পর্বে, সেটার একটু ইঙ্গিত দেয়া হল।
হযরত ঈসার (আ) জন্মের প্রায় ৭০০ বছর আগে ইসরায়েলের আরেক বিখ্যাত নবী ইসাইয়া (আ) ২ জন প্রধান নবীর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বলে ইসলামিক স্কলাররা বলে থাকেন-
וְרָ֣אָה רֶ֗כֶב צֶ֚מֶד פָּֽרָשִׁ֔ים רֶ֥כֶב חֲמֹ֖ור רֶ֣כֶב גָּמָ֑ל וְהִקְשִׁ֥יב קֶ֖שֶׁב רַב־ קָֽשֶׁב׃
“একজন চড়বেন গাধার পিঠে আর আরেকজন চড়বেন উটে।” (ইসাইয়া, ২১:৭)
ঈসা (আ) শেষবার জেরুজালেমে ঢুকেছিলেন গাধার পিঠে চড়ে... আর তখন সবাই “হোসান্না হোসান্না” বলে উল্লাস করছিল।
মুহাম্মাদ(স) উটের পিঠে চড়ে মদিনায় প্রবেশ করেন আর শিশুরা সবাই আনন্দে গান গাচ্ছিল।
বর্তমান বিকৃত বাইবেলেও এরূপ ভবিষ্যৎবাণীর রেশ আছে। John১৪:১৬ তে বলা আছে যীশু বলেছেন,
καγὼ ἐρωτήσω τὸν πατέρα καὶ ἄλλον παράκλητον δώσει ὑμῖν, ἵνα ᾖ μεθ’ ὑμῶν εἰς τὸν αἰῶνα (গ্রিক)
ואני אשאלה מאבי והוא יתן לכם פרקליט אחר אשר ישכן אתכם לנצח (হিব্রু)
ܘܐܢܐ ܐܒܥܐ ܡܢ ܐܒܝ ܘܐܚܪܢܐ ܦܪܩܠܛܐ ܢܬܠ ܠܟܘܢ ܕܢܗܘܐ ܥܡܟܘܢ ܠܥܠܡ (আরামায়িক)
এখানে বলা হয়েছে, তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবেন আর ঈশ্বর একজন Paraclete প্রেরণ করবেন। Paraclete এর আরবি অনুবাদ আহমদ, যা মুহাম্মাদ (স) এর অন্য নাম।
আসলে, সকল ধর্মগ্রন্থে মুহাম্মাদ (স) এর আগমনের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে লিখতে গেলে একটা বিশাল নোট হয়ে যাবে। তাই এখানে আর বিস্তারিত লিখতে পারলাম না। এমনিতেই এই টপিকে নেট এ অনেক জায়গায় অনেক আর্টিকেল পাওয়া যায়, তাই এটা নিয়ে লিখব কিনা বুঝতে পারছি না।
এ পর্বে বেশ কয়েকজন নবীর নাম পাওয়া যাবে যাদের নাম অনেকেই হয়ত শুনেন নি, অথবা জানেন না তাদের পরিচয়... কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট-এ প্লিজ করবেন। :)
এখন আগের পর্বের continuation এ যাওয়া যাক... ঈসার ধারাবাহিক জীবনী...
