প্রশ্ন ১১৫ --> দাইয়্যুস কে?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
দাইয়্যুস শব্দটার সাথে আমাদের অনেকেরই কম বেশি পরিচয় আছে। অথচ দাইয়্যুসের ব্যাপারে ধারণা রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই বিষয়ে ভয়ানক কিছু সাবধানবানী সহ হাদীস রয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“তিনজন আছেন যাদের দিকে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল কিয়ামাতের দিন নজর দেবেন না। যে পিতামাতার অবাধ্য, ও যে নারী বেশভূষায় পুরুষের অনুকরণ করে, এবং দাইয়্যুস ব্যক্তি।”
[সূনান আন নাসাই : ২৫৬২, হাদিস হাসান, আলবানী সাহীহ বলেছেন]
ইমাম আহমাদের বর্ণনাকৃত অন্য আরেকটি হাদীসে ‘আল্লাহ নজর দেবেন না’ এর সাথে এসেছে দাইয়্যুস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। [আহমাদ শাকির যার ইসনাদ সাহীহ বলেছেন, দেখুন ]
দাইয়্যুস শব্দের ব্যাখ্যায় উলামা কিরামদের মতামতঃ
ইবন তাইমিইয়্যাহ : দাইয়্যুস হল যার কোন ঘীরাহ (Protective jealousy) নেই। [Majmoo‘ al-Fataawa, 32/141]
মুফতি শাফি উসমানী : দাইয়্যুস হল সেই ব্যক্তি যে তার নির্লজ্জতার ওপর এমন সন্তুষ্ট যে সে তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের (বিশেষত নারী) অসম্মানের পথে চলা থেকে বিরত রাখেনা। [মা’রিফুল কুর’আন, ভলিউম ২ : সূরাহ নিসা আয়াহ ৩১]
# শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন বায (রাহিমাহুল্লাহ) – “দাইয়্যুস হল সে ব্যক্তি যে তার স্ত্রীকে জিনা করার অনুমতি দেয় ও তা থেকে নিজ স্ত্রীকে বিরত রাখেনা, এমনকি আত্মসম্মানের অভাব আর ঈমানের দুর্বলতার কারণে সে আল্লাহর ওয়াস্তে রাগান্বিতও হয়না আর এভাবেই সে তার স্ত্রীর পাপকে স্বীকার করে নেয় (বাধা দেয় না)।” [Sheikh Bin Baz Fatawa Islamiyah, vol. 5, p. 188]
শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ : দাইয়্যুস হল যে তার পরিবারের (স্ত্রী, কন্যা, বোন, অধিকারভুক্ত নারী) পাপকে অনুমতি দান করে। [ দেখুন ]
স্থায়ী কমিটির ফাতওয়া : দাইয়্যুস শব্দটি এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, যে তার অধিকারভুক্ত কোন নারীকেই, হোক তা তার স্ত্রী, কন্যা, বোন এবং অন্যদের জিনা করা থেকে বিরত রাখেনা, তা সরাসরি জিনাই হোক, আর এমন সব কাজ হোক যা জিনার দিকে নিয়ে যায়, যেমন গায়ের মাহরামের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে যেসব আওরা (শরীরের অংশ) ঢেকে রাখতে হয়, তা প্রকাশ করা, গায়ের মাহরাম এর সাথে একাকী অবস্থান করা, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেহে সুগন্ধি লাগানো, আর অন্যান্য কাজ যা ফিতনা আর অপরাধ সৃষ্টি করতে পারে।
