প্রশ্ন ৯৮ --> ঈদ ও জুম্মা একই দিনে হলে জুম্মার বিধান
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
জুমআর নামায আদায় করা ফরজ। পবিত্র কুরআনের সুষ্পষ্ট নির্দেশের মাধ্যমে তা প্রমাণিত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
• মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর, এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সূরা জুমআ-৯)
তাই ঈদের দিনও তা আদায় করতে হবে। কোন সহীহ হাদীস দিয়ে একথাটি প্রমাণিত নয় যে, রাসূল সাঃ ঈদের দিন জুমআর নামায পড়েন নি।
আবু দাউদসহ কিছু হাদীসের কিতাবে একথা আছে যে, রাসূল সাঃ ঈদের নামাযের পর জুমআর নামায পড়াকে ইচ্ছাধীন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু তিনি নিজে ঈদের নামাযের পর জুমআর নামায পড়েননি একথা কোন হাদীসে আসেনি। সুতরাং ঈদের দিন জুমআর নামায না পড়া ঠিক নয়।
ফুক্বাহায়ে কেরাম রাসূল সাঃ এর ঈদের দিন জুমআর নামায ইচ্ছাধীন হওয়ার সুযোগ দেয়ার ব্যাখ্যায় বলেন যে, মূলত ঈদের দিন গ্রামাঞ্চল থেকে লোকজন মদীনায় এসে রাসূল সাঃ এর সাথে ঈদের নামাযে শরীক হতো, রাসূল সাঃ মূলত তাদের বলেছেন যে, তোমাদের ইচ্ছে, জুমআর নামায পড়েও গ্রামে ফিরতে পার, কিংবা এর আগেও ফিরতে পার। কারণ গ্রামে জুমআর পড়া জায়েজ নেই। এ কারণে রাসূল সাঃ এ সুযোগ তাদের জন্য দিয়েছেন। এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যদি সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতো, তাহলে রাসূল সাঃ নিজে জুমআ পড়তেন না। অথচ এমন কোন বর্ণনা কোথাও নেই। তাই ঈদের দিনও জুমআর নামায পড়া আবশ্যক।
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন-জুমআ এবং তাশরীক এবং ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা শহর ও বড় গ্রাম ছাড়া পড়ার অনুমতি নেই। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫০৯৯}
বড় গ্রাম কাকে বলে?
বড় গ্রাম কাকে বলে? এ ব্যাপারে ফুক্বাহায়ে কিরামের ব্যাখ্যার মাঝে মতভেদ আছে। সব বক্তব্যের সারমর্ম হল-যে গ্রামে জীবন ধারণের প্রায় সকল আসবাব পাওয়া যায়, যেমন চিকিৎসা সেবা, ষ্টেশনারী সামগ্রী, বিচারকার্য, দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় আসবাব, পুলিশ ইত্যাদী। তাহলে এ গ্রামটাকে বলা হবে বড় গ্রাম। এ গ্রামে জুমআ পড়া জায়েজ হবে। যদি এমনটি না হয় তাহলে উক্ত গ্রামে জুমআ পড়া জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায়ে শামী-৩/৫, তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/২১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-১২/২১৫-২১৬}
আমাদের জানা মতে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িয়া কিছু গহীন এলাকা ছাড়া ফিক্বহী পরিভাষার ছোট গ্রাম আর কোথাও নেই। তাই পূর্ণ বাংলাদেশেই জুমআর নামায পড়া উচিত।
ঈদ ও জুম্মা দুটোই পড়তে হবে এটা হানাফি, শাফেয়ী ও মালেকি মাযহাবের মত ।
হাম্বলি মাযহাব ও সালাফিদের মত হল ইমাম ব্যতীত সবার জন্য জুম্মা optional হয়ে যাবে ঈদের নামায পড়লে।
সূত্র:
Suhaib Webb
STA-65.105
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
জুমআর নামায আদায় করা ফরজ। পবিত্র কুরআনের সুষ্পষ্ট নির্দেশের মাধ্যমে তা প্রমাণিত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
• মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর, এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সূরা জুমআ-৯)
তাই ঈদের দিনও তা আদায় করতে হবে। কোন সহীহ হাদীস দিয়ে একথাটি প্রমাণিত নয় যে, রাসূল সাঃ ঈদের দিন জুমআর নামায পড়েন নি।
আবু দাউদসহ কিছু হাদীসের কিতাবে একথা আছে যে, রাসূল সাঃ ঈদের নামাযের পর জুমআর নামায পড়াকে ইচ্ছাধীন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু তিনি নিজে ঈদের নামাযের পর জুমআর নামায পড়েননি একথা কোন হাদীসে আসেনি। সুতরাং ঈদের দিন জুমআর নামায না পড়া ঠিক নয়।
ফুক্বাহায়ে কেরাম রাসূল সাঃ এর ঈদের দিন জুমআর নামায ইচ্ছাধীন হওয়ার সুযোগ দেয়ার ব্যাখ্যায় বলেন যে, মূলত ঈদের দিন গ্রামাঞ্চল থেকে লোকজন মদীনায় এসে রাসূল সাঃ এর সাথে ঈদের নামাযে শরীক হতো, রাসূল সাঃ মূলত তাদের বলেছেন যে, তোমাদের ইচ্ছে, জুমআর নামায পড়েও গ্রামে ফিরতে পার, কিংবা এর আগেও ফিরতে পার। কারণ গ্রামে জুমআর পড়া জায়েজ নেই। এ কারণে রাসূল সাঃ এ সুযোগ তাদের জন্য দিয়েছেন। এটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যদি সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতো, তাহলে রাসূল সাঃ নিজে জুমআ পড়তেন না। অথচ এমন কোন বর্ণনা কোথাও নেই। তাই ঈদের দিনও জুমআর নামায পড়া আবশ্যক।
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন-জুমআ এবং তাশরীক এবং ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা শহর ও বড় গ্রাম ছাড়া পড়ার অনুমতি নেই। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫০৯৯}
বড় গ্রাম কাকে বলে?
বড় গ্রাম কাকে বলে? এ ব্যাপারে ফুক্বাহায়ে কিরামের ব্যাখ্যার মাঝে মতভেদ আছে। সব বক্তব্যের সারমর্ম হল-যে গ্রামে জীবন ধারণের প্রায় সকল আসবাব পাওয়া যায়, যেমন চিকিৎসা সেবা, ষ্টেশনারী সামগ্রী, বিচারকার্য, দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় আসবাব, পুলিশ ইত্যাদী। তাহলে এ গ্রামটাকে বলা হবে বড় গ্রাম। এ গ্রামে জুমআ পড়া জায়েজ হবে। যদি এমনটি না হয় তাহলে উক্ত গ্রামে জুমআ পড়া জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায়ে শামী-৩/৫, তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/২১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-১২/২১৫-২১৬}
আমাদের জানা মতে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িয়া কিছু গহীন এলাকা ছাড়া ফিক্বহী পরিভাষার ছোট গ্রাম আর কোথাও নেই। তাই পূর্ণ বাংলাদেশেই জুমআর নামায পড়া উচিত।
ঈদ ও জুম্মা দুটোই পড়তে হবে এটা হানাফি, শাফেয়ী ও মালেকি মাযহাবের মত ।
হাম্বলি মাযহাব ও সালাফিদের মত হল ইমাম ব্যতীত সবার জন্য জুম্মা optional হয়ে যাবে ঈদের নামায পড়লে।
সূত্র:
Suhaib Webb
STA-65.105
© 2013 by Ask Islam Bangla.