কাহিনী ২--> ১০০ খুন করা সেই পাপীর তওবা
বনি ইসরাইলের একজন লোক ছিল যে ৯৯ টি মানুষকে হত্যা করেছিল। সে তওবা করার চিন্তাভাবনা করছিল। তাই সে একজন আবিদের কাছে গেল। [আবিদ ও আলেম এর মধ্যে পার্থক্য আছে। আবিদ মানে যিনি সৎ ও সরল পথের উপর আছেন কিন্তু তার ভিতর জ্ঞান (শরীয়তের গভীর জ্ঞান) নেই, যেটা একজন আলেমের আছে]
সেই লোকটি এই আবিদকে বলল, "আমি ৯৯ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"
আবিদ যখন এটা শুনলেন তখন বললেন যে, "তুমি ৯৯ টা লোককে খুন করেছ! আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা কিছুতেই তোমাকে ক্ষমা করবেন না!।"
এখন সেই লোকটা আবিদকে খুন করে ফেলল!!
[এই লোকটির কাছে মানুষ হত্যা করা এতটাই সহজ, পানির মত। তার সাথে তার মতের মিল হয়নি বলে সে তাকে (আবিদ) মেরে ফেলল! সে তার ফতোয়া পছন্দ করেনি বলে তাকে মেরেই ফেলল!]
এরপরও সে তওবা করার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। তার অন্তরের ভিতর কিছু অংশ হলেও ভাল ছিল। সুতরাং এ সময়ে সে খোঁজ করলো যে কাকে জিজ্ঞাসা করা যায়, সে জানতে পারলো এক আলেম এর কথা।
সে সেই আলেমের কাছে গেল এবং বললো, "আমি ১০০ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"
কিন্তু এই আলেম তাকে বললেন, "হ্যাঁ, তোমার আশা আছে! তুমি যদি তওবা কর তাহলে আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন যদিওবা তুমি ১০০ টি লোককে হত্যা করেছ। যদি আল্লাহ তোমার জন্য তওবার দরজা খুলে রাখেন তবে কে তোমাকে তা থেকে প্রতিরোধ করবে?" {যদিওবা এই লোকটি ১০০ টা মানুষকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তার তওবা করাতে খুশি হবেন।}
কিন্তু আলেমের ফতোয়া এখানেই শেষ হয়না তিনি আরও বলেন, "তোমাকে এই শহরের ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। এইটা হল খারাপ একটা শহর, আমি চাই যে তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে যাও যেখানে এমন সব লোকেরা রয়েছে যারা আল্লাহর ইবাদত করে ফলে তুমি তাদের সাথে ইবাদত করতে পারবে।"
আলেম বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই লোকটি যতক্ষণ এই শহরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাপ কাজ করতেই থাকবে যদিওবা সে তওবা করে! কারণ সে খুন করার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গেছে, ঠিক একজন ড্রাগ অ্যাডিক্টের (নেশাখোরের) মত। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি সেই একই পরিবেশ, একই সঙ্গ, একই গ্রুপের মধ্যে থাকবে যদিওবা সেই ব্যক্তি তওবাও করে তার পরও সে একই কাজ করতে থাকবে। তাকে পরিবেশ বদলাতে হবে, কারণ তার চারপাশের সবকিছু সেই নেশার সাথে সম্পর্কিত। যখনই ড্রাগ ডিলার, যার কাছ থেকে সে ড্রাগ কিনতো, তার সাথে সাক্ষাৎ হলে সেটা ড্রাগের কথা মনে করিয়ে দিবে, যে বন্ধুর সাথে নেশা করা হত তার সাথে দেখা হলে ড্রাগের কথা মনে পড়বে। একই ঘটনা ঘটে যারা মদ খায়। তারা পাব (Pub) দেখলে, মদের বোতল দেখলেই মদ খাওয়ার কথা মনে পড়ে। তাই এসব থেকে দূরে থাকতে হলে এসবের পরিবেশ থেকে দূরে থাকতে হবে। সে কারণেই আলেম সেই খুনিকে বললেন তার শহর থেকে চলে গিয়ে অন্য শহরে ভাল লোকদের সাথে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালার ইবাদত করতে। ভাল লোকদের সংস্পর্শে থাকলে সেটা আপনাকে ভাল কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। বিপরীতভাবে, খারাপ সঙ্গে থাকলে সেটা আপনার পতন ঘটাবে।