অধ্যায় ১৪
ঈসা জর্ডান নদীর ওপারে একাকী রাত্রি কাটালেন এবং টানা ৪০ দিন ৪০ রাত রোজা রাখলেন। এ দীর্ঘ সময়, তিনি কিছুই খাননি। ৪০ দিন পার হলে তিনি তীব্র ক্ষুধা অনুভব করলেন। তখন শয়তান তাঁকে প্ররোচিত করতে লাগল। কিন্তু, তিনি পাক কিতাবের পবিত্র আয়াত পাঠ করে শয়তানকে তাড়িয়ে দিলেন। শয়তান চলে গেলে ফেরেশতারা নেমে এলো আর ঈসার সমস্ত চাহিদা পূরণ করল।
ঈসা জেরুজালেমে ফিরে এলেন। লোকেরা তাঁকে পেয়ে উৎফুল্ল হল, তারা তাঁকে অনুরোধ করল তাদের সাথে থাকতে। কারণ, অন্যান্য ইমামদের চেয়ে তাঁর কথা অনেক বেশি আবেগপূর্ণ এবং হৃদয়ছোঁয়া।
ঈসা পাহাড়ে উঠে সাড়া রাত আল্লাহর ইবাদাতে কাটালেন। সকালে পাহাড় থেকে নেমে ১২ জন সাহাবী নির্বাচন করলেন। (তাদেরকে Apostles ডাকা হত।) এ ১২ জনের মধ্যে এহুদাও ছিল, যাকে আসলে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। তাদের নাম হল- আন্ড্রু (Andrew) ও পিটার (Peter), যারা ছিল জেলে; বারনাবাস(Barnabas), যে এটা লিখছে; ম্যাথিউ (Matthew), খাজনা-আদায়কারী; সিবদিয়ের ২ ছেলে ইউহানা (John)এবং ইয়াকুব (James); থাদিয়া (Thaddaeus) এবং থমাস (Thomas); বারথোলোমিয়ো (Bartholomew)ও ফিলিপ (Philip); আলফিয়ার ছেলে ইয়াকুব (James); আর সবশেষে, বিশ্বাসঘাতক এহুদা ইস্কারিয়ত(Judas Iscariot)। এদের কাছে তিনি সব ওহী বলতেন। এহুদা ইস্কারিয়তকে অর্থনৈতিক কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এহুদা প্রাপ্ত হাদিয়ার বেশিরভাগই চুরি করত।
অধ্যায় ১৯
... পিটার বলল, “প্রভু, আমরা তো আপনার দেখানো পথে আসতে গিয়ে সব ত্যাগ করেছি, এখন আমাদের কী হবে?” ঈসা বললেন, “কসম, শেষ বিচারের দিন তোমরা আমার পাশেই থাকবে, আর আমার হয়ে সাক্ষ্য দেবে।” এটুকু বলেই ঈসা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন, আর বললেন, “হে আল্লাহ! এ কী হল?? আমি ১২ জনকে পছন্দ করেছি, অথচ এদের মধ্যে একজন শয়তান।”
সাহাবীরা কষ্ট পেল। একটু পরে আমি কেঁদে কেঁদে ঈসাকে জিজ্ঞেস করলাম গোপনে, “প্রভু, শয়তান কি আমাকে ধোঁকা দেবে? সেই লোক কি আমিই?”
ঈসা বললেন, “না, বারনাবাস, দুঃখ করো না। কারণ, তোমার নাম বেহেস্তিদের তালিকায় আছে।” এরপর ঈসা সাহাবীদের সান্ত্বনা দিলেন, “তোমরা কষ্ট পেয়ো না, কারণ যার সম্পর্কে এ কথা বলছি, তাঁর মধ্যে কোন কষ্ট কিন্তু নেই। কারণ, তাঁর মধ্যে বেহেস্তি অনুভূতিই নেই।”
সাহাবীরা তখন শান্ত হল। ঈসা দোয়া করলেন, আর সাহাবীরা বলল, “আমিন আমিন, ইয়া রাব্বুল আলামিন।”
এরপর ঈসা পাহাড় থেকে নেমে এলেন আর নিচে ১০ জন কুষ্ঠ রোগীকে পেলেন। তাদের অনুরোধে তিনি তাদের আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ করে তুললেন। আর এরপর তিনি ইমামদের কাছে নিজেদের শরীর গিয়ে দেখাতে বললেন, যেন ইহুদি ইমামরা আল্লাহর মুজেজার প্রমাণ পায়। ... ...
