প্রশ্ন ৮৪ --> মৃত্যুর পরে কবরে অনেক ভয়াবহ শাস্তির কথা শুনি কিন্তু দীর্ঘদিন পর কবর খোড়া হলে দেখা যায় মৃত ব্যাক্তির হাড় গুলু পরে আছে।তাহলে শাস্তি টা কোথায় হয়? আবার অনেকের কবর দেওয়া হয়না সেখেত্রে শাস্তিটা কিভাবে দেওয়া হয়?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
হাশরের ময়দানে বিচারের আগে দুনিয়াতে মৃত্যুর আগে এবং মৃত্যুর পর বারযাখী যিন্দেগীতে যে কোন অপরাধীকে যে কোন অবস্থায় শাস্তি দেয়ার অধিকার ও ক্ষমতা আল্লাহর অবশ্যই আছে।
কবর আযাব সংক্রান্ত দৃশ্যগুলো শুধু কবরে সমাহিত ব্যক্তির সাথেই সামঞ্জস্যশীল। কিন্তু যেসব মানুষের মৃতদেহ সমাহিত করা হয়নি, চিতায় ভস্মীভূত করা হয়েছে অথবা বাঘের পেটে বা হাঙ্গরের উদরে হজম হয়ে গেছে, তাদের তো কবরই নেই, কবর আযাব হবে কোথায়! আর ফিরিশতা এসে প্রশ্নগুলো করবেন কিভাবে, কোথায়?
এসব প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে, কবরের যিন্দেগীকে দুনিয়ার যিন্দেগীর মত মনে করার কারণে। কবর অর্থাৎ বারযাখ সে এক অন্য জগত। পার্থিব জগতের সাথে তার কোন মিল নেই। বারযাখের যিন্দেগী সবার জীবনেই ঘটবে। যাকে কবর দেয়া হয়েছে তার জীবনে যেমন বারযাখের যিন্দেগী হবে, যে বাঘের পেটে হজম হয়ে গেছে তার জন্যও একই বারযাখের যিন্দেগী অনুষ্ঠিত হবে। সে যিন্দেগীর প্রকৃত অবস্থা দুনিয়ার বস্তুগত প্রক্রিয়ার মত হবে না। কাজেই দুনিয়ার প্রক্রিয়া ও উপায় উপকরণ হুবহু যেমন আখেরাতের জন্য প্রযোজ্য নয়, তেমনি তা বারযাখের যিন্দেগীর জন্যও প্রযোজ্য নয়। এ তিন জগতের প্রত্যেকটির রয়েছে আলাদা সিস্টেম। এক জগতের সিস্টেম দিয়ে অন্য জগতকে বিচার করাটাই বড় ভুল। এমনকি যাদেরকে কবর দেয়া হয়েছে, তাদের লাশও তো পচে গলে শেষ হয়ে যাবে। তখন তাদের বারযাখের যিন্দেগী যেভাবে হবে, যাদেরকে কবর দেয়া হয়নি, তাদের বারযাখের যিন্দেগীও সে প্রক্রিয়াতেই হবে।
একজন নেক বান্দাহ আর একজন কাফের, মুনাফেক বা পাপিষ্ঠ ব্যক্তির কবর যদি একদম পাশাপাশি থাকে, তাহলে হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী একজনের কবর হবে জান্নাতের টুকরার মত। অনেক প্রশস্ত করে দেয়া হবে, আলোকিত করে দেয়া হবে, বইতে থাকবে জান্নাতের সুবাতাস। আর আরেকজনের কবরকে সঙ্কুচিত করে দেয়া হবে, তা হবে জাহান্নামের গর্ত সদৃশ। সেখানে চলতে থাকবে আযাবের বিভীষিকা। পাশের কবরের এ বিভীষিকা তার প্রতিবেশীর শান্তিতে এতটুকুনও বিঘ্নতা সৃষ্টি করবে না। দুনিয়ার হিসেবে এটা কি করে সম্ভব! মৃত্যুর পরবর্তী যিন্দেগী, চাই সেটা বরযখ হোক আর আখেরাত- পুরোটাই গায়েব (অদৃশ্য)-এর অন্তর্ভুক্ত। এসব গায়েবের খবরের ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেছেন, (তারাই প্রকৃত মুত্তাকী) যারা গায়েবের প্রতি বিশ্বাস করে। এমন কোন যুক্তি প্রমাণ ও বিজ্ঞান নেই যা দিযে বরযখ ও আখেরাতের সবকিছুকে বুঝে তারপর ঈমান আনা যাবে, না হলে নয়। তাহলে গায়েবের উপর ঈমান আনা হলো কি করে? যা না হলে ঈমানই আনা হলো না। যার উপর সবকিছু নির্ভরশীল। তবে সময়মত সবই বুঝে আসবে যখন প্রকৃত পরিস্থিতির বাস্তব চেহারা সামনে আসবে ও তার মোকাবিলা করতে হবে। যখন গায়েবসমূহ প্রকাশিত হয়ে পড়বে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
• তোমার (চক্ষুর) পর্দা সরিয়ে দিয়েছি, আজকে তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ণ। (সূরা ক্বাফ : ২২)।
আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে সহীহ হাদীস অস্বীকার করার প্ররোচণা থেকে হেফাযত করুন। আমীন!
