প্রশ্ন ৩৪ --> আযান ও ইকামতের মাসায়েল জানতে চাই
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আযান :
الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
اشهد ان لا اله الا الله. اشهد ان لا اله الا الل
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্,
اشهد ان محمد الرسول الله .اشهد ان محمد الرسول الله
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্,
(ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الصلواة.حي علي الصلواة
হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাস সালাহ।
(বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الفلاح.حي علي الفلاح
হাইয়া আলাল ফালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ।
الله اكبر الله اكبر
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার.
لااله الاالله
লা ইলাহা ইল্লাহ
মুয়াযযিনের যোগ্যতা :
আযান দেওয়ার সুন্নত ও মুস্তাহাব তরীকা
আযান ও ইকামতের মধ্যে প্রচলিত ভুল :
আযান ও ইকামতের গুরুত্ব বাচ্চাদের অন্তরে বসাবে এবং শুরু হতেই তাদেরকে আযান-ইকামতের আমলী মশক করাবে। আযানের মধ্যে সাধারণত : কিছু গলতি দেখা যায়, গলতিগুলি এই-
ইকামতের মধ্যে প্রচলিত ভুল
ইকামত দেওয়ার সুন্নত তরীকা
১ম শ্বাসেالله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
২য় শ্বাসে اشهد ان لا اله الا الله. اشهد ان لا اله الا الل
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্,
৩য় শ্বাসে اشهد ان محمد الرسول الله .اشهد ان محمد الرسول الله
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্,
৪র্থ শ্বাসে (ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الصلواة.حي علي الصلواة
হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাস সালাহ।
৫ম শ্বাসে (বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الفلاح.حي علي الفلاح
হাইয়া আলাল ফালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ।
৬ষ্ঠ শ্বাসে قد قامت الصلوة.قد قامت الصلوة
কাদ কামাতিস- সালাহ , কাদ কামাতিস- সালাহ
৭ম শ্বাসে الله اكبر الله اكبر لااله الاالله
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার. লা ইলাহা ইল্লাহ
{আযানের ন্যায় ইকামতেরও প্রত্যেক কালেমার শেষ অক্ষর ছাকিন হবে।} (ফতহুল বারী, মিশকাত শরীফ)
সূত্র : তোহফায়ে সুন্নাহ - মুহিউস সুন্নাহ শাইখুল ইসলাম মাওলানা মাহমূদুল হাসান দা. বা. আমীর, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে সংকলিত
STA-25.48
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আযান :
الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
اشهد ان لا اله الا الله. اشهد ان لا اله الا الل
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্,
اشهد ان محمد الرسول الله .اشهد ان محمد الرسول الله
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্,
(ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الصلواة.حي علي الصلواة
হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাস সালাহ।
(বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الفلاح.حي علي الفلاح
হাইয়া আলাল ফালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ।
الله اكبر الله اكبر
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার.