ঈসা জর্ডান নদীর ওপারে একাকী রাত্রি কাটালেন এবং টানা ৪০ দিন ৪০ রাত রোজা রাখলেন। এ দীর্ঘ সময়, তিনি কিছুই খাননি। ৪০ দিন পার হলে তিনি তীব্র ক্ষুধা অনুভব করলেন। তখন শয়তান তাঁকে প্ররোচিত করতে লাগল। কিন্তু, তিনি পাক কিতাবের পবিত্র আয়াত পাঠ করে শয়তানকে তাড়িয়ে দিলেন। শয়তান চলে গেলে ফেরেশতারা নেমে এলো আর ঈসার সমস্ত চাহিদা পূরণ করল।
ঈসা জেরুজালেমে ফিরে এলেন। লোকেরা তাঁকে পেয়ে উৎফুল্ল হল, তারা তাঁকে অনুরোধ করল তাদের সাথে থাকতে। কারণ, অন্যান্য ইমামদের চেয়ে তাঁর কথা অনেক বেশি আবেগপূর্ণ এবং হৃদয়ছোঁয়া।
ঈসা পাহাড়ে উঠে সাড়া রাত আল্লাহর ইবাদাতে কাটালেন। সকালে পাহাড় থেকে নেমে ১২ জন সাহাবী নির্বাচন করলেন। (তাদেরকে Apostles ডাকা হত।) এ ১২ জনের মধ্যে এহুদাও ছিল, যাকে আসলে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। তাদের নাম হল- আন্ড্রু (Andrew) ও পিটার (Peter), যারা ছিল জেলে; বারনাবাস(Barnabas), যে এটা লিখছে; ম্যাথিউ (Matthew), খাজনা-আদায়কারী; সিবদিয়ের ২ ছেলে ইউহানা (John)এবং ইয়াকুব (James); থাদিয়া (Thaddaeus) এবং থমাস (Thomas); বারথোলোমিয়ো (Bartholomew)ও ফিলিপ (Philip); আলফিয়ার ছেলে ইয়াকুব (James); আর সবশেষে, বিশ্বাসঘাতক এহুদা ইস্কারিয়ত(Judas Iscariot)। এদের কাছে তিনি সব ওহী বলতেন। এহুদা ইস্কারিয়তকে অর্থনৈতিক কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এহুদা প্রাপ্ত হাদিয়ার বেশিরভাগই চুরি করত।
অধ্যায় ১৯
... পিটার বলল, “প্রভু, আমরা তো আপনার দেখানো পথে আসতে গিয়ে সব ত্যাগ করেছি, এখন আমাদের কী হবে?” ঈসা বললেন, “কসম, শেষ বিচারের দিন তোমরা আমার পাশেই থাকবে, আর আমার হয়ে সাক্ষ্য দেবে।” এটুকু বলেই ঈসা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন, আর বললেন, “হে আল্লাহ! এ কী হল?? আমি ১২ জনকে পছন্দ করেছি, অথচ এদের মধ্যে একজন শয়তান।”
সাহাবীরা কষ্ট পেল। একটু পরে আমি কেঁদে কেঁদে ঈসাকে জিজ্ঞেস করলাম গোপনে, “প্রভু, শয়তান কি আমাকে ধোঁকা দেবে? সেই লোক কি আমিই?”
ঈসা বললেন, “না, বারনাবাস, দুঃখ করো না। কারণ, তোমার নাম বেহেস্তিদের তালিকায় আছে।” এরপর ঈসা সাহাবীদের সান্ত্বনা দিলেন, “তোমরা কষ্ট পেয়ো না, কারণ যার সম্পর্কে এ কথা বলছি, তাঁর মধ্যে কোন কষ্ট কিন্তু নেই। কারণ, তাঁর মধ্যে বেহেস্তি অনুভূতিই নেই।”
সাহাবীরা তখন শান্ত হল। ঈসা দোয়া করলেন, আর সাহাবীরা বলল, “আমিন আমিন, ইয়া রাব্বুল আলামিন।”
এরপর ঈসা পাহাড় থেকে নেমে এলেন আর নিচে ১০ জন কুষ্ঠ রোগীকে পেলেন। তাদের অনুরোধে তিনি তাদের আল্লাহর ইচ্ছায় সুস্থ করে তুললেন। আর এরপর তিনি ইমামদের কাছে নিজেদের শরীর গিয়ে দেখাতে বললেন, যেন ইহুদি ইমামরা আল্লাহর মুজেজার প্রমাণ পায়। ... ...
