ASK ISLAM BANGLA
  • Home
  • রচনাবলী
  • সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইসলামি সাধারণ জ্ঞান
  • ইসলাম বিরোধী প্রশ্নের জবাব
  • ইসলামের সেই কাহিনীগুলো
  • সাহাবীদের কাহিনী
  • গল্পে গল্পে শিখী
  • ROAD TO PEACE
  • Forum

বারনাবাস এর ইঞ্জিল (Gospel) থেকে...পর্ব ২

{যদি আগের পর্ব পড়া না হয়ে থাকে তাহলে আমি সাজেস্ট করব প্রথম পর্ব পড়ে নিতে। }

গত পর্বের পর থেকে, বারনাবাস অনুসারে হযরত ঈসা (আ) এর জীবনী- 


#যে জায়গায় হযরত ঈসার (আ) জন্ম হয়েছিল তার নাম ছিল হিব্রুতে বাইতে-লাহম (বেথেলহেম); জেরুজালেমের পূর্বদিকে এর অবস্থান। ঈসার সাথে পরিচয় হওয়ার আগ পর্যন্ত ঈসার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বারনাবাস নিশ্চয়ই লোকমুখেই শুনেছিলেন, তাই তাঁর নবুয়াত পাওয়ার আগ পর্যন্ত বর্ণিত ঘটনাগুলো অনির্ভরযোগ্য। নবুয়াত এর ঘটনা থেকে শুরু করছি।

#নবুয়াতের আগে কিছু সুত্র মতে হযরত দাউদ (আ) কামারের কাজ এবং বই লিখার কাজ করতেন, আমাদের নবীও (স) মেষ চড়াতেন আর পরে ব্যবসা করতেন। মুসা (আ) মেষ চড়াতেন। হযরত ঈসা (আ)কী কাজ করতেন? জন্মগতভাবে ইহুদি হযরত ঈসা ছিলেন ইয়াহুদিয়া প্রদেশের নাসরাত গ্রামের একজনকাঠমিস্ত্রি।

#একটা বিষয় অবশ্যই উল্লেখ্য, খ্রিস্টানরা জোসেফ নামের একজনকে মেরীর স্বামী আর যীশুর পালক বাবা বলে থাকে। তাদের মতে, যীশুর জন্মের সময় মরিয়মের জোসেফের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে ছিল। কিন্তু, আমাদের ধর্মে কোন সূত্রে জোসেফের নাম উল্লেখ নেই, কোথাও স্বীকারও করা হয়নি তাঁর কথা, আবার কোথাও অস্বীকারও করা হয়নি। তাই, ঈসার জন্মের সময় মরিয়ম (রা) কুমারী থাকলেও তিনি আজীবন কুমারী তথা অবিবাহিত ছিলেন কিনা এটা কোথাও বলা হয়নি। আমরা জানি না সেটা। আসলে, তৎকালীন সময়ে ইহুদি সমাজে অবিবাহিত থাকাকে negatively দেখা হত। তবে, তাফসিরে ইবনে-কাসিরে জোসেফের কথা indeed বলা আছে!! মরিয়মের সাথে তাঁর কথা হত। তিনি ছিলেন খুবই নেক বান্দা। পরে কোন এক পর্বে জোসেফ আর মেরীর ঘটনা তাফসির থেকে বর্ণনা করব ইনশাল্লাহ। কিন্তু, কুরআন এটা আমাদের ensureকরেছে যে, ঈসার জন্মের সময় মরিয়ম মোটেও কারও সাথে engaged ছিলেন না, যেমনটা খ্রিস্টানরা ভাবে। একারণেই আসলে ইহুদীরা মরিয়মকে তৎক্ষণাৎ অপবাদ দিতে তেমন কাউকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁর খালু হযরত জাকারিয়াকে (আ) দায়ী করে ঈসার জন্মের জন্য। তবে, বর্তমান কালে ইহুদীরা বলে, “অসংখ্য ভণ্ড নবীদের মধ্যে ঈসা আর মুহাম্মাদ ছিল অন্যতম। ঈসা ছিল মরিয়মের জারজ সন্তান। রোমান সৈন্যরা ইয়াহুদা প্রদেশ রেইড করেছিল একবার, আর তখন রোমান বাহিনীর প্যানডোরানামের এক সৈন্য মরিয়মকে ধর্ষণ করে আর তার ফসল ছিল ঈসা।” (নাউজুবিল্লাহ)  

