প্রশ্ন ৩২ --> গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে হাদিসের প্রকারভেদ জানতে চাই
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা ও বর্নণাকারীর স্মৃতির ভিত্তিতে হাদীসের প্রকারভেদ হল:
সহীহ হাদীসঃ
মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যে হাদীসের মধ্যে ৫ টি শর্ত পূরণ হয়েছে তাকে সহীহ হাদীস বা বিশুদ্ধ হাদীস বলে। শর্ত ৫ টি হল-
হাসান হাদীসঃ
মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যেসব হাদীসে সহীহ হাদীসের ৫ টি শর্ত বিদ্যমান, কিন্তু দ্বিতীয় শর্ত অর্থাৎ, ‘যাবতা’ বা হাদীস বর্ণনাকারীর ‘নির্ভুল বর্ণনা ক্ষমতা’ কিছুটা দুর্বল বলে বোঝা যায়, সেই হাদিসকে হাসান হাদীস
বা গ্রহণযোগ্য হাদীস বলা হয়। অর্থাৎ, যদি সনদে উল্লেখিত কোন একজন রাবীর বর্ণিত হাদীসের মধ্যে কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে এইরূপ রাবীর বর্ণিত হাদীস ‘হাসান হাদীস’ বলে গন্য।
ফিকহবিদগণ সাধারণত সহীহ ও হাসান হাদীসের ভিত্তিতে শরীয়তের বিধান নির্ধারণ করেন।
যঈফ বা দুর্বল হাদীসঃ
যে হাদীসের মধ্যে হাসান হাদীসের শর্তগুলি অবিদ্যমান দেখা যায়, মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় তাকে যঈফ হাদীস বলে।
অর্থাৎ,
ইত্যাদি যে কোন একটি বিষয় কোন হাদীসের মধ্যে থাকলে হাদিসটি যঈফ বলে গণ্য।
শরীয়তের আহকাম (ফরজ, ওয়াজিব,হারাম হদ, কিসাস ইত্যাদি) যঈফ হাদীস হতে নেওয়া যায় না ।
কারো কারো মতে যঈফ হওয়া মানে হাদীসটি রাসুলুল্লাহর নয়। এটা নিতান্তই বোকামী ও মুহাদ্দিসীনের এক বিশাল জামাতের প্রতি অনাস্থাও বটে। যার মধ্যে ইবনে তাইমিয়া ও অধুনা সিদ্দিক হাসান এলাহাবাদীও রয়েছেন। যঈফ হাদীস হাদীস না হলে আলাদা করে জাল হাদীসের শ্রেণীবিভাগ মুহাদ্দিসগণ করতেন না। এছাড়াও মুহাদ্দিসগনের এক বিশাল জামায়াত জঈফ হাদীসকে ফযীলতের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন।
যঈফ হাদীসের ব্যাপারে ইমাম সুয়ুতি আর ইমাম নববীর বক্তব্য দেখুন,
"দূর্বল (যদি জাল না হয় বা এর বিপরীতে সহীহ হাদীস বিদ্যমান না থাকে তবে সে) হাদীসের উপর আমল করা জায়েয বরং মুস্তাহাব"-[ইমাম নববী,আল আযকার,পৃঃ ৭]
"ফজিলতের ক্ষেত্রে দূর্বল গ্রহনযোগ্য"-[সূয়ূতী,তাদরীর রাবী ১/৩৫০;আবদুল হাই লাখনবী,যাফরুল আমানী ২০৯-২২৪]
জাল হাদীস:
রাসূলুল্লাহর নামে চালিয়ে দেওয়া কথা কোর ভাবেই প্রমাণ করা যায় না যা তিনি বলেননি তা হল জাল হাদিস ।
STA-23.46
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা ও বর্নণাকারীর স্মৃতির ভিত্তিতে হাদীসের প্রকারভেদ হল:
সহীহ হাদীসঃ
মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যে হাদীসের মধ্যে ৫ টি শর্ত পূরণ হয়েছে তাকে সহীহ হাদীস বা বিশুদ্ধ হাদীস বলে। শর্ত ৫ টি হল-
- হাদীসের সকল বর্ণনাকারী বা রাবী পরিপূর্ণ সৎ ও বিশ্বস্ত বলে প্রমানিত। একে ‘আদালত’ বলে।
