প্রশ্ন ১৩ --> রোজার প্রকারভেদ
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
হাদিস ও কুরআনের আলোকে আলেমরা নানা রকম রোজাকে নানা শ্রেণীতে ভাগ করেন । নিচে তার সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হল ।
১.ফরজ রোজা
পবিত্র রমজানের এক মাস রোজা হচ্ছে ফরজ রোজা।
২. ওয়াজিব রোজা
৩. সুন্নত/নফল রোজা
৪. মাকরুহ রোজা
৫. হারাম রোজা
STA-6.28
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
হাদিস ও কুরআনের আলোকে আলেমরা নানা রকম রোজাকে নানা শ্রেণীতে ভাগ করেন । নিচে তার সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হল ।
- ফরজ
- ওয়াজিব
- সুন্নত
- মুস্তাহাব
- মাকরুহ
- হারাম
১.ফরজ রোজা
পবিত্র রমজানের এক মাস রোজা হচ্ছে ফরজ রোজা।
২. ওয়াজিব রোজা
- মানতের রোজা,
- নফল রোজার কাজা,
- যা শুরু করার পর ফাসিদ (ভঙ্গ) হয়ে গিয়েছিল, বিভিন্ন কাফফারার রোজা।
৩. সুন্নত/নফল রোজা
- পবিত্র আশুরা মিনাল মুহররম (১০ মহররম) উপলক্ষে দুটি রোজা রাখা। অর্থাৎ ৯-১০ অথবা ১০-১১ তারিখে রোজা রাখা।
- প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখা।
- শাবান মাসে বেশী রোজা রাখা।
- শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা।
- জিলহজ মাসের ১-৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি রোজা।
- প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা রাখা।
- প্রতি সপ্তাহের ইয়াওমুল ইসনাইনিল আজিম তথা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখা।
- যে পাঁচ দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ সে পাঁচ দিন ব্যতীত অন্য যে কোনো দিন রোজা রাখা।
- দাউদি রোজা অর্থাৎ প্রতি একদিন পরপর রোজা রাখা
- অবিবাহিত যুবকদের রোজা । যারা বিয়ে করতে পারছে না এবং পাপ হতে বাঁচার জন্য রোজা রাখছে ।
৪. মাকরুহ রোজা
- ইয়াওমুস সক অর্থাৎ চাঁদের ৩০ তারিখ দিনে রোজা রাখা সাধারণভাবে মাকরুহ।
- এছাড়া আশুরা উপলক্ষে একদিন রোজা রাখা।
- শুধু জুম্মাবার রোজা রাখা
- শুধু শনিবার রোজা রাখা
- সন্দেহের দিন রোজা রাখা
৫. হারাম রোজা
- পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন।
- পবিত্র ঈদুল আজহার দিন।
- ঈদুল আজহার দিনের পরবর্তী তিন দিন (১১, ১২, ১৩ জিলহজ তারিখে) রোজা রাখা হারাম।
- প্রতিদিন রোজা রাখা
- সাওমে বিসাল বা সেহরি-ইফতার না করে টানা রোজা রাখা
- স্বামীর অনুমতি ব্যতীত তার উপস্থিতিতে স্ত্রীর নফল রোজা রাখা
STA-6.28
© 2013 by Ask Islam Bangla.