বারনাবাস এর ইঞ্জিল (Gospel) থেকে... শেষপর্ব
{এটা শেষ পর্ব। আগের পর্ব পড়ে না থাকলে, পড়ে আসতে অনুরোধ করছি... যদি পড়া না থাকে তাহলে ১০ম পর্বের লিঙ্ক এখানে আর, একদম প্রথম থেকে পড়তে চাইলে, এখানে ক্লিক করুন
Special thanks to Raihan Razeen for helping me in this PART :) }
Jonathan Danter.
একজন সাংবাদিক। মিয়ামি এয়ারপোর্টে যেতে হবে তাকে ফ্লাইট ধরার জন্য। কিন্তু তখনই একটা কল আসল। সে জানত না এ কলটা তাঁর জীবন চেঞ্জ করে দেবে। তাকে ছুটে যেতে হল লন্ডনে। ওখানে কোন একটা গুপ্তসঙ্ঘ সিরিয়াল কিল করে যাচ্ছে। বিশেষত্ব আছে একটা। তারা ক্রুশবিদ্ধ করে মারছে তাদেরকে। কেন?
রহস্য সমাধানের জন্য লেগে পড়ল জোনাথান। তাঁর সাথে আরেক জিনিয়াস Katharin; লন্ডন, ফ্রান্স থেকে শুরু করে ভ্যাটিকান পর্যন্ত ফেরারি আসামি হয়ে তাদেরকে ঘুরে বেড়াতে হয়। আন্তর্জাতিক পুলিশ এর সাথে সাথে সেই গুপ্তসঙ্ঘও তাদের খুঁজছে। কেন? কিছু একটা লুকাতে চায় তারা... যেটা কিনা পুরো খ্রিস্টধর্মের ভিত নড়িয়ে দেবে... এটা তারা হতে দিবে না... কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা যেটা আবিস্কার করল সেটা অকল্পনীয় তাদের কাছে...
এটা একটা গেমের কাহিনী। ২০০৬ সালে রিলিজ পাওয়া। গেইমের নাম Belief And Betrayal. ভিঞ্চি কোডের আদলে বানানো, এত ইতোমধ্যে বুঝে গেছেন। আমি এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে গেইমটা খেলেছিলাম। আমি নিজে এত অবাক হয়েছিলাম লাস্টের সিনে আসে! আসলেই কি এটা সম্ভব? পুরো না হোক, আংশিক কি সত্য? এটাই যথেষ্ট।
লাস্টে কী বলেছিল সেটা পরে বলব।
কিন্তু, অবাক হয়েছিলাম, যখন দেখলাম The story is inspired by a historical codex..
Really???!!!
সেই কোডেক্স নিয়েও বলব...
অনেকের প্রশ্ন আছে, খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা তো ঈসার পালক বাবা বলে Josephকে। তিনি কে?
Joseph of Nazareth; তারা বলে, জোসেফের সাথে মেরীর বিয়ের কথা ছিল। সন্দেহবাদিরা বলে, জোসেফের ঔরসের সন্তান ঈসা। কিন্তু, বাইবেল কিন্তু ক্লিয়ারলি বলে যে, তাদের মধ্যে কোন যৌন সম্পর্ক তখনও ছিল না। অনেক মুসলিমের প্রশ্ন, তাহলে এ জোসেফ কি আসলে পুরোপুরি কাল্পনিক একটা চরিত্র? এতবার যার নাম আসছে এই চরিত্রটাকি কাল্পনিক হতে পারে?
আমি নিজে আসলে খুঁজেছি অনেক এ চরিত্রের ভিত্তি আছে কি নেই সেটা। একমাত্র প্রাসঙ্গিক কাহিনী যেটা পেয়েছি সেটা তুলে দিলাম...
আমি এখানে ইবনে কাসিরের ১৯:২৩ এর ব্যাখ্যা থেকে লিখছি...
মারিয়াম অন্যান্য স্ত্রীলোকদের মতই গর্ভধারণের পূর্ণ সময় কাটিয়ে দেন এবং ঐ সময়টা মসজিদে (বাইতুল মুকাদ্দাসে) কাটান। মসজিদে আরও একজন খাদেম ছিলেন। তাঁর নাম ছিল ইউসুফ নাজ্জার। তিনি মারিয়ামকে ঐ অবস্থায় দেখে কিছুটা সন্দিহান হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁর সংসারবিমুখতা, খোদাভীরুতা, ইবাদাত বন্দেগী আর সত্যবাদিতার প্রতি খেয়াল করে তাঁর ঐ সন্দেহ দূরীভূত হয়। কিন্তু যত দিন যেতে থাকে তাঁর গরভ তত প্রকাশিত হতে থাকে। আর থাকতে পারলেন না তিনি। একদিন আদবের সাথে বললেন, “হে মারিয়াম! আপনাকে একটি কথা জিজ্ঞেস করছি। আচ্ছা, বলুন তো, বিনা বীজে কি গাছ হয়? বিনা বাপে কি সন্তান হয়?”
মারিয়াম তাঁর উদ্দেশ্য বুঝে ফেললেন। তাই তিনি উত্তরে বললেন, “এ সবকিছুই সম্ভব। প্রথম যে গাছ আল্লাহ সৃষ্টি করেন সেটা বীজ ছাড়াই ছিল। প্রথম যে যে মানুষ আদমকে আল্লাহ সৃষ্টি করেন তাঁর বাপ ছিল না। এমনকি মাও ছিল না।” তাঁর এ প্রশ্নের উত্তরে লোকটি সব কিছু বুঝে নিলেন আর আল্লাহ্র শক্তিকে অস্বীকার করতে পারলেন না।
মারিয়াম যখন দেখলেন, তাঁর কওমের লোকেরা তাঁকে অপবাদ দেয়া শুরু করেছে, তখন তাদের ছেড়ে তিনি বহুদূরে চলে গেলেন। ইমাম ইবেন ইসহাক বলেন, ... কওমের লোকেরা ইউসুফ নাজ্জারের (রঃ) মতো সৎ লোককে অপবাদ দেয়। তখন মারিয়াম সরে পড়েন। প্রসব বেদনা যখন উঠে তখন তিনি এক খেজুর গাছের নিচে বসেন... কথিত আছে, তিনি বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে আট মাইল দূরে গিয়েছিলেন। ঐ বসতির নাম ছিল বাইতে লাহম। মিরাজের ঘটনাতেও একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, হযরত ঈসার জন্মস্থান ছিল বাইতে লাহম।
বুঝাই যাচ্ছে, ইউসুফ নাজ্জার আসলে জোসেফ অফ নাজারেথ।
যাক, আগের পর্বে যীশুর তথা জুডাসের কাফন নিয়ে লিখেছিলাম... কিন্তু, দুটো জিনিস লিখিনি...
কাফন থেকে যীশুর হাইট মাপা যায়... তবে পায়ের অ্যাঙ্গেল এর কারণে এক্স্যাক্ট হাইট মাপা যায়না... লোয়েস্ট ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, হায়েস্ট ৬ ফুট ২ ইঞ্চি।
আরেকটা বিষয় আছে, যেটা কিছুক্ষণ পরে বলছি...
এবার কাদিয়ানি সম্প্রদায় কী বলে সেটা জানা যাক, তারা বলে, ঈসা আসলে ক্রুশে চরেছিলেন, কিন্তু মারা যাননি, অজ্ঞান হয়ে যান, এরপর কবরে দেয়ার পর তাঁর জ্ঞান ফেরে। তিনি এরপর রোমান আর ইহুদীদের থেকে পালিয়ে যান। হিজরত করেন ভারতে!! কাশ্মীরে ধর্মপ্রচার শুরু করেন। এরপর বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিকভাবে মারা যান। তাঁর কবর এখনও আছে কাশ্মীরে।
শুধু কাদিয়ানিরা কেন, বিশ্ববিখ্যাত মুভি পরিচালক জেমস ক্যামেরন (টাইটানিক, অ্যাভাটার) তাঁর ডকুমেন্টারি ফিল্মে দাবি করেছেন তিনি যীশুর কবর খুঁজে পেয়েছেন... এটা অবশ্য ইসরাইলে, মজার ব্যাপার তাঁর কবর পারিবারিক কবর। অর্থাৎ সাথে তাঁর স্ত্রী মেরি মাগডালিন এর কবরও নাকি আছে। তাদের এক পুত্রের কবরও! দেখুন, The Lost Tomb of Jesus ডকুমেন্টারি।
Dan Brown দাবি করেছেন তাঁর ভিঞ্চি কোড বইয়ে, মেরি মাগডালিন যীশুর স্ত্রী। কোন প্রমাণ নেই। সুখপাঠ্য একটা উপন্যাস বটে।
ঈসা (আ) এর সম্পর্কে যত থিয়োরি আছে এই সিরিজে তুলে ধরেছি... কাদিয়ানিদের থিয়োরিও... বাকিগুলোও দিচ্ছি...
