Cosmology (Zooming In)
আল্লাহ্ তা'আলা মহাবিশ্বকে এমন কিছু শর্তের দ্বারা সৃষ্টি করেছেন যার ফলে মানুষ অস্তিত্ব লাভ করতে পেরেছে। এই শর্তগুলো ছাড়া আমাদের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। যেহেতু আমাদের জানা মতে এই মহাবিশ্বে কার্বন-বেসড বুদ্ধিমান প্রাণী শুধু আমরাই সেহেতু এইসব শর্তকে Anthropic Conditions (Greek, Anthropos=Human Being) বলা হয়।এই কন্ডিশনগুলো হল ফিজিক্যাল , বায়োলজিক্যাল ও কেমিক্যাল। কসমোলজির ভাষায় এই কন্ডিশনগুলোর আলোচনাকে Anthropic Principle বলা হয়।
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে প্রচুর Anthropic Condition আবিষ্কার হতে থাকে ফলে Anthropism এর অবস্থানও দৃঢ় হতে থাকে ধীরে ধীরে। এর পূর্বে অষ্টাদশ ও ঊনবিশং শতাব্দীর বিজ্ঞানীরা মূলত Disanthropism এ বিশ্বাস করত আর এই Disanthropism এর ভুল ব্যাখ্যাকেই গ্রহণ করার ফলে Nihilism এর জন্ম হয়। মূলত অষ্টাদশ ও ঊনবিশং শতাব্দীর Disanthropism ছিল নাস্তিক এপিকিউরাসের বস্তুবাদী কসমোলজি।[১]
এপিকিউরাসের বস্তুবাদী কসমোলজি অনুযায়ী মহাবিশ্ব হল চিরন্তন,মহাবিশ্বের কোন শুরু বা শেষ নেই, মহাবিশ্বে মানুষের অবস্থান গুরত্বহীন,অসীম সংখ্যক দুর্ঘটনার ফলে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে,মহাবিশ্বে মানুষের মত বুদ্ধিমান প্রাণী যেমন প্রচুর আছে তেমনি নির্বোধ প্রাণীও প্রচুর আছে।ঊনবিংশ শতাব্দীর Nihilist/ নাস্তিকদের আক্বীদা ছিল এটা।
'মহাবিশ্ব চিরন্তন' এই কথা বলে তৎকালীন Nihilistরা একটু চালাকি করতে চেয়েছিল।এপিকিউরাসের মতানুযায়ী মহাবিশ্ব যদি সৃষ্টিই না হয়ে থাকে তাহলে মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার প্রশ্নই আসে না!
কিন্তু যখন বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করলেন যে মহাবিশ্বের শুরু আছে তখন Nihilistরা নিজেদের আক্বীদা পরিবর্তন করতে বাধ্য হল ।মহাবিশ্বের শুরু থাকায় জন্ম হল কিছু জটিল প্রশ্নের যেমন- "মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে কি ছিল?" "এত Precisely মহাবিস্ফোরণ দ্বারা কিভাবে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হল?" । এই প্রশ্নগুলোর যথার্থ উত্তর দিতে Nihilistরা ব্যর্থ হল ,ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য এরা বিভিন্ন হাইপোথিসিসকে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করল (যেমন-Multiverse Theory) । পরবর্তীতে Nihilistদের মাথায় একের পর এক বাজ পড়তে থাকল যখন Anthropic Conditionগুলো আবিষ্কার হওয়া শুরু করল।
আমি এই পর্বসহ আগামী দুই পর্বে কসমোলজির Anthropic Conditionগুলো নিয়ে আলোচনা করব।এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে মানুষের থেকে শ্রেষ্ঠ কোন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী যদি মহাবিশ্বে থাকে তবে Anthropism এর মৃত্যু হবে কিন্তু মানুষই যদি অন্য কোন গ্রহে থাকে তাহলে আর Anthropic Principle ভায়োলেট হবে না বরং মডিফিকেশন হবে। তাছাড়া Anthropic Principle ভায়োলেট হলেও আস্তিকতার জন্য সেটা হুমকি হবে না।
এই পর্বে আলোচনা করব আমাদের সৌরজগৎকে নিয়ে। পরবর্তী পর্বগুলোতে যথাক্রমে Einstein's Universe ও Quantum Universe এবং কসমোলজিক্যাল Fine-Tuning নিয়ে আলোচনা করব, ইনশা'আল্লাহ্ ।
আমাদের সৌরজগৎ :-
রাতের বেলা পরিষ্কার আকাশের দিকে তাকালে প্রচুর নক্ষত্র দেখা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল 'এত এত নক্ষত্রের প্রয়োজন কি ছিল ?' অবজারভেশন থেকে সৃষ্ট হাইপোথিসিস অনুযায়ী নক্ষত্রগুলোতে প্রাণের খোঁজ পাওয়াও মুশকিল । এই নক্ষত্রগুলো যদি প্রাণ ধারণ করতে অক্ষমই হয় তাহলে আল্লাহ্ তাআলা শুধু শুধু নক্ষত্রগুলো এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুগুলোকে কেন সৃষ্টি করলেন?এটা কি Meaningless না?
