প্রশ্ন ৪৪ --> তাকদীর সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে চাই
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তাকদীর বিষয়ে প্রথম কথা হলো যা আলী রা. বলেছেন। "তাকদীর হলো গভীল সমুদ্র, এতে ডুব দিতে যেও না; অন্ধকার পথ, প্রবেশ করো না; আল্লাহ তায়ালার রহস্যসমূহের একটি, কাজেই তা উন্মোচন করার চেষ্টা করো না।"
তাকদীর বিষয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা আমাদের দেয়া হয় নি, তাই আমরা এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে মস্তিস্কে বাধাপ্রাপ্ত হই, আমাদের চিন্তার লিমিটেশনটা টের পাই। এই লিমিটেশনটা ফিল করার মাঝেও মজা। আমাদের চিন্তাশক্তি যে লিমিটেড, এর মাধ্যমে আমরা এক আনলিমিটেড সত্ত্বার অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে পারি। আর সেই সত্ত্বাই মহান আল্লাহ তায়ালা।
দ্বিতীয়ত, বিষয়টি জটিল হওয়ায় যারাই এর চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে গিয়েছেন, গোমরাহ হয়েছেন। আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই, আমরা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত -এটা গোমরাহী। আবার আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন - এটাও গোমরাহী। মাঝামাঝি জায়গা হলো, আমরা স্বাধীন, তবে নিয়ন্ত্রিত। বিষয়টা সুক্ষ্ণ তাই না? তাকদীরের ব্যাপারটা এমনই।
তৃতীয়ত, রাসূল স. তাকদীর নিয়ে আলোচনা করতে দেখলে রাগ করতেন। তিনি বলেন, মানুষের শেষ আমলটাই ধর্তব্য হবে। আর আজ যা করছো, কাল যে তা-ই করবে, সে সম্ভাবনাই বেশি। কাজেই আমাদের কাজ হলো আজ ভালো করে যাওয়া। আশা করা যায় কালও ভালো আমলের মধ্য দিয়ে যাবে।
চতুর্থত, আল্লাহ আমাদের সবকিছু করার ক্ষমতা দিয়েছেন, স্বাধীনতা দিয়েছেন। তবে আমরা কী করব না করব, তা তিনি তাঁর স্পেশাল জ্ঞান দিয়ে আগে থেকেই জানেন। আর এই জানা দিয়েই তাকদীর লেখা। অনেকে একে দুনিয়ার অভিজ্ঞ ডাক্তারের রোগীর কী হতে পারে, সে সম্পর্কে জানা - এটা দিয়ে উদাহরণ দিয়েছেন। ডাক্তার রোগীর ভালো-মন্দ জানলে যেমন এই ভালো-মন্দের জন্য ডাক্তারকে দায়ী বলা যায় না, তেমনি আমাদের ভালো-মন্দের জন্য আল্লাহ তায়ালা দায়ী নন। তিনি সব জানেন, কিন্তু আমাদের পুতুলের মতো বাধ্য করেন নি। অবশ্যই ডাক্তার আর আল্লাহর জানার মাঝে আকাশ-জমীন পার্থক্য। ডাক্তার জানেন কোনো মাধ্যমের ওপর ডিপেন্ড করে। যেমন, টেস্ট, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। আর আল্লাহ জানেন কোনো মাধ্যম ছাড়া।
সবশেষ, জটিলতা এখনো না কাটলে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলে বিষয়টির আলোচনা থেকে বিদায় নিতে হবে। জাযাকুমুল্লাহ।
উত্তর দিয়েছেন ইউসুফ সুলতান
STA-33.129
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
তাকদীর বিষয়ে প্রথম কথা হলো যা আলী রা. বলেছেন। "তাকদীর হলো গভীল সমুদ্র, এতে ডুব দিতে যেও না; অন্ধকার পথ, প্রবেশ করো না; আল্লাহ তায়ালার রহস্যসমূহের একটি, কাজেই তা উন্মোচন করার চেষ্টা করো না।"
তাকদীর বিষয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা আমাদের দেয়া হয় নি, তাই আমরা এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে মস্তিস্কে বাধাপ্রাপ্ত হই, আমাদের চিন্তার লিমিটেশনটা টের পাই। এই লিমিটেশনটা ফিল করার মাঝেও মজা। আমাদের চিন্তাশক্তি যে লিমিটেড, এর মাধ্যমে আমরা এক আনলিমিটেড সত্ত্বার অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে পারি। আর সেই সত্ত্বাই মহান আল্লাহ তায়ালা।
দ্বিতীয়ত, বিষয়টি জটিল হওয়ায় যারাই এর চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে গিয়েছেন, গোমরাহ হয়েছেন। আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই, আমরা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত -এটা গোমরাহী। আবার আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন - এটাও গোমরাহী। মাঝামাঝি জায়গা হলো, আমরা স্বাধীন, তবে নিয়ন্ত্রিত। বিষয়টা সুক্ষ্ণ তাই না? তাকদীরের ব্যাপারটা এমনই।
তৃতীয়ত, রাসূল স. তাকদীর নিয়ে আলোচনা করতে দেখলে রাগ করতেন। তিনি বলেন, মানুষের শেষ আমলটাই ধর্তব্য হবে। আর আজ যা করছো, কাল যে তা-ই করবে, সে সম্ভাবনাই বেশি। কাজেই আমাদের কাজ হলো আজ ভালো করে যাওয়া। আশা করা যায় কালও ভালো আমলের মধ্য দিয়ে যাবে।
চতুর্থত, আল্লাহ আমাদের সবকিছু করার ক্ষমতা দিয়েছেন, স্বাধীনতা দিয়েছেন। তবে আমরা কী করব না করব, তা তিনি তাঁর স্পেশাল জ্ঞান দিয়ে আগে থেকেই জানেন। আর এই জানা দিয়েই তাকদীর লেখা। অনেকে একে দুনিয়ার অভিজ্ঞ ডাক্তারের রোগীর কী হতে পারে, সে সম্পর্কে জানা - এটা দিয়ে উদাহরণ দিয়েছেন। ডাক্তার রোগীর ভালো-মন্দ জানলে যেমন এই ভালো-মন্দের জন্য ডাক্তারকে দায়ী বলা যায় না, তেমনি আমাদের ভালো-মন্দের জন্য আল্লাহ তায়ালা দায়ী নন। তিনি সব জানেন, কিন্তু আমাদের পুতুলের মতো বাধ্য করেন নি। অবশ্যই ডাক্তার আর আল্লাহর জানার মাঝে আকাশ-জমীন পার্থক্য। ডাক্তার জানেন কোনো মাধ্যমের ওপর ডিপেন্ড করে। যেমন, টেস্ট, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। আর আল্লাহ জানেন কোনো মাধ্যম ছাড়া।
সবশেষ, জটিলতা এখনো না কাটলে লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ বলে বিষয়টির আলোচনা থেকে বিদায় নিতে হবে। জাযাকুমুল্লাহ।
উত্তর দিয়েছেন ইউসুফ সুলতান
STA-33.129
© 2014 by Ask Islam Bangla.