প্রশ্ন ২০ --> নামায ত্যাগকারী কি জান্নাতে যাবে ?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
জান্নাতে যাবার প্রথম শর্ত হল মুসলিম হতে হবে । মুসলিম হলে সে এক সময় না এক সময় জান্নাতে যাবেই । নামায ত্যাগকারী মুসলিম কিনা এ ব্যাপারে আলেমদের দ্বিমত আছে । তবে আলোচনা করে এটাই জোড়ালো হয় যে নামায ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলেও মানুষ কাফের-মুরতাদ হয়ে যায় । উল্লেখ মদিনার মুনাফিকরাও পাচ ওয়াক্ত নামায জামাতে রাসূলুল্লাহর পিছে আদায় করত । সে সময় এমন কোন মুসলিমের হদীস পাওয়া যায় না যে নামায ছেড়ে দিয়েছে ।
কুরান হতে দলিল :
• অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে। কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না। (সূরা মারইয়াম :৫৯-৬০)
এই আয়াত নামাজ ত্যাগকারীর কুফরী এই ভাবে প্রমান করে যে আল্লাহ পাক নামায বিনষ্টকারী ও মনের লালসা বাসনার অনুসরণ কারীদের সম্বন্ধে বলেনঃ إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ অর্থাৎ "কিন্তু যারা তাওবা করবে এবং ঈমান আনবে" একথা বুঝায় যে তারা মামাজ বিনষ্ট করার সময়কালে ও লালসা বাসনার অনুসরন কালে মু'মিন ছিলনা ।
দ্বিতীয়তঃ হাদীস হতে ---
১/ নবী সাঃ এরশাদ করেনঃ "নিশ্চয় মানুষ ও শির্ক ও কুফরীর মাঝে পৃথককারী বিষয় হচ্ছে নামায ত্যাগ করা" উক্ত হাদীসটি ইমাম মুসলিম ঈমানের অধ্যায় আব্দুল্লাহর পুত্র জাবের হতে আর তিনি নবী সাঃ বর্ননা করেন ।
২/ "আমাদের ও তাদের (কাফেরদের)মাঝে চুক্তি হচ্ছে নামাযের,অতএব যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল সে কুফরী করল ।" উক্ত হাদীসটি ইমাম আহম্মদ ,আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মাজাহ রাহমাতুল্লাহ বর্ননা করেছেন । আর এখানে কুফরীর অর্থ হলো,এমন কুফরী যা মানুষকে মিল্লাতে ইসলামী থেকে বহিস্কার করে দেয় । কারন নবী (সাঃ)নামাযকে মু'মিন ও কাফেরদের মাঝে পৃথককারী বলে ঘোষনা করেছেন । আর এটা সকলের নিকট সুবিদিত যে,কুফরী মিল্লাত,ইসলামী মিল্লাতের পরিপন্থী । তাই যে ব্যক্তি এই অঙ্গীকার পূর্ণ না করবে সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ।
৩/ সহীহ মুসলিমে উম্মে সালামা হতে বর্ণিত নবী (সাঃ)বলেনঃ তোমাদের ওপর এমন সব লোকও শাসন কর্তৃত্ব চালাবেন যাদের অনেক কথাকে তোমরা মারুফ (বৈধ) ও অনেক কথাকে মুনকার ( অবৈধ ) পাবে৷ এ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি তাদের মুনকারের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে, সে দায়মুক্ত হয়ে গেছে৷ আর যে ব্যক্তি তা অপছন্দ করেছে, সেও বেঁচে গেছে৷ কিন্তু যে ব্যক্তি তাতে সন্তুষ্টি হয়েছে এবং তার অনুসরণ করেছে সে পাকড়াও হবে৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, তাহলে এ ধরনে শাসকদের শাসনামলে কি আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবো না ? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব দেনঃ না, যতদিন তারা নামায পড়তে থাকবে (ততদিন তাদের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে না)৷ -(মুসলিম)