আপনি কোন শহরে গিয়ে যদি দেখেন শত শত বাড়ির মধ্যে শুধু একটা বাড়ি কিংবা আরো কিছু বাড়ি বসবাস করার যোগ্য বাকিগুলো বসবাস করার অযোগ্য আর তাই সেই বাড়িগুলো খালি পড়ে আছে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি ইঞ্জিনিয়ার কিংবা শহরের ডিজাইনারকে দোষ দিবেন এবং বলবেন যে এই খালি বাড়িগুলো সৃষ্টি করে অপচয় করার তো কোন মানে হয় না।
আপাত দৃষ্টিতে শহরের ক্ষেত্রে এই রিজনিং লজিক্যাল মনে হলেও মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে এটা খাটে না। মানুষের ভুল হতে পারে কিন্তু স্রষ্টা ভুল করেন না। মহাজাগতিক বস্তুগুলোকে কোন সায়েন্টিফিক রিজনিং , অবজারভেশন ছাড়া অর্থহীন বলাটা বোকামি । Nihilistরা এই কাজ প্রায়ই করে থাকে।
সায়েন্টিফিক রিজনিং মহাবিশ্বের এই নক্ষত্রগুলো সম্পর্কে কি বলে সেটা জানার আগে Zoom In করে সৌরজগৎ এর দিকে তাকাই। অন্যান্য নক্ষত্রের কথা বাদ দিলাম কিন্তু আমাদের সৌরজগৎ এ প্রাণ ধারণে অক্ষম ৭টা গ্রহ থাকার মানে কি? একটা সূর্য আর আমাদের পৃথিবী থাকলেই তো হত।আর একটা নক্ষত্র অন্তত একটা গ্রহ নিয়ে থাকতে পারে।[২]
যদি আমাদের সৌরজগৎ এর কোন একটা গ্রহকে সরিয়ে দেয়া হয় তাহলে Mathematical Reasoning অনুযায়ী পুরো সোলার সিস্টেম Vulnerable হয়ে যাবে।পৃথিবীর কক্ষপথের আকার আরো উপবৃত্তাকার ধারণ করবে , আর পৃথিবীর প্রায় বৃত্তাকার কক্ষপথের পরিবর্তন হলে পৃথিবী আবহাওয়া অনেক খারাপ হয়ে যাবে।[৩] এককথায় পুরো সোলার সিস্টেমই ভারসাম্যহীন হয়ে যাবে ধীরে ধীরে।
সোলার সিস্টেমে পৃথিবী যদি একা থাকত তাহলে ধুমকেতুর আঘাতে আমাদের পৃথিবী ঝাঝরা হয়ে যেত।প্রায়ই পৃথিবীতে ধুমকেতু আঘাত হানত। কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সৌরজগৎকে ডিফেন্স সিস্টেমসহ সৃষ্টি করেছেন যাতে করে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে আমরা নিদির্ষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপদ থাকি।সৌরজগতের এই ডিফেন্স সিস্টেম তৈরী করেছে বাকিগ্রহগুলো।
১৯৯৪ সালে George Wetherill প্রমাণ করেন যে জুপিটার আমাদের পৃথিবীকে ধুমকেতুর আঘাত থেকে রক্ষা করে চলছে। জুপিটারের গ্রাভিটিশনাল ফোর্স খুব শক্তিশালী কারণ জুপিটার বিশাল বড় এক গ্রহ , এতটাই বিশাল যে জুপিটারের ভিতরে ১,৩২১টা পৃথিবীকে রাখা সম্ভব।জুপিটার তার শক্তিশালী গ্রাভিটি দ্বারা ধুমকেতু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় কিংবা নিজে গ্রহণ করে নেয়। [৪]
এছাড়া মার্স ও জুপিটার, এদের মাঝে থাকা Asteroid Belt এর Asteroidগুলো থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করছে, ভেনাসও কাজ করে যাচ্ছে এদের সাথে । বলা যায় গ্রহগুলো মিলে একধরনের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরী করেছে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য।[৩]
সৌরজগতের গ্রহগুলো আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা কিনা আগামী পর্বে Einstein's Universe সম্পর্কে আলোচনা করলে বুঝতে পারবেন।তবে এখানে যতটুকু আলোচনা করেছি ততটুকু যে বুঝেছে সে কখনো সৌরজগতে ১টার বেশি গ্রহ থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না।
তথ্যসূত্র:-
[১]A Meaningful World By Benjamin Wiker & Jonathan Witt ,Page-148,150
[২]www .popsci .com/science/article/2012-01/new-exoplanet-analysis-determines-planets-are-more-common-stars-milky-way
