প্রশ্ন ৯৪ --> মোহরে ফাতিমীর পরিমাণ কত?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
নবী করীম (সা) নিজ কন্যা হযরত ফাতেমা (রা) এর মোহর পাঁচ শত দিরহাম নির্ধারণ করেছিলেন, যা প্রায় ১৩১ তোলা তিন মাশা রূপার সমতুল্য। তেমনি তাঁর স্ত্রীগণের মধ্যে অনেকের মোহর এর কাছাকাছি নির্ধারণ করেছিলেন, যা মধ্যম পর্যায়ের হওয়ার কারণে একটি গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত পরিমাণ। যা মোহরে ফাতিমী নামে পরিচিত ।
বর্তমানে ৫০০ দিরহাম রূপা = ১৫৬২.৫ গ্রাম
যার বাজারমূল্য বর্তমানে ১২১৯৯২ টাকার আশে পাশে হবে ।
অনেক লোক মোহরে ফাতেমিকে শরীয়তী মোহর বলে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্য যদি এই হয় যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে এর চেয়ে বেশি পরিমাণের মোহর নির্ধারণ করা অপছন্দনীয় তাহলে এই ধারণা সঠিক নয়। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয় পক্ষ যদি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে মোহরে ফাতেমি নির্ধারণ করে এবং মনে করে, রাসূলুল্লাহ (সা) এর নির্ধারণ করা পরিমাণটি বরকতপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধায় তা গ্রহণ করা ভালো এবং এর মাধ্যমে সুন্নতের ছওয়াব লাভের প্রত্যাশা রয়েছে তাহলে এই আবেগ-অনুভূতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয় যে, মোহরে ফাতেমি এই অর্থে শরীয়তী মোহর যে, তার চেয়ে কম-বেশি করা শরীয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়।
সূত্র : মোহর ও সামাজিক প্রচলন: মাওলানা মুফতী তাকী উছমানী
[ বি. দ্র. মোহরে ফাতেমী কে ব্যাপকভাবে সুন্নত মনে করে সমাজে এর প্রচলনের বিরুদ্ধে সঠিক আক্বিদাকে তুলে ধরার জন্য আমাদের মতে বর্তমানে মোহরে ফাতেমীকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ]
STA-61.101
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
নবী করীম (সা) নিজ কন্যা হযরত ফাতেমা (রা) এর মোহর পাঁচ শত দিরহাম নির্ধারণ করেছিলেন, যা প্রায় ১৩১ তোলা তিন মাশা রূপার সমতুল্য। তেমনি তাঁর স্ত্রীগণের মধ্যে অনেকের মোহর এর কাছাকাছি নির্ধারণ করেছিলেন, যা মধ্যম পর্যায়ের হওয়ার কারণে একটি গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত পরিমাণ। যা মোহরে ফাতিমী নামে পরিচিত ।
বর্তমানে ৫০০ দিরহাম রূপা = ১৫৬২.৫ গ্রাম
যার বাজারমূল্য বর্তমানে ১২১৯৯২ টাকার আশে পাশে হবে ।
অনেক লোক মোহরে ফাতেমিকে শরীয়তী মোহর বলে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্য যদি এই হয় যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে এর চেয়ে বেশি পরিমাণের মোহর নির্ধারণ করা অপছন্দনীয় তাহলে এই ধারণা সঠিক নয়। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয় পক্ষ যদি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে মোহরে ফাতেমি নির্ধারণ করে এবং মনে করে, রাসূলুল্লাহ (সা) এর নির্ধারণ করা পরিমাণটি বরকতপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধায় তা গ্রহণ করা ভালো এবং এর মাধ্যমে সুন্নতের ছওয়াব লাভের প্রত্যাশা রয়েছে তাহলে এই আবেগ-অনুভূতি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয় যে, মোহরে ফাতেমি এই অর্থে শরীয়তী মোহর যে, তার চেয়ে কম-বেশি করা শরীয়তের দৃষ্টিতে অপছন্দনীয়।
সূত্র : মোহর ও সামাজিক প্রচলন: মাওলানা মুফতী তাকী উছমানী
[ বি. দ্র. মোহরে ফাতেমী কে ব্যাপকভাবে সুন্নত মনে করে সমাজে এর প্রচলনের বিরুদ্ধে সঠিক আক্বিদাকে তুলে ধরার জন্য আমাদের মতে বর্তমানে মোহরে ফাতেমীকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ]
STA-61.101
© 2013 by Ask Islam Bangla.