৪/ আরো সহীহ মুসলিমে আউফ বিন মালেক হতে বর্ণিত নবী (সাঃ)বলেনঃ তোমাদের নিকৃষ্টতম সরদার হচ্ছে তারা যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে ঘৃণা করো, তোমরা তাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকো এবং তারা তোমাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকে৷ সাহাবীগণ আরজ করনে, হে আল্লাহর রসূল৷ যখন এ অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন কি আমরা তাদের মোকাবিলা করার জন্য মাথা তুলে দাঁড়াবো না ? জবাব দেনঃ না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করতে থাকবে ! না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করতে থাকবে! অর্থাৎ নামায পরিত্যাগ করা এমন একটি আলামত হিসেবে বিবেচিত হবে, যা থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে যে, তারা আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেছে৷ এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সংগত হবে৷ আর ততক্ষন পর্যন্ত তাদের বিরূদ্ধে বিদ্রোহ বা যুদ্ধ করা জায়েয নয় যতক্ষনে পর্যন্ত তারা প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত হয় । এই ব্যাপারে আমাদের নিকট মহান আল্লাহর তরফ হতে অকাট্য দলীল রয়েছে । কারন এ ব্যাপারে ওবাদ বিন আস সতেম (রাঃ)হতে বর্ণিত হাদীস রয়েছে তিনি বলেনঃ রাসূল (সাঃ)আমাদিগকে (ইসলামের দাওয়াত দিলেন, অতঃপর আমরা তাঁর সঙ্গে বাইয়াত করলাম,আমাদের সাথে যেসব ব্যাপারে বাইয়াত নেয়া হল তা হল এই যে,আমরা আনুগত্য ও কথামত চলার বাইয়াত করেছি,তা সুখে হোক বা দুঃখে হোক কঠোরতা হোক বা সরলতাই হোক বা আমাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দেয়া হোক । আর আমরা যেন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নিকট হতে নেতৃত্ব ছিনিয়ে না নিই । তিনি বল্লেন হ্যাঁ,তবে যদি তোমরা প্রকাশ্য কুফরী দেখ যে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর তরফ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ থেকে ।তবে বিদ্রোহ ঘোষনা করতে পার (বুখারী ও মুসলিম)
অতঃএব নামায ত্যাগ করার ফলে তাদের নেতৃবর্গের উপর থেকে আনুগত্য উঠিয়ে নেয়া বা তাদের সাথে তরবারী নিয়ে লড়াই করাকে যে ভাবে আখ্যায়িত করেছেন এর উপর নির্ভর করে নামায । ত্যাগ করা প্রকাশ্য কুফরী ইহাই আল্লাহর নিকট হতে আমাদের জন্য জলন্ত প্রমাণ ।
মূল কথা ; কুরআন বা হাদীসে কোথাও উহা উল্লেখিত নেই যে, নামায বর্জনকারী কাফের নয় কিংবা সে ঈমানদার । এব্যাপারে (অতিরিক্ত ) যা কিছু পাওয়া যায় তা হচ্ছে কতিপয় দলীল সমূহ যা তাওহীদের (আল্লাহর একত্বতার)ফজীলত ও মহাত্ম বর্ণনা করে , সে তাওহীদ হচ্ছেঃ এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে ,"আল্লাহ ব্যতীত কোন মা'বুদ নেই আর মুহাম্মদ (সাঃ)আল্লাহর রাসূল" । আর সেই সব দলীল সমূহ হয়তো কতক শর্তাবলীর সঙ্গে সম্পৃক্ত যা সেই দলিলেই বিদ্যমান, যে শর্ত হিসাবে নামায ত্যাগ করা সম্ভব হতে পারেনা । অথবা এমন বিশেষ অবস্থার সাথে জড়িত যাতে মানুষ নামায ত্যাগ করলে মা'যুর (অপারগ )বলে মনে করা যেতে পারে । অথবা সেই দলীল সমূহের ব্যাপকতা রয়েছে, তাকে নামায ত্যাগকারীর কুফরীর প্রমাণপঞ্জীর সাথে মিলিয়ে নিতে হবে । কারণ নামায ত্যাগকারীর কুফরীর দলীল সমূহ হচ্ছে খাস(বিশেষ অবস্থায় বলা হয়েছে)আর খাস (বিশেষ দলীল)'আমের'(ব্যাপকতাপূর্ণ দলিলের) উপর অগ্রাধিকার পাবে ।
মূল লেখার সিরিজটি পড়ুন নিচের লিঙ্কে । এখানে পক্ষে বিপক্ষে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।
তবে আল্লাহ শিরক ব্যতীত অন্য যেকোন গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন বলে আমাদের বলেছেন ।
নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। সূরা নিসা: 116)
[এইখানে উল্লেখিত অপরাধ হচ্ছে নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত—যেগুলো আল্লাহর হক—সেগুলো পালন না করা]
তাই চাইলে আল্লাহ মাফ করে জান্নাতে নিতে পারেন । তিনি গাফুরুর রাহীম ।