[৩]The Case for a creator by Lee Stobel ,Chapter-7
[৪] Physics Of The Impossible by Dr. Michio Kaku , Chapter-8 , The Case for a creator by Lee Stobel ,Chapter-7
পরের পর্ব
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে প্রচুর Anthropic Condition আবিষ্কার হতে থাকে ফলে Anthropism এর অবস্থানও দৃঢ় হতে থাকে ধীরে ধীরে। এর পূর্বে অষ্টাদশ ও ঊনবিশং শতাব্দীর বিজ্ঞানীরা মূলত Disanthropism এ বিশ্বাস করত আর এই Disanthropism এর ভুল ব্যাখ্যাকেই গ্রহণ করার ফলে Nihilism এর জন্ম হয়। মূলত অষ্টাদশ ও ঊনবিশং শতাব্দীর Disanthropism ছিল নাস্তিক এপিকিউরাসের বস্তুবাদী কসমোলজি।[১]
এপিকিউরাসের বস্তুবাদী কসমোলজি অনুযায়ী মহাবিশ্ব হল চিরন্তন,মহাবিশ্বের কোন শুরু বা শেষ নেই, মহাবিশ্বে মানুষের অবস্থান গুরত্বহীন,অসীম সংখ্যক দুর্ঘটনার ফলে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে,মহাবিশ্বে মানুষের মত বুদ্ধিমান প্রাণী যেমন প্রচুর আছে তেমনি নির্বোধ প্রাণীও প্রচুর আছে।ঊনবিংশ শতাব্দীর Nihilist/ নাস্তিকদের আক্বীদা ছিল এটা।
'মহাবিশ্ব চিরন্তন' এই কথা বলে তৎকালীন Nihilistরা একটু চালাকি করতে চেয়েছিল।এপিকিউরাসের মতানুযায়ী মহাবিশ্ব যদি সৃষ্টিই না হয়ে থাকে তাহলে মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব থাকার প্রশ্নই আসে না!
কিন্তু যখন বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করলেন যে মহাবিশ্বের শুরু আছে তখন Nihilistরা নিজেদের আক্বীদা পরিবর্তন করতে বাধ্য হল ।মহাবিশ্বের শুরু থাকায় জন্ম হল কিছু জটিল প্রশ্নের যেমন- "মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে কি ছিল?" "এত Precisely মহাবিস্ফোরণ দ্বারা কিভাবে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হল?" । এই প্রশ্নগুলোর যথার্থ উত্তর দিতে Nihilistরা ব্যর্থ হল ,ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য এরা বিভিন্ন হাইপোথিসিসকে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করল (যেমন-Multiverse Theory) । পরবর্তীতে Nihilistদের মাথায় একের পর এক বাজ পড়তে থাকল যখন Anthropic Conditionগুলো আবিষ্কার হওয়া শুরু করল।
আমি এই পর্বসহ আগামী দুই পর্বে কসমোলজির Anthropic Conditionগুলো নিয়ে আলোচনা করব।এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে মানুষের থেকে শ্রেষ্ঠ কোন ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী যদি মহাবিশ্বে থাকে তবে Anthropism এর মৃত্যু হবে কিন্তু মানুষই যদি অন্য কোন গ্রহে থাকে তাহলে আর Anthropic Principle ভায়োলেট হবে না বরং মডিফিকেশন হবে। তাছাড়া Anthropic Principle ভায়োলেট হলেও আস্তিকতার জন্য সেটা হুমকি হবে না।
এই পর্বে আলোচনা করব আমাদের সৌরজগৎকে নিয়ে। পরবর্তী পর্বগুলোতে যথাক্রমে Einstein's Universe ও Quantum Universe এবং কসমোলজিক্যাল Fine-Tuning নিয়ে আলোচনা করব, ইনশা'আল্লাহ্ ।
আমাদের সৌরজগৎ :-
রাতের বেলা পরিষ্কার আকাশের দিকে তাকালে প্রচুর নক্ষত্র দেখা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল 'এত এত নক্ষত্রের প্রয়োজন কি ছিল ?' অবজারভেশন থেকে সৃষ্ট হাইপোথিসিস অনুযায়ী নক্ষত্রগুলোতে প্রাণের খোঁজ পাওয়াও মুশকিল । এই নক্ষত্রগুলো যদি প্রাণ ধারণ করতে অক্ষমই হয় তাহলে আল্লাহ্ তাআলা শুধু শুধু নক্ষত্রগুলো এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুগুলোকে কেন সৃষ্টি করলেন?এটা কি Meaningless না?