لااله الاالله
লা ইলাহা ইল্লাহ
মুয়াযযিনের যোগ্যতা :
- মুয়াযযিন পুরুষ হতে হবে। মহিলাদের আযান দেওয়া মাকরূহে তাহরীমী। মহিলাগণ আযান দিলে তা দ্বিতীয়বার দিতে হবে।
- মুয়াযযিন স্বজ্ঞান পুরুষ হতে হবে। পাগল, মাতাল বা অবুঝ ছেলের আযান মাকরূহ। তারা আযান দিলে দ্বিতীয়বার দিতে হবে, কিন্তু ইকামত দ্বিতীয়বার দিতে হবে না। (বেহেশতী জেওর)
- মুয়াযযিনের (আযান ও নামায সম্পর্কিত) জরুরী মাসায়েল এবং নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। (বেহেশতী জেওর)
- মুয়াযযিন দ্বীনদার, পরহেজগার, মুত্তাকী হতে হবে এবং সুন্নত সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকার সাথে সথে সুন্নতের অনুসারীও হতে হবে। (আলমগীরী)
- উচ্চ ও আকর্ষণীয় কণ্ঠস্বর বিশিষ্ট (উপরে উল্লেখিত শর্ত সাপেক্ষে) ব্যক্তিকে মুয়াযযিন নিযুক্ত করা উত্তম। (আশআতুল লামআত)
আযান দেওয়ার সুন্নত ও মুস্তাহাব তরীকা
- মসজিদের বাহিরে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে আযান দিবে। মসজিদের ভিতরে আযান দেওয়া মাকরুহে তানজীহী। কিন্তু জুম’আর ছানী আযান মসজিদের ভিতরে মিম্বরের সমানে দাঁড়িয়ে দিবে। ছানী আযান দেওয়ার জন্য প্রথম কাতারে দাঁড়ানো জরুরী নয়, যে কোন কাতার থেকেই আযান দেওয়া যায়, তবে খতীবের বরাবার দাঁড়ানো জরুরী। (শামী ১/২৫৭)
- দাঁড়িয়ে আযান দিতে হবে। বসে আযান দেওয়া খেলাফে সুন্নত। বসে আযান দেওয়া হলে সেই আযান দোহরাতে হবে। তবে মা’যুর ব্যক্তি নিজের নামাযের জন্য বসে আযান দিতে পারবে।
- আযান যথাসম্ভব উচ্চস্বরে দিতে হবে।
- আযান দেওয়ার সময় উভয় হাতের শাহাদাত আঙ্গুল উভয় কানের ছিদ্রে রাখা মুস্তাহাব। (বেহেশতী জেওর)
- আযানের শব্দগুলি টেনে টেনে আদায় করবে। (তবে আল্লাহ শব্দের লামকে এক আলিফের বেশি টানবে না) এবং প্রতি দুই কালেমার পর এতটুকু সময় চুপ করে থাকবে যেন শ্রোতাগণ তার জবাব দিতে পরে। আর যদি জওয়াব দেওয়ার সময় না দেওয়া হয় তাহলে পুনরায় আযান দেওয়া মুস্তাহাব। (শামী ১/২৬০)
- আযানের মধ্যে حي علي الصلواة "হাইয়া আলাস সালাহ" বলার সময় পূর্বে ডান দিকে মুখ ফিরাবে এবং حي علي الفلاح "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলার পূর্বে বাম দিকে মুখ ফিরাবে। কিন্তু সীনা এবং পা ঘুরাবে না।
- ওযূর সাথে কেবলামুখী হয়ে আযান দিতে হবে।
- বিভিন্ন মসজিদে আযান হতে থাকলে নিজের মহল্লার মসজিদ বা যে মসজিদে নামায পড়বে সেই মসজিদের আযানের জওয়াব দেয়া মোস্তাহাব।
- আযানের ন্যায় ইকামতেও ডানে-বামে আগে মুখ ফিরিয়ে حي علي الصلواة "হাইয়া আলাস সালাহ" এবং حي علي الفلاح "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলবে।
- বড় নাপাকী (হদসে আকবার) হতে পবিত্র হয়ে আযান দেয়া সুন্নাত। নাপাক অবস্থায় আযান দেওয়া মাকরুহে তাহরীমী। যদি গোসল না করে আযান দেয়, তবে পুনরায় আযান দিতে হবে। বিনা ওযূতে ইকামত দেওয়া মাকরুহে তাহরীমী। (বেহেশতী জেওর)
- তরতীব ঠিক রেখে আযানও ইকামত দেওয়া সুন্নত। যদি কেউ আযানের মধ্যে পরের শব্দ আগে বলে, তবে সম্পূর্ণ, আযান দোহরাতে হবে না। শুধু যে শব্দটি ছেড়ে দিয়েছে সেই শব্দটি বলে তরতীব অনুযায়ী পরের শব্দগুলি বলবে। (বেহেশতী জেওর)
- সমস্ত ফরযে আইন নামাযের জন্য একবার আযান দেয়া সুন্নতে কেফায়া।
- আযানের জওয়াব দেয়া বড় সওয়াবের আমল।
- اشهد ان محمد الرسول الله এর জবাবে اشهد ان محمد الرسول الله বলবে صلي الله عليه وسلم বলবে না। অবশ্যই আযানের শেষে দুরুদ শরীফ পড়বে।
- আযানের ন্যায় ইকামতের জবাব দিবে।
- আযান শেষ হলে প্রথমে দুরূদ অতঃপর এই দো’আ পড়বে-
اللهم رب هذه الدعوة التامة والصلوة القائمة ات محمدا ن الوسيلة والفضيلة وابعثه مقاما محمودان الذي وعدته انك لاتخلف الميعاد.
