প্রশ্ন ১৫৪ --> ওয়াহাবি নেতা মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহাব সম্পর্কে উপমহাদেশের দেওবন্দের আলিমগণ কি বলেন তা জানতে চাই
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
প্রশ্নের উত্তরে আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের অফিসিয়াল ফাতওয়া অনুবাদ করে তুলে ধরছি।
♦ প্রশ্ন নং: ৩৭৭০৩
মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব এবং তার আকিদার বই “কিতাবুত তাওহিদ” সম্পর্কে আপনাদের অভিমত কী? আমার এই কিতাবটি পড়বার সুযোগ হয়েছিল কিন্তু একজন আলিম আমাকে বললেন যে বইটির লেখকের[মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব] এমন আকিদাগত বিভ্রান্তি রয়েছে যে তিনি আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বাইরে। আপনারা কি এই কথার সঙ্গে একমত? আর সালাফী আকিদা সম্পর্কে সাধারণভাবে আপনাদের রায় কী? এটা কি আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ভেতরে না বাইরে?
.
উত্তর নং:৩৭৭০৩
১২ই ডিসেম্বর ২০১২
(ফাতওয়াঃ ১৩৭২/১৩৪৫/N=১৪৩৩)
.
(১) শায়খ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব নজদী[رحمة الله عليه{তাঁর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক}] আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লোকদের বাইরের কেউ নন। তবে কিছু কিছু কিছু মাসআলায় তিনি আল্লামা ইবন তাইমিয়াহ এবং ইবনিল কাইয়িমের [رحمهم الله{তাঁদের উপর আল্লাহ রহম করুন}] মতোই খুব কঠোর ছিলেন। তাঁর “কিতাবুত তাওহিদ” এই বিষয়ের জন্য চমৎকার একটি গ্রন্থ। তবে যেসব ব্যাপারগুলোতে তিনি কঠোরতা অবলম্বন করেছেন, সেসব ব্যাপার পরিহার করাই উচিত।
(২) শায়খকে[আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন] আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বাইরে বলে অভিহিত করা উলামায়ে দেওবন্দের সর্বশেষ মতের বিরুদ্ধাচরণ। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানবার জন্য হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ মনজুর নোমানীর[আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন] “শায়খ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবকে খিলাফ প্রোপাগান্ডা আওর হিন্দুস্তানকে উলামা-এ-হাক পার উসকে আসারাত” কিতাবটি দেখুন।
(৩)পূর্বযুগের আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের গুরুজনদের মাসলাক ছিল আল্লাহর সিফাতের অর্থের ব্যাপারে নিরবতা অবলম্বন করা। পরবর্তীকালের আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উলামাগণ অর্থাৎ আশআরী ও মাতুরিদীগণ সিফাতের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য এমন অর্থ গ্রহণ করা বৈধ বলেন যাতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর মর্যাদার খেলাফ হয় না।যেমনঃ (আল্লাহর) يَدُ[হাত] এর ক্ষেত্রে ‘ক্ষমতা’ অর্থ নেওয়া এবং وَجْهُ[মুখমণ্ডল] এর ক্ষেত্রে ‘আল্লাহর স্বত্ত্বা’ অর্থ নেওয়া। অতএব যদি কেউ সালাফী আকিদা বলতে আল্লাহর সিফাতের অর্থের ব্যাপারে নিরবতা অবলম্বনকে বোঝায়, তাহলে এই আকিদার অনুসারীরা মোটেও আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বাইরের বলে গণ্য হবে না। যদিও বর্তমানকালে এই মতবাদের কিছু ব্যক্তি চরমপন্থা অবলম্বন করছে যা নিঃসন্দেহে শরিয়তের এবং সালাফদের মতপার্থক্যের দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল কাজ। কিন্তু যারা নিজেদের সালাফি দাবী করে অথচ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের কিছু মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি যেমনঃ প্রমাণসিদ্ধ ইজমা, কিয়াস ইত্যাদি বিষয় প্রত্যাখ্যান করে তারা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। এইসব লোকদের থেকে দূরে থাকা কর্তব্য।
.
