কাহিনী ৮ --> আল্লাহর ইবাদত নিরাপত্তার চেয়ে প্রিয়
নবুওয়্যাতের দশম বছর পার হতে চলেছে। মক্কায় মুসলিমদের উপর মুশরিকদের অত্যচার সহ্য সীমা অতিক্রম করে ফেলছে। মক্কা থেকে অনেকেই হিজরত করেছে বিভিন্ন নিরাপদ লোকালয়ে। এত অত্যাচারের মাঝেও মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে থেকে গেছেন আবু বকর (রাঃ)। কিন্তু, এবার ভেঙ্গে পড়েছেন আবু বকর (রাঃ)। যে মক্কায় তিনি বেড়ে উঠেছেন, যেখানে তিনি জীবনের পঞ্চাশটি বছর কাটিয়ে দিয়েছেন, যেখানে আছে আত্মীয়-স্বজন, গড়ে তুলেছেন নিজের পরিবার, পেয়েছেন ইসলামের দিশা; মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে সে জায়গাটি ত্যাগ করার অনুমতি চাইলেন তিনি। কতটা অত্যাচারিত হলে আবু বকর (রাঃ) এর মত মানুষ হিজরতের অনুমতি চাইতে পারেন ভাবুন! আবু বকর (রাঃ) এর অবস্থা বুঝতে পেরে মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁকে হিজরতের অনুমতি দিলেন।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে আবিসিনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)। তপ্ত-উষর-প্রাণহীন মরুভূমির পথে এক দিন চলার পর তাঁর সাথে দেখা হলো ইবনু আদ-দাগিনা'র। কে এই ইবনু আদ-দাগিনা? ইবনু আদ-দাগিনা কুরাইশ বংশের ছিলো না বরং মক্কায় বসবাসকারী অন্য এক গোত্রের বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলো। প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারিত হবার পর থেকে সে এর ঘোর বিরোধী ছিল, মক্কাবাসীর ইসলামগ্রহণকে সে দু'চোখে দেখতে পারত না। ইতিহাস বলে যে, সে কখনোই ইসলাম গ্রহণ করে নি। যখন এমন এক ব্যক্তি আবু বকর (রাঃ) মরুভূমির পথে দেখতে পেলো তখন কি করলো সে?
আবু বকর (রাঃ) কে দেখতে পেয়ে ইবনু আদ-দাগিনা জিজ্ঞাসা করলো, 'হে আবু বকর! তুমি কোথায় যাচ্ছ?' আবু বকর (রাঃ) জবাবে বললেন যে, তিনি আবিসিনিয়ায় চলে যাচ্ছেন। একথা শোনার পর ইবনু আদ-দাগিনা আবু বকর (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলে যা থেকে আমাদের জন্য শেখার মত অনেক কিছু রয়েছে।
ইবনু আদ-দাগিনা বলে,
"তোমার মত ব্যক্তির উচিত নয় আমাদের সমাজকে ছেড়ে চলে যাওয়া, এমনকি আমাদের উচিত নয় তোমরা চাইলেও তোমাদের যেতে দেওয়া। কারণ-
(১) তুমি এমন এক ব্যক্তি যাকে আমি সবসময় গরীব-দুঃস্থদের পাশে দেখেছি
(২) তুমি এমন এক ব্যক্তি যে কি না তার পরিবারের প্রতি যত্নশীল, পরিবার গঠনে আমাদের অনুসরণীয় আদর্শ
(৩) তুমি সবসময় ভেঙ্গে পড়া মানুষদের উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছো
(৪) আমি তোমাকে সবসময় সমাজের ভালো কাজগুলোতে আগ্রগণি ব্যক্তি হিসেবে পেয়েছি।
তোমাদের মত ব্যক্তি যদি এ সমাজ ছেড়ে চলে যায় তবে সমাজটা খারাপ মানুষ দ্বারা পূর্ণ হয়ে যাবে, ভালো কাজ করার মত কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।"
একথা বলে ইবনু আদ-দাগিনা আবু বকর (রাঃ) কে মক্কায় ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। ইতোমধ্যে সকলে জেনে গিয়েছিলো যে, আবু বকর (রাঃ) মক্কা ছেড়ে চলে গেছেন। তাই ইবনু আদ-দাগিনার সাথে তাঁকে মক্কায় ফিরে আসতে দেখে সকলে বেশ অবাক হলো। ইবনু আদ-দাগিনা সরাসরি তাঁকে নিয়ে কা'বা ঘরের সামনে গেলেন যেখানে মক্কার প্রায় সকল নেতা উপস্থিত ছিল। এমন কিছু ব্যক্তিও ছিলো যারা আবু বকর (রাঃ) কে আঘাত করে মেরে ফেলার মত উপক্রম করেছিলো, এমনকি তাদের আঘাতের ক্ষত চিহ্ন তাঁর মুখমন্ডলে আজীবন বিরাজ করেছিলো। এমন এক জায়গায় ইবনু আদ-দাগিনা ঘোষণা করলো,
"তোমরা জানো আমি কে এবং আমার ক্ষমতা কতটুকু। আমি, ইবনু আদ-দাগিনা সকলের সামনে আবু বকরের নিরাপত্তা প্রদান করছি। জেনে রেখো, আবু বকরের সম্মানহানি অর্থ আমার সম্মানহানি। কেউ যদি আবু বকরের কোন সমস্যা করো, তবে সে আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে!"
