প্রশ্ন ৮৯ --> নারীরা কি মসজিদে জামাতে নামায আদায় করতে পারবে ?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
নারীরা মসজিদে অবশ্যই নামায আদায় করতে পারবে । হাদিসে আমরা পাই -
# আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কারও স্ত্রী যদি ( জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে আসতে ) অনুমতি চায়, তবে সে যেনো তাকে বাধা না দেয়। (বুখারী ৮৩১ ইফা)
# আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণীত , রাসূলুল্লাহ (সা) তোমরা আল্লাহর বান্দীদের আল্লাহর মসজিদে যাতায়াতে নিষেধ কর না । কিন্তু খোশবু ব্যবহার না করে তারা মসজিদে যাবে ( আবু দাউদ ৫৬৫ ইফা)
# আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের স্ত্রীদের মসজিদে আসতে বাধা দিওনা। তবে তাদের জন্য তাদের ঘরে নামাজ পড়াই উত্তম। (আবু দাউদ ৫৬৭ ইফা)
অর্থাৎ নারীরা মসজিদে অবশ্যই যেতে পারবে তবে মসজিদে যাওয়া মেয়েদের জন্য ওয়াজিব নয় । তবে অবশ্যই পূর্নাঙ্গ পর্দা করতে হবে এবং কোন সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যাওয়া যাবে না ।
তবে -
# আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন , রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মহিলাদের ঘরে নামায আদায় বৈঠকখানার নামাজ আদায় হতে উত্তম , এবং মহিলার সাধারণ থাকার ঘরের চাইতে গোপন প্রকোষ্ঠ নামায আদায় অধিক উত্তম । ( আবু দাউদ ৫৭০ ইফা)
সুতরাং ঘরে গোপনে নামায আদায় নারীদের জন্য সব চাইতে উত্তম ।
তবে নানা বিধ জটিলতায় ফিতনা ফ্যাসাদের কারণে আমীরুল মো’মেনীন হযরত ওমর(রাঃ) ইজতেহাদের মাধ্যমে মহিলাদেরকে মসজিদে এসে জামায়াতে নামাজ পড়তে নিষেধ করে দেন। তখন মহিলারা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা(রাঃ)-এর নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। তখন হযরত আয়েশা(রাঃ) বলেন,
# আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) .. আয়েশা (রা) বলেন. “যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানতেন যে, মহিলারা কি অবস্থা সৃষ্টি করেছে , তা হলে বনী ইসরাইলের মহিলাদের যেমন নিষেধ করা হয়েছিল, তেমনি এদেরও মসজিদে আসা নিষেধ করে দিতেন । (রাবী) ইয়াহইয়া ইবন সায়ীদ (র) বলেন, আমি আমরাহ (রা) কে জিজ্ঞেস করলাম, তাদের কি নিষেধ করা হয়েছিল ? তিনি বললেন , হ্যাঁ ।” (বুখারী ৮৩১ ইফা)
তাই হানাফি মাজহাবের আলেমগণ ফিতনার আশঙ্কায় একে মাকরূহ বলেছেন ।
STA-56.96
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
নারীরা মসজিদে অবশ্যই নামায আদায় করতে পারবে । হাদিসে আমরা পাই -
# আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের কারও স্ত্রী যদি ( জামায়াতে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে আসতে ) অনুমতি চায়, তবে সে যেনো তাকে বাধা না দেয়। (বুখারী ৮৩১ ইফা)
# আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণীত , রাসূলুল্লাহ (সা) তোমরা আল্লাহর বান্দীদের আল্লাহর মসজিদে যাতায়াতে নিষেধ কর না । কিন্তু খোশবু ব্যবহার না করে তারা মসজিদে যাবে ( আবু দাউদ ৫৬৫ ইফা)
# আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের স্ত্রীদের মসজিদে আসতে বাধা দিওনা। তবে তাদের জন্য তাদের ঘরে নামাজ পড়াই উত্তম। (আবু দাউদ ৫৬৭ ইফা)
অর্থাৎ নারীরা মসজিদে অবশ্যই যেতে পারবে তবে মসজিদে যাওয়া মেয়েদের জন্য ওয়াজিব নয় । তবে অবশ্যই পূর্নাঙ্গ পর্দা করতে হবে এবং কোন সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যাওয়া যাবে না ।
তবে -
# আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন , রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মহিলাদের ঘরে নামায আদায় বৈঠকখানার নামাজ আদায় হতে উত্তম , এবং মহিলার সাধারণ থাকার ঘরের চাইতে গোপন প্রকোষ্ঠ নামায আদায় অধিক উত্তম । ( আবু দাউদ ৫৭০ ইফা)
সুতরাং ঘরে গোপনে নামায আদায় নারীদের জন্য সব চাইতে উত্তম ।
তবে নানা বিধ জটিলতায় ফিতনা ফ্যাসাদের কারণে আমীরুল মো’মেনীন হযরত ওমর(রাঃ) ইজতেহাদের মাধ্যমে মহিলাদেরকে মসজিদে এসে জামায়াতে নামাজ পড়তে নিষেধ করে দেন। তখন মহিলারা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা(রাঃ)-এর নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। তখন হযরত আয়েশা(রাঃ) বলেন,
# আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) .. আয়েশা (রা) বলেন. “যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানতেন যে, মহিলারা কি অবস্থা সৃষ্টি করেছে , তা হলে বনী ইসরাইলের মহিলাদের যেমন নিষেধ করা হয়েছিল, তেমনি এদেরও মসজিদে আসা নিষেধ করে দিতেন । (রাবী) ইয়াহইয়া ইবন সায়ীদ (র) বলেন, আমি আমরাহ (রা) কে জিজ্ঞেস করলাম, তাদের কি নিষেধ করা হয়েছিল ? তিনি বললেন , হ্যাঁ ।” (বুখারী ৮৩১ ইফা)
তাই হানাফি মাজহাবের আলেমগণ ফিতনার আশঙ্কায় একে মাকরূহ বলেছেন ।
STA-56.96
© 2013 by Ask Islam Bangla.