প্রশ্ন ৮০ --> মৃতের নাম এ কুরআন খানি , মিলাদ , আর লোকজন খাওয়ানো, আর চল্লিশা বা চৌঠা এগুলি পালন করা কি জায়েজ ?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর সিওম, চেহলাম, ফাতেহা খানি ইত্যাদি করতে দেখা যায়। সিওম অর্থ মৃত্যুর ৩ দিন বা ৪ দিন পর দোয়ার অনুষ্ঠান করা।
প্রকৃত পক্ষে ইসলামের পূর্বযুগে মৃত ব্যক্তির জন্য এভাবে খানা পিনার ব্যবস্থা করার প্রচলন ছিল। ইবনে মাযাহ শরীফে সাহাবী জায়ীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজ্জালী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে মৃতের বাড়ীতে এ ধরনের খানা পিনার ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। মুসনাদে আহমাদে হযরত ওমর (রাঃ) মৃত্যুর পর এ ধরনের খানা পিনার আয়োজন করাকে 'নিয়াহাত' অর্থাৎ জাহেলিয়াত যুগের রসম বলে উল্লেখ করেছেন। "বুলগুল মারামে' নামক গ্রন্থে ৪ মাযহাবের ইমামও একে 'নিয়াহাত' বলে উল্লেখ করেন।
ফতহুল কাদীরেও উল্লেখ আছে যে, নবীর তরিকায় এ কথা আদৌ নেই যে, মৃতের বাড়ীতে জামায়েত হয়ে কুরআনের কিছু অংশ পড়া ও খতম করা। কবরের পাশে হোক বা অন্য স্থানে হোক জমায়েত হওয়া বিদআত।"
হাদীসে বর্ণীত আমলগুলো ছাড়া মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে নামায পড়া, কুরআন তেলাওয়াত করা, যিকির-আযকার পড়া মৃত ব্যক্তির নামে চল্লিশা করা, প্রতি বছর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা ও মীলাদ শরীফ পাঠ করা সম্পুর্ণ বিদআত। এগুলোর পক্ষে কোন দলীল নাই। আজকাল আমাদের সমাজে হাফেজ ও কারীদেরকে ভাড়া করে এনে মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন খতম করানো হয়। এটাকে আমাদের দেশের পরিভাষায় সাবিনা পাঠ বলা হয়। অনেক সময় দুপক্ষের মাঝে দামাদামি করে হাদীয়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সর্ব যুগের সকল উলামা এব্যাপারে একমত যে, মৃত ব্যক্তির জন্য ভাড়া করা হাফেজ-কারী দিয়ে কুরআন খতম করানো হারাম। পূর্বযুগের কোন আলেম বা নির্ভরযোগ্য কোন ইমাম এব্যাপারে অনুমতি দেননি। পরবর্তীযুগের কিছু পেট পুঁজারী দুনিয়াদার আলেম অন্যায়ভাবে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য এ পন্থাটি চালু করেছে। এটি একটি বেদআতী আমল যা, মৃত ব্যক্তির কোন কল্যাণে আসবে না। এর দ্বারা যে টাকা উপার্জন করা হয়, তাও সম্পুর্ণ হরাম।
প্রকৃত পক্ষে উপমহাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় ছিল সনাতন ধর্মের অনুসারী। সনাতন ধর্মের বহু রীতি নীতি আজো বৈশিষ্ঠগতভাবে ইসলামীয় রীতি নীতিতে ধারন করে নিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে তাদের অনুকরনে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখা যায়।
মৃত ব্যক্তিদের নামে উপমহাদেশে যেসব অনুষ্ঠান চালু তার অধিকাংশই বিদআত ; হাদিস সম্মত কিছু বিষয় ছাড়া।
আল্লাহ আমাদের এই সকল বিদআত হতে হেফাজত করুন । আমিন ।
মৃত ব্যক্তির জন্য কি করতে হবে তা জানতে পড়ুন
STA-49.89
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর সিওম, চেহলাম, ফাতেহা খানি ইত্যাদি করতে দেখা যায়। সিওম অর্থ মৃত্যুর ৩ দিন বা ৪ দিন পর দোয়ার অনুষ্ঠান করা।
প্রকৃত পক্ষে ইসলামের পূর্বযুগে মৃত ব্যক্তির জন্য এভাবে খানা পিনার ব্যবস্থা করার প্রচলন ছিল। ইবনে মাযাহ শরীফে সাহাবী জায়ীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজ্জালী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসে মৃতের বাড়ীতে এ ধরনের খানা পিনার ব্যবস্থাকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছে। মুসনাদে আহমাদে হযরত ওমর (রাঃ) মৃত্যুর পর এ ধরনের খানা পিনার আয়োজন করাকে 'নিয়াহাত' অর্থাৎ জাহেলিয়াত যুগের রসম বলে উল্লেখ করেছেন। "বুলগুল মারামে' নামক গ্রন্থে ৪ মাযহাবের ইমামও একে 'নিয়াহাত' বলে উল্লেখ করেন।
ফতহুল কাদীরেও উল্লেখ আছে যে, নবীর তরিকায় এ কথা আদৌ নেই যে, মৃতের বাড়ীতে জামায়েত হয়ে কুরআনের কিছু অংশ পড়া ও খতম করা। কবরের পাশে হোক বা অন্য স্থানে হোক জমায়েত হওয়া বিদআত।"
হাদীসে বর্ণীত আমলগুলো ছাড়া মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে নামায পড়া, কুরআন তেলাওয়াত করা, যিকির-আযকার পড়া মৃত ব্যক্তির নামে চল্লিশা করা, প্রতি বছর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা ও মীলাদ শরীফ পাঠ করা সম্পুর্ণ বিদআত। এগুলোর পক্ষে কোন দলীল নাই। আজকাল আমাদের সমাজে হাফেজ ও কারীদেরকে ভাড়া করে এনে মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন খতম করানো হয়। এটাকে আমাদের দেশের পরিভাষায় সাবিনা পাঠ বলা হয়। অনেক সময় দুপক্ষের মাঝে দামাদামি করে হাদীয়া নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সর্ব যুগের সকল উলামা এব্যাপারে একমত যে, মৃত ব্যক্তির জন্য ভাড়া করা হাফেজ-কারী দিয়ে কুরআন খতম করানো হারাম। পূর্বযুগের কোন আলেম বা নির্ভরযোগ্য কোন ইমাম এব্যাপারে অনুমতি দেননি। পরবর্তীযুগের কিছু পেট পুঁজারী দুনিয়াদার আলেম অন্যায়ভাবে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য এ পন্থাটি চালু করেছে। এটি একটি বেদআতী আমল যা, মৃত ব্যক্তির কোন কল্যাণে আসবে না। এর দ্বারা যে টাকা উপার্জন করা হয়, তাও সম্পুর্ণ হরাম।
প্রকৃত পক্ষে উপমহাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় ছিল সনাতন ধর্মের অনুসারী। সনাতন ধর্মের বহু রীতি নীতি আজো বৈশিষ্ঠগতভাবে ইসলামীয় রীতি নীতিতে ধারন করে নিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে তাদের অনুকরনে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখা যায়।
মৃত ব্যক্তিদের নামে উপমহাদেশে যেসব অনুষ্ঠান চালু তার অধিকাংশই বিদআত ; হাদিস সম্মত কিছু বিষয় ছাড়া।
আল্লাহ আমাদের এই সকল বিদআত হতে হেফাজত করুন । আমিন ।
মৃত ব্যক্তির জন্য কি করতে হবে তা জানতে পড়ুন
STA-49.89
© 2013 by Ask Islam Bangla.