আপনি কোন শহরে গিয়ে যদি দেখেন শত শত বাড়ির মধ্যে শুধু একটা বাড়ি কিংবা আরো কিছু বাড়ি বসবাস করার যোগ্য বাকিগুলো বসবাস করার অযোগ্য আর তাই সেই বাড়িগুলো খালি পড়ে আছে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি ইঞ্জিনিয়ার কিংবা শহরের ডিজাইনারকে দোষ দিবেন এবং বলবেন যে এই খালি বাড়িগুলো সৃষ্টি করে অপচয় করার তো কোন মানে হয় না।
আপাত দৃষ্টিতে শহরের ক্ষেত্রে এই রিজনিং লজিক্যাল মনে হলেও মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে এটা খাটে না। মানুষের ভুল হতে পারে কিন্তু স্রষ্টা ভুল করেন না। মহাজাগতিক বস্তুগুলোকে কোন সায়েন্টিফিক রিজনিং , অবজারভেশন ছাড়া অর্থহীন বলাটা বোকামি । Nihilistরা এই কাজ প্রায়ই করে থাকে।
সায়েন্টিফিক রিজনিং মহাবিশ্বের এই নক্ষত্রগুলো সম্পর্কে কি বলে সেটা জানার আগে Zoom In করে সৌরজগৎ এর দিকে তাকাই। অন্যান্য নক্ষত্রের কথা বাদ দিলাম কিন্তু আমাদের সৌরজগৎ এ প্রাণ ধারণে অক্ষম ৭টা গ্রহ থাকার মানে কি? একটা সূর্য আর আমাদের পৃথিবী থাকলেই তো হত।আর একটা নক্ষত্র অন্তত একটা গ্রহ নিয়ে থাকতে পারে।[২]
যদি আমাদের সৌরজগৎ এর কোন একটা গ্রহকে সরিয়ে দেয়া হয় তাহলে Mathematical Reasoning অনুযায়ী পুরো সোলার সিস্টেম Vulnerable হয়ে যাবে।পৃথিবীর কক্ষপথের আকার আরো উপবৃত্তাকার ধারণ করবে , আর পৃথিবীর প্রায় বৃত্তাকার কক্ষপথের পরিবর্তন হলে পৃথিবী আবহাওয়া অনেক খারাপ হয়ে যাবে।[৩] এককথায় পুরো সোলার সিস্টেমই ভারসাম্যহীন হয়ে যাবে ধীরে ধীরে।
সোলার সিস্টেমে পৃথিবী যদি একা থাকত তাহলে ধুমকেতুর আঘাতে আমাদের পৃথিবী ঝাঝরা হয়ে যেত।প্রায়ই পৃথিবীতে ধুমকেতু আঘাত হানত। কিন্তু আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সৌরজগৎকে ডিফেন্স সিস্টেমসহ সৃষ্টি করেছেন যাতে করে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে আমরা নিদির্ষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপদ থাকি।সৌরজগতের এই ডিফেন্স সিস্টেম তৈরী করেছে বাকিগ্রহগুলো।
১৯৯৪ সালে George Wetherill প্রমাণ করেন যে জুপিটার আমাদের পৃথিবীকে ধুমকেতুর আঘাত থেকে রক্ষা করে চলছে। জুপিটারের গ্রাভিটিশনাল ফোর্স খুব শক্তিশালী কারণ জুপিটার বিশাল বড় এক গ্রহ , এতটাই বিশাল যে জুপিটারের ভিতরে ১,৩২১টা পৃথিবীকে রাখা সম্ভব।জুপিটার তার শক্তিশালী গ্রাভিটি দ্বারা ধুমকেতু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় কিংবা নিজে গ্রহণ করে নেয়। [৪]
এছাড়া মার্স ও জুপিটার, এদের মাঝে থাকা Asteroid Belt এর Asteroidগুলো থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করছে, ভেনাসও কাজ করে যাচ্ছে এদের সাথে । বলা যায় গ্রহগুলো মিলে একধরনের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তৈরী করেছে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য।[৩]
সৌরজগতের গ্রহগুলো আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা কিনা আগামী পর্বে Einstein's Universe সম্পর্কে আলোচনা করলে বুঝতে পারবেন।তবে এখানে যতটুকু আলোচনা করেছি ততটুকু যে বুঝেছে সে কখনো সৌরজগতে ১টার বেশি গ্রহ থাকার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না।
তথ্যসূত্র:-
[১]A Meaningful World By Benjamin Wiker & Jonathan Witt ,Page-148,150
[২]www .popsci .com/science/article/2012-01/new-exoplanet-analysis-determines-planets-are-more-common-stars-milky-way
[৩]The Case for a creator by Lee Stobel ,Chapter-7
[৪] Physics Of The Impossible by Dr. Michio Kaku , Chapter-8 , The Case for a creator by Lee Stobel ,Chapter-7
পরের পর্ব
লেখককে ফলো করুন
|
© 2014 by Ask Islam Bangla.