মুহাম্মাদ (স) বলেন, “যদি তুমি একজন কামারের পাশে বসে থাক তবে তোমার গা দিয়ে কামারের মত গন্ধ বের হবে। আর যদি তুমি সেই লোকের পাশে বস যে কস্তুর বিক্রি করে তাহলে তুমি তার সুবাস কিছুটা শোষণ করে নেবে।” অর্থাৎ যদিওবা আমরা একটি কাজের সাথে জড়িত নাও থাকি কিন্তু ঐ পরিবেশে থাকার কারণে আমরা সেই গন্ধটা নিজের মধ্যে নিয়ে নেব, সেটা আমাদের অনিচ্ছা স্বত্তেও হবে। তাই আমাদের উচিৎ সর্বদা ভাল মানুষের সংস্পর্শে থাকা। পরিবেশের একটা বিরাট প্রভাব এসব ক্ষেত্রে আছে।
তাই সেই আলেম তাকে তার শহর থেকে অন্য শহরে যেতে বলেছিলেন। তার কথা মত সেই লোক অন্য শহরের দিকে রওনা দিল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছেমাফিক, সেই লোকটি সেই শহরে পৌছানোর আগেই মারা গেল।
যখন সে মারা গেল, তখন মৃত্যুর ফেরেস্তারা তার রূহ কবজ করার জন্য আসলেন। যখন একজন ভাল লোক মারা যায় তখন রহমতের ফেরেস্তা তার রূহ কবজ করতে আসেন আর যখন একজন খারাপ লোক মারা যায় তখন শাস্তির ফেরেস্তা তার রূহ কবজ করতে আসেন। কিন্তু যেহেতু এই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিলনা, তাই দুই ধরণের ফেরেস্তাদের দলই আসলেন তার রূহ কবজ করার জন্য!! এবং সেখানে একটা বিতর্ক জন্ম নিল!!
শাস্তির ফেরেস্তা বললেন, এই লোক আমাদের, কারণ সে এখনো তওবা করেনি/কবুল হয়নি! তার সদিচ্ছা ছিল কিন্তু সে সেখানে (অন্য শহরে) পৌছুতে পারেনি। রহমতের ফেরেস্তা বললেন, না, সে তওবা করেছে এবং সে সেই শহরে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে দিয়েছে! তো দুই দলের ফেরেস্তারাই বিতর্ক করছিল যে কারা সেই ব্যক্তির রূহ নিবে।
তাই আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা এই বিতর্ক দূর করার জন্য তাদের কাছে আরেকজন ফেরেস্তা পাঠালেন। তিনি তাঁদের বললেন, সে যেখানে মারা গিয়েছে সেখান থেকে উভয় শহরেরই দূরত্ব পরিমাপ কর। যদি তোমরা তাকে তার নিজের শহরের কাছে পাও তবে সে জাহান্নামী আর যদি সে অন্য শহরের (ভাল লোকদের) নিকটবর্তী হয় তবে সে জান্নাতী!
মুহাম্মাদ (স) বলেন, “প্রকৃতপক্ষে সে নিজের শহরের নিকটবর্তী ছিল!!” তাহলে তার স্থান কোথায় হবে? জাহান্নাম!!
কিন্তু মুহাম্মাদ (স) বলেন, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা জমিনকে নির্দেশ দেন, তার (লোকটা) এবং তার নিজের শহরের মধ্যকার দূরত্বকে বিস্তৃত করার এবং তার (লোকটা) ও অন্য শহর (ভাল লোকদের) মধ্যকার দূরত্বকে সংকুচিত করার!! [অর্থাৎ তাঁর দেহ মনে হবে ভাল শহরের কাছে, কিন্তু সে মারা গেছে নিজের শহরের কাছে]
যখন ফেরেস্তারা মাপতে আসলেন তখন তারা সেই ব্যক্তিকে অন্য শহরের (ভাল লোকদের) দিকে নিকটবর্তীরূপে পেলেন এবং আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা তাকে ক্ষমা করলেন এবং তাকে জান্নাতবাসী করলেন। [সুবহানাল্লাহ]
{সহিহ বুখারি হাদিস নং ৩৪৭০, বই নং ৬০ এর ১৩৭, USC-MSA web (English) reference সহিহ বুখারি Vol. 4, Book 55, Hadith 676}
আল্লাহ যদি চাইতেন তাহলে তিনি ঐ ব্যক্তিকে ভাল শহরের নিকটে মৃত্যু দিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি কেন তাকে তার নিজের শহরের দিকে বেশি নিকটবর্তী করে মৃত্যু দিলেন? কারণ, তিনি আমাদের দেখাতে চেয়েছেন যে তিনি কতটা আগ্রহের সাথে ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করতে চান। আমাদের শুধু আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তওবা করতে হবে।
কিন্তু, সেই তওবা হতে হবে মন থেকে। পুনরায় সেই পাপ না করার দৃঢ়তা নিয়ে।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে রাখুন। আমিন।
AIM-2.12
সেই লোকটি এই আবিদকে বলল, "আমি ৯৯ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"
আবিদ যখন এটা শুনলেন তখন বললেন যে, "তুমি ৯৯ টা লোককে খুন করেছ! আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা কিছুতেই তোমাকে ক্ষমা করবেন না!।"
এখন সেই লোকটা আবিদকে খুন করে ফেলল!!