(একই মতনের আরেকটি হাদীস উল্লেখ করে) এটা জানা বিষয় যে, অপরাধের/ পাপের বিষয়ে নিশ্চুপ থাকা হারাম। হোক তা নিজের ঘরের নারীদের দ্বারা সংঘটিত বা অন্য কারো দ্বারা। তবে অপরাধ/পাপকে বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকা আরো কঠিন হারাম এবং আরো গভীর পাপ কারণ ঐ ব্যক্তি একজন অভিভাবক (তার স্ত্রীর বা অন্যান্য নারীদের) যে তার অভিভাবকত্বের জন্যে জিজ্ঞাসিত হবে। নিশ্চুপ থাকার অবশ্যই অপরাধ, এটা তাকে দাইয়্যুস হিসেবে চিহ্নিত করুক আর নাই করুক, কারণ কুরআনের আয়াত ও হাদীস তাই নির্দেশ করে।
[Fatwas of the Permanent Committee>Group 1>Volume 17: Hijab and adornment>Women's Hijab and dress>Ruling on Hijab as prescribed by Islam>Dayyuth]
হাদিসটির টেক্সটের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য রাখি, তাহলে দেখতে পাই মূলত সেই ব্যক্তিকেই দাইয়্যুস বলা হচ্ছে, যে তার স্ত্রীকে জিনা করতে বাধা দেয় না। কিন্তু যদি সম্মানিত উলামা কিরামদের ব্যাখ্যার দিকে নজর দিই, তাহলে এর মূল ভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই ব্যক্তিই দাইয়্যুস, যে তার স্ত্রীকে বেপর্দা চলতে দেয়, মাহরাম – গায়ের মাহরাম বিষয়ে তোয়াক্কা করেনা আর জিনার নিকটবর্তী হতে যেইসব পাপ করা হয়, সেইসব পাপ করতে বাধা দান করেনা।
যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আল্লাহ প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্যে তার অংশের অনিবার্য জিনা লিখে রেখেছেন, হোক সে তার ব্যাপারে জ্ঞাত বা অজ্ঞাত। চোখের জিনা হল দৃষ্টিপাত করা (যে দিকে বা যার দিকে দৃষ্টি দেবার অনুমতি নেই সেদিকে বা তার দিকে), জিহ্বার জিনা হল উচ্চারণ করা (যা উচ্চারণ করা বা বলা বৈধ নয়)। আর নফসের ইচ্ছা জাগে (জিনার জন্যে) এবং গুপ্তাংগ তা বাস্তবতায় রূপ দেয় অথবা তা অস্বীকার করে।“ [সাহীহ বুখারী ৬৬১২]
উলামা কিরামের মতে মুখের জিনা, চোখের জিনা, হাতের জিনা, পায়ের জিনা সবই জিনার দরজা আর অনস্বীকার্য অংশ। অতএব যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে এইসব জিনা থেকে বাধা দেবেনা, সে ব্যক্তিও দাইয়্যুসের কাতারে পড়ে যাবে।
এখানে উল্লেখ করা জরুরী, একজন মুসলিম নারীর মাহরাম পুরুষ হলেন তার পিতা, দাদা, পর দাদা এবং উপরের দিকের পুরুষ। তার ছেলে, নাতি, নাতির ছেলে এবং নিচের দিকের পুরুষ। তার চাচা, তার আপন ভাই, আপন ভাই এর ছেলে ও আপন বোনের ছেলে। এছাড়া তার দুধ মাতার স্বামী ও ভাই। বিবাহ সূত্রে তার পুরুষ মাহরাম হলেন তার স্বামী, শ্বশুর, স্বামীর দাদা, স্বামীর সন্তান, স্বামীর নাতি ও নিচের দিকের পুরুষ।
স্বামীর ভাই (অর্থাৎ দেবর) কিংবা অনান্য ভাই জাতীয় পুরুষ, যেমন কাজিন, তারা স্পষ্ট গায়ের মাহরাম।
আমাদের সমাজে অনেক স্বামী দেখা যায়, যারা তাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে উদাসীন। তারা নিজেরা প্র্যাক্টিসিং মুসলিম, স্ত্রীও নামায কালাম পড়ছেন, কিন্তু তিনি গায়ের মাহরামদের সাথে হাসি ঠাট্টা করছেন, কথা বলছেন, আওরাহ না ঢেকে সামনে আসছেন, গল্প করছেন। স্পষ্টতই এইসব গর্হিত কাজ ও চোখ, কান, জিহ্বার জিনা। অথচ স্বামী তার স্ত্রীকে এইসব জিনা আর গুনাহ থেকে বিরত রাখছেন না, বরং কোনক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছেন। সুবহান আল্লাহ!
