প্রশ্ন ৯৭ --> কুনুতে নাজেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
কুনুত দুই ধরনের রয়েছে। একটি হলো সবসময় নামাযের অযিফা হিসাবে পড়া, যাকে কুনুতে রাতেবা বলা হয়। আর অপর হলো কখনো কখনো প্রচন্ড বিপদ মহামারি ও ব্যপক দুর্যোগকালে নামাযে একধরনের কুনুত পড়া, যাকে কুনুতে নাজেলা বলা হয়। এই দু ধরনের কুনুতের ব্যাপারে ইমামদের মতবিরোধ রয়েছে।
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় সব সময় নামাযের অযিফা হিসাবে ফজরের নামাজে আর রমজান মাসের শেষ অর্ধেকে বিতির নামাজে কুনুতে রাতেবা পড়া হবে। আর প্রচন্ড দুর্যোগ কালে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে কুনুতে নাজেলা পড়া হবে। আবার দুর্যোগ শেষ হয়ে গেলে তা বর্জন করে দিবে।
পক্ষান্তরে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কিরাম বলেন, নামাজের অযিফা হিসাবে শুধু বিতির নামাজে বৎসরের সব সময়-ই কুনুতে রাতেবা পড়বে। অন্য কোন নামাজে নয়। আর প্রচন্ড দুর্যোগকালে শুধু ফজরের নামাযে কুনুতে নাজেলা পড়বে অন্য কোন নামাজে নয়।
পড়ার নিয়ম হল নামাজের শেষ রাকাতে রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে কুনুতে নাযেলা পাঠ করতে হবে; এরপর সিজদায় যেতে হবে। রুকু থেকে উঠে 'রাব্বানা লাকাল হামদ' বলার পর তাকবীর দিতে হবে না সরাসরি দুআ শুরু করবে । রুকুর সময় হাত তুলবেন কি তুলবেন না তা আপনার মাজহাবের উপর নির্ভর করে ।
নির্দিষ্ট কোন দুআ নেই কুনুতে নাযেলার । একটি উদাহরণ হল :
‘আল্লাহুম্মাহ দিনা ফিমান হাদাইতা, ওয়া আফিনা ফিমান আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানা ফিমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লানা ফিমা আতইতা ওয়াকিনা শাররা মা কাদইতা ফাইন্নাকা তাকদি ওয়ালা ইউকদা-আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াজিল্লু মাও ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইজ্জুমান আদাইতা তাবারকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা নাস্তাগফিরুকা ওয়া নাতুবু ইলাইকা আল্লাহুম্মাগফিরলানা ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি ওয়া আল্লিফ বাইনা কুলুবিহিম ওয়া আসলিহ জাতা বাইনিহিম ওয়ানছুরহুম আলা আদুব্বিকা ওয়া আদুব্বিহিম আল্লাহুম্মা লা তুহলিকনা বিআজাবিকা ওয়া আফিনা কবলা জালিকা আল্লাহুম্মাল আনিল কাফারতা ওয়াল মুশরিকিনা ওয়াল মুলহিদিনা ওয়াশশুউঈনা ওয়াল ইয়াহুদা ওয়ান নাসারা-ওয়াল মাজু-সা ওয়াল হিন্দু-সা ওয়াররাওয়াফিদা ওয়াল কাদিইয়ানি ইনাল্লাজিনা ইয়াসুদ্দুনা আন সাবিলিকা ওয়া ইউকাজ্জিবুনা রাসূলাকা ওয়া ইয়কাতিলুনা আওলিয়া-আকা, আল্লাহুম্মাশাততিত্ শামলাহুম ওয়া মাজ্জিক জাময়াহুম ওয়া দাম্মির দিয়ারাহুম ওয়া খালিফ বাইনা কালিমাতিহিম ওয়া জালজিল আকদামাহুম্ ওয়া আনজিল বিহিম বাসাকাল্লাজি লা তারুদ্দুহু আনিল কাওমিল মুজরিমিনা, ওয়া সাল্লাল্লাহু আআন্নাবিয়্যিল কারিম।’ (বাংলা উচ্চারণ শুদ্ধ হয় না, তাই কোন দুআর বই হতে আরবি দেখে পড়ুন)
