প্রশ্ন ৫৫ --> নিজের হক ও সুবিধা আদায় করতে যদি ঘুষ দিতে হয়,তাহলে কি ঘুষদাতারও পাপ হবে?
মূলপ্রশ্নঃ
*এখন ভাইভার আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাত করে অনেকে ঘোষের মাধ্যমে চাকরি নিশ্চিত করেছে এবং ঘুষ না দিয়ে ভাইভাতে ফার্স্ট হলেও চাকরি পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই,এটা সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকেই শুনা।
ঘোষ ও সরকারি চাকরি এখন সমার্থক শব্দ বলা যায়।
*এমতাবস্থায় ও কি চাকরি পাওয়ার জন্যে,অন্তত ও ভাইভায় পাস করলে যেন চাকরি মিস না হয় তার জন্যে কি ঘুষের আশ্রয় নিতে পারবে ?
*আর কোনোরকম দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেলে সে চাকরির আয় হালাল হবে কি?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
স্বেচ্ছায় কোন কাজে ঘুষ দেওয়া হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুষখোর ও ঘুষদাতা উভয়কেই অভিশাপ করেছেন (আবু দাউদ ৩৫৮০,তিরমিযী ১৩৩৭,ইবনে মাজাহ ২৩১৩,ইবনে হিব্বান,হাকেম ৪/১০২-১০৩,সহীহ আবু দাউদ ৩০৫৫নং)।
অবশ্য নিজের অধিকার আদায় করতে গিয়ে যদি কেউ ঘুষ দিতে বাধ্য হয়,তাহলে ঘুষদাতা পাপী হবে না,পাপী হবে ঘুষগ্রহীতা।
পক্ষান্তরে,যাতে তার অধিকার নেই,তা আদায় করার জন্য অথবা হককে বাতিল বা বাতিলকে হক করার জন্য ঘুষ দেওয়া হারাম। (ইবনে উসাইমীন)
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আর আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
রেফারেন্সঃ
"দ্বীনি প্রশ্নোত্তর”,আবদুল হামীদ ফাইযী,পৃষ্ঠা ৩১৩,তাওহীদ পাবলিকেশন্স।
EDS-16.17
*এখন ভাইভার আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাত করে অনেকে ঘোষের মাধ্যমে চাকরি নিশ্চিত করেছে এবং ঘুষ না দিয়ে ভাইভাতে ফার্স্ট হলেও চাকরি পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই,এটা সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকেই শুনা।
ঘোষ ও সরকারি চাকরি এখন সমার্থক শব্দ বলা যায়।
*এমতাবস্থায় ও কি চাকরি পাওয়ার জন্যে,অন্তত ও ভাইভায় পাস করলে যেন চাকরি মিস না হয় তার জন্যে কি ঘুষের আশ্রয় নিতে পারবে ?
*আর কোনোরকম দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেলে সে চাকরির আয় হালাল হবে কি?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
স্বেচ্ছায় কোন কাজে ঘুষ দেওয়া হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুষখোর ও ঘুষদাতা উভয়কেই অভিশাপ করেছেন (আবু দাউদ ৩৫৮০,তিরমিযী ১৩৩৭,ইবনে মাজাহ ২৩১৩,ইবনে হিব্বান,হাকেম ৪/১০২-১০৩,সহীহ আবু দাউদ ৩০৫৫নং)।
অবশ্য নিজের অধিকার আদায় করতে গিয়ে যদি কেউ ঘুষ দিতে বাধ্য হয়,তাহলে ঘুষদাতা পাপী হবে না,পাপী হবে ঘুষগ্রহীতা।
পক্ষান্তরে,যাতে তার অধিকার নেই,তা আদায় করার জন্য অথবা হককে বাতিল বা বাতিলকে হক করার জন্য ঘুষ দেওয়া হারাম। (ইবনে উসাইমীন)
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আর আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
রেফারেন্সঃ
"দ্বীনি প্রশ্নোত্তর”,আবদুল হামীদ ফাইযী,পৃষ্ঠা ৩১৩,তাওহীদ পাবলিকেশন্স।
EDS-16.17
© 2013 by Ask Islam Bangla.