# ঈসার চারজন ভাইয়ের কথা অন্যান্য ইঞ্জিলে পাওয়া যায়। বোনের কথাও। এর মানে কি মরিয়ম বিবাহ করেছিলেন? আমরা জানি না। খুব সম্ভবত, এ ভাই বোন বলতে ঈসার আত্মীয়র কথা বোঝানো হয়েছে... আসল ভাই বোন না... কোন ইঞ্জিলেই ঈসার জন্মের পরে বা ঈসা বড় হবার পরে একবারও মরিয়ম সম্পর্কে এমন কথা বলা হয়নি যে তিনি বিবাহিত, অথবা বিধবা। তাঁর বাবার কোন mentionই নেই!! এত বড় একটা ঘটনা কেন এড়িয়ে যাওয়া হবে? এটা ইঙ্গিত করে যে তিনি বিবাহিত ছিলেন না... এছাড়া, চার্চের নানরা তো মেরীকে অনুসরণ করেই অবিবাহিত থাকে, তাই না??   {সিমিলারলি, ফাদাররাও অবিবাহিত কারণ যীশু বিবাহিত ছিলেন না; ভিঞ্চি কোড-এ ড্যান ব্রাউন কীভাবে সঠিক কিছু তথ্য দিয়ে ভুল ডিসিশনে এসেছেন সেটা নিয়ে একটা পোস্ট লিখা যায়। তিনি কিছু ভুল তথ্যও দিয়েছেন। :) }

এ পর্ব পড়ার আগে মাউন্ট অলিভ এর বিষয়ে বলে নেই। আরবিতে জাবালুজ জাইতুন (جبل الزيتون) আর হিব্রুতে হার হা-জাইতিম ( הר הזיתים‎ )। অলিভ মানে জলপাই, জাইতুন। মনে আছে, সুরা তীন এর প্রথম আয়াতগুলো?

“১) শপথ তীন (ডুমুর) ও জাইতুনের, ২) এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, এবং ৩) এই নিরাপদ মক্কা নগরীর।” (৯৫:১-৩)

কী ইঙ্গিত করা হয়েছে এখানে? এই তিনটি স্থান পবিত্র কেন? কারণ, জাইতুন বা জলপাই এর নাম নিয়ে ইঙ্গিত করা হয়েছে জাইতুন পাহাড় বা মাউন্ট অলিভকে। যেখানে ইঞ্জিল অবতীর্ণ হয়। তূর হল সেই পাহাড় যেখানে তাওরাত নাজিল হয়। আর নিরাপদ মক্কা হল যেখানে সাওর পাহাড় যার হেরা গুহায় নাযিল হয় মহাগ্রন্থ আল-কুরআন।

গত পর্বের পরে, নিচে continue করলাম...