আল্লাহ(সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) সব থেকে উত্তম জানেন।
দারুল ইফতা,
দারুল উলুম দেওবন্দ
♦ প্রশ্নঃ উলামায়ে দেওবন্দ মাওলানা মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে কীরকম ধারণা করেন? আপনি কি একমত যে বর্তমানকালের ওহাবী মতবাদের সাথে মাওলানা মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাবের শিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই?
উত্তরঃ
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। শায়খ মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাব(র) ছিলেন আঠারো শতকের একজন সুখ্যাত এবং আল্লাহভীরু আলিম যিনি হাম্বলী মাজহাব অনুসরণ করতেন। শায়খ সমাজের বিস্তৃত পরিসরে এক অসামান্য গ্রহণযোগ্যতা ও ভালোবাসা অর্জন করেন। শায়খের তৎকালিন সময়ের রাজপরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিল এবং তিনিই আরব উপদ্বীপের সাধারণ মানুষের মধ্যে কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি ভালোবাসা পুনঃজাগ্রত করেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, শায়খের মৃত্যুর পরবর্তীকালে তাঁর প্রতিপক্ষরা তাঁর নামে বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদা ও মতবাদ প্রচার করার এক মহাউগ্র তৎপরতা শুরু করে। এগুলো ছিল শায়খের নামে কলঙ্কলেপন ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে কলহ সৃষ্টির অপচেষ্টা।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যের জন্য শায়খ মুহাম্মাদ আবু বকর গাজীপুরীর “শায়খ আবদুল ওয়াহহাবের জীবন” বইটি দেখা যেতে পারে।
এবং আল্লাহ তা’আলা সব থেকে উত্তম জানেন।
মুফতি ইব্রাহিম দেসাই
মূল ফতোয়ার লিঙ্কঃ
♦ প্রশ্নঃ ওহাবী কারা এবং আবদুল ওয়াহহাব নজদীর আকিদা কী ছিল?তার মাজহাব কী ছিল এবং তিনি কেমন মানুষ ছিলেন? নজদের মানুষজন এবং সুন্নী হানাফীদের আকিদার পার্থক্য কী?
উত্তরঃ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবের অনুসারীদের ‘ওহাবী’ বলা হয়, তাঁদের আকিদা-বিশ্বাস উত্তম(উমদাহ) এবং তাঁদের মাজহাব হাম্বলী।যদিও তাঁর আচরণে বাড়াবাড়ি ছিল, কিন্তু তিনি এবং তাঁর অনুসারীরা ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু হ্যাঁ, যারা সীমালঙ্ঘণ করেছিল, তাদের উপরে ফাসাদ জয়লাভ করেছিল।তাদের সবার মূল আকিদা এক, তাদের কারো কারো কাজে ভিন্নতা দেখা যায় যেমন দেখা যায় শাফিঈ, হানাফী, মালিকী ও হাম্বলীদের মধ্যে।
রশীদ আহমেদ গাঙ্গুহী(র)
সবশেষে বলবো, এটি হচ্ছে মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহাব (রহ) সম্পর্কে দেওবন্দের আলিমদের সর্বশেষ ভেরিফাইড ও অফিসিয়াল ফতোয়া। সুতরাং আমরা তথাকথিত দেওবন্দী আলিম দাবিদার আমর, বাকর, যাইদ কি বললো সেটাকে দেওবন্দের আলিমদের মত হিসেবে মেনে নিবো না। বরং দেওবন্দের আলিমদের মধ্যেই যারা আলিম হিসেবে খ্যাত; যাদের আলিম হবার ব্যাপারে সেখানকার আলিমরাই একমত এবং দিকনির্দেশক যুগান্তরী আলিম মানেন অর্থাৎ কিবার উলামা(বড় আলিম); উনাদের মতকে আমরা দেওবন্দের আলিমদের প্রকৃত মত হিসেবে গ্রহণ করি যেমনটা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে কারণ উনারাই দেওবন্দ ভিত্তিক দ্বীনি জ্ঞানের মূল ঝান্ডাবাহক। তাই বর্তমান দেওবন্দের সুপরিচিত বড় আলিমের বাইরের কোন ব্যক্তির এব্যাপারে নিজস্ব অবস্থান/মতকে দেওবন্দী আলিমদের মত উল্লেখ করে দেওবন্দের উপর দোষারোপ করার পথ আমরা উন্মোচন করবো না কিংবা দেওবন্দের মত হিসেবে গ্রহণও করবো না। কারণ, কিবার আলিম (বড় আলিম) এর মতই (অফিসিয়াল ফতোয়া) আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেবার জন্য যথেষ্ট। জাযাকাল্লাহু খাইর।