- সকল রাবীর ‘নির্ভুল বর্ণনা ক্ষমতা’ পূর্ণরূপে বিদ্যমান বলে প্রমানিত। একে ‘যাবতা’ বলে।
- সনদের প্রত্যকে রাবী তাঁর ঊর্ধ্বতন রাবী থেকে স্বকর্ণে হাদিসটি শুনেছেন বলে প্রমানিত। একে ‘ইত্তিসাল’ বলে।
- হাদীসটি অন্যান্য প্রমানিত হাদীসের বর্ণনার বিপরীত নয় বলে প্রমানিত। একে ‘শুযুয মুক্তি’ বলে।
- হাদিসটির মধ্যে সূক্ষ্ম কোন সনদগত বা অর্থগত ত্রুটি নেই বলে প্রমানিত। একে ‘ইল্লাত মুক্তি’ বলে।
হাসান হাদীসঃ
মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যেসব হাদীসে সহীহ হাদীসের ৫ টি শর্ত বিদ্যমান, কিন্তু দ্বিতীয় শর্ত অর্থাৎ, ‘যাবতা’ বা হাদীস বর্ণনাকারীর ‘নির্ভুল বর্ণনা ক্ষমতা’ কিছুটা দুর্বল বলে বোঝা যায়, সেই হাদিসকে হাসান হাদীস
বা গ্রহণযোগ্য হাদীস বলা হয়। অর্থাৎ, যদি সনদে উল্লেখিত কোন একজন রাবীর বর্ণিত হাদীসের মধ্যে কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে এইরূপ রাবীর বর্ণিত হাদীস ‘হাসান হাদীস’ বলে গন্য।
ফিকহবিদগণ সাধারণত সহীহ ও হাসান হাদীসের ভিত্তিতে শরীয়তের বিধান নির্ধারণ করেন।
যঈফ বা দুর্বল হাদীসঃ
যে হাদীসের মধ্যে হাসান হাদীসের শর্তগুলি অবিদ্যমান দেখা যায়, মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় তাকে যঈফ হাদীস বলে।
অর্থাৎ,
- রাবীর বিশ্বস্ততার ঘাটতি, বা
- তাঁর বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণনা বা স্মৃতির ঘাটতি, বা
- সনদের মধ্যে কোন একজন রাবী তাঁর ঊর্ধ্বতন রাবী থেকে সরাসরি ও
- স্বকর্ণে শোনেননি বলে প্রমানিত হওয়া বা দৃঢ় সন্দেহ হওয়া, বা
- অন্যান্য প্রমানিত হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া, অথবা
- সূক্ষ্ম কোন সনদগত বা অর্থগত ত্রুটি থাকা;
ইত্যাদি যে কোন একটি বিষয় কোন হাদীসের মধ্যে থাকলে হাদিসটি যঈফ বলে গণ্য।
শরীয়তের আহকাম (ফরজ, ওয়াজিব,হারাম হদ, কিসাস ইত্যাদি) যঈফ হাদীস হতে নেওয়া যায় না ।
কারো কারো মতে যঈফ হওয়া মানে হাদীসটি রাসুলুল্লাহর নয়। এটা নিতান্তই বোকামী ও মুহাদ্দিসীনের এক বিশাল জামাতের প্রতি অনাস্থাও বটে। যার মধ্যে ইবনে তাইমিয়া ও অধুনা সিদ্দিক হাসান এলাহাবাদীও রয়েছেন। যঈফ হাদীস হাদীস না হলে আলাদা করে জাল হাদীসের শ্রেণীবিভাগ মুহাদ্দিসগণ করতেন না। এছাড়াও মুহাদ্দিসগনের এক বিশাল জামায়াত জঈফ হাদীসকে ফযীলতের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন।
যঈফ হাদীসের ব্যাপারে ইমাম সুয়ুতি আর ইমাম নববীর বক্তব্য দেখুন,
"দূর্বল (যদি জাল না হয় বা এর বিপরীতে সহীহ হাদীস বিদ্যমান না থাকে তবে সে) হাদীসের উপর আমল করা জায়েয বরং মুস্তাহাব"-[ইমাম নববী,আল আযকার,পৃঃ ৭]
"ফজিলতের ক্ষেত্রে দূর্বল গ্রহনযোগ্য"-[সূয়ূতী,তাদরীর রাবী ১/৩৫০;আবদুল হাই লাখনবী,যাফরুল আমানী ২০৯-২২৪]
জাল হাদীস:
রাসূলুল্লাহর নামে চালিয়ে দেওয়া কথা কোর ভাবেই প্রমাণ করা যায় না যা তিনি বলেননি তা হল জাল হাদিস ।
STA-23.46
© 2013 by Ask Islam Bangla.