অধ্যায় ২০
ঈসা গালিলি সাগরে এক জাহাজে উঠলেন নাসরাতের উদ্দেশ্যে। মাঝসাগরে প্রচণ্ড ঝড় উঠল। জাহাজ প্রায় ডুবেই যাচ্ছিল। ঈসা জাহাজে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন সাহাবীরা ঈসার কাছে গিয়ে তাঁকে জাগাল আর বলল, “প্রভু, রক্ষা করুন! আমরা ডুবে যাচ্ছি!” সাথে সাথে ঈসা উঠে দাঁড়ালেন আর আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ইয়া এলোহিম সাবাওথ (আল্লাহ)!! তোমার বান্দাদের উপর দয়া কর।” হঠাত থেমে গেল ঝড়। সাগর শান্ত হয়ে গেল। জাহাজিরা অবাক হয়ে গেল, “কে ইনি!!??”
নাসরাতে আসলেন ঈসা। আর ওদিকে জাহাজিরা এ ঘটনা ছড়িয়ে দিল নাস্রাতে। সবাই তাই ঘিরে ধরল ঈসাকে। তখন ইহুদি ইমাম আর রাব্বিরা তাঁকে বলল, “আমরা তো শুনলাম আপনি কী করেছেন না করেছেন সাগরে। আমাদের এখন কিছু করে দেখান তো আপনার নিজের দেশে।”
ঈসা উত্তর দিলেন, “একালের বেঈমান লোকেরা অলৌকিকতা খোঁজে! কিন্তু তাদের তা দেখানো হবে না। কারণ, কোন নবীকেই তাঁর নিজের শহরে মেনে নেয়া হয়না। হযরত ইলিয়াসের সময়ে এহুদিয়া প্রদেশে অনেক বিধবাই ছিল, কিন্তু তাদের কেউ কি সেই রহমত পেয়েছিল? না! পেয়েছিল সেই দূরদেশ সিদোন এর এক বিধবা। হযরত আল-ইয়াসার সময় এহুদিয়াতে তো অনেক কুষ্ঠই ছিল, কিন্তু সবাই কি সুস্থ হয়েছিল? না! সুস্থ হয়েছিল কেবল সিরিয়ার সেই নামান নামের কুষ্ঠরোগী।”
তখন ঈসাকে বিক্ষিপ্ত জনতা আঁকড়ে ধরল, তাঁকে পাহাড়ের কিনারে নিয়ে গেল আর ফেলে দিতে প্রস্তুত হল; কিন্তু, অলৌকিক ব্যাপার, ঈসা আল্লাহর রহমতে সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এলেন।
অধ্যায় ৭০
ঈসা ঈদুল ফিসাখের (Passover) পরে জেরুজালেম ত্যাগ করলেন এবং সিজারিয়া ফিলিপির সীমান্তে প্রবেশ করলেন। সেখানে ফেরেশতা জিব্রাইল তাঁকে খবর দিলেন যে, তাঁকে নিয়ে মতভেদ শুরু হয়ে গেছে জনগনের মধ্যে। তখন ঈসা সাহাবীদের জিজ্ঞেস করলেন, “আমার সম্পর্কে লোকে কী বলে?” তারা বলল, “কেউ বলে আপনি হয়ত ইলিয়াস, কেউ বলে হযরত ইয়ারামিয়া, আর অন্যরা বলে আপনি পুরনো নবীদের কেউ যিনি কিনা ফিরে এসেছেন।” ঈসা বললেন, “আর তোমরা কী বল?” পিটার উত্তর দিল, “আপনি মসিহ, আল্লাহর পুত্র, ইবনুল্লাহ।”
তখন ঈসা ভয়ংকর রেগে গেলেন এবং তাঁকে বললেন, “আমার কাছ থেকে সরে যাও শয়তান।” এবং তিনি বাকি ১১ জনকে হুমকি দিলেন, “তোমরা যদি এ কথা বিশ্বাস কর, তাহলে তোমাদের উপর আল্লাহর লানত।” তিনি পিটারকে তাড়িয়ে দিতে চাইলেন, কিন্তু অন্যদের অনুরোধে তাঁকে তাড়ালেন না, তবে তাঁকে ঠিকই বললেন আর বললেন, “কখনও যেন এমন কথা তোমার কাছ থেকে না শুনি। তাহলে আল্লাহ তোমার উপর গজব নাজিল করবেন!” পিটার কেঁদে বলল, “প্রভু, আমি বোকার মতো কথা বলেছি, দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করেন...”