এমন অনেক ভাই আছেন, যারা আলমদুলিল্লাহ দ্বীন পালন করছেন। তাদের স্ত্রীও দ্বীনি। কিন্তু উল্লিখিত পাপ করার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে বাধা না দেয়ার কারণে অনেক ভাই দ্বীন পালন করেও জান্নাত থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে দ্বীন পালনের তাওফীক দান করুন।
কার্টেসি: ghurabadiary
STA-80.128
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
দাইয়্যুস শব্দটার সাথে আমাদের অনেকেরই কম বেশি পরিচয় আছে। অথচ দাইয়্যুসের ব্যাপারে ধারণা রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। এই বিষয়ে ভয়ানক কিছু সাবধানবানী সহ হাদীস রয়েছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“তিনজন আছেন যাদের দিকে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল কিয়ামাতের দিন নজর দেবেন না। যে পিতামাতার অবাধ্য, ও যে নারী বেশভূষায় পুরুষের অনুকরণ করে, এবং দাইয়্যুস ব্যক্তি।”
[সূনান আন নাসাই : ২৫৬২, হাদিস হাসান, আলবানী সাহীহ বলেছেন]
ইমাম আহমাদের বর্ণনাকৃত অন্য আরেকটি হাদীসে ‘আল্লাহ নজর দেবেন না’ এর সাথে এসেছে দাইয়্যুস ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। [আহমাদ শাকির যার ইসনাদ সাহীহ বলেছেন, দেখুন ]
দাইয়্যুস শব্দের ব্যাখ্যায় উলামা কিরামদের মতামতঃ
ইবন তাইমিইয়্যাহ : দাইয়্যুস হল যার কোন ঘীরাহ (Protective jealousy) নেই। [Majmoo‘ al-Fataawa, 32/141]
মুফতি শাফি উসমানী : দাইয়্যুস হল সেই ব্যক্তি যে তার নির্লজ্জতার ওপর এমন সন্তুষ্ট যে সে তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের (বিশেষত নারী) অসম্মানের পথে চলা থেকে বিরত রাখেনা। [মা’রিফুল কুর’আন, ভলিউম ২ : সূরাহ নিসা আয়াহ ৩১]
# শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন বায (রাহিমাহুল্লাহ) – “দাইয়্যুস হল সে ব্যক্তি যে তার স্ত্রীকে জিনা করার অনুমতি দেয় ও তা থেকে নিজ স্ত্রীকে বিরত রাখেনা, এমনকি আত্মসম্মানের অভাব আর ঈমানের দুর্বলতার কারণে সে আল্লাহর ওয়াস্তে রাগান্বিতও হয়না আর এভাবেই সে তার স্ত্রীর পাপকে স্বীকার করে নেয় (বাধা দেয় না)।” [Sheikh Bin Baz Fatawa Islamiyah, vol. 5, p. 188]
শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ : দাইয়্যুস হল যে তার পরিবারের (স্ত্রী, কন্যা, বোন, অধিকারভুক্ত নারী) পাপকে অনুমতি দান করে। [ দেখুন ]
স্থায়ী কমিটির ফাতওয়া : দাইয়্যুস শব্দটি এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, যে তার অধিকারভুক্ত কোন নারীকেই, হোক তা তার স্ত্রী, কন্যা, বোন এবং অন্যদের জিনা করা থেকে বিরত রাখেনা, তা সরাসরি জিনাই হোক, আর এমন সব কাজ হোক যা জিনার দিকে নিয়ে যায়, যেমন গায়ের মাহরামের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে যেসব আওরা (শরীরের অংশ) ঢেকে রাখতে হয়, তা প্রকাশ করা, গায়ের মাহরাম এর সাথে একাকী অবস্থান করা, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দেহে সুগন্ধি লাগানো, আর অন্যান্য কাজ যা ফিতনা আর অপরাধ সৃষ্টি করতে পারে।
(একই মতনের আরেকটি হাদীস উল্লেখ করে) এটা জানা বিষয় যে, অপরাধের/ পাপের বিষয়ে নিশ্চুপ থাকা হারাম। হোক তা নিজের ঘরের নারীদের দ্বারা সংঘটিত বা অন্য কারো দ্বারা। তবে অপরাধ/পাপকে বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকা আরো কঠিন হারাম এবং আরো গভীর পাপ কারণ ঐ ব্যক্তি একজন অভিভাবক (তার স্ত্রীর বা অন্যান্য নারীদের) যে তার অভিভাবকত্বের জন্যে জিজ্ঞাসিত হবে। নিশ্চুপ থাকার অবশ্যই অপরাধ, এটা তাকে দাইয়্যুস হিসেবে চিহ্নিত করুক আর নাই করুক, কারণ কুরআনের আয়াত ও হাদীস তাই নির্দেশ করে।