[এই লোকটির কাছে মানুষ হত্যা করা এতটাই সহজ, পানির মত। তার সাথে তার মতের মিল হয়নি বলে সে তাকে (আবিদ) মেরে ফেলল! সে তার ফতোয়া পছন্দ করেনি বলে তাকে মেরেই ফেলল!]
এরপরও সে তওবা করার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। তার অন্তরের ভিতর কিছু অংশ হলেও ভাল ছিল। সুতরাং এ সময়ে সে খোঁজ করলো যে কাকে জিজ্ঞাসা করা যায়, সে জানতে পারলো এক আলেম এর কথা।
সে সেই আলেমের কাছে গেল এবং বললো, "আমি ১০০ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"
কিন্তু এই আলেম তাকে বললেন, "হ্যাঁ, তোমার আশা আছে! তুমি যদি তওবা কর তাহলে আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন যদিওবা তুমি ১০০ টি লোককে হত্যা করেছ। যদি আল্লাহ তোমার জন্য তওবার দরজা খুলে রাখেন তবে কে তোমাকে তা থেকে প্রতিরোধ করবে?" {যদিওবা এই লোকটি ১০০ টা মানুষকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তার তওবা করাতে খুশি হবেন।}
কিন্তু আলেমের ফতোয়া এখানেই শেষ হয়না তিনি আরও বলেন, "তোমাকে এই শহরের ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। এইটা হল খারাপ একটা শহর, আমি চাই যে তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে যাও যেখানে এমন সব লোকেরা রয়েছে যারা আল্লাহর ইবাদত করে ফলে তুমি তাদের সাথে ইবাদত করতে পারবে।"
আলেম বুঝতে পেরেছিলেন যে, এই লোকটি যতক্ষণ এই শহরে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে পাপ কাজ করতেই থাকবে যদিওবা সে তওবা করে! কারণ সে খুন করার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গেছে, ঠিক একজন ড্রাগ অ্যাডিক্টের (নেশাখোরের) মত। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি সেই একই পরিবেশ, একই সঙ্গ, একই গ্রুপের মধ্যে থাকবে যদিওবা সেই ব্যক্তি তওবাও করে তার পরও সে একই কাজ করতে থাকবে। তাকে পরিবেশ বদলাতে হবে, কারণ তার চারপাশের সবকিছু সেই নেশার সাথে সম্পর্কিত। যখনই ড্রাগ ডিলার, যার কাছ থেকে সে ড্রাগ কিনতো, তার সাথে সাক্ষাৎ হলে সেটা ড্রাগের কথা মনে করিয়ে দিবে, যে বন্ধুর সাথে নেশা করা হত তার সাথে দেখা হলে ড্রাগের কথা মনে পড়বে। একই ঘটনা ঘটে যারা মদ খায়। তারা পাব (Pub) দেখলে, মদের বোতল দেখলেই মদ খাওয়ার কথা মনে পড়ে। তাই এসব থেকে দূরে থাকতে হলে এসবের পরিবেশ থেকে দূরে থাকতে হবে। সে কারণেই আলেম সেই খুনিকে বললেন তার শহর থেকে চলে গিয়ে অন্য শহরে ভাল লোকদের সাথে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালার ইবাদত করতে। ভাল লোকদের সংস্পর্শে থাকলে সেটা আপনাকে ভাল কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। বিপরীতভাবে, খারাপ সঙ্গে থাকলে সেটা আপনার পতন ঘটাবে।
মুহাম্মাদ (স) বলেন, “যদি তুমি একজন কামারের পাশে বসে থাক তবে তোমার গা দিয়ে কামারের মত গন্ধ বের হবে। আর যদি তুমি সেই লোকের পাশে বস যে কস্তুর বিক্রি করে তাহলে তুমি তার সুবাস কিছুটা শোষণ করে নেবে।” অর্থাৎ যদিওবা আমরা একটি কাজের সাথে জড়িত নাও থাকি কিন্তু ঐ পরিবেশে থাকার কারণে আমরা সেই গন্ধটা নিজের মধ্যে নিয়ে নেব, সেটা আমাদের অনিচ্ছা স্বত্তেও হবে। তাই আমাদের উচিৎ সর্বদা ভাল মানুষের সংস্পর্শে থাকা। পরিবেশের একটা বিরাট প্রভাব এসব ক্ষেত্রে আছে।
তাই সেই আলেম তাকে তার শহর থেকে অন্য শহরে যেতে বলেছিলেন। তার কথা মত সেই লোক অন্য শহরের দিকে রওনা দিল। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছেমাফিক, সেই লোকটি সেই শহরে পৌছানোর আগেই মারা গেল।
যখন সে মারা গেল, তখন মৃত্যুর ফেরেস্তারা তার রূহ কবজ করার জন্য আসলেন। যখন একজন ভাল লোক মারা যায় তখন রহমতের ফেরেস্তা তার রূহ কবজ করতে আসেন আর যখন একজন খারাপ লোক মারা যায় তখন শাস্তির ফেরেস্তা তার রূহ কবজ করতে আসেন। কিন্তু যেহেতু এই ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিলনা, তাই দুই ধরণের ফেরেস্তাদের দলই আসলেন তার রূহ কবজ করার জন্য!! এবং সেখানে একটা বিতর্ক জন্ম নিল!!
