প্রশ্ন ১৪২ --> যানবাহনে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারছে যারা তাদের ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করে। বেঁচে থাকার তাগিদে এই মানুষগুলোর কেউ অফিস-আদালতে, কেউ স্কুল-কলেজে, কেউবা জরুরী চিকিতসার জন্য হাসপাতালে যায়। এখন একজন যদি ক্ষমতায় যেতে না পেরে, সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর জন্য অথবা, জুলুম-অত্যাচার করে, টাকার লোভে দেশকে দেশের শত্রুদের কাছে বিক্রি করে দিয়েও নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষ পুড়ায়, তাহলে সে নিজেকে কতবড় মুসলমান বলে মনে করতে পারে?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
# “সে-ই প্রকৃত মুসলমান, যার জিহবা ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।” [সহিহ বুখারি]
# মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরি। (সুনানু ইবনে মাজাহ্ :: হাদিস ৩৯৩৯)
মানুষের মাঝে এইরকম লোক যারা নিজেরা জমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়, কিন্তু তারা দাবী করে তারা হচ্ছে শান্তি স্থাপনকারী, এটা আসলে মুনাফেক লোকদের চরিত্র।
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা বলেন,
আর যখন তাদের বলা হলো -- “দুনিয়াতে তোমরা গন্ডগোল সৃষ্টি কর না”, তারা বলে -- “না তো, আমরা শান্তিকামী।” তারা নিজেরাই কি নিশ্চয়ই গন্ডগোল সৃষ্টিকারী নয়? কিন্তু তারা বোঝে না। (সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১১-১২)
আর আগুনে মানুষকে পুড়ান সম্পূর্ণ হারাম।
# ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, "রাসূলুল্লাহ – এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি (আগুনে জান্ত পুড়ান ) দ্বারা শাস্তি দিও না।" [সহিহ বুখারী :: খন্ড ৮ :: অধ্যায় ৮৪ :: হাদিস ৫৭]
তুমি বি,এন,পি, আওয়ামি লীগ, জামাত-শিবির যেই হওনা কেন যখন তুমি কারো গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছ তখন জেনে রাখ নিশ্চয় তুমি একজন জুলুমকারী, নিশ্চয় তুমি তোমার মুসলিম ভাইয়ের ক্ষতি করছ, নিশ্চয় তুমি একজন নির্দোষ মানুষের জানমালকে অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছ। এর জন্য ক্বিয়ামতের ময়দানে তোমাকে অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে, আল্লাহর কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। সেদিন তোমার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হব। দু:খজনক হলেও সত্যি সেদিন তোমার নেতা নেত্রীরা তোমার সাহায্যে এক কদম ও এগিয়ে আসবে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিন। আমিন।
LTA-103.176
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করে। বেঁচে থাকার তাগিদে এই মানুষগুলোর কেউ অফিস-আদালতে, কেউ স্কুল-কলেজে, কেউবা জরুরী চিকিতসার জন্য হাসপাতালে যায়। এখন একজন যদি ক্ষমতায় যেতে না পেরে, সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর জন্য অথবা, জুলুম-অত্যাচার করে, টাকার লোভে দেশকে দেশের শত্রুদের কাছে বিক্রি করে দিয়েও নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষ পুড়ায়, তাহলে সে নিজেকে কতবড় মুসলমান বলে মনে করতে পারে?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
# “সে-ই প্রকৃত মুসলমান, যার জিহবা ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।” [সহিহ বুখারি]
# মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরি। (সুনানু ইবনে মাজাহ্ :: হাদিস ৩৯৩৯)
মানুষের মাঝে এইরকম লোক যারা নিজেরা জমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়ায়, কিন্তু তারা দাবী করে তারা হচ্ছে শান্তি স্থাপনকারী, এটা আসলে মুনাফেক লোকদের চরিত্র।
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা বলেন,
আর যখন তাদের বলা হলো -- “দুনিয়াতে তোমরা গন্ডগোল সৃষ্টি কর না”, তারা বলে -- “না তো, আমরা শান্তিকামী।” তারা নিজেরাই কি নিশ্চয়ই গন্ডগোল সৃষ্টিকারী নয়? কিন্তু তারা বোঝে না। (সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১১-১২)
আর আগুনে মানুষকে পুড়ান সম্পূর্ণ হারাম।
# ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, "রাসূলুল্লাহ – এর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর শাস্তি (আগুনে জান্ত পুড়ান ) দ্বারা শাস্তি দিও না।" [সহিহ বুখারী :: খন্ড ৮ :: অধ্যায় ৮৪ :: হাদিস ৫৭]
তুমি বি,এন,পি, আওয়ামি লীগ, জামাত-শিবির যেই হওনা কেন যখন তুমি কারো গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছ তখন জেনে রাখ নিশ্চয় তুমি একজন জুলুমকারী, নিশ্চয় তুমি তোমার মুসলিম ভাইয়ের ক্ষতি করছ, নিশ্চয় তুমি একজন নির্দোষ মানুষের জানমালকে অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছ। এর জন্য ক্বিয়ামতের ময়দানে তোমাকে অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে, আল্লাহর কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। সেদিন তোমার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হব। দু:খজনক হলেও সত্যি সেদিন তোমার নেতা নেত্রীরা তোমার সাহায্যে এক কদম ও এগিয়ে আসবে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিন। আমিন।
LTA-103.176
© 2015 by Ask Islam Bangla.