৪:১৫৭ এর তাফসিরে ইবনে কাসির যেসব ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেখান থেকে কিছু থিয়োরি লিখছি... নাহলে অসম্পূর্ণ থাকবে লিখাটা।
ঈসাকে যখন গ্রেফতারের আগে প্রথমবার আকাশে তুলে নেয়া হয়, তখন আল্লাহ্র ইচ্ছায় তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। সে অবস্থায় তাঁকে তুলে নেয়া হয়।
আরেকটা বর্ণনায় আছে, ঈসাকে ধরতে এসে সৈন্যরা দেখল ১২ জনের চেহারাই নাকি ঈসার মতো হয়ে গেছে... একজনকে তারা ধরে নিয়ে গেল... ইবনে কাসির নিজেই এ থিয়োরি too strange to be true বলে মন্তব্য করেছেন।
তাফসিরে ইবনে জারিরে যে কাহিনী বর্ণনা আছে সেটা খ্রিস্টানদের কাহিনীর সাথেই মিলে যায় পুরো। শেষ দিকে কেবল কাহিনী চেঞ্জ হয়, বলা হয়, সমস্ত নির্যাতন ভোগের পর যখন তাঁকে ক্রুশে বাঁধতে গেল, ঠিক তখন হঠাৎ করে আল্লাহ ঈসাকে তুলে নেন আর তাঁর জায়গায় আরেকজনকে বসিয়ে দেন... খুব বেশি সাপোরটার নেই এ থিয়োরির।
অবশ্য, ইবনে জারিরে এটা ঠিকই বলা আছে, যে, ঈসা ৭ দিন পর ফিরে আসেন আর মেরি মাগডালিন আর মা মেরীর সাথে দেখা করেন। অন্যান্য সাহাবীদের সাথেও।
আরেকটা থিয়োরি হল তাইতালানুস থিয়োরি যেটা আমাদের ধর্ম বই এ বর্ণনা করা ছিল। এটা তাফসিরে মাজহারি থেকে নেয়া। এখানে কাহিনী পুরো বারনাবাসের সাথে মিলে যায়, তবে একটা জায়গা বাদে, বলা হয়েছে, ঈসাকে ধরতে সৈন্য আনে যে তাঁর নাম তাইতালানুস। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে, তাইতালানুস নামে কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব ইতিহাসে নেই। আর দুটো জায়গায় আমি এ নাম পেয়েছি, কিন্তু তাঁর পরিচয়ও ঠিকভাবে বলা হয়নি, এক জায়গায় লিখা সে নাকি রোমান ছিল। আরেক জায়গায়, সে নাকি ইহুদী ছিল।
ইবনে ইসহাক যে মত দিয়েছেন সেটাতে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ঠিকই, কে সৈন্যদের নিয়ে আসে ঈসাকে ধরতে। নামটা দেখে প্রথমে আমি ঠিকমত পড়তেই পারছিলাম না। দেখুন- “লাইউদাসরাকরিয়াইউতা”... বিশ্বাস করুন, আমি যদি আসল নাম না জানতাম, তাহলে আমি শিওরলি ভাবতাম এটা বুঝি কোন কাল্পনিক চরিত্র... কিন্তু কয়েকবার কষ্ট করে নামটা উচ্চারন করতেই সমস্যা মিটে গেল! জাস্ট কয়েকটা অক্ষর এদিক সেদিক হলেও নামটা আসলে “জুদাস ইস্কারিওতা” (জুদাস=ইহুদাস)
এবার আসল টপিকে ফিরে আসা যাক...
তাফসিরে ইবনে কাসিরে একটি অবাক করা ঘটনা বলা হয়েছে, ঈসা (আ) এর স্থান নেয়ার জন্য একজন সাহাবী নিজের ইচ্ছায় রাজি হন। তিনি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় সমস্ত নির্যাতন সইতে আর ক্রুশবিদ্ধ হতে রাজি হন! ঈসা তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করেন সে আসলেই রাজি কিনা। প্রত্যেকবার সে রাজি।
!!!
উপরে বর্ণিত প্রত্যেকটা থিয়োরিরই কিছু কিছু অংশ সত্য। সব একসাথে সত্য হওয়া সম্ভব না। সবগুলো থিয়োরি থেকে সত্য অংশগুলো যদি একসাথে করা হয় তাহলে একটি কাহিনী বেরিয়ে আসে... এর সাথে বাইবেলের লুক, জন, মার্ক, ম্যাথিউ আর পিটার, জুডাস, থমাস, বারনাবাস আর মেরীর গস্পেল- এ ৯টা গস্পেল পড়া শেষে একটা বিশ্লেষণ দাঁড়া করালাম, আসুন, সেটা দেখা যাক এটা একটা থিয়োরি... লজিকালি এক্সপ্লেইন্ড... -->
প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, একদম শুরু থেকে ঈসা জানতেন যে, জুডাস একজন বিশ্বাসঘাতক। কিন্তু একবারও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি। খটকা লাগে বটে।
মুহাম্মাদ (স) কিন্তু বলতেন কে কে মুনাফিক। সাহাবীরাও জানতেন যে অমুক অমুক হল মুনাফিক।
কিন্তু... ঈসা (আ) তাঁর ক্ষেত্রে কেন বললেন না? তাহলে কি কাহিনী আসলে একটু বেশিই গভীর?
তার মানে কি ঈসা আসল খবর জানতেন... তিনি আগে থেকেই জুডাসের সাথে কথা বলে রেখেছেন? এটা সবাই একমত, প্রায়ই জুডাসের সাথে যীশু একা কথা বলতেন। কী বলতেন?
জুডাস কি আসলেই "বিশ্বাসঘাতক”?
তাফসির বলছে, একজন সাহাবী স্বেচ্ছায় ঈসার জায়গা নেন। কিন্তু, It appeared otherwise.
It appeared, ঐ সাহাবী বিশ্বাসঘাতক। আর, বিশ্বাসঘাতক তকমাটা একমাত্র জুডাসের গায়েই লেগে আছে।জুডাস এর প্রতিশব্দই যে এখন বিশ্বাসঘাতক।
কে এই জুডাস?
জুডাসের জন্ম কেরিওথ গ্রামে। এহুদিয়া প্রদেশের দক্ষিন দিকে। বড় হবার পর জুডাস তাঁর ফ্যামিলির সাথেজেরিকোতে চলে আসেন। সেখানে তিনি তাঁর বাবার সাথে ব্যবসা দেখতেন। কিন্তু, অচিরেই ধর্ম তাঁকে আকর্ষণ করে। তিনি হযরত ইয়াহিয়া (আ) এর ধর্মপ্রচার শুনে তাঁর অনুসারী হয়ে যান। একথা জেনে জুডাসকে ত্যাজ্যপুত্র করে তাঁর বাবা মা। প্রকৃত ধর্মের অন্বেষণে রত জুডাস মেনে নেন তাঁর বাবা মায়ের এ সিদ্ধান্ত। ফেরারি জুডাসের আর কেউ রইল না। না আছে সম্পত্তি, না আছে আপনজন। ধর্মের জন্য তিনি উৎসর্গ করলেন নিজেকে।
গালিল সাগরের কাছে জেলের কাজ করা যায় কিনা সেটা খুঁজছিলেন জুডাস। তখন নাথানিয়েল এর সাথে দেখা হয় তাঁর। এঁর মাধ্যমেই ঈসার সংস্পর্শে আসা। তখন জুডাসের বয়স ৩০, অবিবাহিত। তখনই তিনি যোগ দেন ঈসার সাথে। হয়ে যান ঈসার সেই সৌভাগ্যবান ১২ জনের এক জন। ঈসার সমান তাঁর বয়স। আর, বলা হয়, তাঁর গড়ন ছিল ঈসার মতই অনেকটা।
১২ জনের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত আর সবচেয়ে জ্ঞানী ছিলেন জুডাস। শিক্ষিত ঈসার পরেই সাহাবাদের মধ্যে জ্ঞানের দিক দিয়ে তাঁর স্থান। কোন বিষয় বর্ণনা করলে সবার আগে জিনিসটা বুঝে যেতেন জুডাস। তাই প্রথম থেকেই যীশুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জুডাস। (অবশ্যই বাইবেলিকাল গস্পেলে জুডাসকে খারাপভাবেই দেখানো আছে)
ঈসা (আ) কে ক্রুশবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হবে আর তাঁকে আকাশে তুলে নেয়া হবে এটা তিনি নিজেই অনেকবার বলেছেন। ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। কিন্তু এ জন্য দরকার একজন substitute; যার কাজ হবে এমনভাবে appear করা যেন সবার কাছে মনে হয় (এমনকি খুনি ইহুদীদের কাছেও) যে, তারা ঈসাকেই ক্রুশে দিচ্ছে। তারা যেন বিভ্রান্ত হয়। তারা যেন মনে করে আপাতত তারা সফল, কিন্তু আসলে তারা ব্যর্থ।
কে পারবে এই কাজ সবচেয়ে ঠিকভাবে করতে? কার efficiency বেস্ট? জুডাস? তিনি কি আগেই ঈসার নজর কাড়েন নি?
জুডাস কি যীশুর কথা মতই কাজ করেননি?
আসুন কিছু ঘটনা দেখা যাক।
লাস্ট সাপারের আগে।
পিটারের পা ধুতে এলেন ঈসা। পিটার বলল, “আমার পা আপনি কখনও ধুবেন না।”
ঈসা বললেন, “তাহলে তুমি কিয়ামাতের দিন আমার সাথে থাকবে না।”
নবী হযরত ঈসা (আ) নিজের হাতে তাঁর সাহাবির পা ধুয়ে দিলেন, যেন কিয়ামাতের দিন পিটার তাঁর সাথেই থাকে। এরপর অন্যদের পাও ধুয়ে দিলেন। কিন্তু...