অধ্যায় ৭২
রাতে ঈসা সাহাবীদের বললেন, “আমি সত্যি বলছি, শয়তান তোমাদের অনেক ক্ষতি করতে চায়, কিন্তু আমি তোমাদের জন্য দোয়া করছি আর তাই তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। তবে, তোমাদের একজন ছাড়া।” একথা তিনি এহুদা (Judas) সম্পর্কে বলেছিলেন। কারণ, জিব্রাইল তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, এহুদা ভণ্ড ইমামদের সাথে যোগাযোগ করে ঈসার সব গোপন কথা বলে দেয়। (আমরা অবশ্য তখনও কেউ জানতাম না।)(কীভাবে কী হয়েছিল, কীভাবে জানল, সেগুলো সব শেষ দিকে ডিটেইলস বর্ণনা করা হবে ইনশাল্লাহ)
তখন আমি কেঁদে ঈসাকে বললাম, “প্রভু, বলুন, কে আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে?” ঈসা বললেন, “বারনাবাস, সে সময় এখনও আসেনি। তবে শীঘ্রই সেই খারাপ লোক নিজেকে প্রকাশ করবে, কারণ আমি দুনিয়া ত্যাগ করব।” সাহাবীরা কেঁদে বলল, “আপনি চলে যাবেন প্রভু? আপনি যাওয়ার চেয়ে আমাদের মরে যাওয়াই ভাল।”
ঈসা বললেন, “ভয় পেয়ো না, আমি তোমাদের সৃষ্টি করিনি, আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তোমাদের রক্ষা করবেন। আমি কেবল এসেছি আল্লাহর শেষ রাসুলের আসার পথ ঠিক করতে। আমি কেবল বনী ইসরাইলের ত্রাণকর্তা, কিন্তু তিনি হবেন সমগ্র বিশ্বের ত্রাণকর্তা। মনে রেখ, অনেক ভণ্ড এসে আমার ইঞ্জিলকে বিকৃত করবে।”
তখন আন্ড্রু বলল, “প্রভু, আমাদের কিছু চিহ্ন বলুন, যা দেখে আমরা তাঁকে চিনতে পারব।” ঈসা বললেন, “তোমাদের জীবিতকালে তিনি আসবেন না। আরও পরে আসবেন, যখন আমার ইঞ্জিল বিকৃত হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ৩০ জন প্রকৃত বিশ্বাসীও থাকবে কিনা সন্দেহ। তখন আল্লাহ আবার দয়া করবেন আর তাঁর রাসুলকে পাঠাবেন। তাঁর মাথার উপর সাদা মেঘ ছায়া দেবে। তিনি মূর্তিপূজা ধ্বংস করবেন। আর আমার খুশি লাগছে অনেক, কারণ তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ আমাকে মহিমান্বিত করবেন আর আমার সত্য ঘটনা সবাইকে জানাবেন। সেই রাসুল তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবেন যারা বলবে আমি মানুষের চেয়েও বেশি কিছু।
“আমি সত্য বলছি, তাঁর শৈশবে চাঁদের আলো তাঁকে ঘুম পাড়াবে, আর তাঁর পূর্ণবয়সে তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করবেন... দুনিয়া জেনে রাখুক, তাঁর বংশ তাঁকে তাড়িয়ে দেবে, কারণ তিনি মূর্তিপূজার বিরোধিতা করবেন... তাই যখন মূর্তিপূজা বহুল প্রচলিত হবে আর আমার ব্যাপারে মিথ্যা বলা হবে, তখনই আল্লাহর সেই রাসুল আসবেন।”
To be continued to part 4
{পরের পর্বে থাকবে, ঈসা (আ) এর আরও কিছু মিরাকল, কথা, ভবিষ্যৎবাণী আর তাঁর ভাষ্যে কিছু পাস্ট নবীর কাহিনী... }
ঈসা গালিলি সাগরে এক জাহাজে উঠলেন নাসরাতের উদ্দেশ্যে। মাঝসাগরে প্রচণ্ড ঝড় উঠল। জাহাজ প্রায় ডুবেই যাচ্ছিল। ঈসা জাহাজে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন সাহাবীরা ঈসার কাছে গিয়ে তাঁকে জাগাল আর বলল, “প্রভু, রক্ষা করুন! আমরা ডুবে যাচ্ছি!” সাথে সাথে ঈসা উঠে দাঁড়ালেন আর আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ইয়া এলোহিম সাবাওথ (আল্লাহ)!! তোমার বান্দাদের উপর দয়া কর।” হঠাত থেমে গেল ঝড়। সাগর শান্ত হয়ে গেল। জাহাজিরা অবাক হয়ে গেল, “কে ইনি!!??”