অর্থ : হে আল্লাহ! হেদায়েত কর আমায়, যাদের তুমি হেদায়েত করেছ তাদের সাথে। শান্তি স্বস্তি দান করো আমায়, যাদের তুমি শান্তি স্বস্তি দান করেছ তাদের সাথে। অভিভাবকত্ব গ্রহণ করো আমার, যাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে। বরকত দান করো আমায়, যা তুমি দান করেছ আমায় তাতে এবং রক্ষা করো আমায় পর অনিষ্ট হতে, যা তুমি নির্ধারণ করেছ (আমার জন্য)। কেননা তুমি নির্দেশ দান করো, তোমার ওপর নির্দেশদান করা চলে না। বস্তুত সে ব্যক্তি অপমাানিত হয় না যাকে তুমি মিত্র ভেবেছ। আর সম্মানিত হয় না সেই ব্যক্তি, যাকে তুমি শত্রু ভেবেছ। বরকতময় তুমি হে আমাদের প্রতিপালক আর তুমিই সুউচ্চ। আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকে রুজু হই। হে আল্লাহ! ক্ষমা করো আমাদেরকে এবং মুমিন নর ও মুমিন নারীদেরকে আর মুসলমান নর ও মুসলমান নারীদেরকে তাদের অন্তরসমূহ জুড়িয়ে দাও আর তাদের মাঝে মীমাংসা করে দাও। সাহায্য করো তাদেরকে তোমার শত্রু ও তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে। হে আল্লাহ! লানত বর্ষণ করো কাফেরদের প্রতি, যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তোমার পথে এবং অস্বীকার করে তোমার রাসূলদেরকে আর যুদ্ধবিগ্রহ করে তোমার অলিদের সাথে। হে আল্লাহ! বিভেদ সৃষ্টি করে দাও তাদের কথার মাঝে এবং কম্পন সৃষ্টি করে দাও তাদের পদযুগলে আর নাজিল করো তোমার এমন শাস্তি যা তুমি অপরাধীগণ থেকে অপসারণ করো না।
১৪২২ হিজরিতে শায়খ মুহাম্মদ আল মুহাইসানীকে যে কুনুত নাযেলা পাঠের জন্য তাগুত সৌদি সরকার গ্রেফতার করে তা দেখুন-
এখানে
STA-64.104
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
কুনুত দুই ধরনের রয়েছে। একটি হলো সবসময় নামাযের অযিফা হিসাবে পড়া, যাকে কুনুতে রাতেবা বলা হয়। আর অপর হলো কখনো কখনো প্রচন্ড বিপদ মহামারি ও ব্যপক দুর্যোগকালে নামাযে একধরনের কুনুত পড়া, যাকে কুনুতে নাজেলা বলা হয়। এই দু ধরনের কুনুতের ব্যাপারে ইমামদের মতবিরোধ রয়েছে।
ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় সব সময় নামাযের অযিফা হিসাবে ফজরের নামাজে আর রমজান মাসের শেষ অর্ধেকে বিতির নামাজে কুনুতে রাতেবা পড়া হবে। আর প্রচন্ড দুর্যোগ কালে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে কুনুতে নাজেলা পড়া হবে। আবার দুর্যোগ শেষ হয়ে গেলে তা বর্জন করে দিবে।
পক্ষান্তরে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কিরাম বলেন, নামাজের অযিফা হিসাবে শুধু বিতির নামাজে বৎসরের সব সময়-ই কুনুতে রাতেবা পড়বে। অন্য কোন নামাজে নয়। আর প্রচন্ড দুর্যোগকালে শুধু ফজরের নামাযে কুনুতে নাজেলা পড়বে অন্য কোন নামাজে নয়।
পড়ার নিয়ম হল নামাজের শেষ রাকাতে রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে কুনুতে নাযেলা পাঠ করতে হবে; এরপর সিজদায় যেতে হবে। রুকু থেকে উঠে 'রাব্বানা লাকাল হামদ' বলার পর তাকবীর দিতে হবে না সরাসরি দুআ শুরু করবে । রুকুর সময় হাত তুলবেন কি তুলবেন না তা আপনার মাজহাবের উপর নির্ভর করে ।
নির্দিষ্ট কোন দুআ নেই কুনুতে নাযেলার । একটি উদাহরণ হল :