আপনি কি জানেন, সাহাবীদের মধ্যে সবার আগে ঈসা (আ) কার পা ধুয়ে দিয়েছিলেন?
সবার আগে জুডাসের পা!!!! প্রথম হবার সম্মানটা পেলেন জুডাস!
আরও ঘটনা আছে। লাস্ট সাপারের আগে, ঈসা বললেন জুডাসকে, “বন্ধু, দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমার সময় তো প্রায় শেষ। তুমি দ্রুত তোমার কাজ কর।”
!!
ঈসা জানতেন কী কাজ... গস্পেলগুলো আমাদের বলেনি কী কাজ... পূর্বনির্ধারিত একটা কাজ। সেটা কী, অন্য সোর্স থেকে জানাব। সেই হিস্টোরিকাল কোডেক্স থেকে।
ঈসার ঊর্ধ্ব-আরোহণের পর জুডাসের কর্মকাণ্ড আসলেই অবাক করা assuming, he was not betrayer.
কিন্তু, এ থিয়োরি পুরাই বিফলে যাবে, ঐ তাফসির পুরোই বিফলে যাবে, যদি জুডাস ক্রুশে মারা যায়। কারন, তাহলে প্রমাণিত হবে, সে আসলেই খারাপ। আসলেই বিশ্বাসঘাতক অপরাধী। তাওরাতের বাণী আর ভবিষ্যৎবাণী বিফলে যাবে... “যে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মরল, সে অভিশপ্ত।”
আসুন এবার দেখা যাক, “যীশু”র মানে জুডাসের কাফন আমাদের কী জানায়! অবিশ্বাস্য এক ব্যাপার!
কাফনে যে ছিল সে কি আসলেই মৃত? আসলেই লাশ?
#একজন মৃত ব্যক্তির গা থেকে রক্ত বের হতেই পারে। অসম্ভব কিছু না। আজব ব্যাপার, কাফন বিশ্লেষণ করে যেটা পাওয়া গেল, জুডাসের দেহ থেকে ২৮টি জায়গা থেকে Forcibly রক্ত বেরিয়েছে!! Forcibly এ কারণেই যে, হার্ট যদি বিট না করে, সিস্টোলিক ডায়াস্টোলিক প্রেসার যদি না থাকে তাহলে রক্ত force এ বের হবে না। এটা তখনই সম্ভব, যখন... যখন, লাশের হার্ট বিট করছে...
#ক্রুশে যীশুর “মৃত্যু” পর একজন সৈন্য তাঁকে বর্শা দিয়ে খোঁচা দিলেন। প্রবল বেগে তাঁর দেখ থেকে রক্ত বেরিয়ে এলো। খ্রিস্টানরা বলে, এটা যীশুর একটা মিরাকল। মৃত লাশ থেকে জীবিতের মতো রক্তের প্রবল বেগ। আমি বলি, রাখেন মিরাকল, বুঝাই যাচ্ছে, এখনও মরেন নি। অজ্ঞান কেবল।
#জুডাসের সাথে আরও দুজনকে ক্রুশে দেয়া হয়েছিল... এত তাড়াতাড়ি জুডাস মারা গেলেন? সাধারণত, ক্রুশবিদ্ধরা মারা যায় ক্ষুধায়, দুর্বলতায়... কয়েকদিন লাগে... কিন্তু, সদ্য ক্রুশে চড়া জুডাস মারা যাবেন এত তাড়াতাড়ি? তাঁর সাথের চোর দুজন কিন্তু এত তাড়াতাড়ি মরেনি...!
#এরপর আসা যাক, আরেকটা মেডিক্যাল ফ্যাক্ট। Rigor Mortis জানা আছে তো? মরার ৩০ মিনিট পর থেকে দেহ যে শক্ত হতে শুরু করে? সেটাই রিগর মরটিস। অবিশ্বাস্য ব্যাপার, যীশু/জুডাসের দেহে কোন লক্ষণই দেখা যায় নি রিগর মরটিসের। ইচ্ছামত হাত পা ঘাড় সরানো গেছে। এ বিষয়ে আরও প্রমাণ আছে।
লাশের পচন আরও একটা ফ্যাক্ট। কিন্তু, কাফন পরীক্ষা করে দেখা গেল, কোন পচনের চিহ্ন পর্যন্ত নেই!
#সবার প্রশ্ন, ইমেজ ফর্ম হল কীভাবে... কাফনে তো লাশের এমন ইমেজ কখনও হয় না... গবেষণা বলছে, এটা একটা Heat ইমেজ। দেহ থেকে যে তাপ নির্গত হয় সেটা ফর্ম করে এ ইমেজ। শীতল লাশ থেকে হিট বের হয় না জানা কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে হয়েছে কারন, ওটা লাশ ছিল না। অজ্ঞান দেহ মাত্র। এমনকি এ ঘটনা প্রুভ করার জন্যই যেন নাকের ছিদ্রের অংশ বেশি স্পষ্ট। মানে, ওখানে বেশি হিট পড়ছিল... কারন, লাশ যে শ্বাস নিচ্ছিল!! গরম নিঃশ্বাস বরং ভাল করে ইমেজ create করেছে।
#২০০৪ সালে আরও গবেষণায় ২য় একটা মুখের ছাপ পাওয়া যায়। এটা প্রমাণ করে, “লাশ” তাঁর মাথা মুভ করেছিল। তাই অন্য পজিশনে আবার ইমেজ হয়েছে।
গবেষকরা তাই একমত, ওটা লাশ ছিল না। জীবিতই ছিল। জীবিত, জীবিত, জীবিত...
তাহলে, ক্রুশে মারা যান নি। আল্লাহ্ তাঁকে অভিশপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।
কী ছিল সেই কাজ যেটা ঈসা তাঁকে করতে বলেছিলেন? কী সেই কোডেক্স যেটা আবিস্কার হয় রিসেন্টলি? যেটা ধারণা পালটে দেয়? National Geographic থেকে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয় খুঁজে পাওয়া Gospel Of Judas!!!!! (পাশে ছবি দিলাম)
Special thanks to Raihan Razeen for helping me in this PART :) }
Jonathan Danter.
একজন সাংবাদিক। মিয়ামি এয়ারপোর্টে যেতে হবে তাকে ফ্লাইট ধরার জন্য। কিন্তু তখনই একটা কল আসল। সে জানত না এ কলটা তাঁর জীবন চেঞ্জ করে দেবে। তাকে ছুটে যেতে হল লন্ডনে। ওখানে কোন একটা গুপ্তসঙ্ঘ সিরিয়াল কিল করে যাচ্ছে। বিশেষত্ব আছে একটা। তারা ক্রুশবিদ্ধ করে মারছে তাদেরকে। কেন?
রহস্য সমাধানের জন্য লেগে পড়ল জোনাথান। তাঁর সাথে আরেক জিনিয়াস Katharin; লন্ডন, ফ্রান্স থেকে শুরু করে ভ্যাটিকান পর্যন্ত ফেরারি আসামি হয়ে তাদেরকে ঘুরে বেড়াতে হয়। আন্তর্জাতিক পুলিশ এর সাথে সাথে সেই গুপ্তসঙ্ঘও তাদের খুঁজছে। কেন? কিছু একটা লুকাতে চায় তারা... যেটা কিনা পুরো খ্রিস্টধর্মের ভিত নড়িয়ে দেবে... এটা তারা হতে দিবে না... কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা যেটা আবিস্কার করল সেটা অকল্পনীয় তাদের কাছে...
এটা একটা গেমের কাহিনী। ২০০৬ সালে রিলিজ পাওয়া। গেইমের নাম Belief And Betrayal. ভিঞ্চি কোডের আদলে বানানো, এত ইতোমধ্যে বুঝে গেছেন। আমি এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে গেইমটা খেলেছিলাম। আমি নিজে এত অবাক হয়েছিলাম লাস্টের সিনে আসে! আসলেই কি এটা সম্ভব? পুরো না হোক, আংশিক কি সত্য? এটাই যথেষ্ট।
লাস্টে কী বলেছিল সেটা পরে বলব।
কিন্তু, অবাক হয়েছিলাম, যখন দেখলাম The story is inspired by a historical codex..
Really???!!!
সেই কোডেক্স নিয়েও বলব...
অনেকের প্রশ্ন আছে, খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা তো ঈসার পালক বাবা বলে Josephকে। তিনি কে?
Joseph of Nazareth; তারা বলে, জোসেফের সাথে মেরীর বিয়ের কথা ছিল। সন্দেহবাদিরা বলে, জোসেফের ঔরসের সন্তান ঈসা। কিন্তু, বাইবেল কিন্তু ক্লিয়ারলি বলে যে, তাদের মধ্যে কোন যৌন সম্পর্ক তখনও ছিল না। অনেক মুসলিমের প্রশ্ন, তাহলে এ জোসেফ কি আসলে পুরোপুরি কাল্পনিক একটা চরিত্র? এতবার যার নাম আসছে এই চরিত্রটাকি কাল্পনিক হতে পারে?