MRM-4.7
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
প্রশ্নের উত্তরে আমরা দারুল উলুম দেওবন্দের অফিসিয়াল ফাতওয়া অনুবাদ করে তুলে ধরছি।
♦ প্রশ্ন নং: ৩৭৭০৩
মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব এবং তার আকিদার বই “কিতাবুত তাওহিদ” সম্পর্কে আপনাদের অভিমত কী? আমার এই কিতাবটি পড়বার সুযোগ হয়েছিল কিন্তু একজন আলিম আমাকে বললেন যে বইটির লেখকের[মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব] এমন আকিদাগত বিভ্রান্তি রয়েছে যে তিনি আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বাইরে। আপনারা কি এই কথার সঙ্গে একমত? আর সালাফী আকিদা সম্পর্কে সাধারণভাবে আপনাদের রায় কী? এটা কি আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের ভেতরে না বাইরে?
.
উত্তর নং:৩৭৭০৩
১২ই ডিসেম্বর ২০১২
(ফাতওয়াঃ ১৩৭২/১৩৪৫/N=১৪৩৩)
.
(১) শায়খ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব নজদী[رحمة الله عليه{তাঁর উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক}] আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লোকদের বাইরের কেউ নন। তবে কিছু কিছু কিছু মাসআলায় তিনি আল্লামা ইবন তাইমিয়াহ এবং ইবনিল কাইয়িমের [رحمهم الله{তাঁদের উপর আল্লাহ রহম করুন}] মতোই খুব কঠোর ছিলেন। তাঁর “কিতাবুত তাওহিদ” এই বিষয়ের জন্য চমৎকার একটি গ্রন্থ। তবে যেসব ব্যাপারগুলোতে তিনি কঠোরতা অবলম্বন করেছেন, সেসব ব্যাপার পরিহার করাই উচিত।
(২) শায়খকে[আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন] আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বাইরে বলে অভিহিত করা উলামায়ে দেওবন্দের সর্বশেষ মতের বিরুদ্ধাচরণ। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানবার জন্য হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ মনজুর নোমানীর[আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন] “শায়খ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবকে খিলাফ প্রোপাগান্ডা আওর হিন্দুস্তানকে উলামা-এ-হাক পার উসকে আসারাত” কিতাবটি দেখুন।
(৩)পূর্বযুগের আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের গুরুজনদের মাসলাক ছিল আল্লাহর সিফাতের অর্থের ব্যাপারে নিরবতা অবলম্বন করা। পরবর্তীকালের আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উলামাগণ অর্থাৎ আশআরী ও মাতুরিদীগণ সিফাতের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য এমন অর্থ গ্রহণ করা বৈধ বলেন যাতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর মর্যাদার খেলাফ হয় না।যেমনঃ (আল্লাহর) يَدُ[হাত] এর ক্ষেত্রে ‘ক্ষমতা’ অর্থ নেওয়া এবং وَجْهُ[মুখমণ্ডল] এর ক্ষেত্রে ‘আল্লাহর স্বত্ত্বা’ অর্থ নেওয়া। অতএব যদি কেউ সালাফী আকিদা বলতে আল্লাহর সিফাতের অর্থের ব্যাপারে নিরবতা অবলম্বনকে বোঝায়, তাহলে এই আকিদার অনুসারীরা মোটেও আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বাইরের বলে গণ্য হবে না। যদিও বর্তমানকালে এই মতবাদের কিছু ব্যক্তি চরমপন্থা অবলম্বন করছে যা নিঃসন্দেহে শরিয়তের এবং সালাফদের মতপার্থক্যের দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল কাজ। কিন্তু যারা নিজেদের সালাফি দাবী করে অথচ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের কিছু মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি যেমনঃ প্রমাণসিদ্ধ ইজমা, কিয়াস ইত্যাদি বিষয় প্রত্যাখ্যান করে তারা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। এইসব লোকদের থেকে দূরে থাকা কর্তব্য।
.