Pictureছবিতে সেই মাউন্ট অলিভ যেখানে ইঞ্জিল শরিফ নাজিল হয়।
অধ্যায় ১০

হযরত ঈসা আমাকে বলেছিলেন, যখন তাঁর বয়স ৩০ বছর, তখন একদিন তিনি তাঁর মায়ের সাথে Mount Olives-এ গেলেন জলপাই কুড়াতে। সেখানে দুপুরবেলা যখন তিনি নামাজ আদায় করছিলেন, {তখন নামাজের অন্য নিয়ম ছিল} তখন তাঁর কানে এলো “হে প্রভু, তুমি করুণাময়...”; তাঁর চারপাশে তখন উজ্জ্বল আলো আর আলো, এবং অসংখ্য ফেরেশতা যারা বলছে, “আলহামদুলিল্লাহ!!” তখন ফেরেশতা জিব্রাইল তাঁর চোখের সামনে একটি উজ্জ্বল আয়নার মতো বই তুলে ধরলেন। ঈসা সেটার দিকে তাকাতেই যেন তাঁর হৃদয় জ্ঞানে ভরে গেল, আল্লাহ যা করেছেন আর বলেছেন এবং যা চান সব যেন তাঁর হৃদয়ে গেঁথে গেল; পরে তিনি আমাকে একবার বলেছিলেন, “বিশ্বাস করো, বারনাবাস, আমি আমার পূর্ববর্তী সব নবীর সব কিতাবের আয়াত জানি। এত বেশি জানি যে, আমার মনে হয় আমি যখন কথা বলছি তখন কথাগুলো যেন সেই বই(ইঞ্জিল) থেকে আসে।”

নবুয়াত পাবার পরে ঈসা বুঝলেন যে তিনি বনী ইসরায়েলের কাছে প্রেরিত এক নবী। তিনি তাঁর মা মরিয়মকে বললেন যে, তিনি নবী হয়েছেন। তাই তিনি আর আগের মতো মায়ের সেবা করতে পারবেন না, কারণ তাঁকে আল্লাহর বাণী প্রচারের কাজে নামতে হবে। একথা শুনে মরিয়ম উত্তর দিলেন, “বাবা, তুমি যখন জন্মেছিলে তখনই সব আমার কাছে ঘোষণা করা হয়েছিল; যাই হোক, আলহামদুলিল্লাহ।” সেদিন থেকে নবী ঈসা মাকে রেখে কাজ শুরু করলেন।   

Picture
অধ্যায় ১১

ঈসা মার থেকে বিদায় নিয়ে এলেন জেরুজালেমে (হিব্রু ইয়ার-উস-সালাম  יְרוּשָׁלַיִם‎‎ মানে শান্তির শহর); সেখানে তাঁর সাথে দেখা হল এক কুষ্ঠরোগীর, যাকে ঐশী উপায়ে জানানো হয়েছিল যে তিনি (ঈসা) নবী। তাই সে কেঁদে কেঁদে তাঁকে বলল, “ঈসা, দাউদের বংশধর, আমার প্রতি রহম করুন।” ঈসা বললেন, “ভাই, তুমি আমার কাছে কী চাও?”

কুষ্ঠরোগী বলল, “প্রভু (Master/হুজুর), আমাকে ভাল করে দিন।”


ঈসা তাঁকে ধমক দিয়ে বললেন, “বোকা কোথাকার, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন সেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো, একমাত্র তিনিই তোমাকে ভাল করতে পারেন। আমি তোমার মতই সামান্য মানুষ।”

কুষ্ঠরোগী বলল, “জানি, প্রভু, কিন্তু আপনি আল্লাহর এক প্রিয় বান্দা। আপনি তাঁর কাছে আমার জন্য দোয়া করুন।”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঈসা তখন বললেন, “হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ! তোমার পবিত্র নবীদের উসিলায় এ অসুস্থ রোগীকে ভাল করে দাও।” এই বলে তিনি রোগীটিকে হাত দিয়ে ছুঁয়ে বললেন, “ভাই, তুমি ভাল হয়ে যাও!” এ কথা বলার সাথে সাথেই কুষ্ঠরোগী ভাল হয়ে গেল, তাঁর চামড়া এত সুন্দর হয়ে গেল যেন সদ্যজাত শিশুর চামড়া। এ কাজ দেখে লোকটি উচ্চস্বরে চিৎকার করল, “ইসরায়েলবাসী!! এদিকে এস, আল্লাহর নতুন নবীকে গ্রহণ করো!!” ঈসা বললেন, “ভাই চুপ কর, কিছু বোলো না।” কিন্তু সে বলেই চলল, “দেখে যাও নবীকে!! দেখে যাও আল্লাহর পবিত্র বান্দাকে!!” এ চিৎকার শুনে জেরুজালেম থেকে বেরিয়ে যাওয়া অনেকেই শহরে ফিরে এলো, কারণ কুষ্ঠরোগীর ঘটনা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ততক্ষণে।