আমি নিজে আসলে খুঁজেছি অনেক এ চরিত্রের ভিত্তি আছে কি নেই সেটা। একমাত্র প্রাসঙ্গিক কাহিনী যেটা পেয়েছি সেটা তুলে দিলাম...
আমি এখানে ইবনে কাসিরের ১৯:২৩ এর ব্যাখ্যা থেকে লিখছি...
মারিয়াম অন্যান্য স্ত্রীলোকদের মতই গর্ভধারণের পূর্ণ সময় কাটিয়ে দেন এবং ঐ সময়টা মসজিদে (বাইতুল মুকাদ্দাসে) কাটান। মসজিদে আরও একজন খাদেম ছিলেন। তাঁর নাম ছিল ইউসুফ নাজ্জার। তিনি মারিয়ামকে ঐ অবস্থায় দেখে কিছুটা সন্দিহান হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁর সংসারবিমুখতা, খোদাভীরুতা, ইবাদাত বন্দেগী আর সত্যবাদিতার প্রতি খেয়াল করে তাঁর ঐ সন্দেহ দূরীভূত হয়। কিন্তু যত দিন যেতে থাকে তাঁর গরভ তত প্রকাশিত হতে থাকে। আর থাকতে পারলেন না তিনি। একদিন আদবের সাথে বললেন, “হে মারিয়াম! আপনাকে একটি কথা জিজ্ঞেস করছি। আচ্ছা, বলুন তো, বিনা বীজে কি গাছ হয়? বিনা বাপে কি সন্তান হয়?”
মারিয়াম তাঁর উদ্দেশ্য বুঝে ফেললেন। তাই তিনি উত্তরে বললেন, “এ সবকিছুই সম্ভব। প্রথম যে গাছ আল্লাহ সৃষ্টি করেন সেটা বীজ ছাড়াই ছিল। প্রথম যে যে মানুষ আদমকে আল্লাহ সৃষ্টি করেন তাঁর বাপ ছিল না। এমনকি মাও ছিল না।” তাঁর এ প্রশ্নের উত্তরে লোকটি সব কিছু বুঝে নিলেন আর আল্লাহ্র শক্তিকে অস্বীকার করতে পারলেন না।
মারিয়াম যখন দেখলেন, তাঁর কওমের লোকেরা তাঁকে অপবাদ দেয়া শুরু করেছে, তখন তাদের ছেড়ে তিনি বহুদূরে চলে গেলেন। ইমাম ইবেন ইসহাক বলেন, ... কওমের লোকেরা ইউসুফ নাজ্জারের (রঃ) মতো সৎ লোককে অপবাদ দেয়। তখন মারিয়াম সরে পড়েন। প্রসব বেদনা যখন উঠে তখন তিনি এক খেজুর গাছের নিচে বসেন... কথিত আছে, তিনি বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে আট মাইল দূরে গিয়েছিলেন। ঐ বসতির নাম ছিল বাইতে লাহম। মিরাজের ঘটনাতেও একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, হযরত ঈসার জন্মস্থান ছিল বাইতে লাহম।
বুঝাই যাচ্ছে, ইউসুফ নাজ্জার আসলে জোসেফ অফ নাজারেথ।
যাক, আগের পর্বে যীশুর তথা জুডাসের কাফন নিয়ে লিখেছিলাম... কিন্তু, দুটো জিনিস লিখিনি...
কাফন থেকে যীশুর হাইট মাপা যায়... তবে পায়ের অ্যাঙ্গেল এর কারণে এক্স্যাক্ট হাইট মাপা যায়না... লোয়েস্ট ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, হায়েস্ট ৬ ফুট ২ ইঞ্চি।
আরেকটা বিষয় আছে, যেটা কিছুক্ষণ পরে বলছি...
এবার কাদিয়ানি সম্প্রদায় কী বলে সেটা জানা যাক, তারা বলে, ঈসা আসলে ক্রুশে চরেছিলেন, কিন্তু মারা যাননি, অজ্ঞান হয়ে যান, এরপর কবরে দেয়ার পর তাঁর জ্ঞান ফেরে। তিনি এরপর রোমান আর ইহুদীদের থেকে পালিয়ে যান। হিজরত করেন ভারতে!! কাশ্মীরে ধর্মপ্রচার শুরু করেন। এরপর বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিকভাবে মারা যান। তাঁর কবর এখনও আছে কাশ্মীরে।
শুধু কাদিয়ানিরা কেন, বিশ্ববিখ্যাত মুভি পরিচালক জেমস ক্যামেরন (টাইটানিক, অ্যাভাটার) তাঁর ডকুমেন্টারি ফিল্মে দাবি করেছেন তিনি যীশুর কবর খুঁজে পেয়েছেন... এটা অবশ্য ইসরাইলে, মজার ব্যাপার তাঁর কবর পারিবারিক কবর। অর্থাৎ সাথে তাঁর স্ত্রী মেরি মাগডালিন এর কবরও নাকি আছে। তাদের এক পুত্রের কবরও! দেখুন, The Lost Tomb of Jesus ডকুমেন্টারি।
Dan Brown দাবি করেছেন তাঁর ভিঞ্চি কোড বইয়ে, মেরি মাগডালিন যীশুর স্ত্রী। কোন প্রমাণ নেই। সুখপাঠ্য একটা উপন্যাস বটে।
ঈসা (আ) এর সম্পর্কে যত থিয়োরি আছে এই সিরিজে তুলে ধরেছি... কাদিয়ানিদের থিয়োরিও... বাকিগুলোও দিচ্ছি...
৪:১৫৭ এর তাফসিরে ইবনে কাসির যেসব ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেখান থেকে কিছু থিয়োরি লিখছি... নাহলে অসম্পূর্ণ থাকবে লিখাটা।
ঈসাকে যখন গ্রেফতারের আগে প্রথমবার আকাশে তুলে নেয়া হয়, তখন আল্লাহ্র ইচ্ছায় তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। সে অবস্থায় তাঁকে তুলে নেয়া হয়।
আরেকটা বর্ণনায় আছে, ঈসাকে ধরতে এসে সৈন্যরা দেখল ১২ জনের চেহারাই নাকি ঈসার মতো হয়ে গেছে... একজনকে তারা ধরে নিয়ে গেল... ইবনে কাসির নিজেই এ থিয়োরি too strange to be true বলে মন্তব্য করেছেন।
তাফসিরে ইবনে জারিরে যে কাহিনী বর্ণনা আছে সেটা খ্রিস্টানদের কাহিনীর সাথেই মিলে যায় পুরো। শেষ দিকে কেবল কাহিনী চেঞ্জ হয়, বলা হয়, সমস্ত নির্যাতন ভোগের পর যখন তাঁকে ক্রুশে বাঁধতে গেল, ঠিক তখন হঠাৎ করে আল্লাহ ঈসাকে তুলে নেন আর তাঁর জায়গায় আরেকজনকে বসিয়ে দেন... খুব বেশি সাপোরটার নেই এ থিয়োরির।
অবশ্য, ইবনে জারিরে এটা ঠিকই বলা আছে, যে, ঈসা ৭ দিন পর ফিরে আসেন আর মেরি মাগডালিন আর মা মেরীর সাথে দেখা করেন। অন্যান্য সাহাবীদের সাথেও।
আরেকটা থিয়োরি হল তাইতালানুস থিয়োরি যেটা আমাদের ধর্ম বই এ বর্ণনা করা ছিল। এটা তাফসিরে মাজহারি থেকে নেয়া। এখানে কাহিনী পুরো বারনাবাসের সাথে মিলে যায়, তবে একটা জায়গা বাদে, বলা হয়েছে, ঈসাকে ধরতে সৈন্য আনে যে তাঁর নাম তাইতালানুস। কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে, তাইতালানুস নামে কোন ব্যক্তির অস্তিত্ব ইতিহাসে নেই। আর দুটো জায়গায় আমি এ নাম পেয়েছি, কিন্তু তাঁর পরিচয়ও ঠিকভাবে বলা হয়নি, এক জায়গায় লিখা সে নাকি রোমান ছিল। আরেক জায়গায়, সে নাকি ইহুদী ছিল।
ইবনে ইসহাক যে মত দিয়েছেন সেটাতে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ঠিকই, কে সৈন্যদের নিয়ে আসে ঈসাকে ধরতে। নামটা দেখে প্রথমে আমি ঠিকমত পড়তেই পারছিলাম না। দেখুন- “লাইউদাসরাকরিয়াইউতা”... বিশ্বাস করুন, আমি যদি আসল নাম না জানতাম, তাহলে আমি শিওরলি ভাবতাম এটা বুঝি কোন কাল্পনিক চরিত্র... কিন্তু কয়েকবার কষ্ট করে নামটা উচ্চারন করতেই সমস্যা মিটে গেল! জাস্ট কয়েকটা অক্ষর এদিক সেদিক হলেও নামটা আসলে “জুদাস ইস্কারিওতা” (জুদাস=ইহুদাস)
এবার আসল টপিকে ফিরে আসা যাক...
তাফসিরে ইবনে কাসিরে একটি অবাক করা ঘটনা বলা হয়েছে, ঈসা (আ) এর স্থান নেয়ার জন্য একজন সাহাবী নিজের ইচ্ছায় রাজি হন। তিনি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় সমস্ত নির্যাতন সইতে আর ক্রুশবিদ্ধ হতে রাজি হন! ঈসা তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করেন সে আসলেই রাজি কিনা। প্রত্যেকবার সে রাজি।
!!!
