প্রশ্ন ৩৩ --> ইস্তিঞ্জার নিয়ম
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
পানি , ঢিলা অথবা যে কোন মর্যাদাহীন পবিত্র বস্তু দিয়ে ভালভাবে ইস্তিঞ্জা করে নিতে হবে যাতে উভয় দ্বার সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় । ইস্তিঞ্জা মূলত তিন প্রকারের:
১. প্রথমে ঢিলা অতঃপর পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা । প্রয়োজনে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে । কারণ এতে অধিক পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয় । তবে এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা কখনোই ঠিক নয় । কারণ , বিশুদ্ধে হাদীসে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না ।
২. শুধু ঢিলা বা মর্যাদাহীন বস্তু ( যেমন: টিস্যু পেপার) ব্যবহার করা ।
ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে বিজোড় সংখ্যক ও কমপক্ষে তিনটি ব্যবহার করতে হয় ।
# রাসূল (সা) বলেন , " ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে বেজোড় ব্যবহার করবে । ( বুখারি ১৬১,১৬২ ; মুসলিম ২৩৭)
# সালমান ফারসী (রা) থেকে বর্ণীত । তিনি বলেন, রাসূল (সা) আমাদেরকে নিষেধ করেন ; যেন আমাদের কেউ তিনটি ঢিলার কম ব্যবহার না করে । ( মুসলিম ২৬২; আবুদাউদ ৭)
# আয়েশা (রা) থেকে বর্ণীত । তিনি বলেন: রাসূল (সা) বলেন , " তোমাদের কেউ পায়খানা করতে গেলে সাথে তিনটি ঢিলা নিবে এবং তা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে । কারণ , এ তিনটি ঢিলাই তার জন্য যথেষ্ট ।" ( আবু দাউদ ৪০)
হাদীসটি শুধু ঢিলা ব্যবহার যথেষ্ট হওয়াকে প্রমাণ করে ।
৩. শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা ।
# আনাস (রা) থেকে বর্ণীত । তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) পায়খানায় গেলে আমি এবং আমার সমবয়সী একটি ছেলে এক লোটা পানি ও একটি হাতের লাঠি নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সা) অপেক্ষায় থাকতাম । অতঃপর দিনি পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন । ( বুখারী ১৫০, ১৫১, ১৫২ ; মুসলিম ২৭০, ২৭১ )
# আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন: রাসূল (সা) বলেছেন, উক্ত আয়াতটি " তাতে এমন লোক রয়েছে যারা অধিক পবিত্রতাকে পছন্দ করে (তাওবা ১০৮) কোবাবাসীদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে । তিনি বলেন : তারা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করত। অতএব তাদের সম্পর্কেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে । ( আবু দাউদ ৮ ; ইবনে মাজাহ ৩৬৩ )
হাদীসটি শুধু ঢিলা ব্যবহারের চাইতে কেবল পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা উত্তম হওয়াকে প্রমাণ করে ।
কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা, কাশি দেওয়া, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, টয়লেটে কুলুখের আবর্জনার স্তূপ তৈরি করা সবই নব্য মূর্খতা। মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা মানুষকে এত নীচে নামিয়েছে।
শরী‘আতে পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে তাই বলে এর নামে নতুন আরেকটি বিদ‘আত তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পেশাবের ছিটা কাপড়ে লেগে যাওয়ার আশংকায় ইসলাম তার জন্য সুন্দর বিধান দিয়েছে। আর তা হ’ল, ওযূ করার পর হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দেওয়া। যেমন-
‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন পেশাব করতেন তখন ওযূ করতেন এবং পানি ছিটিয়ে দিতেন’। (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১৬৬ ও ৬৭, ১/২২ পৃঃ; মুসনাদে আহমাদ হা/১৭৫১৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮৪১; মিশকাত হা/৩৬৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৩৮, ২/৬৮ পৃঃ; ছহীহ নাসাঈ হা/১৬৮; মিশকাত হা/৩৬১; বঙ্গনুবাদ মিশকাত হা/৩৩৪, ২/৬৭ পৃঃ।)
অন্য হাদীছে এসেছে, কাপড়ে তরল মযী লাগলেও তিনি পানি ছিটিয়ে দিতে বলতেন। (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২০৭, ১/২৭ পৃঃ।)
সূত্র: নবী (সা) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন - মোস্তাফিজুর রহমান বিন আবদুল আজিজ
