প্রশ্ন ৬৫ --> একই রকম জীবন যাপন করেও আমার পাশের বাসার হিন্দু ভাইটা জাহান্নামে চিরকাল পুড়বে কেন?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
১.
একজন মুসলিমকে এটা মানতেই হবে তার সৃষ্টি হয়েছে আল্লাহর ইবাদাতের জন্য। মুসলিম মানবতার সেবা করবে, আল্লাহর ইবাদাতের উদ্দেশ্য করবে। মুসলিম আল্লাহর শত্রুর গলায় ছুরি চালানোর মত 'অমানবিক' কাজ করবে, তো ইবাদাতের উদ্দেশ্যেই করবে। আর এই ইবাদাত করার পুর্বশর্ত যেহেতু তাওহীদে বিশ্বাস, অতএব আপনার-আমার সৃষ্টি যে একমাত্র কারণে হয়েছে , তা পালন করতে আপনাকে ঈমানদার হতেই হবে। এজন্য আপনার মনে যদি - "কাফির হইসে তো কী হইসে? লোকটা ভালই তো"-এমন কোন সমবেদনা তাকলে ঝেড়ে ফেলুন। কারন সেই ব্যক্তি যতই ভাল হোক, দুনিয়ায় আসার মূল উদ্দেশ্যই সে পালন করছেনা।
২.
ঈমান সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছাধীন। কে পাবে, কে পাবে না তা তাঁর এখতিয়ারভুক্ত । তার মানে কী তিনি যাকে খুশি তাকে ঈমানদার বানান, যাকে খুশি তাএ কাফির বানিয়ে নরকে পোড়ান? না!! ঈমানের দৌলত যেমন আল্লাহর দান, তেমনি সেটা আপনি নিতে পারবেন কী পারবেন না, তা আপনার 'ফ্রি উইল'-এর উপর নির্ভর করছে। আল্লাহ পাক সব মানুষকেই জীবনের নানা পর্যায়ে নিদর্শন দেখান। কিছু আছে লোয়ার গ্রেডের মানুষ, যারা মুসলিম-অমুসলিম যে পরিবারেই জন্মাক না কেন, এই নিদর্শনকে অস্বীকার করে। কিছু আছে মিডল ক্লাস- যারা ঈমানের দৌলতটাকে ধারণ করতে পারে, কারণ তারা ঈমানের উপর জন্মেছে। মুসলিম পরিবারে না জন্মালে হয়তো তারা আল্লাহর নিদর্শন অনুধাবন করতে পারত না। এর বাইরে আছে আপার ক্লাস - যারা মুসলিম, অমুসলিম যে পরিবারেই জন্মাক না কেন, তাঁর নিদর্শন পাওয়া মাত্রই আনুগত্য করে।
এই ক্লাস ডিভিশনটা আমাদের ফ্রি উইল অনুসারে, যার বিষয়ে এক আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ জানেন না।
৩.
মুসলিম পরিবারে জন্মালেই যে কেউ ঈমানদার হয়ে মরবে, তার কোন গ্যারান্টি নাই। কোন মানুষ যদি ক্রমাগত ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে থাকে, এক পর্যায়ে আল্লাহ পাক তার থেকে ঈমানের সম্পদ তুলে নেবেন। আবার অমুসলিম হয়ে মরতে বসেছে কেউ, আল্লাহ পাক চাইলে তাকেও ঈমান নসীব করতে পারেন।
আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব প্রতি রামাদেনেই বলেন(উনিই সোর্স ,আমি কিতাবে সোর্স দিত পারব না)- কুহাফা নামে বাগদাদে এক ইহুদী পন্ডিত ছিলেন। তিনি রোজার দিনে খাওয়াদাওয়া রত তার ছেলেকে শাসন করায় মৃত্যুকালে আল্লাহ পাক তাঁক ঈমান নসীব করে দেন, সুবহানাল্লাহ।
অবশ্য তার মানে এই নয়, পছন্দের কোন কাফির মারা গেল, আর আমরা তাকে মুসলিম ভেবে তার জন্য দোয়া করব।
এবার আসি উপসংহারে। আমার পাশের বাসার হিন্দু ভাইটা জাহান্নামে জ্বলবে চিরকাল। আর আমি মোটামুটি একটা ইসলামি নাম নিয়েই আমি জান্নাতে ঠিকানা গড়ব? আমি ঈমানদার ভালো কথা, কিন্তু আমার জীবনে তার প্রতিফলন কই??
যদি না থাকে, তাহলে আমি কীভাবে আশা করি , যে মৃত্যুর আগ মুহুর্তে তিনি আমাদের ঈমান কেড়ে নিবেন না।
আর দ্বিতীয়ত, আপনার এই বন্ধুটি যখন জাহান্নামি হবে, সে কমপ্লেইন করবে- অমুক তো কোনদিন আমাকে বলেনি। কী জবাব দেবেন তার? এখনই সময় আপনার পরচিত অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাওয়ার। মৃত কাফিররা জান্নাতে যাচ্ছে, না জাহান্নামে, তার চেয়ে বড় কথা আজকের জীবিত কাফিররা যাতে চিরজাহান্নামি না হয়। আমরা যদি দাওয়াত নিয়েই না যাই, সে কীভাবে ইসলাম সম্পর্কে জানবে? এটাও আমাদের একটা জরুরি দায়িত্ব।
অতএব, ঈমানদার হয়াটা অত সোজা না।
STA-35.75
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
১.