উপরে বর্ণিত প্রত্যেকটা থিয়োরিরই কিছু কিছু অংশ সত্য। সব একসাথে সত্য হওয়া সম্ভব না। সবগুলো থিয়োরি থেকে সত্য অংশগুলো যদি একসাথে করা হয় তাহলে একটি কাহিনী বেরিয়ে আসে... এর সাথে বাইবেলের লুক, জন, মার্ক, ম্যাথিউ আর পিটার, জুডাস, থমাস, বারনাবাস আর মেরীর গস্পেল- এ ৯টা গস্পেল পড়া শেষে একটা বিশ্লেষণ দাঁড়া করালাম, আসুন, সেটা দেখা যাক এটা একটা থিয়োরি... লজিকালি এক্সপ্লেইন্ড... -->
প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, একদম শুরু থেকে ঈসা জানতেন যে, জুডাস একজন বিশ্বাসঘাতক। কিন্তু একবারও তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি। খটকা লাগে বটে।
মুহাম্মাদ (স) কিন্তু বলতেন কে কে মুনাফিক। সাহাবীরাও জানতেন যে অমুক অমুক হল মুনাফিক।
কিন্তু... ঈসা (আ) তাঁর ক্ষেত্রে কেন বললেন না? তাহলে কি কাহিনী আসলে একটু বেশিই গভীর?
তার মানে কি ঈসা আসল খবর জানতেন... তিনি আগে থেকেই জুডাসের সাথে কথা বলে রেখেছেন? এটা সবাই একমত, প্রায়ই জুডাসের সাথে যীশু একা কথা বলতেন। কী বলতেন?
জুডাস কি আসলেই "বিশ্বাসঘাতক”?
তাফসির বলছে, একজন সাহাবী স্বেচ্ছায় ঈসার জায়গা নেন। কিন্তু, It appeared otherwise.
It appeared, ঐ সাহাবী বিশ্বাসঘাতক। আর, বিশ্বাসঘাতক তকমাটা একমাত্র জুডাসের গায়েই লেগে আছে।জুডাস এর প্রতিশব্দই যে এখন বিশ্বাসঘাতক।
কে এই জুডাস?
জুডাসের জন্ম কেরিওথ গ্রামে। এহুদিয়া প্রদেশের দক্ষিন দিকে। বড় হবার পর জুডাস তাঁর ফ্যামিলির সাথেজেরিকোতে চলে আসেন। সেখানে তিনি তাঁর বাবার সাথে ব্যবসা দেখতেন। কিন্তু, অচিরেই ধর্ম তাঁকে আকর্ষণ করে। তিনি হযরত ইয়াহিয়া (আ) এর ধর্মপ্রচার শুনে তাঁর অনুসারী হয়ে যান। একথা জেনে জুডাসকে ত্যাজ্যপুত্র করে তাঁর বাবা মা। প্রকৃত ধর্মের অন্বেষণে রত জুডাস মেনে নেন তাঁর বাবা মায়ের এ সিদ্ধান্ত। ফেরারি জুডাসের আর কেউ রইল না। না আছে সম্পত্তি, না আছে আপনজন। ধর্মের জন্য তিনি উৎসর্গ করলেন নিজেকে।
গালিল সাগরের কাছে জেলের কাজ করা যায় কিনা সেটা খুঁজছিলেন জুডাস। তখন নাথানিয়েল এর সাথে দেখা হয় তাঁর। এঁর মাধ্যমেই ঈসার সংস্পর্শে আসা। তখন জুডাসের বয়স ৩০, অবিবাহিত। তখনই তিনি যোগ দেন ঈসার সাথে। হয়ে যান ঈসার সেই সৌভাগ্যবান ১২ জনের এক জন। ঈসার সমান তাঁর বয়স। আর, বলা হয়, তাঁর গড়ন ছিল ঈসার মতই অনেকটা।
১২ জনের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত আর সবচেয়ে জ্ঞানী ছিলেন জুডাস। শিক্ষিত ঈসার পরেই সাহাবাদের মধ্যে জ্ঞানের দিক দিয়ে তাঁর স্থান। কোন বিষয় বর্ণনা করলে সবার আগে জিনিসটা বুঝে যেতেন জুডাস। তাই প্রথম থেকেই যীশুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জুডাস। (অবশ্যই বাইবেলিকাল গস্পেলে জুডাসকে খারাপভাবেই দেখানো আছে)
ঈসা (আ) কে ক্রুশবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হবে আর তাঁকে আকাশে তুলে নেয়া হবে এটা তিনি নিজেই অনেকবার বলেছেন। ভবিষ্যৎবাণী করেছেন। কিন্তু এ জন্য দরকার একজন substitute; যার কাজ হবে এমনভাবে appear করা যেন সবার কাছে মনে হয় (এমনকি খুনি ইহুদীদের কাছেও) যে, তারা ঈসাকেই ক্রুশে দিচ্ছে। তারা যেন বিভ্রান্ত হয়। তারা যেন মনে করে আপাতত তারা সফল, কিন্তু আসলে তারা ব্যর্থ।
কে পারবে এই কাজ সবচেয়ে ঠিকভাবে করতে? কার efficiency বেস্ট? জুডাস? তিনি কি আগেই ঈসার নজর কাড়েন নি?
জুডাস কি যীশুর কথা মতই কাজ করেননি?
আসুন কিছু ঘটনা দেখা যাক।
লাস্ট সাপারের আগে।
পিটারের পা ধুতে এলেন ঈসা। পিটার বলল, “আমার পা আপনি কখনও ধুবেন না।”
ঈসা বললেন, “তাহলে তুমি কিয়ামাতের দিন আমার সাথে থাকবে না।”
নবী হযরত ঈসা (আ) নিজের হাতে তাঁর সাহাবির পা ধুয়ে দিলেন, যেন কিয়ামাতের দিন পিটার তাঁর সাথেই থাকে। এরপর অন্যদের পাও ধুয়ে দিলেন। কিন্তু...
আপনি কি জানেন, সাহাবীদের মধ্যে সবার আগে ঈসা (আ) কার পা ধুয়ে দিয়েছিলেন?
সবার আগে জুডাসের পা!!!! প্রথম হবার সম্মানটা পেলেন জুডাস!
আরও ঘটনা আছে। লাস্ট সাপারের আগে, ঈসা বললেন জুডাসকে, “বন্ধু, দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমার সময় তো প্রায় শেষ। তুমি দ্রুত তোমার কাজ কর।”
!!
ঈসা জানতেন কী কাজ... গস্পেলগুলো আমাদের বলেনি কী কাজ... পূর্বনির্ধারিত একটা কাজ। সেটা কী, অন্য সোর্স থেকে জানাব। সেই হিস্টোরিকাল কোডেক্স থেকে।
ঈসার ঊর্ধ্ব-আরোহণের পর জুডাসের কর্মকাণ্ড আসলেই অবাক করা assuming, he was not betrayer.
কিন্তু, এ থিয়োরি পুরাই বিফলে যাবে, ঐ তাফসির পুরোই বিফলে যাবে, যদি জুডাস ক্রুশে মারা যায়। কারন, তাহলে প্রমাণিত হবে, সে আসলেই খারাপ। আসলেই বিশ্বাসঘাতক অপরাধী। তাওরাতের বাণী আর ভবিষ্যৎবাণী বিফলে যাবে... “যে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মরল, সে অভিশপ্ত।”
আসুন এবার দেখা যাক, “যীশু”র মানে জুডাসের কাফন আমাদের কী জানায়! অবিশ্বাস্য এক ব্যাপার!
কাফনে যে ছিল সে কি আসলেই মৃত? আসলেই লাশ?
#একজন মৃত ব্যক্তির গা থেকে রক্ত বের হতেই পারে। অসম্ভব কিছু না। আজব ব্যাপার, কাফন বিশ্লেষণ করে যেটা পাওয়া গেল, জুডাসের দেহ থেকে ২৮টি জায়গা থেকে Forcibly রক্ত বেরিয়েছে!! Forcibly এ কারণেই যে, হার্ট যদি বিট না করে, সিস্টোলিক ডায়াস্টোলিক প্রেসার যদি না থাকে তাহলে রক্ত force এ বের হবে না। এটা তখনই সম্ভব, যখন... যখন, লাশের হার্ট বিট করছে...
#ক্রুশে যীশুর “মৃত্যু” পর একজন সৈন্য তাঁকে বর্শা দিয়ে খোঁচা দিলেন। প্রবল বেগে তাঁর দেখ থেকে রক্ত বেরিয়ে এলো। খ্রিস্টানরা বলে, এটা যীশুর একটা মিরাকল। মৃত লাশ থেকে জীবিতের মতো রক্তের প্রবল বেগ। আমি বলি, রাখেন মিরাকল, বুঝাই যাচ্ছে, এখনও মরেন নি। অজ্ঞান কেবল।
#জুডাসের সাথে আরও দুজনকে ক্রুশে দেয়া হয়েছিল... এত তাড়াতাড়ি জুডাস মারা গেলেন? সাধারণত, ক্রুশবিদ্ধরা মারা যায় ক্ষুধায়, দুর্বলতায়... কয়েকদিন লাগে... কিন্তু, সদ্য ক্রুশে চড়া জুডাস মারা যাবেন এত তাড়াতাড়ি? তাঁর সাথের চোর দুজন কিন্তু এত তাড়াতাড়ি মরেনি...!