STA-24.47
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
পানি , ঢিলা অথবা যে কোন মর্যাদাহীন পবিত্র বস্তু দিয়ে ভালভাবে ইস্তিঞ্জা করে নিতে হবে যাতে উভয় দ্বার সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয়ে যায় । ইস্তিঞ্জা মূলত তিন প্রকারের:
১. প্রথমে ঢিলা অতঃপর পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা । প্রয়োজনে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে । কারণ এতে অধিক পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয় । তবে এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা কখনোই ঠিক নয় । কারণ , বিশুদ্ধে হাদীসে উভয়টি একসঙ্গে ব্যবহার করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না ।
২. শুধু ঢিলা বা মর্যাদাহীন বস্তু ( যেমন: টিস্যু পেপার) ব্যবহার করা ।
ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে বিজোড় সংখ্যক ও কমপক্ষে তিনটি ব্যবহার করতে হয় ।
# রাসূল (সা) বলেন , " ঢিলা কুলুপ ব্যবহার করলে বেজোড় ব্যবহার করবে । ( বুখারি ১৬১,১৬২ ; মুসলিম ২৩৭)
# সালমান ফারসী (রা) থেকে বর্ণীত । তিনি বলেন, রাসূল (সা) আমাদেরকে নিষেধ করেন ; যেন আমাদের কেউ তিনটি ঢিলার কম ব্যবহার না করে । ( মুসলিম ২৬২; আবুদাউদ ৭)
# আয়েশা (রা) থেকে বর্ণীত । তিনি বলেন: রাসূল (সা) বলেন , " তোমাদের কেউ পায়খানা করতে গেলে সাথে তিনটি ঢিলা নিবে এবং তা দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে । কারণ , এ তিনটি ঢিলাই তার জন্য যথেষ্ট ।" ( আবু দাউদ ৪০)
হাদীসটি শুধু ঢিলা ব্যবহার যথেষ্ট হওয়াকে প্রমাণ করে ।
৩. শুধু পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা ।
# আনাস (রা) থেকে বর্ণীত । তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) পায়খানায় গেলে আমি এবং আমার সমবয়সী একটি ছেলে এক লোটা পানি ও একটি হাতের লাঠি নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সা) অপেক্ষায় থাকতাম । অতঃপর দিনি পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতেন । ( বুখারী ১৫০, ১৫১, ১৫২ ; মুসলিম ২৭০, ২৭১ )
# আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন: রাসূল (সা) বলেছেন, উক্ত আয়াতটি " তাতে এমন লোক রয়েছে যারা অধিক পবিত্রতাকে পছন্দ করে (তাওবা ১০৮) কোবাবাসীদের সম্পর্কেই অবতীর্ণ হয়েছে । তিনি বলেন : তারা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করত। অতএব তাদের সম্পর্কেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে । ( আবু দাউদ ৮ ; ইবনে মাজাহ ৩৬৩ )
হাদীসটি শুধু ঢিলা ব্যবহারের চাইতে কেবল পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা উত্তম হওয়াকে প্রমাণ করে ।
কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা, কাশি দেওয়া, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, টয়লেটে কুলুখের আবর্জনার স্তূপ তৈরি করা সবই নব্য মূর্খতা। মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা মানুষকে এত নীচে নামিয়েছে।
শরী‘আতে পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে তাই বলে এর নামে নতুন আরেকটি বিদ‘আত তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পেশাবের ছিটা কাপড়ে লেগে যাওয়ার আশংকায় ইসলাম তার জন্য সুন্দর বিধান দিয়েছে। আর তা হ’ল, ওযূ করার পর হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দেওয়া। যেমন-
‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন পেশাব করতেন তখন ওযূ করতেন এবং পানি ছিটিয়ে দিতেন’। (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১৬৬ ও ৬৭, ১/২২ পৃঃ; মুসনাদে আহমাদ হা/১৭৫১৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮৪১; মিশকাত হা/৩৬৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৩৮, ২/৬৮ পৃঃ; ছহীহ নাসাঈ হা/১৬৮; মিশকাত হা/৩৬১; বঙ্গনুবাদ মিশকাত হা/৩৩৪, ২/৬৭ পৃঃ।)
অন্য হাদীছে এসেছে, কাপড়ে তরল মযী লাগলেও তিনি পানি ছিটিয়ে দিতে বলতেন। (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২০৭, ১/২৭ পৃঃ।)
সূত্র: নবী (সা) যেভাবে পবিত্রতা অর্জন করতেন - মোস্তাফিজুর রহমান বিন আবদুল আজিজ
STA-24.47
© 2013 by Ask Islam Bangla.