গল্প ১৩ --> সুসংবাদ
লোকটা কি যেন বলতে চাচ্ছিল সাকিবকে। ও খুব একটা গুরুত্ব দেয় নি। বোঝা যাচ্ছে, সে নিজে যদি আগ্রহী না হয়, লোকটা কিছু বলবে না তাকে। কেমন জানি মায়া জড়ানো হাসি লোকটার মুখে। চেহারায় কিসের যেন ঔজ্জ্বল্য দীপ্তি ছড়াচ্ছে।
- আমাকে কি কিছু বলবেন?
- হ্যাঁ, তোমাকে বলার জন্যে এসেছি আমি! যদি অনুমতি দাও।
- জ্বী আচ্ছা, বলুন প্লিজ!
- একটা সু-খবর তোমার জন্যে।
লোকটার কথায় হৃদ্যতার ছাপ। সাকিবের চোখেমুখে উৎফুল্লতা।
- আচ্ছা তাইই!? বলুন না প্লিজ!
- জানো, তোমার জন্যে নবীজি দু’আ করেছেন।
- বলেন কী! আলহামদুলিল্লাহ!!
সাকিব নবীজিকে [সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দেখেনি কখনো। কিন্তু প্রাণভরে ভালোবাসে তাঁকে। সেই নবীজি তার জন্যে দু’আ করেছেন! কিভাবে সম্ভব? ভাবতে ভাবতে গণ্ডদেশ বেয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে।
- অবাক হচ্ছো? আসলেই দু’আ করেছেন তোমার জন্যে।
- আচ্ছা, বলুন না প্লিজ, কিসের দু’আ করেছেন আমার নবীজি?
- বলেছেন, ‘আল্লাহ তাঁকে রহম করুন’।
সাকিবের চোখ আরো দুই ফোঁটা গরম জল বিসর্জন দিলো। মনে মনে বললো,
আহ! কি সৌভাগ্য আমার!
আমার জন্যে নবীজি দু’আ করেছেন!
তাও আবার আল্লাহর রহমতের!
এবার সম্বিৎ ফিরে পেয়ে লোকটার দিকে তাকালো আবার।
- আচ্ছা, আমাকে পুরো বিষয়টা একটু খুলে বলুন না!
- খুব বেশি কিছু না, যা বলেছি তাই। তবে একটা শর্ত দিয়েছেন নবীজি।
- কী শর্ত? বলুন প্লিইইইজ!
- তোমাকে আসরের সলাতের আগে চার রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করতে হবে। বাস!
- এইটুকুই? সত্যিই? এইটুকু শর্তেই নবীজি আমার জন্যে দু’আ করেছেন?
- হ্যাঁ! বিশ্বাস না হলে দ্যাখো:
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً صَلَّى قَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعًا
সাকিব হাদিসটা অনুবাদ করলো:
ইবন ‘উমার (রদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে রহম করুন, যে আসরের (ফরয) সলাতের আগে চার রাকাত (সুন্নাত) আদায় করে। [মুসনাদ আহমাদ, সুনান তিরমিযী, আবূ দাঊদ]
- আচ্ছা, হাদিসটা কেমন?
- হাসান হাদিস।
খুশিতে চিৎকার করে উঠতেই সাকিবের ঘুম ভেঙে গেলো।
আসরের আযান হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। নাহ, অনেক হেলায়-খেলায় সে কেবল ফরয সলাতের আগে তাড়াহুড়ো করে ছুটে গিয়েছে এতদিন। সুন্নাত সলাতের প্রতি একদম মনোযোগ ছিলো না। আজকে তাত্তাড়ি ওদ্বূ সেরে ফেললো।
মাসজিদের দিকে যাচ্ছে ও।
মনটা বেশ ফুরফুরে।
ও এখন থেকে এই চার রাকাত কোনভাবেই মিস করবে না।
ওর জন্যে যে রাসূলুল্লাহ নিজে দু’আ করেছেন!
তাও আবার ‘আল্লাহ রহম করুন’ বলে!
আল্লাহর রহমত পাওয়ার এই নিশ্চিত সুযোগটা সে হাতছাড়া করবে কেনো?
ও মনে মনে আল্লাহর কাছে দু’আ করে, আল্লাহ যেন তার এ প্রচেষ্টায় বারাকাহ ঢেলে দেন। ততক্ষণে মাসজিদের কাছাকাছি চলে এসেছে। তারপর সন্তর্পণে দাঁড়িয়ে গেলো প্রিয়তম প্রভূর সামনে... ও যে আল্লাহর রহমতের ভিখারী! আল্লাহ রহমত-ই যে ওর একমাত্র সম্বল!