#এরপর আসা যাক, আরেকটা মেডিক্যাল ফ্যাক্ট। Rigor Mortis জানা আছে তো? মরার ৩০ মিনিট পর থেকে দেহ যে শক্ত হতে শুরু করে? সেটাই রিগর মরটিস। অবিশ্বাস্য ব্যাপার, যীশু/জুডাসের দেহে কোন লক্ষণই দেখা যায় নি রিগর মরটিসের। ইচ্ছামত হাত পা ঘাড় সরানো গেছে। এ বিষয়ে আরও প্রমাণ আছে।
লাশের পচন আরও একটা ফ্যাক্ট। কিন্তু, কাফন পরীক্ষা করে দেখা গেল, কোন পচনের চিহ্ন পর্যন্ত নেই!
#সবার প্রশ্ন, ইমেজ ফর্ম হল কীভাবে... কাফনে তো লাশের এমন ইমেজ কখনও হয় না... গবেষণা বলছে, এটা একটা Heat ইমেজ। দেহ থেকে যে তাপ নির্গত হয় সেটা ফর্ম করে এ ইমেজ। শীতল লাশ থেকে হিট বের হয় না জানা কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে হয়েছে কারন, ওটা লাশ ছিল না। অজ্ঞান দেহ মাত্র। এমনকি এ ঘটনা প্রুভ করার জন্যই যেন নাকের ছিদ্রের অংশ বেশি স্পষ্ট। মানে, ওখানে বেশি হিট পড়ছিল... কারন, লাশ যে শ্বাস নিচ্ছিল!! গরম নিঃশ্বাস বরং ভাল করে ইমেজ create করেছে।
#২০০৪ সালে আরও গবেষণায় ২য় একটা মুখের ছাপ পাওয়া যায়। এটা প্রমাণ করে, “লাশ” তাঁর মাথা মুভ করেছিল। তাই অন্য পজিশনে আবার ইমেজ হয়েছে।
গবেষকরা তাই একমত, ওটা লাশ ছিল না। জীবিতই ছিল। জীবিত, জীবিত, জীবিত...
তাহলে, ক্রুশে মারা যান নি। আল্লাহ্ তাঁকে অভিশপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।
কী ছিল সেই কাজ যেটা ঈসা তাঁকে করতে বলেছিলেন? কী সেই কোডেক্স যেটা আবিস্কার হয় রিসেন্টলি? যেটা ধারণা পালটে দেয়? National Geographic থেকে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয় খুঁজে পাওয়া Gospel Of Judas!!!!! (পাশে ছবি দিলাম)
এ নস্টিক গস্পেলে কিছু বাণী আছে যা অবাক করার মতো। এবং, হ্যাঁ, এ গস্পেল শেষ হয়ে গেছে ঠিক জুডাসের গ্রেফতারের আগের ঘটনা পর্যন্ত। লাস্ট সাপারের ঘটনা আর লিখা হয়নি। কিছু বাণী দেখা যাক, এখানে উল্লেখ আছে, ঈসা আর জুডাসের কী কথা হত।
জুডাস বিশ্বাসঘাতক না। এটাই সেই গেমে দেখানো হয়েছিল।
ঈসা বললেন জুডাসকে, “অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে আড়ালে আস। তোমাকে আমি অনেক অনেক সিক্রেট বলতে পারি। যা সবাইক বলার মতো না। বেহেস্তি রাজ্য সম্পর্কে তোমাকে বলি আরও। তুমি ওখানে পৌঁছাতে পারবে। তবে, অনেক কষ্ট সইতে হবে তোমাকে।”
আরেক জায়গায়, “তুমি হবে সবার সেরা, কিন্তু ওরা তোমাকে যুগ যুগ ধরে গালি দিয়ে যাবে। তোমাকে অভিশপ্ত ভাববে।”
আরেক জায়গায়, “কিন্তু তুমি ওদের সবাইকে exceed করবে। তুমি হবে সেই লোক যে আমার মতো হবে, যে আমার জায়গায় নিজেকে উৎসর্গ করবে।”
এখানে যীশু তাঁকে বুঝিয়ে বলেন, কীভাবে জুডাসকে গিয়ে ইহুদীদের কাছে বলে দিতে হবে গোপন আস্তানার কথা। এমনভাবে যেন সবাই “মনে করে” সে betray করছে।
জুডাস খুবই সাফল্যের সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিজে মাথা পেতে নেন সব অত্যাচার। মনে আছে? কী কী অত্যাচার? ইতিহাসে এর চেয়ে জঘন্যভাবে অত্যাচারিত হওয়ার নজির বর্ণিত নেই...
কিন্তু, ইহুদীরা ক্রুশের ঘটনার পরই হয়ত ধরতে পারে, তাদের পাঠানো জুডাস কই গেল? তাহলে কি ওটা ঈসা ছিল না? না না! এটা স্বীকার করা যাবে না। তারা এখনও গর্বের সাথে দাবি করেই চলেছে, “আমরা ঈসা ইবনে মারিয়ামকে হত্যা করেছি”; যাক গে, ওটা ছিল একটা ক্রিটিকাল মোমেন্ট। একটা নতুন ধর্মের উত্থান তারা সহ্য করতে পারবে না। তাই তারা সরিয়ে নিল জুডাসের দেহ আর রটিয়ে দিল গুজব। যেটা খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে এখনও। ইহুদীরা সফল এক্ষেত্রে।
আর জুডাসের দেহ? কী করল তারা?
পরদিন আকেলদামা নামের একটা ক্ষেতে পাওয়া যায় জুডাসের লাশ। চেনার অযোগ্য। নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। কেউ একজন সুকৌশলে জুডাসের বডি বিকৃত করেছে...
আল্লাহ ভাল জানেন। তিনি সর্বজ্ঞ।
যাই হোক, একটা কথা পড়েছিলাম, মনে আছে-
"Christianity: Men Without religion
Islam: Religion without men"
নির্মম সত্য।
হাদিস বলছে, ঈসা ৩৩ বছর বয়সে আকাশে উত্তোলিত হন। কিন্তু ক্রুশের ঘটনা ঘটে ০০৩০ সালে। তার মানে অবশ্যই যীশু ০০০০ সালে জন্ম নেন নি। “খ্রিস্টাব্দ=খ্রিস্টের অব্দ” তার মানে সম্পূর্ণ ভুল বেসিস এর উপর গড়া। খ্রিস্টপূর্ব অন্তত ৩ বা ৪ সালে খ্রিস্টের জন্ম হয়। ভ্যাটিকান এখনও এটা অফিসিয়ালি মেনে নেয় নি। তবে নিশ্চয়ই মেনে নিবে কিছু সময়ের মধ্যে।
এবার সুদূর এক ভবিষ্যতের দিকে একটু তাকাই...
ভোরের আলো ফুটে উঠেছে... অপরুপ সুন্দর দামেস্ক নগরী যেন আরও সুন্দর দেখাচ্ছে...
ফজরের আজান দেয়া হয়ে গেছে... কিছুক্ষণ বাদেই নামাজ শুরু হয়ে যাবে...
দুশ্চিন্তাগ্রস্থ চেহারায় দামেস্কের পূর্ব দিকের মসজিদের কাছেই দাঁড়িয়ে আছেন মুহাম্মাদ। কাছেই মুসলিম বাহিনীর সৈন্যরা নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে... আজকে নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ... খুবই...
গত দু দিনের যুদ্ধে অনেক মুসলিম মারা গেছেন... সামান্য সৈন্য অবশিষ্ট আছে... বাহিনীর নেতা হিসেবে তিনি চিন্তিত তো হবেনই...
এমন না যে, তিনি সেচ্ছায় এ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। বরং, মুসলিমরাই তাঁকে অনেক অনুরোধ করেছেন তাদের নেতা হবার জন্য... এত অনুরোধের পর তিনি না করতে পারেননি... তাই, আজ তিনি মুসলিমদের নেতা... ইমাম... তারা তাঁকে ডাকে মাহদী বলে... পথপ্রদর্শক... তাঁর নামই অনেকে ভুলতে বসেছে... মুহাম্মাদ...
যাক, তিনি শেষ বারের মতো, দূরে তাকালেন, ইজরাইল সীমান্ত ওদিকেই..... ওখানেই আছে তাদের শত্রু বাহিনী... তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এক ভণ্ড ইহুদী... তাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে দলে ভিড়িয়েছে... আফসোস এই দাজ্জালের (ভণ্ড) ছলনায় কত মুসলিম যে ইসলামচ্যুত হয়ে গেল... অথচ, নবী (স) তো বলেই গিয়েছিলেন... আফসোস...
আজই ফয়সালা হবে এ যুদ্ধের... আজই শেষ দিন হবে... নিশ্চয়ই আল্লাহ মুসলিমদের জয়ী করবেন...
তিনি ঘুরে পা বাড়ালেন মসজিদের দিকে...
ইমামতির জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন... ইকামত দেয়া হয়ে গেল...
