ASK ISLAM BANGLA
  • Home
  • রচনাবলী
  • সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইসলামি সাধারণ জ্ঞান
  • ইসলাম বিরোধী প্রশ্নের জবাব
  • ইসলামের সেই কাহিনীগুলো
  • সাহাবীদের কাহিনী
  • গল্পে গল্পে শিখী
  • ROAD TO PEACE
  • Forum

আমার সৌভাগ্য যে আমি একজন মেয়ে!

অনেক মহিলাকেই বলতে শুনেছি,'কেন যে মেয়ে হয়ে জন্মালাম!' আবার অনেকের একটা পুত্র সন্তানের জন্য কত আকুতি,মেয়ে হলে তারা চরম বিরক্ত!অনেকে আবার ঠাট্টার ছলে বলেন,'ছেলে হলে কত মজা! পর্দা করা লাগেনা,চারটা বৌ জায়েজ,বেহেশতে গেলেও হুর পাবে কতগুলা.....' ইত্যাদি ইত্যাদি।
একটা মেয়ে হয়ে জন্মানোর যে কতো সুবিধা তা যদি তারা বুঝত!অসংখ্য ফজিলতের সামান্য কিছু বিবরন দেয়ার চেষ্টা করছি-

১. একটা মেয়েকে তার জীবদ্দশায় কখনই তার ব্যায়ভার বহন করতে হয়না। যদি তার ব্যায়ভার বহন করার কেউ না থাকে বা অক্ষম হয়,তবে সে যদি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক উপার্জন করে, সে সোওয়াবের অধিকারী হবে। পক্ষান্তরে একটি ছেলে তার মা,মেয়ে,স্ত্রী,বোনের দায়িত্ব নিতে বাধ্য। এ দায়িত্ব পালনকালে তাকে হালাল-হারাম নানা বিষয়াদি মাথায় রাখতে হয়।

২.সবচেয়ে বড় যে পর্দা ছেলে-মেয়ে উভয়কেই করতে হয় তা হল চোখের পর্দা।মেয়েদের যেহেতু ঘরে থাকতে বলা হয়েছে, তারা পরপুরুষের সামনে না বেরোলে এ থেকে অনেকটা হেফাজত থাকতে পারে।অন্যদিকে ছেলেকে যেহেতু কাজে বাইরে যেতে হয়,তার জন্য নিজের দৃষ্টি হেফাজত করে হুর পাওয়া বেশ কষ্টকর (এই জমানায় মেয়েরা যতটা উন্মুক্ত আর সহজলভ্য,ছেলেদের জন্য কাজটা আসলেই কঠিন।এক খান ক্রিকেট খেলাও শান্তিমত দেখা যায়না ইয়া আল্লাহ!)

৩. একটা মেয়ে যখন সন্তান ধারণ করে,সেই দশ মাস তার সওয়াব হতে থাকে,গুনাহ মাফ হয় এবং তার দুআ কবুল হয়। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু হলে তাকে শহীদের মর্যাদা দেয়া হয়। পূর্ণ দুই বছর পর্যন্ত দুধপান করানোকালে সে সওয়াব পেতে থাকে।এছাড়া মাকে অনেক ক্ষেত্রে মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।
মা হওয়া অবশ্যই কষ্টকর কিন্তু প্রাপ্তি তার থেকে অনেক বেশি।

৪. পবিত্র কুর্‌আন এ জিহাদকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মেয়েদের জন্য এই জিহাদ হল মকবুল হজ্ব। নিশ্চয়্‌ই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রান হাতে নিয়ে যুদ্ধ করার চাইতে হজ্ব করা সহজ।

৫. একজন স্ত্রী তার স্বামীর ঘর,সংসারের অভিভাবক। এই দায়িত্বটুকু পালন করলে তার জান্নাতের পথ প্রশ্বস্ত হয়ে যায়। নেক সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তাদের দুআ মৃত্যুর পরেও মায়ের কাছে পৌঁছায়।সন্তানকে সঠিক পথ দেখানো কোনো কঠিন কাজ নয়। নিজেকে থাকতে হবে সঠিক পথে,সন্তান দেখে দেখেই শিখবে।


৬. ছেলেদের চার বিয়ে অনেকেই মানতে পারেন না। একজন স্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারটা একটু কষ্টের অবশ্যই। কিন্তু আমরা যদি এই ব্যাপারটা এভাবে দেখি যে,আল্লাহর কাছে এটা অপছন্দনীয় নয় এবং বিষয়টা একটু গভীরভাবে ভেবে দেখি তাহলে এটা মেনে নেয়া আমাদের জন্য অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
মেয়েদের প্রধান দায়িত্বের একটি হল স্বামীর যত্ন নেয়া। আমরা যে কাজ্‌ই করিনা কেন এই দায়িত্ব থেকে আমরা অব্যাহতি পাবোনা। কিন্তু আমরা ঘর সংসারের পাশাপাশি পড়ালেখা করতেও আগ্রহী। একথা আমরা ভুলে যাই যে আমাদের ক্যারিয়ার পরকালে বিন্দুমাত্র উপকারে আসবেনা এবং এর জন্য যদি দায়িত্ব পালনে ত্রুটি থাকে,তাতে কোনো ছাড় দেয়া হবেনা। তাহলে দায়িত্ব যদি কমে যায়,সেটাই কি ভাল নয়?
এ প্রসঙ্গে হযরত আয়েশা (র) এঁর কথা বলা যায়। তিনি ছিলেন হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে চতুর্থ,ইসলামের বিবিধ বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ছিল উল্লেখ করার মত। তিনি এতখানি জ্ঞান সাধনা করতে পেরেছিলেন কারণ তাঁর কোনো সন্তান ছিলনা আর আমাদের নবীর একাধিক স্ত্রী ছিল। নবীজির ওফাতের পর তাঁর দায়িত্ব আরও কমে যায় ফলশ্রুতিতে জ্ঞানসাধনায় তিনি এতোটা সময় দিতে পেরেছিলেন।


৭. কারো যদি মেয়ে থাকে,তাকে যদি সঠিক পথে লালনপালন করা যায় তাহলে সে জান্নাতের অধিকারী হবে।
আমাদের প্রিয় রাসুল পাক (স) ছিলেন মেয়ের পিতা।মেয়ে সন্তানের মাহাত্ম্য প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য কি এটাই যথেষ্ট নয়!


আমার সৌভাগ্য যে আমি একজন মেয়ে
আমার সৌভাগ্য যে আমি মেয়ের মা
সর্বোপরি,আমার সৌভাগ্য যে আমি শেষ নবীর উম্মত!   
লেখককে ফলো করুন
site search by freefind advanced

© 2014 by Ask Islam Bangla.
Powered by Create your own unique website with customizable templates.