STA-10.24
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
জান্নাতে যাবার প্রথম শর্ত হল মুসলিম হতে হবে । মুসলিম হলে সে এক সময় না এক সময় জান্নাতে যাবেই । নামায ত্যাগকারী মুসলিম কিনা এ ব্যাপারে আলেমদের দ্বিমত আছে । তবে আলোচনা করে এটাই জোড়ালো হয় যে নামায ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলেও মানুষ কাফের-মুরতাদ হয়ে যায় । উল্লেখ মদিনার মুনাফিকরাও পাচ ওয়াক্ত নামায জামাতে রাসূলুল্লাহর পিছে আদায় করত । সে সময় এমন কোন মুসলিমের হদীস পাওয়া যায় না যে নামায ছেড়ে দিয়েছে ।
কুরান হতে দলিল :
• অতঃপর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে। কিন্তু তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না। (সূরা মারইয়াম :৫৯-৬০)
এই আয়াত নামাজ ত্যাগকারীর কুফরী এই ভাবে প্রমান করে যে আল্লাহ পাক নামায বিনষ্টকারী ও মনের লালসা বাসনার অনুসরণ কারীদের সম্বন্ধে বলেনঃ إِلَّا مَنْ تَابَ وَآمَنَ অর্থাৎ "কিন্তু যারা তাওবা করবে এবং ঈমান আনবে" একথা বুঝায় যে তারা মামাজ বিনষ্ট করার সময়কালে ও লালসা বাসনার অনুসরন কালে মু'মিন ছিলনা ।
দ্বিতীয়তঃ হাদীস হতে ---
১/ নবী সাঃ এরশাদ করেনঃ "নিশ্চয় মানুষ ও শির্ক ও কুফরীর মাঝে পৃথককারী বিষয় হচ্ছে নামায ত্যাগ করা" উক্ত হাদীসটি ইমাম মুসলিম ঈমানের অধ্যায় আব্দুল্লাহর পুত্র জাবের হতে আর তিনি নবী সাঃ বর্ননা করেন ।
২/ "আমাদের ও তাদের (কাফেরদের)মাঝে চুক্তি হচ্ছে নামাযের,অতএব যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করল সে কুফরী করল ।" উক্ত হাদীসটি ইমাম আহম্মদ ,আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মাজাহ রাহমাতুল্লাহ বর্ননা করেছেন । আর এখানে কুফরীর অর্থ হলো,এমন কুফরী যা মানুষকে মিল্লাতে ইসলামী থেকে বহিস্কার করে দেয় । কারন নবী (সাঃ)নামাযকে মু'মিন ও কাফেরদের মাঝে পৃথককারী বলে ঘোষনা করেছেন । আর এটা সকলের নিকট সুবিদিত যে,কুফরী মিল্লাত,ইসলামী মিল্লাতের পরিপন্থী । তাই যে ব্যক্তি এই অঙ্গীকার পূর্ণ না করবে সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ।
৩/ সহীহ মুসলিমে উম্মে সালামা হতে বর্ণিত নবী (সাঃ)বলেনঃ তোমাদের ওপর এমন সব লোকও শাসন কর্তৃত্ব চালাবেন যাদের অনেক কথাকে তোমরা মারুফ (বৈধ) ও অনেক কথাকে মুনকার ( অবৈধ ) পাবে৷ এ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি তাদের মুনকারের বিরুদ্ধে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে, সে দায়মুক্ত হয়ে গেছে৷ আর যে ব্যক্তি তা অপছন্দ করেছে, সেও বেঁচে গেছে৷ কিন্তু যে ব্যক্তি তাতে সন্তুষ্টি হয়েছে এবং তার অনুসরণ করেছে সে পাকড়াও হবে৷ সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, তাহলে এ ধরনে শাসকদের শাসনামলে কি আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবো না ? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব দেনঃ না, যতদিন তারা নামায পড়তে থাকবে (ততদিন তাদের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে না)৷ -(মুসলিম)