কিন্তু, তখনই লোকদের চাপা চিৎকার শুনতে পেলেন তিনি... সবাই উপরে তাকিয়ে রয়েছে... তিনিও সবার দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকালেন আর সাথে সাথে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন...
আকাশ থেকে নেমে আসতে দেখা যাচ্ছে একটা উজ্জ্বল আলোকে... কাছে আসতেই বোঝা গেল, ৩ জন আছেন সেখানে... দু পাশের দু জন এর গা থেকে উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে দেখেই দূর থেকে মনে হচ্ছিল আলো আসছে... কিন্তু, মাঝের জনের দিকেই তাঁর দৃষ্টি আটকে গেল, কারণ, এতক্ষণ ভুলে থাকলেও এখন যে তাঁর মনে পড়ে গেছে...
মাঝবয়সী এক যুবককে দেখছেন তিনি...
মাঝারি উচ্চতা, লালচে ত্বক, গায়ে হলুদ রঙের কাপড়... তাঁর সুন্দর চুলে ভোরের আলো প্রতিফলিত হচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন চুলে পানি চিক চিক করছে, অথচ চুল শুকনো...
সাদা মিনারের উপর নামিয়ে দিলেন তাঁকে সেই জ্যোতিরমান দুই লোক... ধীরে ধীরে নেমে এলেন তিনি...
কারও আর তাঁকে চিনতে বাকি নেই... ইনিই যে ঈসা মসীহ...
সালাম বিনিময়ের পরেই ঈসা (আ) কে অনুরোধ করা হল, নামাযের ইমামতি করার জন্য... কিন্তু, তিনি প্রত্যাখ্যান করে বললেন, “এ উম্মতের নেতা আপনি, আপনিই পড়ান নামায...”;শেষ পর্যন্ত, ইমাম মুহাম্মাদ আল মাহদির পিছনেই ফযরের নামায আদায় করলেন ঈসা (আ) আর মুসলিমরা...
নামায শেষে নতুন উদ্যমে প্রস্তুত হল মুসলিম বাহিনী... আজ যে তাদের বিজয়ের দিন... নবী ঈসা যে আজ তাদের মাঝে... আলহামদুলিল্লাহ...
দামেস্ক থেকে রওনা হল মুসলিম বাহিনী... ইজরাইল সীমান্ত এর দিকে... ঈসা (আ) এর মাতৃভূমির দিকে...
সীমান্তের কাছাকাছি আসতেই ইহুদী বাহিনীর চিহ্ন দেখা যেতে লাগল... এখনও তাদের ভণ্ড নেতাকে দেখা যাচ্ছে না... তবে কিছুক্ষণের মাঝেই হয়ত বেরিয়ে আসবে...
ঐ তো... বেরিয়ে আসছে...
যেই মুহূর্তে তার চোখ পড়ল ঈসার উপর, সাথে সাথে কেঁপে উঠল ভয়ে... কারন সে জানে, তাঁর মৃত্যু লিখা আছে ঈসার হাতেই... তার মানে আজকেই তার শেষ দিন?এতদিন ধরে যে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে সে, সব শেষ হয়ে যাবে? এ হতে পারে না... পালাতে হবে...
এদিকে ইহুদী বাহিনীতেও ছড়িয়ে পড়েছে ভীতি... তাদের পরাজয় যে কাছেই সেটা বুঝতে আর বাকি নেই... ফরমেশন ওলট পালট হয়ে যেতে লাগল... সবাই এদিক সেদিক পালাতে লাগল... আর মুসলিম বাহিনী “আল্লাহু আকবার” রবে তাড়া করল ইহুদীদের... আজ যে তাদের বিজয়...
এদিকে রয়েছেন আসল মসীহ ঈসা আর ওদিকে রয়েছে ভণ্ড মসীহ... দাজ্জাল...
তার মনে তখন ঘুরছে পালাবার চিন্তা... উপায় একটা আছে... কাছেই এয়ারপোর্ট... বেনগুরিওন আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট... মাত্র কয়েক কিলোমিটার... ওখানে তাঁর ব্যক্তিগত বিমান আছে, তার প্রিয় সাদা বিমান... কোন মতে যদি ওখানে পৌঁছাতে পারা যায়... তাহলে আর তাকে ধরে কে...
সাথে সাথে উল্টো দিকে পালান শুরু করল সে...
সে কি পারবে??
কিছুক্ষণ পর পিছে তাকিয়েই তার ভয় আরও বেড়ে গেল... ঈসা যে তার পিছন পিছনই আসছেন... না, আরও জোরে যেতে হবে... ঐ তো দেখা যাচ্ছে, এয়ারপোর্ট...
কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেল সে... যাক, হয়ত এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম, এটা ভেবে পিছনে তাকাতেই দেখল, ঈসা তাঁর পিছনেই...
...
...
জুডাস বিশ্বাসঘাতক না। এটাই সেই গেমে দেখানো হয়েছিল।
ঈসা বললেন জুডাসকে, “অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে আড়ালে আস। তোমাকে আমি অনেক অনেক সিক্রেট বলতে পারি। যা সবাইক বলার মতো না। বেহেস্তি রাজ্য সম্পর্কে তোমাকে বলি আরও। তুমি ওখানে পৌঁছাতে পারবে। তবে, অনেক কষ্ট সইতে হবে তোমাকে।”
আরেক জায়গায়, “তুমি হবে সবার সেরা, কিন্তু ওরা তোমাকে যুগ যুগ ধরে গালি দিয়ে যাবে। তোমাকে অভিশপ্ত ভাববে।”
আরেক জায়গায়, “কিন্তু তুমি ওদের সবাইকে exceed করবে। তুমি হবে সেই লোক যে আমার মতো হবে, যে আমার জায়গায় নিজেকে উৎসর্গ করবে।”
এখানে যীশু তাঁকে বুঝিয়ে বলেন, কীভাবে জুডাসকে গিয়ে ইহুদীদের কাছে বলে দিতে হবে গোপন আস্তানার কথা। এমনভাবে যেন সবাই “মনে করে” সে betray করছে।
জুডাস খুবই সাফল্যের সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিজে মাথা পেতে নেন সব অত্যাচার। মনে আছে? কী কী অত্যাচার? ইতিহাসে এর চেয়ে জঘন্যভাবে অত্যাচারিত হওয়ার নজির বর্ণিত নেই...
কিন্তু, ইহুদীরা ক্রুশের ঘটনার পরই হয়ত ধরতে পারে, তাদের পাঠানো জুডাস কই গেল? তাহলে কি ওটা ঈসা ছিল না? না না! এটা স্বীকার করা যাবে না। তারা এখনও গর্বের সাথে দাবি করেই চলেছে, “আমরা ঈসা ইবনে মারিয়ামকে হত্যা করেছি”; যাক গে, ওটা ছিল একটা ক্রিটিকাল মোমেন্ট। একটা নতুন ধর্মের উত্থান তারা সহ্য করতে পারবে না। তাই তারা সরিয়ে নিল জুডাসের দেহ আর রটিয়ে দিল গুজব। যেটা খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে এখনও। ইহুদীরা সফল এক্ষেত্রে।
আর জুডাসের দেহ? কী করল তারা?
পরদিন আকেলদামা নামের একটা ক্ষেতে পাওয়া যায় জুডাসের লাশ। চেনার অযোগ্য। নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। কেউ একজন সুকৌশলে জুডাসের বডি বিকৃত করেছে...
আল্লাহ ভাল জানেন। তিনি সর্বজ্ঞ।
যাই হোক, একটা কথা পড়েছিলাম, মনে আছে-
"Christianity: Men Without religion
Islam: Religion without men"
নির্মম সত্য।
হাদিস বলছে, ঈসা ৩৩ বছর বয়সে আকাশে উত্তোলিত হন। কিন্তু ক্রুশের ঘটনা ঘটে ০০৩০ সালে। তার মানে অবশ্যই যীশু ০০০০ সালে জন্ম নেন নি। “খ্রিস্টাব্দ=খ্রিস্টের অব্দ” তার মানে সম্পূর্ণ ভুল বেসিস এর উপর গড়া। খ্রিস্টপূর্ব অন্তত ৩ বা ৪ সালে খ্রিস্টের জন্ম হয়। ভ্যাটিকান এখনও এটা অফিসিয়ালি মেনে নেয় নি। তবে নিশ্চয়ই মেনে নিবে কিছু সময়ের মধ্যে।
এবার সুদূর এক ভবিষ্যতের দিকে একটু তাকাই...
ভোরের আলো ফুটে উঠেছে... অপরুপ সুন্দর দামেস্ক নগরী যেন আরও সুন্দর দেখাচ্ছে...
ফজরের আজান দেয়া হয়ে গেছে... কিছুক্ষণ বাদেই নামাজ শুরু হয়ে যাবে...
দুশ্চিন্তাগ্রস্থ চেহারায় দামেস্কের পূর্ব দিকের মসজিদের কাছেই দাঁড়িয়ে আছেন মুহাম্মাদ। কাছেই মুসলিম বাহিনীর সৈন্যরা নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে... আজকে নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ... খুবই...
গত দু দিনের যুদ্ধে অনেক মুসলিম মারা গেছেন... সামান্য সৈন্য অবশিষ্ট আছে... বাহিনীর নেতা হিসেবে তিনি চিন্তিত তো হবেনই...