ইবনু দাগিনার আশ্রয়দান কুরাইশগণ মেনে নিল, এবং তারা ইবনু দাগিনাকে বলল, "তুমি আবূ বকরকে বলে দাও, তিনি যেন তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরে করেন। সালাত (নামায/নামাজ) তথায়ই আদায় করেন, ইচ্ছা মাফিক কুরাআন তিলাওয়াত করেন। কিন্তু এর দ্বারা আমাদের যেন কষ্ট না দেন। আর এসব যেন প্রকাশ্যে না করেন। কেননা, আমরা আমাদের মেয়েদের ও ছেলেদের ফিত্নায় পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করি।"
ইবনু দাগিনা আবূ বকরকে (রাঃ)-কে এসব কথা বলে দিলেন। সে মতে কিছুকাল আবূ বকর (রাঃ) নিজের ঘরে তাঁর রবের ইবাদত করতে লাগলেন। সালাত (নামায/নামাজ) প্রকাশ্যে আদায় করতেন না এবং ঘরেই কোরআন তিলওয়াত করতেন। এরপর আবূ বকরের মনে(একটি মসজিদ নির্মাণের কথা) উদিত হল। তাই তিনি তাঁর ঘরের পাশেই একটি মসজিদ তৈরী করে নিলেন। এতে তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে এবং কোরআন তিলওয়াত করতেন। এতে তার কাছে মুশরিক মহিলা ও যুবকগণ ভীড় জমাতে লাগল। তারা আবূ বকর (রাঃ)-এর একাজে বিস্মিত হত এবং তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকত।
আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন একজন ক্রন্দনশীল ব্যাক্তি, তিনি যখন কুরআন পড়তের তখন তাঁর চোখের অশ্রু সামলিয়ে রাখতে পারতেন না। এ ব্যাপারটি মুশরিকদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের আতঙ্কিত করে তুলল এবং তারা ইবনু দাগিনাকে ডেকে পাঠান। সে এল। তারা তাকে বলল, "তোমার আশ্রয় প্রদানের কারণে আমরাও আবূ বকর কে আশ্রয় দিয়েছিলাম, এই শর্তে যে, তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরে করবেন কিন্তু সে শর্ত তিনি লংঘন করেছেন। আমাদের ভয় হচ্ছে, আমাদের মহিলা ও সন্তানরা ফিতনায় পড়ে যাবে। কাজেই তুমি তাঁকে নিষেধ করে দাও। তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর গৃহে সীমাবদ্ধ রাখতে পছন্দ করলে, তিনি তা করতে পারেন। আর যদি তিনি তা অস্বীকার করে প্রকাশ্যে তা করতে চান তবে তাঁকে তোমার আশ্রয় প্রদান ও দায় দায়িত্বকে প্রত্যার্পণ করতে বল। আমরা তোমার আশ্রয় প্রদানের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা করাকে অত্যন্ত অপছন্দ করি, আবার আবূ বকরকেও এভাবে প্রকাশ্যে ইবাদত করার জন্য ছেড়ে দিতে পারিনা।"
ইবনু দাগিনা এসে আবূ বকর (রাঃ)-কে বলল, "আপনি অবশ্যই জানেন যে, কী শর্তে আমি আপনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলাম। আপনি হয়ত তাতে সীমিত থাকবেন অন্যথায় আমার জিম্মাদারী আমাকে ফিরত দিবেন। আমি এ কথা আদৌ পছন্দ করিনা যে আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ এবং আমার আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যাক্তির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অপবাদ আরববাসীর নিকট প্রকাশিত হউক।"