STA-48.88
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
হাশরের ময়দানে বিচারের আগে দুনিয়াতে মৃত্যুর আগে এবং মৃত্যুর পর বারযাখী যিন্দেগীতে যে কোন অপরাধীকে যে কোন অবস্থায় শাস্তি দেয়ার অধিকার ও ক্ষমতা আল্লাহর অবশ্যই আছে।
কবর আযাব সংক্রান্ত দৃশ্যগুলো শুধু কবরে সমাহিত ব্যক্তির সাথেই সামঞ্জস্যশীল। কিন্তু যেসব মানুষের মৃতদেহ সমাহিত করা হয়নি, চিতায় ভস্মীভূত করা হয়েছে অথবা বাঘের পেটে বা হাঙ্গরের উদরে হজম হয়ে গেছে, তাদের তো কবরই নেই, কবর আযাব হবে কোথায়! আর ফিরিশতা এসে প্রশ্নগুলো করবেন কিভাবে, কোথায়?
এসব প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে, কবরের যিন্দেগীকে দুনিয়ার যিন্দেগীর মত মনে করার কারণে। কবর অর্থাৎ বারযাখ সে এক অন্য জগত। পার্থিব জগতের সাথে তার কোন মিল নেই। বারযাখের যিন্দেগী সবার জীবনেই ঘটবে। যাকে কবর দেয়া হয়েছে তার জীবনে যেমন বারযাখের যিন্দেগী হবে, যে বাঘের পেটে হজম হয়ে গেছে তার জন্যও একই বারযাখের যিন্দেগী অনুষ্ঠিত হবে। সে যিন্দেগীর প্রকৃত অবস্থা দুনিয়ার বস্তুগত প্রক্রিয়ার মত হবে না। কাজেই দুনিয়ার প্রক্রিয়া ও উপায় উপকরণ হুবহু যেমন আখেরাতের জন্য প্রযোজ্য নয়, তেমনি তা বারযাখের যিন্দেগীর জন্যও প্রযোজ্য নয়। এ তিন জগতের প্রত্যেকটির রয়েছে আলাদা সিস্টেম। এক জগতের সিস্টেম দিয়ে অন্য জগতকে বিচার করাটাই বড় ভুল। এমনকি যাদেরকে কবর দেয়া হয়েছে, তাদের লাশও তো পচে গলে শেষ হয়ে যাবে। তখন তাদের বারযাখের যিন্দেগী যেভাবে হবে, যাদেরকে কবর দেয়া হয়নি, তাদের বারযাখের যিন্দেগীও সে প্রক্রিয়াতেই হবে।
একজন নেক বান্দাহ আর একজন কাফের, মুনাফেক বা পাপিষ্ঠ ব্যক্তির কবর যদি একদম পাশাপাশি থাকে, তাহলে হাদীসের ভাষ্যানুযায়ী একজনের কবর হবে জান্নাতের টুকরার মত। অনেক প্রশস্ত করে দেয়া হবে, আলোকিত করে দেয়া হবে, বইতে থাকবে জান্নাতের সুবাতাস। আর আরেকজনের কবরকে সঙ্কুচিত করে দেয়া হবে, তা হবে জাহান্নামের গর্ত সদৃশ। সেখানে চলতে থাকবে আযাবের বিভীষিকা। পাশের কবরের এ বিভীষিকা তার প্রতিবেশীর শান্তিতে এতটুকুনও বিঘ্নতা সৃষ্টি করবে না। দুনিয়ার হিসেবে এটা কি করে সম্ভব! মৃত্যুর পরবর্তী যিন্দেগী, চাই সেটা বরযখ হোক আর আখেরাত- পুরোটাই গায়েব (অদৃশ্য)-এর অন্তর্ভুক্ত। এসব গায়েবের খবরের ব্যাপারে আল্লাহ পাক বলেছেন, (তারাই প্রকৃত মুত্তাকী) যারা গায়েবের প্রতি বিশ্বাস করে। এমন কোন যুক্তি প্রমাণ ও বিজ্ঞান নেই যা দিযে বরযখ ও আখেরাতের সবকিছুকে বুঝে তারপর ঈমান আনা যাবে, না হলে নয়। তাহলে গায়েবের উপর ঈমান আনা হলো কি করে? যা না হলে ঈমানই আনা হলো না। যার উপর সবকিছু নির্ভরশীল। তবে সময়মত সবই বুঝে আসবে যখন প্রকৃত পরিস্থিতির বাস্তব চেহারা সামনে আসবে ও তার মোকাবিলা করতে হবে। যখন গায়েবসমূহ প্রকাশিত হয়ে পড়বে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
• তোমার (চক্ষুর) পর্দা সরিয়ে দিয়েছি, আজকে তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ণ। (সূরা ক্বাফ : ২২)।
আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে সহীহ হাদীস অস্বীকার করার প্ররোচণা থেকে হেফাযত করুন। আমীন!
STA-48.88
© 2013 by Ask Islam Bangla.