Picture
অধ্যায় ১২ 

সারা শহরের লোক ঈসাকে দেখতে ছুটে এলো বাইতুল মুকাদ্দাসে, যেখানে ঈসা ছিলেন। তখন ইহুদি ইমামেরা তাঁকে বলল, “এ লোকেরা আপনার কথা শুনতে চায়, আল্লাহর কসম, এদের কিছু শোনান।”

তখন ঈসা কথা বলার বেদীতে উঠে বসলেন। তিনি হাত উঁচু করলেন সবাইকে চুপ করতে, তারপর বলতে শুরু করলেন, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি দয়া করে তাঁর বান্দাদের সৃষ্টি করেছেন, যেন তারা তাঁর সত্ত্বাকে জানতে পারে আর তাঁর প্রশংসা করতে পারে। সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি তাঁর পাক বান্দা ও নবীদের রূহ সৃষ্টি করেছেন, যেন তাঁর বান্দারা রক্ষা পায়, যেমন তিনি তাঁর বান্দা দাউদকে বলেছিলেন, ‘ইবলিসের হাত থেকে বাঁচাতে আমি তোমাদের পাঠিয়েছি।’ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁকে সেবা করার জন্য ফেরেস্তাদের সৃষ্টি করেছেন। আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি শয়তানকে তার অবাধ্যতার শাস্তি দিয়েছিলেন, কারণ আল্লাহ যাকে সিজদা করতে বলেছিলেন সে তাঁকে সিজদা করেনি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মানুষকে কাদা মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর দুনিয়াদারীতে পাঠিয়েছেন। সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি পবিত্র আদেশ অমান্যের অপরাধে বেহেশত থেকে নির্বাসিত করেন মানুষকে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মানবজাতির আদি পিতামাতা আদম-হাওয়ার ক্রন্দনে ক্ষমাসুলভ আচরণ করেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি ধ্বংস করে দেন তিনটি দুষ্ট নগরীকে [সডম Sodom, গমোরা Gomorrah (লুত এর কওম) আর আ’দ জাতির নগরী]; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মিসরকে শাস্তি দেন, ফিরাউনকে ডুবিয়ে মারেন লোহিত সাগরে (Red Sea), বিশৃঙ্খল করেন শত্রুদের, কাফিরদের ইমানদার বানান আর বিরোধীদের ধ্বংস করেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দাদের সৎপথে ডাকতে পাঠান তাঁর পাক নবীদের... সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দা মুসাকে তাওরাত দিয়েছেন যেখানে তিনি বলেছেন শয়তান আমাদের ধোঁকা দেবে... সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, তিনি বনী ইসরাইলকে সকল জাতির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন!

“কিন্তু, ভাইয়েরা, আজ আমরা আল্লাহর এত করুনার পরেও যে গুনাহের কাজ করছি এর জন্য আমাদের শাস্তি পেতে হবে না?”