নাসরাতে আসলেন ঈসা। আর ওদিকে জাহাজিরা এ ঘটনা ছড়িয়ে দিল নাস্রাতে। সবাই তাই ঘিরে ধরল ঈসাকে। তখন ইহুদি ইমাম আর রাব্বিরা তাঁকে বলল, “আমরা তো শুনলাম আপনি কী করেছেন না করেছেন সাগরে। আমাদের এখন কিছু করে দেখান তো আপনার নিজের দেশে।”
ঈসা উত্তর দিলেন, “একালের বেঈমান লোকেরা অলৌকিকতা খোঁজে! কিন্তু তাদের তা দেখানো হবে না। কারণ, কোন নবীকেই তাঁর নিজের শহরে মেনে নেয়া হয়না। হযরত ইলিয়াসের সময়ে এহুদিয়া প্রদেশে অনেক বিধবাই ছিল, কিন্তু তাদের কেউ কি সেই রহমত পেয়েছিল? না! পেয়েছিল সেই দূরদেশ সিদোন এর এক বিধবা। হযরত আল-ইয়াসার সময় এহুদিয়াতে তো অনেক কুষ্ঠই ছিল, কিন্তু সবাই কি সুস্থ হয়েছিল? না! সুস্থ হয়েছিল কেবল সিরিয়ার সেই নামান নামের কুষ্ঠরোগী।”
তখন ঈসাকে বিক্ষিপ্ত জনতা আঁকড়ে ধরল, তাঁকে পাহাড়ের কিনারে নিয়ে গেল আর ফেলে দিতে প্রস্তুত হল; কিন্তু, অলৌকিক ব্যাপার, ঈসা আল্লাহর রহমতে সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এলেন।
অধ্যায় ৭০
ঈসা ঈদুল ফিসাখের (Passover) পরে জেরুজালেম ত্যাগ করলেন এবং সিজারিয়া ফিলিপির সীমান্তে প্রবেশ করলেন। সেখানে ফেরেশতা জিব্রাইল তাঁকে খবর দিলেন যে, তাঁকে নিয়ে মতভেদ শুরু হয়ে গেছে জনগনের মধ্যে। তখন ঈসা সাহাবীদের জিজ্ঞেস করলেন, “আমার সম্পর্কে লোকে কী বলে?” তারা বলল, “কেউ বলে আপনি হয়ত ইলিয়াস, কেউ বলে হযরত ইয়ারামিয়া, আর অন্যরা বলে আপনি পুরনো নবীদের কেউ যিনি কিনা ফিরে এসেছেন।” ঈসা বললেন, “আর তোমরা কী বল?” পিটার উত্তর দিল, “আপনি মসিহ, আল্লাহর পুত্র, ইবনুল্লাহ।”
তখন ঈসা ভয়ংকর রেগে গেলেন এবং তাঁকে বললেন, “আমার কাছ থেকে সরে যাও শয়তান।” এবং তিনি বাকি ১১ জনকে হুমকি দিলেন, “তোমরা যদি এ কথা বিশ্বাস কর, তাহলে তোমাদের উপর আল্লাহর লানত।” তিনি পিটারকে তাড়িয়ে দিতে চাইলেন, কিন্তু অন্যদের অনুরোধে তাঁকে তাড়ালেন না, তবে তাঁকে ঠিকই বললেন আর বললেন, “কখনও যেন এমন কথা তোমার কাছ থেকে না শুনি। তাহলে আল্লাহ তোমার উপর গজব নাজিল করবেন!” পিটার কেঁদে বলল, “প্রভু, আমি বোকার মতো কথা বলেছি, দোয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করেন...”
