প্রশ্ন ৪৫ --> তায়াম্মুম সম্পর্কে জানতে চাই?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তায়াম্মুম ইসলামী শরী‘আতে জায়েয, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য বিশেষ ছাড়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, -
• হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মুছেহ কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। ( সূরা মায়িদা : ৬)
# আবু যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘পবিত্র মাটি মুসলমানের জন্য পবিত্রকারী, যদিও সে দশ বছর পানি না পায়’। [ নাসাঈ , হা/৩২৪ ]
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فُضِّلْنَا عَلَى النَّاسِ بِثَلاَثٍ جُعِلَتْ صُفُوْفُنَا كَصُفُوْفِ الْمَلاَئِكَةِ وَجُعِلَتْ لَنَا الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا وَجُعِلَتْ تُرْبَتُهَا لَنَا طَهُوْرًا إِذَا لَمْ نَجِدِ الْمَاءَ.
# হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সমগ্র মানব জাতির উপর আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে তিনটি বিষয়ে। আমাদের সারিকে করা হয়েছে ফেরেশতাদের সারির ন্যায়। সমস্ত ভূমন্ডলকে আমাদের জন্য সিজদার স্থান করা হয়েছে এবং মাটিকে করা হয়েছে আমাদের জন্য পবিত্রকারী, যখন আমরা পানি না পাই’। [ মুসলিম, মিশকাত, ‘তায়াম্মুম’ অনুচ্ছেদ, হা/৪৯১, ]
পানি ব্যবহারে অক্ষমতার শারঈ ওযর থাকা। অর্থাৎ শারঈ ওযরের কারণে পানি ব্যবহারে অক্ষম হ’লে তার উপর তায়াম্মুম করা ওয়াজিব। আর এই অক্ষমতা কয়েকভাবে হ’তে পারে। যেমন-
১- পানি না পাওয়া। অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি ছালাতের সময় ওযূ করার জন্য পানি না পায়, তাহ’লে সে ব্যক্তি পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করতে পারবে। পানি বিদ্যমান থাকলে তার উপর তায়াম্মুম করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَلَمْ تَجِدُوْا مَاءً فَتَيَمَّمُوْا صَعِيْدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَأَيْدِيْكُمْ مِنْهُ ‘অতঃপর যদি পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসাহ কর’ (মায়েদা ৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, الصَّعِيْدُ الطَّيِّبُ وَضُوْءُ الْمُسْلِمِ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ عَشْرَ سِنِيْنَ. ‘পবিত্র মাটি মুসলমানের জন্য পবিত্রকারী, যদিও সে দশ বছর পানি না পায়’। [নাসাঈ, হা/৩২২,]
২- অসুস্থতা বৃদ্ধি কিংবা সুস্থতা লাভ করতে বিলম্ব হওয়ার আশংকা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى ‘আর যদি তোমরা অসুস্থ থাক, (তবে তায়াম্মুম করতে পার)। হাদীছে এসেছে,
عَنْ جَابِرٍ قَالَ خَرَجْنَا فِيْ سَفَرٍ فَأَصَابَ رَجُلاً مِنَّا حَجَرٌ فَشَجَّهُ فِيْ رَأْسِهِ ثُمَّ احْتَلَمَ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ هَلْ تَجِدُوْنَ لِيْ رُخْصَةً فِيْ التَّيَمُّمِ فَقَالُوْا مَا نَجِدُ لَكَ رُخْصَةً وَأَنْتَ تَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ، فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم أُخْبِرَ بِذَلِكَ، فَقَالَ قَتَلُوْهُ قَتَلَهُمُ اللهُ أَلاَّ سَأَلُوْا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوْا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِىِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيْهِ أَنْ يَتَيَمَّمَ وَيَعْصِرَ.
# জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমরা এক সফরে বের হ’লাম। হঠাৎ আমাদের একজনের মাথায় একটা পাথরের চোট লাগল এবং তার মাথা জখম করে দিল। অতঃপর তার স্বপ্নদোষ হ’ল এবং সে তার সাথীদেরকে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি এ অবস্থায় আমার জন্য তায়াম্মুমের অনুমতি আছে বলে মনে কর? তারা বলল, আমরা তোমার জন্য অনুমতি আছে বলে মনে করি না। কেননা তুমি পানি পাচ্ছ। সুতরাং সে গোসল করল আর এতে সে মারা গেল। অতঃপর আমরা যখন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে আসলাম, তখন তাঁকে এই সংবাদ দেওয়া হ’ল। তিনি বললেন, ‘তারা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হত্যা করুন। তারা যখন জানে না তখন অন্যদেরকে জিজ্ঞেস করল না কেন? কেননা অজানা রোগের চিকিৎসাই হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। অথচ তার জন্য যথেষ্ট ছিল, তায়াম্মুম করা এবং তার জখমের উপর একটি পট্টি বাঁধা’। [আবু দাউদ, মিশকাত, ‘তায়াম্মুম’ অনুচ্ছেদ, হা/৪৯৬,]
অতএব পানি ব্যবহারের কারণে রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার অশংকা থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করা বৈধ।
৩- প্রচন্ড শীতে পানি ব্যবহারের কারণে শারীরিক ক্ষতি অথবা মৃত্যুর ভয় করলে। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ احْتَلَمْتُ فِيْ لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ فِيْ غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ فَأَشْفَقْتُ إِنِ اغْتَسَلْتُ أَنْ أَهْلِكَ فَتَيَمَّمْتُ ثُمَّ صَلَّيْتُ بِأَصْحَابِيْ الصُّبْحَ، فَذَكَرُوْا ذَلِكَ لِلنَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا عَمْرُو صَلَّيْتَ بِأَصْحَابِكَ وَأَنْتَ جُنُبٌ. فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِيْ مَنَعَنِيْ مِنَ الاِغْتِسَالِ وَقُلْتُ إِنِّيْ سَمِعْتُ الله يَقُوْلُ (وَلاَ تَقْتُلُوْا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا) فَضَحِكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا.
# আমর ইবনুল আছ (রাঃ) বলেন, যাতু সালাসিলের যুদ্ধের সময় একদা শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়। আমার আশংকা হ’ল যে, যদি এই সময় আমি গোসল করি তবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমি তায়াম্মুম করে আমার সাথীদের সাথে ফজরের ছালাত আদায় করি। প্রত্যাবর্তনের পর আমার সঙ্গী- সাথীরা এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে অবহিত করেন। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, হে আমর! তুমি নাপাক অবস্থায় তোমার সাথীদের সাথে ছালাত আদায় করলে? তখন আমি তাঁকে আমার গোসল করার অক্ষমতার কথা জানালাম এবং বললাম, আমি আল্লাহ তা‘আলাকে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা নিজেদের হত্যা কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান’ (নিসা ২৯)। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুচকি হাসি দিলেন ও কিছুই বললেন না। [আবু দাউদ, ‘নাপাক অবস্থায় ঠান্ডার আশংকায় তায়াম্মুম করা’ অনুচ্ছেদ, হা/৩৩৪ ]
পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা। অর্থাৎ যে মাটির সাথে পেশাব-পায়খানা মিশ্রিত হয়েছে, সেই মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَتَيَمَّمُوْا صَعِيْدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَأَيْدِيْكُمْ مِنْهُ ‘পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসাহ কর’ (মায়েদাহ ৬)।
# ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, صَعِيْدًا বলতে সেই মাটিকে বুঝানো হয়েছে যেই মাটিতে শষ্য উৎপাদন করা হয়। আর طَيِّبًا বলতে পবিত্র মাটিকে বুঝানো হয়েছে । [ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ৩৩।]
অতএব পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করতে হবে। কিন্তু যদি মাটি পাওয়া না যায়। তাহ’লে বালি অথবা পাথর দ্বারাও তায়াম্মুম করা বৈধ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَاتَّقُوْا اللهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ ‘সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ১৬)। আওযাঈ (রহঃ) বলেন, বালি মাটির অন্তর্ভুক্ত। [ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ৩৩।]
তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ সমূহ :