তখন ঈসা জনতাকে কড়া কথা শোনাতে লাগলেন কারণ তারা ভুলে গেছে আল্লাহকে, ভুলে গেছে তাঁর করুণাকে আর ডুবে আছে দুনিয়াদারীতে। তিনি ইমামদের বকলেন কারণ তারা আল্লাহর কিতাবে  রদ-বদল করত। তিনি ইহুদি রাব্বিদের ( Hebrewতে হুজুর/শিক্ষক) বকলেন কারণ তারা আল্লাহর আইনকে প্রয়োগের অযোগ্য করে ফেলেছে। আর ঈসা এমনভাবে বক্তৃতা দিলেন, তাঁর কণ্ঠে এত আবেগ ছিল যে উপস্থিত জনতা কাঁদতে লাগল, তাঁকে অনুরোধ করল আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দুয়া করতে। কিন্তু কুচক্রী ভণ্ড ইহুদি ইমাম আর রাব্বিরা ঈসাকে মেরে ফেলতে চাইল কারণ, তিনি তাদের গোপন কথা বলে দিয়ে তাদের ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছেন, কিন্তু তারা কিছুই বলতে পারল না, কারণ লোকেরা ঈসাকে নবী হিসেবে মেনে নিয়েছে।

ঈসা হাত উঠিয়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন আর জনতা কাঁদতে কাঁদতে বলল, “আমিন, হে আল্লাহ, আমিন!!” (আমেন হিব্রু শব্দ, মানে, so be it)। দোয়া শেষ হলে তিনি বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে বেরিয়ে গেলেন। সেদিন থেকে জেরুজালেমে সবাই তাঁর কথা বলত, অনেকেই তাঁর অনুসরণ শুরু করল। কিন্তু ইহুদি ইমামেরা নিজেদের মধ্যে ঈসাকে নিয়ে খারাপ কথা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকল...

অধ্যায় ১৩

কিছু দিন পরে, ঈসা মাউন্ট অলিভ এ গেলেন নামায পড়তে, এরপর তিনি একনিষ্ঠভাবে দোয়া করলেন, “হে আল্লাহ, ইহুদি ইমাম আর রাব্বিরা তোমার এই বান্দাকে মারতে চায়... আমাকে রক্ষা করো তাদের জিঘাংসা থেকে। হে আল্লাহ, তুমি তো জানই, আমি কেবল তোমারই মুখাপেক্ষী, কারণ তুমিই আমার নাজাতদাতা। ”

সাথে সাথেই জিবরাঈল এলেন আর বললেন, “ভয় পেয়ো না, ঈসা। কারণ, হাজার হাজার ফেরেশতা তোমার পাহাড়ায় আছে... তোমার মৃত্যু হবে অনেক অনেক পরে, কিয়ামতের অনেক কাছাকাছি সময়ে অনেকগুলো ভবিষ্যৎবাণী পূরণ হবার পরে।”

ঈসা সিজদায় পড়ে গেলেন, আর বললেন, “হে আল্লাহ তুমি অশেষ মেহেরবান!!! আমি কীভাবে কৃতজ্ঞতা দেখাব?...”

জিবরাঈল বললেন, “উঠ, ঈসা, আর স্মরণ করো, ইব্রাহিমের কথা। তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু আল্লাহ সেটা হতে দেননি (মারা যেতে দেননি); তাঁর জায়গায় মারা গেল এক দুম্বা। (তোমারও তাই হবে, তুমি মরবে না। আল্লাহ সেটা হতে দেবেন না); কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কুরবানি করো, ঈসা।”

“নিশ্চয়ই, কিন্তু, ভেড়া পাব কোথায়? আমার তো টাকা নেই। আর চুরি করা তো পাপ।”

তখন জিবরাঈল তাঁকে একটি ভেড়া দেখালেন। সেটা কুরবানি করলেন ঈসা, আর প্রশংসা করলেন আল্লাহ তায়ালার, যিনি চির-মহান।

{এর পরের পর্বে ঈসার ৪০ দিনের রোজা, ১২ সাহাবী নির্বাচন, তাদের নাম-পরিচয়, তাঁর বাণীপ্রচার... এবং আরও কিছু...}

পরের পর্ব

লেখককে ফলো করুন
site search by freefind advanced

© 2013 by Ask Islam Bangla.
Powered by Create your own unique website with customizable templates.