একজন মুসলিমকে এটা মানতেই হবে তার সৃষ্টি হয়েছে আল্লাহর ইবাদাতের জন্য। মুসলিম মানবতার সেবা করবে, আল্লাহর ইবাদাতের উদ্দেশ্য করবে। মুসলিম আল্লাহর শত্রুর গলায় ছুরি চালানোর মত 'অমানবিক' কাজ করবে, তো ইবাদাতের উদ্দেশ্যেই করবে। আর এই ইবাদাত করার পুর্বশর্ত যেহেতু তাওহীদে বিশ্বাস, অতএব আপনার-আমার সৃষ্টি যে একমাত্র কারণে হয়েছে , তা পালন করতে আপনাকে ঈমানদার হতেই হবে। এজন্য আপনার মনে যদি - "কাফির হইসে তো কী হইসে? লোকটা ভালই তো"-এমন কোন সমবেদনা তাকলে ঝেড়ে ফেলুন। কারন সেই ব্যক্তি যতই ভাল হোক, দুনিয়ায় আসার মূল উদ্দেশ্যই সে পালন করছেনা।
২.
ঈমান সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছাধীন। কে পাবে, কে পাবে না তা তাঁর এখতিয়ারভুক্ত । তার মানে কী তিনি যাকে খুশি তাকে ঈমানদার বানান, যাকে খুশি তাএ কাফির বানিয়ে নরকে পোড়ান? না!! ঈমানের দৌলত যেমন আল্লাহর দান, তেমনি সেটা আপনি নিতে পারবেন কী পারবেন না, তা আপনার 'ফ্রি উইল'-এর উপর নির্ভর করছে। আল্লাহ পাক সব মানুষকেই জীবনের নানা পর্যায়ে নিদর্শন দেখান। কিছু আছে লোয়ার গ্রেডের মানুষ, যারা মুসলিম-অমুসলিম যে পরিবারেই জন্মাক না কেন, এই নিদর্শনকে অস্বীকার করে। কিছু আছে মিডল ক্লাস- যারা ঈমানের দৌলতটাকে ধারণ করতে পারে, কারণ তারা ঈমানের উপর জন্মেছে। মুসলিম পরিবারে না জন্মালে হয়তো তারা আল্লাহর নিদর্শন অনুধাবন করতে পারত না। এর বাইরে আছে আপার ক্লাস - যারা মুসলিম, অমুসলিম যে পরিবারেই জন্মাক না কেন, তাঁর নিদর্শন পাওয়া মাত্রই আনুগত্য করে।
এই ক্লাস ডিভিশনটা আমাদের ফ্রি উইল অনুসারে, যার বিষয়ে এক আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ জানেন না।
৩.
মুসলিম পরিবারে জন্মালেই যে কেউ ঈমানদার হয়ে মরবে, তার কোন গ্যারান্টি নাই। কোন মানুষ যদি ক্রমাগত ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে থাকে, এক পর্যায়ে আল্লাহ পাক তার থেকে ঈমানের সম্পদ তুলে নেবেন। আবার অমুসলিম হয়ে মরতে বসেছে কেউ, আল্লাহ পাক চাইলে তাকেও ঈমান নসীব করতে পারেন।
আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব প্রতি রামাদেনেই বলেন(উনিই সোর্স ,আমি কিতাবে সোর্স দিত পারব না)- কুহাফা নামে বাগদাদে এক ইহুদী পন্ডিত ছিলেন। তিনি রোজার দিনে খাওয়াদাওয়া রত তার ছেলেকে শাসন করায় মৃত্যুকালে আল্লাহ পাক তাঁক ঈমান নসীব করে দেন, সুবহানাল্লাহ।
অবশ্য তার মানে এই নয়, পছন্দের কোন কাফির মারা গেল, আর আমরা তাকে মুসলিম ভেবে তার জন্য দোয়া করব।
এবার আসি উপসংহারে। আমার পাশের বাসার হিন্দু ভাইটা জাহান্নামে জ্বলবে চিরকাল। আর আমি মোটামুটি একটা ইসলামি নাম নিয়েই আমি জান্নাতে ঠিকানা গড়ব? আমি ঈমানদার ভালো কথা, কিন্তু আমার জীবনে তার প্রতিফলন কই??
যদি না থাকে, তাহলে আমি কীভাবে আশা করি , যে মৃত্যুর আগ মুহুর্তে তিনি আমাদের ঈমান কেড়ে নিবেন না।
আর দ্বিতীয়ত, আপনার এই বন্ধুটি যখন জাহান্নামি হবে, সে কমপ্লেইন করবে- অমুক তো কোনদিন আমাকে বলেনি। কী জবাব দেবেন তার? এখনই সময় আপনার পরচিত অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যাওয়ার। মৃত কাফিররা জান্নাতে যাচ্ছে, না জাহান্নামে, তার চেয়ে বড় কথা আজকের জীবিত কাফিররা যাতে চিরজাহান্নামি না হয়। আমরা যদি দাওয়াত নিয়েই না যাই, সে কীভাবে ইসলাম সম্পর্কে জানবে? এটাও আমাদের একটা জরুরি দায়িত্ব।
অতএব, ঈমানদার হয়াটা অত সোজা না।
STA-35.75
© 2013 by Ask Islam Bangla.