প্রশ্ন ১৪০ --> ওরছ কি? এটা কি বিদয়াত?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আল্লাহ কুর'আনে বলেন,
"বলুন, আমার প্রতিপালক আমাকে একটি সরল পথে পরিচালিত করেছেন, যা বক্রতা হতে মুক্ত দ্বীন, ইবরাহীমের দ্বীন, যিনি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে আল্লাহ-অভিমুখী করে রেখেছিলেন। আর তিনি ছিলেন না শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত।"
[সূরা আনআম : ১৬১]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
"আর সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। আর ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে ধর্মে নতুন সৃষ্টি। (এটা বিদআত) আর সব বিদআতই পথভ্রষ্টতা।"
[মুসলিম]
"আমি তোমাদেরকে এমন কোন কিছুর নির্দেশ দিতে ছাড়িনি যা তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তি করবে আর জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।"
[বুখারী ও মুসলিম]
"যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করবে যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত।"
[বুখারী ও মুসলিম]
অতীব দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই উপমহাদেশের একশ্রেণির মানুষ অজ্ঞতা ও শাইতানের ধোঁকায় পরে সরাসরি আল্লাহ'র সাহায্য না চেয়ে বিভিন্ন বুযুর্গের কবরকে সাহায্য গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছে। কবর পাকাকরণ নিষিদ্ধ হলেও উনার কবরকে ইট-বালি-সিমেন্টে বাধিঁয়ে মাযারে রূপান্তর করেছে যাকে ঘিরে ইসলামের নামে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিদ'আহ-শিরক ও কুফরী কার্যকলাপ যার সাথে ইসলামের দূরতম সম্পর্কও নেই। গান-বাজনা-মদ-গাঁজার উৎসবে ছেয়ে গেছে মাযারগুলো যা কিনা সুস্পষ্ট হারাম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
"তোমরা নিজেদের ঘরকে কবর বানিয়ো না। (অর্থাৎ কবরের মতো ইবাদত-বন্দেগী শূন্য করো না) এবং আমার কবরকে উৎসবের স্থান বানিয়ো না।"
[সুনানে আবু দাঊদ]
এছাড়াও রাসূল-সাহাবী-তাবেঈ-তাবেঈন দ্বারা সিদ্ধ নয় এমন প্রচুর কাজই সেখানে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 'ওরস'।
"ওরস" শব্দের আবিধানিক অর্থ "বাসর যাপন" এবং পারিভাষিক ও রূপক অর্থ হলো, "কোন বুযুর্গের ইন্তিকালের দিন ফাতিহা পাঠ উপলক্ষে খাওয়া, ওয়াজ-মাহফিল, মীলাদ-ক্বিয়াম ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।"
উল্লেখ্য, এভাবে কারোও ইন্তেকালের দিন উদযাপন করা, সেদিন অনেকে একসাথে সূরা ফাতিহা পাঠ করা, খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা, মীলাদ-ক্বিয়াম করা সুস্পষ্ট বিদ'আহ। কোন সাহাবী-তাবেঈ বা তাবেঈনদের দ্বারা এমন কাজের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং "ওরস" উৎসব হচ্ছে ইসলামের মধ্যে নতুন সৃষ্ট বস্তু অর্থাৎ 'বিদ'আহ' এবং ইহা পালন করা 'হারাম'। এছাড়াও "ওরস" যারা পালন করে তাদের মধ্যে আক্বীদাহগর সুস্পষ্ট ভ্রান্তি দেয়া যায়। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নূরের তৈরি বলে, আল্লাহ'র নূরে অংশ বলে থাকে যা সুস্পষ্ট ভ্রান্তি এবং কুর'আন ও হাদীস বিরোধী বক্তব্য যা অবশ্যই পরিতাজ্য।
আল্লাহ আমাদের সকল বিদআত হতে হেফাযত করুন আমিন।
