প্রশ্ন ১০১ --> বর্তমান বিভিন্ন সংগঠন যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায় এটা কি জিহাদ ?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ইদানিং বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা করা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। হত্যা করা হচ্ছে সম্মানিত বিচারকদেরকে। বোমা হামলাকারীদের কেউ কেউ আবার নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবী করছে এবং এ হামলা গুলোকে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ বলে প্রচার করছে। অথচ,ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলোর সামান্যতমও বৈধতা নেই। আসলে,এদেরকে ভুল বুঝানো হচ্ছে। ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজে নিয়ে আসা হচ্ছে, যা মুসলিম সমাজ ও দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ যুদ্ধকে তারা সঠিকভাবে বুঝতে পারেনি বলেই এমন হচ্ছে। তাদের হয়ত জানা নেই কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কি কি শর্ত থাকলে একটি যুদ্ধকে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ যুদ্ধ হিসেবে গণনা করা যেতে পারে।
এ ধরণের হামলা ও আক্রমণ করে মানুষ হত্যা করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ইসলাম কোন নিরীহ লোককে হত্যা করার অনুমতি দেয়নি। আল্লাহ বলেন
• যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। ( সূরা মায়িদা ৩২ )
সুতরাং, এ ধরণের সমস্ত হামলা সন্ত্রাসী হামলা বলেই বিবেচিত হবে। ইসলাম এর জন্য দায়ী নয়। ইসলাম তাদের থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। প্রশাসনের উচিত তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। ইসলাম সন্ত্রাসীদের জন্য বিভিন্ন শাস্তি নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে এ ধরণের অপরাধ সমাজ থেকে অনেকাংশে বিদায় নেবে ইনশাল্লাহ।
এদের থেকে মানুষকে সতর্ক থাকা উচিত;সতর্ক থাকা উচিত কেউ যেন ইসলামের নাম ভাংগিয়ে অবৈধ কাজ না করতে পারে।
পড়ুন জিহাদ কি? বড় জিহাদ কোনটি?
জিহাদ কি ফরজ ? জিহাদের উদ্দেশ্য কি ? কাদের বিরুদ্ধে করতে হয় ?
জিহাদ কে শুরু করতে পারবে ?
আরো পড়ুন:
ইসলামের ইতিহাসে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ: একটি পর্যালোচনা
STA-66.106
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ইদানিং বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা করা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। হত্যা করা হচ্ছে সম্মানিত বিচারকদেরকে। বোমা হামলাকারীদের কেউ কেউ আবার নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবী করছে এবং এ হামলা গুলোকে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ বলে প্রচার করছে। অথচ,ইসলামের দৃষ্টিতে এগুলোর সামান্যতমও বৈধতা নেই। আসলে,এদেরকে ভুল বুঝানো হচ্ছে। ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজে নিয়ে আসা হচ্ছে, যা মুসলিম সমাজ ও দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ যুদ্ধকে তারা সঠিকভাবে বুঝতে পারেনি বলেই এমন হচ্ছে। তাদের হয়ত জানা নেই কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কি কি শর্ত থাকলে একটি যুদ্ধকে ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ যুদ্ধ হিসেবে গণনা করা যেতে পারে।
এ ধরণের হামলা ও আক্রমণ করে মানুষ হত্যা করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ইসলাম কোন নিরীহ লোককে হত্যা করার অনুমতি দেয়নি। আল্লাহ বলেন
• যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। ( সূরা মায়িদা ৩২ )
সুতরাং, এ ধরণের সমস্ত হামলা সন্ত্রাসী হামলা বলেই বিবেচিত হবে। ইসলাম এর জন্য দায়ী নয়। ইসলাম তাদের থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। প্রশাসনের উচিত তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। ইসলাম সন্ত্রাসীদের জন্য বিভিন্ন শাস্তি নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে এ ধরণের অপরাধ সমাজ থেকে অনেকাংশে বিদায় নেবে ইনশাল্লাহ।
এদের থেকে মানুষকে সতর্ক থাকা উচিত;সতর্ক থাকা উচিত কেউ যেন ইসলামের নাম ভাংগিয়ে অবৈধ কাজ না করতে পারে।
পড়ুন জিহাদ কি? বড় জিহাদ কোনটি?
জিহাদ কি ফরজ ? জিহাদের উদ্দেশ্য কি ? কাদের বিরুদ্ধে করতে হয় ?
জিহাদ কে শুরু করতে পারবে ?
আরো পড়ুন:
ইসলামের ইতিহাসে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ: একটি পর্যালোচনা
STA-66.106
© 2013 by Ask Islam Bangla.