এমন না যে, তিনি সেচ্ছায় এ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। বরং, মুসলিমরাই তাঁকে অনেক অনুরোধ করেছেন তাদের নেতা হবার জন্য... এত অনুরোধের পর তিনি না করতে পারেননি... তাই, আজ তিনি মুসলিমদের নেতা... ইমাম... তারা তাঁকে ডাকে মাহদী বলে... পথপ্রদর্শক... তাঁর নামই অনেকে ভুলতে বসেছে... মুহাম্মাদ...
যাক, তিনি শেষ বারের মতো, দূরে তাকালেন, ইজরাইল সীমান্ত ওদিকেই..... ওখানেই আছে তাদের শত্রু বাহিনী... তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে এক ভণ্ড ইহুদী... তাদের ভুলিয়ে ভালিয়ে দলে ভিড়িয়েছে... আফসোস এই দাজ্জালের (ভণ্ড) ছলনায় কত মুসলিম যে ইসলামচ্যুত হয়ে গেল... অথচ, নবী (স) তো বলেই গিয়েছিলেন... আফসোস...
আজই ফয়সালা হবে এ যুদ্ধের... আজই শেষ দিন হবে... নিশ্চয়ই আল্লাহ মুসলিমদের জয়ী করবেন...
তিনি ঘুরে পা বাড়ালেন মসজিদের দিকে...
ইমামতির জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন... ইকামত দেয়া হয়ে গেল...
কিন্তু, তখনই লোকদের চাপা চিৎকার শুনতে পেলেন তিনি... সবাই উপরে তাকিয়ে রয়েছে... তিনিও সবার দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকালেন আর সাথে সাথে বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লেন...
আকাশ থেকে নেমে আসতে দেখা যাচ্ছে একটা উজ্জ্বল আলোকে... কাছে আসতেই বোঝা গেল, ৩ জন আছেন সেখানে... দু পাশের দু জন এর গা থেকে উজ্জ্বল আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে দেখেই দূর থেকে মনে হচ্ছিল আলো আসছে... কিন্তু, মাঝের জনের দিকেই তাঁর দৃষ্টি আটকে গেল, কারণ, এতক্ষণ ভুলে থাকলেও এখন যে তাঁর মনে পড়ে গেছে...
মাঝবয়সী এক যুবককে দেখছেন তিনি...
মাঝারি উচ্চতা, লালচে ত্বক, গায়ে হলুদ রঙের কাপড়... তাঁর সুন্দর চুলে ভোরের আলো প্রতিফলিত হচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন চুলে পানি চিক চিক করছে, অথচ চুল শুকনো...
সাদা মিনারের উপর নামিয়ে দিলেন তাঁকে সেই জ্যোতিরমান দুই লোক... ধীরে ধীরে নেমে এলেন তিনি...
কারও আর তাঁকে চিনতে বাকি নেই... ইনিই যে ঈসা মসীহ...
সালাম বিনিময়ের পরেই ঈসা (আ) কে অনুরোধ করা হল, নামাযের ইমামতি করার জন্য... কিন্তু, তিনি প্রত্যাখ্যান করে বললেন, “এ উম্মতের নেতা আপনি, আপনিই পড়ান নামায...”;শেষ পর্যন্ত, ইমাম মুহাম্মাদ আল মাহদির পিছনেই ফযরের নামায আদায় করলেন ঈসা (আ) আর মুসলিমরা...
নামায শেষে নতুন উদ্যমে প্রস্তুত হল মুসলিম বাহিনী... আজ যে তাদের বিজয়ের দিন... নবী ঈসা যে আজ তাদের মাঝে... আলহামদুলিল্লাহ...
দামেস্ক থেকে রওনা হল মুসলিম বাহিনী... ইজরাইল সীমান্ত এর দিকে... ঈসা (আ) এর মাতৃভূমির দিকে...
সীমান্তের কাছাকাছি আসতেই ইহুদী বাহিনীর চিহ্ন দেখা যেতে লাগল... এখনও তাদের ভণ্ড নেতাকে দেখা যাচ্ছে না... তবে কিছুক্ষণের মাঝেই হয়ত বেরিয়ে আসবে...
ঐ তো... বেরিয়ে আসছে...
যেই মুহূর্তে তার চোখ পড়ল ঈসার উপর, সাথে সাথে কেঁপে উঠল ভয়ে... কারন সে জানে, তাঁর মৃত্যু লিখা আছে ঈসার হাতেই... তার মানে আজকেই তার শেষ দিন?এতদিন ধরে যে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে সে, সব শেষ হয়ে যাবে? এ হতে পারে না... পালাতে হবে...
এদিকে ইহুদী বাহিনীতেও ছড়িয়ে পড়েছে ভীতি... তাদের পরাজয় যে কাছেই সেটা বুঝতে আর বাকি নেই... ফরমেশন ওলট পালট হয়ে যেতে লাগল... সবাই এদিক সেদিক পালাতে লাগল... আর মুসলিম বাহিনী “আল্লাহু আকবার” রবে তাড়া করল ইহুদীদের... আজ যে তাদের বিজয়...
এদিকে রয়েছেন আসল মসীহ ঈসা আর ওদিকে রয়েছে ভণ্ড মসীহ... দাজ্জাল...
তার মনে তখন ঘুরছে পালাবার চিন্তা... উপায় একটা আছে... কাছেই এয়ারপোর্ট... বেনগুরিওন আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট... মাত্র কয়েক কিলোমিটার... ওখানে তাঁর ব্যক্তিগত বিমান আছে, তার প্রিয় সাদা বিমান... কোন মতে যদি ওখানে পৌঁছাতে পারা যায়... তাহলে আর তাকে ধরে কে...
সাথে সাথে উল্টো দিকে পালান শুরু করল সে...
সে কি পারবে??
কিছুক্ষণ পর পিছে তাকিয়েই তার ভয় আরও বেড়ে গেল... ঈসা যে তার পিছন পিছনই আসছেন... না, আরও জোরে যেতে হবে... ঐ তো দেখা যাচ্ছে, এয়ারপোর্ট...
কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেল সে... যাক, হয়ত এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম, এটা ভেবে পিছনে তাকাতেই দেখল, ঈসা তাঁর পিছনেই...
...
...
আর একটু এগুলেই হয়ত পালাতে পারতাম, ইসরাইলের বেনগুরিওন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের মেইন গেইটের সামনে মাটিতে পড়ে ভাবল দাজ্জাল... তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্ত এটা... আল্লাহ্র এক প্রিয় নবী ঈসা তাঁর সামনে... হাতে অস্ত্র...
থাক। আর না বলি... ঘটনা সবারই জানা... এটা একটা চিত্রকল্প মাত্র... কিন্তু হাদিস থেকে ধার করা... indeed.
হ্যাঁ, ঈসা (আ) এর হাতেই দাজ্জাল মারা যাবে Armageddon যুদ্ধের শেষ দিনে... ইসরাইলের বেনগুরিওন আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের মেইন গেটে... নিচের ম্যাপ দেখলে হয়ত বুঝবেন সহজে...
বুখারি শরিফের হাদিস বলছে, ঈসা (আ) ফিরে এসে আরও ৪০ বছর জীবনকাল কাটাবেন। মোট বয়স হবে তাহলে ৭৩ বছর।
তাঁর কবর দেয়া হবে মদিনায়, মুহাম্মাদের (স) পাশে।
এই সিরিজের আন্ডারে অনেক কিছু লিখা যেত আরও। কিন্তু শেষ করে দিচ্ছি। ইসরাইলের সাথে সম্মিলিত মুসলিম বাহিনীর যুদ্ধের সময়ই ঈসা (আ) এর আগমন হবে।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে রাখুন। আমিন।
"যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন;আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত। আমি তো তাদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন কর যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা আমি তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত।" {কুরআন,৫:১১৬-৭}
থাক। আর না বলি... ঘটনা সবারই জানা... এটা একটা চিত্রকল্প মাত্র... কিন্তু হাদিস থেকে ধার করা... indeed.
হ্যাঁ, ঈসা (আ) এর হাতেই দাজ্জাল মারা যাবে Armageddon যুদ্ধের শেষ দিনে... ইসরাইলের বেনগুরিওন আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের মেইন গেটে... নিচের ম্যাপ দেখলে হয়ত বুঝবেন সহজে...
বুখারি শরিফের হাদিস বলছে, ঈসা (আ) ফিরে এসে আরও ৪০ বছর জীবনকাল কাটাবেন। মোট বয়স হবে তাহলে ৭৩ বছর।
তাঁর কবর দেয়া হবে মদিনায়, মুহাম্মাদের (স) পাশে।
এই সিরিজের আন্ডারে অনেক কিছু লিখা যেত আরও। কিন্তু শেষ করে দিচ্ছি। ইসরাইলের সাথে সম্মিলিত মুসলিম বাহিনীর যুদ্ধের সময়ই ঈসা (আ) এর আগমন হবে।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে রাখুন। আমিন।
"যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন;আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত। আমি তো তাদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন কর যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা আমি তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত।" {কুরআন,৫:১১৬-৭}
লেখককে ফলো করুন
|
© 2013 by Ask Islam Bangla.