আবূ বকর (রাঃ) তাকে বললেন, "আমি তোমার আশ্রয় তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। আমি আমার আল্লাহর আশ্রয়ের উপরই সন্তুষ্ট আছি।"
MMM-2.14
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে আবিসিনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)। তপ্ত-উষর-প্রাণহীন মরুভূমির পথে এক দিন চলার পর তাঁর সাথে দেখা হলো ইবনু আদ-দাগিনা'র। কে এই ইবনু আদ-দাগিনা? ইবনু আদ-দাগিনা কুরাইশ বংশের ছিলো না বরং মক্কায় বসবাসকারী অন্য এক গোত্রের বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলো। প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারিত হবার পর থেকে সে এর ঘোর বিরোধী ছিল, মক্কাবাসীর ইসলামগ্রহণকে সে দু'চোখে দেখতে পারত না। ইতিহাস বলে যে, সে কখনোই ইসলাম গ্রহণ করে নি। যখন এমন এক ব্যক্তি আবু বকর (রাঃ) মরুভূমির পথে দেখতে পেলো তখন কি করলো সে?
আবু বকর (রাঃ) কে দেখতে পেয়ে ইবনু আদ-দাগিনা জিজ্ঞাসা করলো, 'হে আবু বকর! তুমি কোথায় যাচ্ছ?' আবু বকর (রাঃ) জবাবে বললেন যে, তিনি আবিসিনিয়ায় চলে যাচ্ছেন। একথা শোনার পর ইবনু আদ-দাগিনা আবু বকর (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলে যা থেকে আমাদের জন্য শেখার মত অনেক কিছু রয়েছে।
ইবনু আদ-দাগিনা বলে,
"তোমার মত ব্যক্তির উচিত নয় আমাদের সমাজকে ছেড়ে চলে যাওয়া, এমনকি আমাদের উচিত নয় তোমরা চাইলেও তোমাদের যেতে দেওয়া। কারণ-
(১) তুমি এমন এক ব্যক্তি যাকে আমি সবসময় গরীব-দুঃস্থদের পাশে দেখেছি
(২) তুমি এমন এক ব্যক্তি যে কি না তার পরিবারের প্রতি যত্নশীল, পরিবার গঠনে আমাদের অনুসরণীয় আদর্শ
(৩) তুমি সবসময় ভেঙ্গে পড়া মানুষদের উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছো
(৪) আমি তোমাকে সবসময় সমাজের ভালো কাজগুলোতে আগ্রগণি ব্যক্তি হিসেবে পেয়েছি।
তোমাদের মত ব্যক্তি যদি এ সমাজ ছেড়ে চলে যায় তবে সমাজটা খারাপ মানুষ দ্বারা পূর্ণ হয়ে যাবে, ভালো কাজ করার মত কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।"
একথা বলে ইবনু আদ-দাগিনা আবু বকর (রাঃ) কে মক্কায় ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। ইতোমধ্যে সকলে জেনে গিয়েছিলো যে, আবু বকর (রাঃ) মক্কা ছেড়ে চলে গেছেন। তাই ইবনু আদ-দাগিনার সাথে তাঁকে মক্কায় ফিরে আসতে দেখে সকলে বেশ অবাক হলো। ইবনু আদ-দাগিনা সরাসরি তাঁকে নিয়ে কা'বা ঘরের সামনে গেলেন যেখানে মক্কার প্রায় সকল নেতা উপস্থিত ছিল। এমন কিছু ব্যক্তিও ছিলো যারা আবু বকর (রাঃ) কে আঘাত করে মেরে ফেলার মত উপক্রম করেছিলো, এমনকি তাদের আঘাতের ক্ষত চিহ্ন তাঁর মুখমন্ডলে আজীবন বিরাজ করেছিলো। এমন এক জায়গায় ইবনু আদ-দাগিনা ঘোষণা করলো,
"তোমরা জানো আমি কে এবং আমার ক্ষমতা কতটুকু। আমি, ইবনু আদ-দাগিনা সকলের সামনে আবু বকরের নিরাপত্তা প্রদান করছি। জেনে রেখো, আবু বকরের সম্মানহানি অর্থ আমার সম্মানহানি। কেউ যদি আবু বকরের কোন সমস্যা করো, তবে সে আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে!"