[Fatwas of the Permanent Committee>Group 1>Volume 17: Hijab and adornment>Women's Hijab and dress>Ruling on Hijab as prescribed by Islam>Dayyuth]
হাদিসটির টেক্সটের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য রাখি, তাহলে দেখতে পাই মূলত সেই ব্যক্তিকেই দাইয়্যুস বলা হচ্ছে, যে তার স্ত্রীকে জিনা করতে বাধা দেয় না। কিন্তু যদি সম্মানিত উলামা কিরামদের ব্যাখ্যার দিকে নজর দিই, তাহলে এর মূল ভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই ব্যক্তিই দাইয়্যুস, যে তার স্ত্রীকে বেপর্দা চলতে দেয়, মাহরাম – গায়ের মাহরাম বিষয়ে তোয়াক্কা করেনা আর জিনার নিকটবর্তী হতে যেইসব পাপ করা হয়, সেইসব পাপ করতে বাধা দান করেনা।
যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আল্লাহ প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্যে তার অংশের অনিবার্য জিনা লিখে রেখেছেন, হোক সে তার ব্যাপারে জ্ঞাত বা অজ্ঞাত। চোখের জিনা হল দৃষ্টিপাত করা (যে দিকে বা যার দিকে দৃষ্টি দেবার অনুমতি নেই সেদিকে বা তার দিকে), জিহ্বার জিনা হল উচ্চারণ করা (যা উচ্চারণ করা বা বলা বৈধ নয়)। আর নফসের ইচ্ছা জাগে (জিনার জন্যে) এবং গুপ্তাংগ তা বাস্তবতায় রূপ দেয় অথবা তা অস্বীকার করে।“ [সাহীহ বুখারী ৬৬১২]
উলামা কিরামের মতে মুখের জিনা, চোখের জিনা, হাতের জিনা, পায়ের জিনা সবই জিনার দরজা আর অনস্বীকার্য অংশ। অতএব যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে এইসব জিনা থেকে বাধা দেবেনা, সে ব্যক্তিও দাইয়্যুসের কাতারে পড়ে যাবে।
এখানে উল্লেখ করা জরুরী, একজন মুসলিম নারীর মাহরাম পুরুষ হলেন তার পিতা, দাদা, পর দাদা এবং উপরের দিকের পুরুষ। তার ছেলে, নাতি, নাতির ছেলে এবং নিচের দিকের পুরুষ। তার চাচা, তার আপন ভাই, আপন ভাই এর ছেলে ও আপন বোনের ছেলে। এছাড়া তার দুধ মাতার স্বামী ও ভাই। বিবাহ সূত্রে তার পুরুষ মাহরাম হলেন তার স্বামী, শ্বশুর, স্বামীর দাদা, স্বামীর সন্তান, স্বামীর নাতি ও নিচের দিকের পুরুষ।
স্বামীর ভাই (অর্থাৎ দেবর) কিংবা অনান্য ভাই জাতীয় পুরুষ, যেমন কাজিন, তারা স্পষ্ট গায়ের মাহরাম।
আমাদের সমাজে অনেক স্বামী দেখা যায়, যারা তাদের স্ত্রীদের ব্যাপারে উদাসীন। তারা নিজেরা প্র্যাক্টিসিং মুসলিম, স্ত্রীও নামায কালাম পড়ছেন, কিন্তু তিনি গায়ের মাহরামদের সাথে হাসি ঠাট্টা করছেন, কথা বলছেন, আওরাহ না ঢেকে সামনে আসছেন, গল্প করছেন। স্পষ্টতই এইসব গর্হিত কাজ ও চোখ, কান, জিহ্বার জিনা। অথচ স্বামী তার স্ত্রীকে এইসব জিনা আর গুনাহ থেকে বিরত রাখছেন না, বরং কোনক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছেন। সুবহান আল্লাহ!
এমন অনেক ভাই আছেন, যারা আলমদুলিল্লাহ দ্বীন পালন করছেন। তাদের স্ত্রীও দ্বীনি। কিন্তু উল্লিখিত পাপ করার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে বাধা না দেয়ার কারণে অনেক ভাই দ্বীন পালন করেও জান্নাত থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে দ্বীন পালনের তাওফীক দান করুন।
কার্টেসি: ghurabadiary
STA-80.128
© 2014 by Ask Islam Bangla.