আযান ও ইকামতের মধ্যে প্রচলিত ভুল :
আযান ও ইকামতের গুরুত্ব বাচ্চাদের অন্তরে বসাবে এবং শুরু হতেই তাদেরকে আযান-ইকামতের আমলী মশক করাবে। আযানের মধ্যে সাধারণত : কিছু গলতি দেখা যায়, গলতিগুলি এই-
- ‘ইলাহা’ এবং ‘রাসূল’ এর মধ্যে মদ্দের হরফকে এক আলিফ হতে বেশি টেনে পড়া।
- 'হাইয়া’-এর মধ্যে যবরকে টেনে বলা এবং ‘আইন’ অক্ষরটি উচ্চারণ না করা।
- الصلوة خير من النوم - এর মধ্যে ‘সালাত’ শব্দটির ‘লাম’ অক্ষরকে বেশি টেনে বলা।
- ‘আল্লাহু আকবার’-এর মধ্যে ‘আল্লাহ’ শব্দের ‘লাম’ অক্ষরকে মদ্দে ত্ববায়ী (এক আলিফ) হতে বেশি টেনে বলা।
ইকামতের মধ্যে প্রচলিত ভুল
- ইকামতের মধ্যে প্রত্যেক কালেমায় শ্বাস ছেড়ে দেওয়া।
- حي علي الصلواة (হাইয়া আলাস সালাহ) এবং قد قامت الصلوة (কাদ কামাতিস- সালাহ) এর মধ্যে শেষের ‘তা’ অক্ষরের হরকতকে উচ্চারণ করা।
- ইকামতের মধ্যে শেষ কালেমা “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাহ’ এক শ্বাসে না বলা। (ফাউঃ কাবীর)
ইকামত দেওয়ার সুন্নত তরীকা
১ম শ্বাসেالله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبر
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার
২য় শ্বাসে اشهد ان لا اله الا الله. اشهد ان لا اله الا الل
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাহ্,
৩য় শ্বাসে اشهد ان محمد الرسول الله .اشهد ان محمد الرسول الله
আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্,
৪র্থ শ্বাসে (ডান দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الصلواة.حي علي الصلواة
হাইয়া আলাস সালাহ, হাইয়া আলাস সালাহ।
৫ম শ্বাসে (বাম দিকে মুখ ফিরিয়ে) حي علي الفلاح.حي علي الفلاح
হাইয়া আলাল ফালাহ, হাইয়া আলাল ফালাহ।
৬ষ্ঠ শ্বাসে قد قامت الصلوة.قد قامت الصلوة
কাদ কামাতিস- সালাহ , কাদ কামাতিস- সালাহ
৭ম শ্বাসে الله اكبر الله اكبر لااله الاالله
আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার. লা ইলাহা ইল্লাহ
{আযানের ন্যায় ইকামতেরও প্রত্যেক কালেমার শেষ অক্ষর ছাকিন হবে।} (ফতহুল বারী, মিশকাত শরীফ)
সূত্র : তোহফায়ে সুন্নাহ - মুহিউস সুন্নাহ শাইখুল ইসলাম মাওলানা মাহমূদুল হাসান দা. বা. আমীর, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে সংকলিত
STA-25.48
© 2013 by Ask Islam Bangla.