ইবনু দাগিনার আশ্রয়দান কুরাইশগণ মেনে নিল, এবং তারা ইবনু দাগিনাকে বলল, "তুমি আবূ বকরকে বলে দাও, তিনি যেন তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরে করেন। সালাত (নামায/নামাজ) তথায়ই আদায় করেন, ইচ্ছা মাফিক কুরাআন তিলাওয়াত করেন। কিন্তু এর দ্বারা আমাদের যেন কষ্ট না দেন। আর এসব যেন প্রকাশ্যে না করেন। কেননা, আমরা আমাদের মেয়েদের ও ছেলেদের ফিত্নায় পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করি।"
ইবনু দাগিনা আবূ বকরকে (রাঃ)-কে এসব কথা বলে দিলেন। সে মতে কিছুকাল আবূ বকর (রাঃ) নিজের ঘরে তাঁর রবের ইবাদত করতে লাগলেন। সালাত (নামায/নামাজ) প্রকাশ্যে আদায় করতেন না এবং ঘরেই কোরআন তিলওয়াত করতেন। এরপর আবূ বকরের মনে(একটি মসজিদ নির্মাণের কথা) উদিত হল। তাই তিনি তাঁর ঘরের পাশেই একটি মসজিদ তৈরী করে নিলেন। এতে তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে এবং কোরআন তিলওয়াত করতেন। এতে তার কাছে মুশরিক মহিলা ও যুবকগণ ভীড় জমাতে লাগল। তারা আবূ বকর (রাঃ)-এর একাজে বিস্মিত হত এবং তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকত।
আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন একজন ক্রন্দনশীল ব্যাক্তি, তিনি যখন কুরআন পড়তের তখন তাঁর চোখের অশ্রু সামলিয়ে রাখতে পারতেন না। এ ব্যাপারটি মুশরিকদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের আতঙ্কিত করে তুলল এবং তারা ইবনু দাগিনাকে ডেকে পাঠান। সে এল। তারা তাকে বলল, "তোমার আশ্রয় প্রদানের কারণে আমরাও আবূ বকর কে আশ্রয় দিয়েছিলাম, এই শর্তে যে, তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরে করবেন কিন্তু সে শর্ত তিনি লংঘন করেছেন। আমাদের ভয় হচ্ছে, আমাদের মহিলা ও সন্তানরা ফিতনায় পড়ে যাবে। কাজেই তুমি তাঁকে নিষেধ করে দাও। তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর গৃহে সীমাবদ্ধ রাখতে পছন্দ করলে, তিনি তা করতে পারেন। আর যদি তিনি তা অস্বীকার করে প্রকাশ্যে তা করতে চান তবে তাঁকে তোমার আশ্রয় প্রদান ও দায় দায়িত্বকে প্রত্যার্পণ করতে বল। আমরা তোমার আশ্রয় প্রদানের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা করাকে অত্যন্ত অপছন্দ করি, আবার আবূ বকরকেও এভাবে প্রকাশ্যে ইবাদত করার জন্য ছেড়ে দিতে পারিনা।"
ইবনু দাগিনা এসে আবূ বকর (রাঃ)-কে বলল, "আপনি অবশ্যই জানেন যে, কী শর্তে আমি আপনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলাম। আপনি হয়ত তাতে সীমিত থাকবেন অন্যথায় আমার জিম্মাদারী আমাকে ফিরত দিবেন। আমি এ কথা আদৌ পছন্দ করিনা যে আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ এবং আমার আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যাক্তির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অপবাদ আরববাসীর নিকট প্রকাশিত হউক।"
আবূ বকর (রাঃ) তাকে বললেন, "আমি তোমার আশ্রয় তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। আমি আমার আল্লাহর আশ্রয়ের উপরই সন্তুষ্ট আছি।"
MMM-2.14
© 2016 by Ask Islam Bangla.