শাস্তির ফেরেস্তা বললেন, এই লোক আমাদের, কারণ সে এখনো তওবা করেনি/কবুল হয়নি! তার সদিচ্ছা ছিল কিন্তু সে সেখানে (অন্য শহরে) পৌছুতে পারেনি। রহমতের ফেরেস্তা বললেন, না, সে তওবা করেছে এবং সে সেই শহরে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়ে দিয়েছে! তো দুই দলের ফেরেস্তারাই বিতর্ক করছিল যে কারা সেই ব্যক্তির রূহ নিবে।
তাই আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা এই বিতর্ক দূর করার জন্য তাদের কাছে আরেকজন ফেরেস্তা পাঠালেন। তিনি তাঁদের বললেন, সে যেখানে মারা গিয়েছে সেখান থেকে উভয় শহরেরই দূরত্ব পরিমাপ কর। যদি তোমরা তাকে তার নিজের শহরের কাছে পাও তবে সে জাহান্নামী আর যদি সে অন্য শহরের (ভাল লোকদের) নিকটবর্তী হয় তবে সে জান্নাতী!
মুহাম্মাদ (স) বলেন, “প্রকৃতপক্ষে সে নিজের শহরের নিকটবর্তী ছিল!!” তাহলে তার স্থান কোথায় হবে? জাহান্নাম!!
কিন্তু মুহাম্মাদ (স) বলেন, আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা জমিনকে নির্দেশ দেন, তার (লোকটা) এবং তার নিজের শহরের মধ্যকার দূরত্বকে বিস্তৃত করার এবং তার (লোকটা) ও অন্য শহর (ভাল লোকদের) মধ্যকার দূরত্বকে সংকুচিত করার!! [অর্থাৎ তাঁর দেহ মনে হবে ভাল শহরের কাছে, কিন্তু সে মারা গেছে নিজের শহরের কাছে]
যখন ফেরেস্তারা মাপতে আসলেন তখন তারা সেই ব্যক্তিকে অন্য শহরের (ভাল লোকদের) দিকে নিকটবর্তীরূপে পেলেন এবং আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা তাকে ক্ষমা করলেন এবং তাকে জান্নাতবাসী করলেন। [সুবহানাল্লাহ]
{সহিহ বুখারি হাদিস নং ৩৪৭০, বই নং ৬০ এর ১৩৭, USC-MSA web (English) reference সহিহ বুখারি Vol. 4, Book 55, Hadith 676}
আল্লাহ যদি চাইতেন তাহলে তিনি ঐ ব্যক্তিকে ভাল শহরের নিকটে মৃত্যু দিতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি কেন তাকে তার নিজের শহরের দিকে বেশি নিকটবর্তী করে মৃত্যু দিলেন? কারণ, তিনি আমাদের দেখাতে চেয়েছেন যে তিনি কতটা আগ্রহের সাথে ঐ ব্যক্তিকে ক্ষমা করতে চান। আমাদের শুধু আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তওবা করতে হবে।
কিন্তু, সেই তওবা হতে হবে মন থেকে। পুনরায় সেই পাপ না করার দৃঢ়তা নিয়ে।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে রাখুন। আমিন।
AIM-2.12
© 2013 by Ask Islam Bangla.