প্রশ্ন ২৮ --> গনতন্ত্র নিয়ে ইসলাম কি বলে?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
প্রচলিত গণতন্ত্রে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের পদ্ধতি মাত্র একটাই। সেটা হল সাধারণ নির্বাচন। পক্ষান্তরে ইসলামী খেলাফত পদ্ধতিতে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনেরর পদ্ধতি বহুবিধ।প্রচলিত গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের ছোট-বড়, যোগ্য-অযোগ্য, বুদ্ধিমান-নির্বোধ নির্বিশেষে সকলের রায় বা মতামত (ভোট) সমানভাবে মূল্যায়িত হয়ে থাকে। কিন্তু রাসূল সাঃ, খোলাফায়ে রাশেদা ও আদর্শ যুগের কর্মপন্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইসলাম মতামত গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাযথ কর্তৃত্ব সম্পন্ন যোগ্য কর্তৃপক্ষ এর মতামতের মূল্যায়ন করে থাকে। ঢালাওভাবে সকলের মত গ্রহণ ও সকলের মতামতের সমান মূল্যায়ন দ্বারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কুরআনের একটি আয়াত এদিকে ইংগিত পাওয়া যায়। আয়াতটি হল-
• যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দিবে। {সূরা আন’আম-১১৬}
প্রচলিত গণতন্ত্রে জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস মানা হয়। জনগণকে আইনের উৎস মানা ঈমান পরিপন্থী। কেননা, ইসলামী আক্বিদা বিশ্বাসে আল্লাহকেই সর্বময় ক্ষমতার উৎস স্বীকার করা হয়। কুরআনে বলা হয়েছে-
• ...তুমি বল সমস্ত কিছুর কর্তৃত্ব [সর্বময় ক্ষমতা] কার হাতে? {সুরা মু’মিনুন-৮৮}
• ...তুমি বল-হে সর্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর, এবং যার নিকট থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর। যাকে ইচ্ছে পদদলিত কর। সব কিছুই তোমার হাতে। নিশ্চয় তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান। {সুরা আলে ইমরান-২৬}
• .. কর্তৃত্বতো আল্লাহরই। {সূরা আনআম-৫৭}
• .. আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল কাফের। {সূরা মায়িদা-৪৪}
• .. আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল জালেম। {সূরা মায়িদা-৪৫}
• ..আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল ফাসেক। {সূরা মায়িদা-৪৭}
• তুমি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদেরকে তা প্রত্যাখ্যান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে {সূরা নিসা-৪}
সুতরাং গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদীকে মুক্তির পথ মনে করা এবং একথা বলা যে, ইসলাম সেকেলে মতবাদ, এর দ্বারা বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগে উন্নতি অগ্রগতি সম্ভব নয় এটা কুফরী। এসব প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা ফিকির করা জায়েজ নয়।
গণতন্ত্র হল Of the People, By the People, For the People.
আর ইসলাম কী? রিলিজিয়ন হল Of God, By God but FOR the people... আর ইসলামি শাসনব্যবস্থাও তাই।
আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
পড়ুন রাজতন্ত্রের ব্যপারে
STA-16.56
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
প্রচলিত গণতন্ত্রে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের পদ্ধতি মাত্র একটাই। সেটা হল সাধারণ নির্বাচন। পক্ষান্তরে ইসলামী খেলাফত পদ্ধতিতে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনেরর পদ্ধতি বহুবিধ।প্রচলিত গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের ছোট-বড়, যোগ্য-অযোগ্য, বুদ্ধিমান-নির্বোধ নির্বিশেষে সকলের রায় বা মতামত (ভোট) সমানভাবে মূল্যায়িত হয়ে থাকে। কিন্তু রাসূল সাঃ, খোলাফায়ে রাশেদা ও আদর্শ যুগের কর্মপন্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইসলাম মতামত গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাযথ কর্তৃত্ব সম্পন্ন যোগ্য কর্তৃপক্ষ এর মতামতের মূল্যায়ন করে থাকে। ঢালাওভাবে সকলের মত গ্রহণ ও সকলের মতামতের সমান মূল্যায়ন দ্বারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কুরআনের একটি আয়াত এদিকে ইংগিত পাওয়া যায়। আয়াতটি হল-
• যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে দিবে। {সূরা আন’আম-১১৬}
প্রচলিত গণতন্ত্রে জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস মানা হয়। জনগণকে আইনের উৎস মানা ঈমান পরিপন্থী। কেননা, ইসলামী আক্বিদা বিশ্বাসে আল্লাহকেই সর্বময় ক্ষমতার উৎস স্বীকার করা হয়। কুরআনে বলা হয়েছে-
• ...তুমি বল সমস্ত কিছুর কর্তৃত্ব [সর্বময় ক্ষমতা] কার হাতে? {সুরা মু’মিনুন-৮৮}
• ...তুমি বল-হে সর্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর, এবং যার নিকট থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর। যাকে ইচ্ছে পদদলিত কর। সব কিছুই তোমার হাতে। নিশ্চয় তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান। {সুরা আলে ইমরান-২৬}
• .. কর্তৃত্বতো আল্লাহরই। {সূরা আনআম-৫৭}
• .. আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল কাফের। {সূরা মায়িদা-৪৪}
• .. আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল জালেম। {সূরা মায়িদা-৪৫}
• ..আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয়না তারা হল ফাসেক। {সূরা মায়িদা-৪৭}
• তুমি তাদেরকে দেখনি যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তারা ঈমান এনেছে, অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তাদেরকে তা প্রত্যাখ্যান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে {সূরা নিসা-৪}
সুতরাং গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদীকে মুক্তির পথ মনে করা এবং একথা বলা যে, ইসলাম সেকেলে মতবাদ, এর দ্বারা বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগে উন্নতি অগ্রগতি সম্ভব নয় এটা কুফরী। এসব প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা ফিকির করা জায়েজ নয়।
গণতন্ত্র হল Of the People, By the People, For the People.
আর ইসলাম কী? রিলিজিয়ন হল Of God, By God but FOR the people... আর ইসলামি শাসনব্যবস্থাও তাই।
আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
পড়ুন রাজতন্ত্রের ব্যপারে
STA-16.56
© 2013 by Ask Islam Bangla.