MMM-3.4
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আল্লাহ কুর'আনে বলেন,
"বলুন, আমার প্রতিপালক আমাকে একটি সরল পথে পরিচালিত করেছেন, যা বক্রতা হতে মুক্ত দ্বীন, ইবরাহীমের দ্বীন, যিনি একনিষ্ঠভাবে নিজেকে আল্লাহ-অভিমুখী করে রেখেছিলেন। আর তিনি ছিলেন না শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত।"
[সূরা আনআম : ১৬১]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
"আর সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। আর ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে ধর্মে নতুন সৃষ্টি। (এটা বিদআত) আর সব বিদআতই পথভ্রষ্টতা।"
[মুসলিম]
"আমি তোমাদেরকে এমন কোন কিছুর নির্দেশ দিতে ছাড়িনি যা তোমাদেরকে জান্নাতের নিকটবর্তি করবে আর জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।"
[বুখারী ও মুসলিম]
"যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করবে যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত।"
[বুখারী ও মুসলিম]
অতীব দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই উপমহাদেশের একশ্রেণির মানুষ অজ্ঞতা ও শাইতানের ধোঁকায় পরে সরাসরি আল্লাহ'র সাহায্য না চেয়ে বিভিন্ন বুযুর্গের কবরকে সাহায্য গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছে। কবর পাকাকরণ নিষিদ্ধ হলেও উনার কবরকে ইট-বালি-সিমেন্টে বাধিঁয়ে মাযারে রূপান্তর করেছে যাকে ঘিরে ইসলামের নামে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বিদ'আহ-শিরক ও কুফরী কার্যকলাপ যার সাথে ইসলামের দূরতম সম্পর্কও নেই। গান-বাজনা-মদ-গাঁজার উৎসবে ছেয়ে গেছে মাযারগুলো যা কিনা সুস্পষ্ট হারাম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
"তোমরা নিজেদের ঘরকে কবর বানিয়ো না। (অর্থাৎ কবরের মতো ইবাদত-বন্দেগী শূন্য করো না) এবং আমার কবরকে উৎসবের স্থান বানিয়ো না।"
[সুনানে আবু দাঊদ]
এছাড়াও রাসূল-সাহাবী-তাবেঈ-তাবেঈন দ্বারা সিদ্ধ নয় এমন প্রচুর কাজই সেখানে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত হয়ে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে 'ওরস'।
"ওরস" শব্দের আবিধানিক অর্থ "বাসর যাপন" এবং পারিভাষিক ও রূপক অর্থ হলো, "কোন বুযুর্গের ইন্তিকালের দিন ফাতিহা পাঠ উপলক্ষে খাওয়া, ওয়াজ-মাহফিল, মীলাদ-ক্বিয়াম ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।"
উল্লেখ্য, এভাবে কারোও ইন্তেকালের দিন উদযাপন করা, সেদিন অনেকে একসাথে সূরা ফাতিহা পাঠ করা, খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা, মীলাদ-ক্বিয়াম করা সুস্পষ্ট বিদ'আহ। কোন সাহাবী-তাবেঈ বা তাবেঈনদের দ্বারা এমন কাজের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং "ওরস" উৎসব হচ্ছে ইসলামের মধ্যে নতুন সৃষ্ট বস্তু অর্থাৎ 'বিদ'আহ' এবং ইহা পালন করা 'হারাম'। এছাড়াও "ওরস" যারা পালন করে তাদের মধ্যে আক্বীদাহগর সুস্পষ্ট ভ্রান্তি দেয়া যায়। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নূরের তৈরি বলে, আল্লাহ'র নূরে অংশ বলে থাকে যা সুস্পষ্ট ভ্রান্তি এবং কুর'আন ও হাদীস বিরোধী বক্তব্য যা অবশ্যই পরিতাজ্য।
আল্লাহ আমাদের সকল বিদআত হতে হেফাযত করুন আমিন।
MMM-3.4
© 2015 by Ask Islam Bangla.