প্রশ্ন ১৮ --> জিহাদে, suicide bombing, কি জায়েজ?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আত্মহত্যা অবশ্যই হারাম । তবে যুদ্ধের ময়দানে যখন বিশাল শত্রুর সম্মুখীন । তখন একজনের আত্মত্যাগ বাচাতে পারে পুরো দলকে ।
• আর মানুষের মাঝে এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জানের বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান। (সূরা বাকারা: 207)
• আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। ( সূরা তাওবা: 111)
অর্থাৎ তারা মারে ও তারপর শত্রুদের ধ্বংস করে মরে । সুতরাং এমন পরিস্থিতে নিজের জীবণ বিলিয়ে দেওয়া বরং অনেক সওয়াবের কাজ ।
# ইবনে আবি সাইবা বর্নণা করেন ,মুয়াজ ইবনে আফরা রাসূলুল্লাহগকে জিজ্ঞেস করেন , " বান্দার কোন কাজ আল্লাহকে হাসায় ? " তিনি উত্তর দিলেন , " কোন বর্ম ছাড়াই শত্রু দের ভিতর ঢুকে যাওয়া ." মুয়াজ (রা) এর পর তার বর্ম রেখে শত্রুদের ভিতর ঢুকে পরে লড়াই করতে থাকেন যতক্ষণ না তিনি নিহত হন । (মুসান্নাফ ৫/৩৩৮)
এখানে দেখা যায় জিহাদের ময়দানে দলের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া প্রশংসনীয় । এবং যুদ্ধ জয়ের জন্য এই আত্মোৎসর্গমূলক আক্রমণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।
তবে আলেমদের ব্যাখ্যা ও সিদ্ধান্তে মতভেদ আছে। তবে অনন্যোপায় না হলে ও বাঁচবার সুযোগ থাকলে নিজেকে বাঁচিয়ে জিহাদ করাই উচিত। কারণ বেচে থাকলে আপনি জীবণে মোট আরো অনেক ক্ষতি সাধন করতে পারবেন শত্রুদের ।
• তোমরা নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা। (সূরা বাকারা ১৯৫)
অর্থাৎ , চরম পরিস্থিতিতে শত্রুর উপর আত্মোৎসর্গমূলক হামলা বা "Self sacrificial operations" জায়েজ ।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
>> কোন কারণ ছাড়া কাফিরদের শহরে গিয়ে কোন রূপ হামলা যাতে সাধারণ মানুষ মারা যায় তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় । কারণ-
• যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। ( সূরা মায়িদা ৩২ )
STA-8.22
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আত্মহত্যা অবশ্যই হারাম । তবে যুদ্ধের ময়দানে যখন বিশাল শত্রুর সম্মুখীন । তখন একজনের আত্মত্যাগ বাচাতে পারে পুরো দলকে ।
• আর মানুষের মাঝে এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে নিজেদের জানের বাজি রাখে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান। (সূরা বাকারা: 207)
• আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। ( সূরা তাওবা: 111)
অর্থাৎ তারা মারে ও তারপর শত্রুদের ধ্বংস করে মরে । সুতরাং এমন পরিস্থিতে নিজের জীবণ বিলিয়ে দেওয়া বরং অনেক সওয়াবের কাজ ।
# ইবনে আবি সাইবা বর্নণা করেন ,মুয়াজ ইবনে আফরা রাসূলুল্লাহগকে জিজ্ঞেস করেন , " বান্দার কোন কাজ আল্লাহকে হাসায় ? " তিনি উত্তর দিলেন , " কোন বর্ম ছাড়াই শত্রু দের ভিতর ঢুকে যাওয়া ." মুয়াজ (রা) এর পর তার বর্ম রেখে শত্রুদের ভিতর ঢুকে পরে লড়াই করতে থাকেন যতক্ষণ না তিনি নিহত হন । (মুসান্নাফ ৫/৩৩৮)
এখানে দেখা যায় জিহাদের ময়দানে দলের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া প্রশংসনীয় । এবং যুদ্ধ জয়ের জন্য এই আত্মোৎসর্গমূলক আক্রমণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।
তবে আলেমদের ব্যাখ্যা ও সিদ্ধান্তে মতভেদ আছে। তবে অনন্যোপায় না হলে ও বাঁচবার সুযোগ থাকলে নিজেকে বাঁচিয়ে জিহাদ করাই উচিত। কারণ বেচে থাকলে আপনি জীবণে মোট আরো অনেক ক্ষতি সাধন করতে পারবেন শত্রুদের ।
• তোমরা নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা। (সূরা বাকারা ১৯৫)
অর্থাৎ , চরম পরিস্থিতিতে শত্রুর উপর আত্মোৎসর্গমূলক হামলা বা "Self sacrificial operations" জায়েজ ।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
>> কোন কারণ ছাড়া কাফিরদের শহরে গিয়ে কোন রূপ হামলা যাতে সাধারণ মানুষ মারা যায় তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় । কারণ-
• যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। ( সূরা মায়িদা ৩২ )
STA-8.22
© 2013 by Ask Islam Bangla.