(ক) ওযূ ভঙ্গের কারণ সংঘটিত হওয়া। অর্থাৎ তায়াম্মুম করার পরে পেশাব, পায়খানা ও বায়ু নিঃসরণ হ’লে, স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হ’লে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
(খ) পানি উপস্থিত হওয়া। অর্থাৎ তায়াম্মুম করার পরে পানি পাওয়া গেলে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং তার উপর উক্ত পানি দ্বারা ওযূ করা ওয়াজিব হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, الصَّعِيْدُ الطَّيِّبُ وَضُوْءُ الْمُسْلِمِ وَلَوْ إِلَى عَشْرِ سِنِيْنَ فَإِذَا وَجَدْتَ الْمَاءَ فَأَمِسَّهُ جِلْدَكَ فَإِنَّ ذَلِكَ خَيْرٌ. ‘পবিত্র মাটি মুসলমানের জন্য পবিত্রকারী, যদিও সে দশ বছর পানি না পায়। আর যখন পানি তুমি পাবে তখন যেন তোমার চর্মে পানি লাগাবে, কেননা এটাই উত্তম’ । [ আবু দাঊদ, হা/৩৩২,]
তায়াম্মুম করার নিয়ম
তায়াম্মুমের নিয়ত করে, বিসমিল্লাহ বলে উভয় হাত মাটিতে মারবে। অতঃপর তাতে ফুঁ দিয়ে মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত উপরিভাগ মাসাহ করবে। হাদীছে এসেছে,
عَنْ سَعِيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنِّيْ أَجْنَبْتُ فَلَمْ أُصِبِ الْمَاءَ فَقَالَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَمَا تَذْكُرُ أَنَّا كُنَّا فِيْ سَفَرٍ أَنَا وَأَنْتَ فَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ تُصَلِّ، وَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فَصَلَّيْتُ فَذَكَرْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيْكَ هَكَذَا فَضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَفَّيْهِ الأَرْضَ وَنَفَخَ فِيْهِمَا ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ-
# সাঈদ ইবনু আব্দুর রহমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমি নাপাক হয়েছি, কিন্তু পানি পেলাম না। এসময় আম্মার ইবনু ইয়াসার ওমর (রাঃ)-কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, আপনার কি স্মরণ নেই যে, এক সফরে আমি ও আপনি উভয়ে ছিলাম। উভয়ে নাপাক হয়েছিলাম, কিন্তু আপনি পানির অভাবে ছালাত আদায় করলেন না, আর আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম এবং ছালাত আদায় করলাম। অতঃপর এক সময় আমি এটা নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট বিবৃত করলাম। তিনি বললেন, তোমার জন্য এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এই বলে তিনি স্বীয় হাতের করদ্বয় যমীনের উপর মারলেন এবং উভয় হাতে ফুঁ দিলেন। অতঃপর উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল ও দু’হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করলেন। [বুখারী, ‘তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে হাত মারার পর উভয় হাতে ফুঁ দেওয়া’ অনুচ্ছেদ, হা/৩৩৮, বঙ্গানুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ১/১৭২]
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيْكَ أَنْ تَقُوْلَ بِيَدَيْكَ هَكَذَا، ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدَيْهِ الأَرْضَ ضَرْبَةً وَاحِدَةً ثُمَّ مَسَحَ الشِّمَالَ عَلَى الْيَمِيْنِ وَظَاهِرَ كَفَّيْهِ وَوَجْهَهُ.
# ‘তোমার পক্ষে এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এই বলে তিনি তাঁর উভয় হাত একবার মাটিতে মারলেন এবং বাম হাত দ্বারা ডান হাত মাসাহ করলেন। অতঃপর মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তার উপরিভাগ মাসাহ করলেন'।[মুসলিম, ‘তায়াম্মুম’ অধ্যায়, হা/৮৪৪]
আশা করি উত্তর পেয়েছেন।
আল্লাহ তাআলাই সব কিছু ভাল জানেন।
সূত্র : আত তাহরিক
STA-34.132
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তায়াম্মুম ইসলামী শরী‘আতে জায়েয, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য বিশেষ ছাড়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, -
• হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মুছেহ কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। ( সূরা মায়িদা : ৬)
# আবু যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘পবিত্র মাটি মুসলমানের জন্য পবিত্রকারী, যদিও সে দশ বছর পানি না পায়’। [ নাসাঈ , হা/৩২৪ ]
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فُضِّلْنَا عَلَى النَّاسِ بِثَلاَثٍ جُعِلَتْ صُفُوْفُنَا كَصُفُوْفِ الْمَلاَئِكَةِ وَجُعِلَتْ لَنَا الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا وَجُعِلَتْ تُرْبَتُهَا لَنَا طَهُوْرًا إِذَا لَمْ نَجِدِ الْمَاءَ.
# হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সমগ্র মানব জাতির উপর আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে তিনটি বিষয়ে। আমাদের সারিকে করা হয়েছে ফেরেশতাদের সারির ন্যায়। সমস্ত ভূমন্ডলকে আমাদের জন্য সিজদার স্থান করা হয়েছে এবং মাটিকে করা হয়েছে আমাদের জন্য পবিত্রকারী, যখন আমরা পানি না পাই’। [ মুসলিম, মিশকাত, ‘তায়াম্মুম’ অনুচ্ছেদ, হা/৪৯১, ]
পানি ব্যবহারে অক্ষমতার শারঈ ওযর থাকা। অর্থাৎ শারঈ ওযরের কারণে পানি ব্যবহারে অক্ষম হ’লে তার উপর তায়াম্মুম করা ওয়াজিব। আর এই অক্ষমতা কয়েকভাবে হ’তে পারে। যেমন-
১- পানি না পাওয়া। অর্থাৎ যদি কোন ব্যক্তি ছালাতের সময় ওযূ করার জন্য পানি না পায়, তাহ’লে সে ব্যক্তি পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করতে পারবে। পানি বিদ্যমান থাকলে তার উপর তায়াম্মুম করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَلَمْ تَجِدُوْا مَاءً فَتَيَمَّمُوْا صَعِيْدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَأَيْدِيْكُمْ مِنْهُ ‘অতঃপর যদি পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসাহ কর’ (মায়েদা ৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, الصَّعِيْدُ الطَّيِّبُ وَضُوْءُ الْمُسْلِمِ وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ عَشْرَ سِنِيْنَ. ‘পবিত্র মাটি মুসলমানের জন্য পবিত্রকারী, যদিও সে দশ বছর পানি না পায়’। [নাসাঈ, হা/৩২২,]
২- অসুস্থতা বৃদ্ধি কিংবা সুস্থতা লাভ করতে বিলম্ব হওয়ার আশংকা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى ‘আর যদি তোমরা অসুস্থ থাক, (তবে তায়াম্মুম করতে পার)। হাদীছে এসেছে,
عَنْ جَابِرٍ قَالَ خَرَجْنَا فِيْ سَفَرٍ فَأَصَابَ رَجُلاً مِنَّا حَجَرٌ فَشَجَّهُ فِيْ رَأْسِهِ ثُمَّ احْتَلَمَ فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ هَلْ تَجِدُوْنَ لِيْ رُخْصَةً فِيْ التَّيَمُّمِ فَقَالُوْا مَا نَجِدُ لَكَ رُخْصَةً وَأَنْتَ تَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ، فَاغْتَسَلَ فَمَاتَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم أُخْبِرَ بِذَلِكَ، فَقَالَ قَتَلُوْهُ قَتَلَهُمُ اللهُ أَلاَّ سَأَلُوْا إِذْ لَمْ يَعْلَمُوْا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِىِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيْهِ أَنْ يَتَيَمَّمَ وَيَعْصِرَ.
# জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমরা এক সফরে বের হ’লাম। হঠাৎ আমাদের একজনের মাথায় একটা পাথরের চোট লাগল এবং তার মাথা জখম করে দিল। অতঃপর তার স্বপ্নদোষ হ’ল এবং সে তার সাথীদেরকে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি এ অবস্থায় আমার জন্য তায়াম্মুমের অনুমতি আছে বলে মনে কর? তারা বলল, আমরা তোমার জন্য অনুমতি আছে বলে মনে করি না। কেননা তুমি পানি পাচ্ছ। সুতরাং সে গোসল করল আর এতে সে মারা গেল। অতঃপর আমরা যখন নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে আসলাম, তখন তাঁকে এই সংবাদ দেওয়া হ’ল। তিনি বললেন, ‘তারা তাকে হত্যা করেছে, আল্লাহ তাদেরকে হত্যা করুন। তারা যখন জানে না তখন অন্যদেরকে জিজ্ঞেস করল না কেন? কেননা অজানা রোগের চিকিৎসাই হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। অথচ তার জন্য যথেষ্ট ছিল, তায়াম্মুম করা এবং তার জখমের উপর একটি পট্টি বাঁধা’। [আবু দাউদ, মিশকাত, ‘তায়াম্মুম’ অনুচ্ছেদ, হা/৪৯৬,]
অতএব পানি ব্যবহারের কারণে রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার অশংকা থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করা বৈধ।
৩- প্রচন্ড শীতে পানি ব্যবহারের কারণে শারীরিক ক্ষতি অথবা মৃত্যুর ভয় করলে। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ احْتَلَمْتُ فِيْ لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ فِيْ غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلاَسِلِ فَأَشْفَقْتُ إِنِ اغْتَسَلْتُ أَنْ أَهْلِكَ فَتَيَمَّمْتُ ثُمَّ صَلَّيْتُ بِأَصْحَابِيْ الصُّبْحَ، فَذَكَرُوْا ذَلِكَ لِلنَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا عَمْرُو صَلَّيْتَ بِأَصْحَابِكَ وَأَنْتَ جُنُبٌ. فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِيْ مَنَعَنِيْ مِنَ الاِغْتِسَالِ وَقُلْتُ إِنِّيْ سَمِعْتُ الله يَقُوْلُ (وَلاَ تَقْتُلُوْا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْمًا) فَضَحِكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا.
# আমর ইবনুল আছ (রাঃ) বলেন, যাতু সালাসিলের যুদ্ধের সময় একদা শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়। আমার আশংকা হ’ল যে, যদি এই সময় আমি গোসল করি তবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। আমি তায়াম্মুম করে আমার সাথীদের সাথে ফজরের ছালাত আদায় করি। প্রত্যাবর্তনের পর আমার সঙ্গী- সাথীরা এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে অবহিত করেন। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, হে আমর! তুমি নাপাক অবস্থায় তোমার সাথীদের সাথে ছালাত আদায় করলে? তখন আমি তাঁকে আমার গোসল করার অক্ষমতার কথা জানালাম এবং বললাম, আমি আল্লাহ তা‘আলাকে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা নিজেদের হত্যা কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান’ (নিসা ২৯)। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুচকি হাসি দিলেন ও কিছুই বললেন না। [আবু দাউদ, ‘নাপাক অবস্থায় ঠান্ডার আশংকায় তায়াম্মুম করা’ অনুচ্ছেদ, হা/৩৩৪ ]
পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা। অর্থাৎ যে মাটির সাথে পেশাব-পায়খানা মিশ্রিত হয়েছে, সেই মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَتَيَمَّمُوْا صَعِيْدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَأَيْدِيْكُمْ مِنْهُ ‘পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসাহ কর’ (মায়েদাহ ৬)।
# ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, صَعِيْدًا বলতে সেই মাটিকে বুঝানো হয়েছে যেই মাটিতে শষ্য উৎপাদন করা হয়। আর طَيِّبًا বলতে পবিত্র মাটিকে বুঝানো হয়েছে । [ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ৩৩।]
অতএব পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করতে হবে। কিন্তু যদি মাটি পাওয়া না যায়। তাহ’লে বালি অথবা পাথর দ্বারাও তায়াম্মুম করা বৈধ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَاتَّقُوْا اللهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ ‘সাধ্যমত আল্লাহকে ভয় কর’ (তাগাবুন ১৬)। আওযাঈ (রহঃ) বলেন, বালি মাটির অন্তর্ভুক্ত। [ফিকহুল মুয়াস্সার, পৃঃ৩৩।]
তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ সমূহ :
(ক) ওযূ ভঙ্গের কারণ সংঘটিত হওয়া। অর্থাৎ তায়াম্মুম করার পরে পেশাব, পায়খানা ও বায়ু নিঃসরণ হ’লে, স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হ’লে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
(খ) পানি উপস্থিত হওয়া। অর্থাৎ তায়াম্মুম করার পরে পানি পাওয়া গেলে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং তার উপর উক্ত পানি দ্বারা ওযূ করা ওয়াজিব হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, الصَّعِيْدُ الطَّيِّبُ وَضُوْءُ الْمُسْلِمِ وَلَوْ إِلَى عَشْرِ سِنِيْنَ فَإِذَا وَجَدْتَ الْمَاءَ فَأَمِسَّهُ جِلْدَكَ فَإِنَّ ذَلِكَ خَيْرٌ. ‘পবিত্র মাটি মুসলমানের জন্য পবিত্রকারী, যদিও সে দশ বছর পানি না পায়। আর যখন পানি তুমি পাবে তখন যেন তোমার চর্মে পানি লাগাবে, কেননা এটাই উত্তম’ । [ আবু দাঊদ, হা/৩৩২,]
তায়াম্মুম করার নিয়ম
তায়াম্মুমের নিয়ত করে, বিসমিল্লাহ বলে উভয় হাত মাটিতে মারবে। অতঃপর তাতে ফুঁ দিয়ে মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত উপরিভাগ মাসাহ করবে। হাদীছে এসেছে,
عَنْ سَعِيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ إِنِّيْ أَجْنَبْتُ فَلَمْ أُصِبِ الْمَاءَ فَقَالَ عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَمَا تَذْكُرُ أَنَّا كُنَّا فِيْ سَفَرٍ أَنَا وَأَنْتَ فَأَمَّا أَنْتَ فَلَمْ تُصَلِّ، وَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فَصَلَّيْتُ فَذَكَرْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيْكَ هَكَذَا فَضَرَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِكَفَّيْهِ الأَرْضَ وَنَفَخَ فِيْهِمَا ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ-
# সাঈদ ইবনু আব্দুর রহমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, আমি নাপাক হয়েছি, কিন্তু পানি পেলাম না। এসময় আম্মার ইবনু ইয়াসার ওমর (রাঃ)-কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন, আপনার কি স্মরণ নেই যে, এক সফরে আমি ও আপনি উভয়ে ছিলাম। উভয়ে নাপাক হয়েছিলাম, কিন্তু আপনি পানির অভাবে ছালাত আদায় করলেন না, আর আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম এবং ছালাত আদায় করলাম। অতঃপর এক সময় আমি এটা নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট বিবৃত করলাম। তিনি বললেন, তোমার জন্য এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এই বলে তিনি স্বীয় হাতের করদ্বয় যমীনের উপর মারলেন এবং উভয় হাতে ফুঁ দিলেন। অতঃপর উভয় হাত দ্বারা মুখমন্ডল ও দু’হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করলেন। [বুখারী, ‘তায়াম্মুমের জন্য মাটিতে হাত মারার পর উভয় হাতে ফুঁ দেওয়া’ অনুচ্ছেদ, হা/৩৩৮, বঙ্গানুবাদ, তাওহীদ পাবলিকেশন্স ১/১৭২]
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيْكَ أَنْ تَقُوْلَ بِيَدَيْكَ هَكَذَا، ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدَيْهِ الأَرْضَ ضَرْبَةً وَاحِدَةً ثُمَّ مَسَحَ الشِّمَالَ عَلَى الْيَمِيْنِ وَظَاهِرَ كَفَّيْهِ وَوَجْهَهُ.
# ‘তোমার পক্ষে এরূপ করাই যথেষ্ট ছিল। এই বলে তিনি তাঁর উভয় হাত একবার মাটিতে মারলেন এবং বাম হাত দ্বারা ডান হাত মাসাহ করলেন। অতঃপর মুখমন্ডল ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তার উপরিভাগ মাসাহ করলেন'।[মুসলিম, ‘তায়াম্মুম’ অধ্যায়, হা/৮৪৪]
আশা করি উত্তর পেয়েছেন।
আল্লাহ তাআলাই সব কিছু ভাল জানেন।
সূত্র : আত তাহরিক
STA-34.132
© 2014 by Ask Islam Bangla.