Abdullah Mahmud Nazib
LTA-10.192
- আমাকে কি কিছু বলবেন?
- হ্যাঁ, তোমাকে বলার জন্যে এসেছি আমি! যদি অনুমতি দাও।
- জ্বী আচ্ছা, বলুন প্লিজ!
- একটা সু-খবর তোমার জন্যে।
লোকটার কথায় হৃদ্যতার ছাপ। সাকিবের চোখেমুখে উৎফুল্লতা।
- আচ্ছা তাইই!? বলুন না প্লিজ!
- জানো, তোমার জন্যে নবীজি দু’আ করেছেন।
- বলেন কী! আলহামদুলিল্লাহ!!
সাকিব নবীজিকে [সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দেখেনি কখনো। কিন্তু প্রাণভরে ভালোবাসে তাঁকে। সেই নবীজি তার জন্যে দু’আ করেছেন! কিভাবে সম্ভব? ভাবতে ভাবতে গণ্ডদেশ বেয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে।
- অবাক হচ্ছো? আসলেই দু’আ করেছেন তোমার জন্যে।
- আচ্ছা, বলুন না প্লিজ, কিসের দু’আ করেছেন আমার নবীজি?
- বলেছেন, ‘আল্লাহ তাঁকে রহম করুন’।
সাকিবের চোখ আরো দুই ফোঁটা গরম জল বিসর্জন দিলো। মনে মনে বললো,
আহ! কি সৌভাগ্য আমার!
আমার জন্যে নবীজি দু’আ করেছেন!
তাও আবার আল্লাহর রহমতের!
এবার সম্বিৎ ফিরে পেয়ে লোকটার দিকে তাকালো আবার।
- আচ্ছা, আমাকে পুরো বিষয়টা একটু খুলে বলুন না!
- খুব বেশি কিছু না, যা বলেছি তাই। তবে একটা শর্ত দিয়েছেন নবীজি।
- কী শর্ত? বলুন প্লিইইইজ!
- তোমাকে আসরের সলাতের আগে চার রাকাত সুন্নাত সলাত আদায় করতে হবে। বাস!
- এইটুকুই? সত্যিই? এইটুকু শর্তেই নবীজি আমার জন্যে দু’আ করেছেন?
- হ্যাঁ! বিশ্বাস না হলে দ্যাখো:
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً صَلَّى قَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعًا
সাকিব হাদিসটা অনুবাদ করলো:
ইবন ‘উমার (রদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে রহম করুন, যে আসরের (ফরয) সলাতের আগে চার রাকাত (সুন্নাত) আদায় করে। [মুসনাদ আহমাদ, সুনান তিরমিযী, আবূ দাঊদ]
- আচ্ছা, হাদিসটা কেমন?
- হাসান হাদিস।
খুশিতে চিৎকার করে উঠতেই সাকিবের ঘুম ভেঙে গেলো।
আসরের আযান হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। নাহ, অনেক হেলায়-খেলায় সে কেবল ফরয সলাতের আগে তাড়াহুড়ো করে ছুটে গিয়েছে এতদিন। সুন্নাত সলাতের প্রতি একদম মনোযোগ ছিলো না। আজকে তাত্তাড়ি ওদ্বূ সেরে ফেললো।
মাসজিদের দিকে যাচ্ছে ও।
মনটা বেশ ফুরফুরে।
ও এখন থেকে এই চার রাকাত কোনভাবেই মিস করবে না।
ওর জন্যে যে রাসূলুল্লাহ নিজে দু’আ করেছেন!
তাও আবার ‘আল্লাহ রহম করুন’ বলে!
আল্লাহর রহমত পাওয়ার এই নিশ্চিত সুযোগটা সে হাতছাড়া করবে কেনো?
ও মনে মনে আল্লাহর কাছে দু’আ করে, আল্লাহ যেন তার এ প্রচেষ্টায় বারাকাহ ঢেলে দেন। ততক্ষণে মাসজিদের কাছাকাছি চলে এসেছে। তারপর সন্তর্পণে দাঁড়িয়ে গেলো প্রিয়তম প্রভূর সামনে... ও যে আল্লাহর রহমতের ভিখারী! আল্লাহ রহমত-ই যে ওর একমাত্র সম্বল!
Abdullah Mahmud Nazib
LTA-10.192
© 2015 by Ask Islam Bangla.