‘আল্লাহুম্মাহ দিনা ফিমান হাদাইতা, ওয়া আফিনা ফিমান আফাইতা, ওয়া তাওয়াল্লানা ফিমান তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লানা ফিমা আতইতা ওয়াকিনা শাররা মা কাদইতা ফাইন্নাকা তাকদি ওয়ালা ইউকদা-আলাইকা ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াজিল্লু মাও ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়াইজ্জুমান আদাইতা তাবারকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা নাস্তাগফিরুকা ওয়া নাতুবু ইলাইকা আল্লাহুম্মাগফিরলানা ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি ওয়া আল্লিফ বাইনা কুলুবিহিম ওয়া আসলিহ জাতা বাইনিহিম ওয়ানছুরহুম আলা আদুব্বিকা ওয়া আদুব্বিহিম আল্লাহুম্মা লা তুহলিকনা বিআজাবিকা ওয়া আফিনা কবলা জালিকা আল্লাহুম্মাল আনিল কাফারতা ওয়াল মুশরিকিনা ওয়াল মুলহিদিনা ওয়াশশুউঈনা ওয়াল ইয়াহুদা ওয়ান নাসারা-ওয়াল মাজু-সা ওয়াল হিন্দু-সা ওয়াররাওয়াফিদা ওয়াল কাদিইয়ানি ইনাল্লাজিনা ইয়াসুদ্দুনা আন সাবিলিকা ওয়া ইউকাজ্জিবুনা রাসূলাকা ওয়া ইয়কাতিলুনা আওলিয়া-আকা, আল্লাহুম্মাশাততিত্ শামলাহুম ওয়া মাজ্জিক জাময়াহুম ওয়া দাম্মির দিয়ারাহুম ওয়া খালিফ বাইনা কালিমাতিহিম ওয়া জালজিল আকদামাহুম্ ওয়া আনজিল বিহিম বাসাকাল্লাজি লা তারুদ্দুহু আনিল কাওমিল মুজরিমিনা, ওয়া সাল্লাল্লাহু আআন্নাবিয়্যিল কারিম।’ (বাংলা উচ্চারণ শুদ্ধ হয় না, তাই কোন দুআর বই হতে আরবি দেখে পড়ুন)
অর্থ : হে আল্লাহ! হেদায়েত কর আমায়, যাদের তুমি হেদায়েত করেছ তাদের সাথে। শান্তি স্বস্তি দান করো আমায়, যাদের তুমি শান্তি স্বস্তি দান করেছ তাদের সাথে। অভিভাবকত্ব গ্রহণ করো আমার, যাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে। বরকত দান করো আমায়, যা তুমি দান করেছ আমায় তাতে এবং রক্ষা করো আমায় পর অনিষ্ট হতে, যা তুমি নির্ধারণ করেছ (আমার জন্য)। কেননা তুমি নির্দেশ দান করো, তোমার ওপর নির্দেশদান করা চলে না। বস্তুত সে ব্যক্তি অপমাানিত হয় না যাকে তুমি মিত্র ভেবেছ। আর সম্মানিত হয় না সেই ব্যক্তি, যাকে তুমি শত্রু ভেবেছ। বরকতময় তুমি হে আমাদের প্রতিপালক আর তুমিই সুউচ্চ। আমরা তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকে রুজু হই। হে আল্লাহ! ক্ষমা করো আমাদেরকে এবং মুমিন নর ও মুমিন নারীদেরকে আর মুসলমান নর ও মুসলমান নারীদেরকে তাদের অন্তরসমূহ জুড়িয়ে দাও আর তাদের মাঝে মীমাংসা করে দাও। সাহায্য করো তাদেরকে তোমার শত্রু ও তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে। হে আল্লাহ! লানত বর্ষণ করো কাফেরদের প্রতি, যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তোমার পথে এবং অস্বীকার করে তোমার রাসূলদেরকে আর যুদ্ধবিগ্রহ করে তোমার অলিদের সাথে। হে আল্লাহ! বিভেদ সৃষ্টি করে দাও তাদের কথার মাঝে এবং কম্পন সৃষ্টি করে দাও তাদের পদযুগলে আর নাজিল করো তোমার এমন শাস্তি যা তুমি অপরাধীগণ থেকে অপসারণ করো না।
১৪২২ হিজরিতে শায়খ মুহাম্মদ আল মুহাইসানীকে যে কুনুত নাযেলা পাঠের জন্য তাগুত সৌদি সরকার গ্রেফতার করে তা দেখুন-
এখানে
STA-64.104
© 2013 by Ask Islam Bangla.