অধ্যায় ৭২
রাতে ঈসা সাহাবীদের বললেন, “আমি সত্যি বলছি, শয়তান তোমাদের অনেক ক্ষতি করতে চায়, কিন্তু আমি তোমাদের জন্য দোয়া করছি আর তাই তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। তবে, তোমাদের একজন ছাড়া।” একথা তিনি এহুদা (Judas) সম্পর্কে বলেছিলেন। কারণ, জিব্রাইল তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, এহুদা ভণ্ড ইমামদের সাথে যোগাযোগ করে ঈসার সব গোপন কথা বলে দেয়। (আমরা অবশ্য তখনও কেউ জানতাম না।)(কীভাবে কী হয়েছিল, কীভাবে জানল, সেগুলো সব শেষ দিকে ডিটেইলস বর্ণনা করা হবে ইনশাল্লাহ)
তখন আমি কেঁদে ঈসাকে বললাম, “প্রভু, বলুন, কে আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে?” ঈসা বললেন, “বারনাবাস, সে সময় এখনও আসেনি। তবে শীঘ্রই সেই খারাপ লোক নিজেকে প্রকাশ করবে, কারণ আমি দুনিয়া ত্যাগ করব।” সাহাবীরা কেঁদে বলল, “আপনি চলে যাবেন প্রভু? আপনি যাওয়ার চেয়ে আমাদের মরে যাওয়াই ভাল।”
ঈসা বললেন, “ভয় পেয়ো না, আমি তোমাদের সৃষ্টি করিনি, আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তিনিই তোমাদের রক্ষা করবেন। আমি কেবল এসেছি আল্লাহর শেষ রাসুলের আসার পথ ঠিক করতে। আমি কেবল বনী ইসরাইলের ত্রাণকর্তা, কিন্তু তিনি হবেন সমগ্র বিশ্বের ত্রাণকর্তা। মনে রেখ, অনেক ভণ্ড এসে আমার ইঞ্জিলকে বিকৃত করবে।”
তখন আন্ড্রু বলল, “প্রভু, আমাদের কিছু চিহ্ন বলুন, যা দেখে আমরা তাঁকে চিনতে পারব।” ঈসা বললেন, “তোমাদের জীবিতকালে তিনি আসবেন না। আরও পরে আসবেন, যখন আমার ইঞ্জিল বিকৃত হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ৩০ জন প্রকৃত বিশ্বাসীও থাকবে কিনা সন্দেহ। তখন আল্লাহ আবার দয়া করবেন আর তাঁর রাসুলকে পাঠাবেন। তাঁর মাথার উপর সাদা মেঘ ছায়া দেবে। তিনি মূর্তিপূজা ধ্বংস করবেন। আর আমার খুশি লাগছে অনেক, কারণ তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ আমাকে মহিমান্বিত করবেন আর আমার সত্য ঘটনা সবাইকে জানাবেন। সেই রাসুল তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবেন যারা বলবে আমি মানুষের চেয়েও বেশি কিছু।
“আমি সত্য বলছি, তাঁর শৈশবে চাঁদের আলো তাঁকে ঘুম পাড়াবে, আর তাঁর পূর্ণবয়সে তিনি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করবেন... দুনিয়া জেনে রাখুক, তাঁর বংশ তাঁকে তাড়িয়ে দেবে, কারণ তিনি মূর্তিপূজার বিরোধিতা করবেন... তাই যখন মূর্তিপূজা বহুল প্রচলিত হবে আর আমার ব্যাপারে মিথ্যা বলা হবে, তখনই আল্লাহর সেই রাসুল আসবেন।”
To be continued to part 4
{পরের পর্বে থাকবে, ঈসা (আ) এর আরও কিছু মিরাকল, কথা, ভবিষ্যৎবাণী আর তাঁর ভাষ্যে কিছু পাস্ট নবীর কাহিনী... }
লেখককে ফলো করুন
|
© 2013 by Ask Islam Bangla.