প্রশ্ন ৩৪ --> নামাযে কুরআন হাদীসের বাইরের দুআ করা,নিজ ভাষায় দুআ করা যায় কি ?
পূর্ণ প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম,
সম্মানিত এডমিনের নিকট আমার প্রশ্ন:
সালাতে সিজদায় নিজের ভাষায় অর্থাত আরবি ব্যতীত বা আরবি দিয়ে নিজের মন মোট দুআ করা যায় কিনা? অথবা দুয়া মাসুরার পর নিজের মাতৃভাষায় বা আরবি দিয়ে কুরআন হাদিসের বাইরে নিজের মত দুআ করা যায় কিনা ?
এ ব্যাপারে আমি আপনাকে একটু সহযোগিতা করব যে, সহিহ মুসলিমের হাদিস যে ''সালাতে নিজের ভাষা/কথা চলে না''
অপরদিকে বুখারী মুসলিম উভয়ের হাদিস যে, ''সিজদায় বেশি বেশি দুয়া করা''!
বিষয়টা যদি সম্ভব হয় বিস্তারিত উল্লখ করার অনুরোধ রইলো।
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
এই ব্যাপারটা নিয়েই স্কলারদের মতভেদ আছে। অনেকেই বলেন যে নামাযে আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না। আবার অনেকেই বলেন যে করা যাবে। আবার অনেকেই ব্যাপারটাকে এভাবে দেখেছেন,
১) যদি নামাযী ব্যক্তি আরবী ভালভাবে বলতে পারেন,তাহলে তার জন্য অন্য কোন ভাষায় দুআ করা জায়েজ নয়।
২) কিন্ত যদি তিনি আরবী না জানেন,তাহলে আরবী শেখা না পর্যন্ত তার নিজের ভাষায় দুআ করতে কোন অসুবিধা নেই।
এ ক্ষেত্রে,দ্বিতীয় মতটাকেই সবচেয়ে সঠিক বলে ধরে নেওয়া হয়।
আর কুরআন হাদীসের বাইরের দুআ করতেও কোন অসুবিধা নেই। তবে এটাই পছন্দনীয় যে,যদি নিজের ভাষায় দুআ করা হয়,তাহলে হাদীসে যে দুআগুলো আছে,তার অনুবাদ পড়া।
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আর আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
রেফারেন্সঃ Islam Web
EDS-8.9
আসসালামু আলাইকুম,
সম্মানিত এডমিনের নিকট আমার প্রশ্ন:
সালাতে সিজদায় নিজের ভাষায় অর্থাত আরবি ব্যতীত বা আরবি দিয়ে নিজের মন মোট দুআ করা যায় কিনা? অথবা দুয়া মাসুরার পর নিজের মাতৃভাষায় বা আরবি দিয়ে কুরআন হাদিসের বাইরে নিজের মত দুআ করা যায় কিনা ?
এ ব্যাপারে আমি আপনাকে একটু সহযোগিতা করব যে, সহিহ মুসলিমের হাদিস যে ''সালাতে নিজের ভাষা/কথা চলে না''
অপরদিকে বুখারী মুসলিম উভয়ের হাদিস যে, ''সিজদায় বেশি বেশি দুয়া করা''!
বিষয়টা যদি সম্ভব হয় বিস্তারিত উল্লখ করার অনুরোধ রইলো।
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
এই ব্যাপারটা নিয়েই স্কলারদের মতভেদ আছে। অনেকেই বলেন যে নামাযে আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না। আবার অনেকেই বলেন যে করা যাবে। আবার অনেকেই ব্যাপারটাকে এভাবে দেখেছেন,
১) যদি নামাযী ব্যক্তি আরবী ভালভাবে বলতে পারেন,তাহলে তার জন্য অন্য কোন ভাষায় দুআ করা জায়েজ নয়।
২) কিন্ত যদি তিনি আরবী না জানেন,তাহলে আরবী শেখা না পর্যন্ত তার নিজের ভাষায় দুআ করতে কোন অসুবিধা নেই।
এ ক্ষেত্রে,দ্বিতীয় মতটাকেই সবচেয়ে সঠিক বলে ধরে নেওয়া হয়।
আর কুরআন হাদীসের বাইরের দুআ করতেও কোন অসুবিধা নেই। তবে এটাই পছন্দনীয় যে,যদি নিজের ভাষায় দুআ করা হয়,তাহলে হাদীসে যে দুআগুলো আছে,তার অনুবাদ পড়া।
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
আর আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
রেফারেন্সঃ Islam Web
EDS-8.9
© 2013 by Ask Islam Bangla.