৪/ আরো সহীহ মুসলিমে আউফ বিন মালেক হতে বর্ণিত নবী (সাঃ)বলেনঃ তোমাদের নিকৃষ্টতম সরদার হচ্ছে তারা যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে ঘৃণা করো, তোমরা তাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকো এবং তারা তোমাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকে৷ সাহাবীগণ আরজ করনে, হে আল্লাহর রসূল৷ যখন এ অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন কি আমরা তাদের মোকাবিলা করার জন্য মাথা তুলে দাঁড়াবো না ? জবাব দেনঃ না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করতে থাকবে ! না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করতে থাকবে! অর্থাৎ নামায পরিত্যাগ করা এমন একটি আলামত হিসেবে বিবেচিত হবে, যা থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে যে, তারা আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেছে৷ এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সংগত হবে৷ আর ততক্ষন পর্যন্ত তাদের বিরূদ্ধে বিদ্রোহ বা যুদ্ধ করা জায়েয নয় যতক্ষনে পর্যন্ত তারা প্রকাশ্য কুফরীতে লিপ্ত হয় । এই ব্যাপারে আমাদের নিকট মহান আল্লাহর তরফ হতে অকাট্য দলীল রয়েছে । কারন এ ব্যাপারে ওবাদ বিন আস সতেম (রাঃ)হতে বর্ণিত হাদীস রয়েছে তিনি বলেনঃ রাসূল (সাঃ)আমাদিগকে (ইসলামের দাওয়াত দিলেন, অতঃপর আমরা তাঁর সঙ্গে বাইয়াত করলাম,আমাদের সাথে যেসব ব্যাপারে বাইয়াত নেয়া হল তা হল এই যে,আমরা আনুগত্য ও কথামত চলার বাইয়াত করেছি,তা সুখে হোক বা দুঃখে হোক কঠোরতা হোক বা সরলতাই হোক বা আমাদের উপর অন্যদের প্রাধান্য দেয়া হোক । আর আমরা যেন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নিকট হতে নেতৃত্ব ছিনিয়ে না নিই । তিনি বল্লেন হ্যাঁ,তবে যদি তোমরা প্রকাশ্য কুফরী দেখ যে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর তরফ হতে সুস্পষ্ট প্রমাণ থেকে ।তবে বিদ্রোহ ঘোষনা করতে পার (বুখারী ও মুসলিম)
অতঃএব নামায ত্যাগ করার ফলে তাদের নেতৃবর্গের উপর থেকে আনুগত্য উঠিয়ে নেয়া বা তাদের সাথে তরবারী নিয়ে লড়াই করাকে যে ভাবে আখ্যায়িত করেছেন এর উপর নির্ভর করে নামায । ত্যাগ করা প্রকাশ্য কুফরী ইহাই আল্লাহর নিকট হতে আমাদের জন্য জলন্ত প্রমাণ ।
মূল কথা ; কুরআন বা হাদীসে কোথাও উহা উল্লেখিত নেই যে, নামায বর্জনকারী কাফের নয় কিংবা সে ঈমানদার । এব্যাপারে (অতিরিক্ত ) যা কিছু পাওয়া যায় তা হচ্ছে কতিপয় দলীল সমূহ যা তাওহীদের (আল্লাহর একত্বতার)ফজীলত ও মহাত্ম বর্ণনা করে , সে তাওহীদ হচ্ছেঃ এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে ,"আল্লাহ ব্যতীত কোন মা'বুদ নেই আর মুহাম্মদ (সাঃ)আল্লাহর রাসূল" । আর সেই সব দলীল সমূহ হয়তো কতক শর্তাবলীর সঙ্গে সম্পৃক্ত যা সেই দলিলেই বিদ্যমান, যে শর্ত হিসাবে নামায ত্যাগ করা সম্ভব হতে পারেনা । অথবা এমন বিশেষ অবস্থার সাথে জড়িত যাতে মানুষ নামায ত্যাগ করলে মা'যুর (অপারগ )বলে মনে করা যেতে পারে । অথবা সেই দলীল সমূহের ব্যাপকতা রয়েছে, তাকে নামায ত্যাগকারীর কুফরীর প্রমাণপঞ্জীর সাথে মিলিয়ে নিতে হবে । কারণ নামায ত্যাগকারীর কুফরীর দলীল সমূহ হচ্ছে খাস(বিশেষ অবস্থায় বলা হয়েছে)আর খাস (বিশেষ দলীল)'আমের'(ব্যাপকতাপূর্ণ দলিলের) উপর অগ্রাধিকার পাবে ।
মূল লেখার সিরিজটি পড়ুন নিচের লিঙ্কে । এখানে পক্ষে বিপক্ষে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।
তবে আল্লাহ শিরক ব্যতীত অন্য যেকোন গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন বলে আমাদের বলেছেন ।
নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে। এছাড়া যাকে ইচ্ছা, ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। সূরা নিসা: 116)
[এইখানে উল্লেখিত অপরাধ হচ্ছে নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত—যেগুলো আল্লাহর হক—সেগুলো পালন না করা]
তাই চাইলে আল্লাহ মাফ করে জান্নাতে নিতে পারেন । তিনি গাফুরুর রাহীম ।
STA-10.24
© 2013 by Ask Islam Bangla.