আল্লাহ(সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) সব থেকে উত্তম জানেন।
দারুল ইফতা,
দারুল উলুম দেওবন্দ
♦ প্রশ্নঃ উলামায়ে দেওবন্দ মাওলানা মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাব সম্পর্কে কীরকম ধারণা করেন? আপনি কি একমত যে বর্তমানকালের ওহাবী মতবাদের সাথে মাওলানা মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাবের শিক্ষার কোন সম্পর্ক নেই?
উত্তরঃ
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। শায়খ মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাব(র) ছিলেন আঠারো শতকের একজন সুখ্যাত এবং আল্লাহভীরু আলিম যিনি হাম্বলী মাজহাব অনুসরণ করতেন। শায়খ সমাজের বিস্তৃত পরিসরে এক অসামান্য গ্রহণযোগ্যতা ও ভালোবাসা অর্জন করেন। শায়খের তৎকালিন সময়ের রাজপরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিল এবং তিনিই আরব উপদ্বীপের সাধারণ মানুষের মধ্যে কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি ভালোবাসা পুনঃজাগ্রত করেন।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, শায়খের মৃত্যুর পরবর্তীকালে তাঁর প্রতিপক্ষরা তাঁর নামে বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদা ও মতবাদ প্রচার করার এক মহাউগ্র তৎপরতা শুরু করে। এগুলো ছিল শায়খের নামে কলঙ্কলেপন ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে কলহ সৃষ্টির অপচেষ্টা।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যের জন্য শায়খ মুহাম্মাদ আবু বকর গাজীপুরীর “শায়খ আবদুল ওয়াহহাবের জীবন” বইটি দেখা যেতে পারে।
এবং আল্লাহ তা’আলা সব থেকে উত্তম জানেন।
মুফতি ইব্রাহিম দেসাই
মূল ফতোয়ার লিঙ্কঃ
♦ প্রশ্নঃ ওহাবী কারা এবং আবদুল ওয়াহহাব নজদীর আকিদা কী ছিল?তার মাজহাব কী ছিল এবং তিনি কেমন মানুষ ছিলেন? নজদের মানুষজন এবং সুন্নী হানাফীদের আকিদার পার্থক্য কী?
উত্তরঃ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবের অনুসারীদের ‘ওহাবী’ বলা হয়, তাঁদের আকিদা-বিশ্বাস উত্তম(উমদাহ) এবং তাঁদের মাজহাব হাম্বলী।যদিও তাঁর আচরণে বাড়াবাড়ি ছিল, কিন্তু তিনি এবং তাঁর অনুসারীরা ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু হ্যাঁ, যারা সীমালঙ্ঘণ করেছিল, তাদের উপরে ফাসাদ জয়লাভ করেছিল।তাদের সবার মূল আকিদা এক, তাদের কারো কারো কাজে ভিন্নতা দেখা যায় যেমন দেখা যায় শাফিঈ, হানাফী, মালিকী ও হাম্বলীদের মধ্যে।
রশীদ আহমেদ গাঙ্গুহী(র)
সবশেষে বলবো, এটি হচ্ছে মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহাব (রহ) সম্পর্কে দেওবন্দের আলিমদের সর্বশেষ ভেরিফাইড ও অফিসিয়াল ফতোয়া। সুতরাং আমরা তথাকথিত দেওবন্দী আলিম দাবিদার আমর, বাকর, যাইদ কি বললো সেটাকে দেওবন্দের আলিমদের মত হিসেবে মেনে নিবো না। বরং দেওবন্দের আলিমদের মধ্যেই যারা আলিম হিসেবে খ্যাত; যাদের আলিম হবার ব্যাপারে সেখানকার আলিমরাই একমত এবং দিকনির্দেশক যুগান্তরী আলিম মানেন অর্থাৎ কিবার উলামা(বড় আলিম); উনাদের মতকে আমরা দেওবন্দের আলিমদের প্রকৃত মত হিসেবে গ্রহণ করি যেমনটা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে কারণ উনারাই দেওবন্দ ভিত্তিক দ্বীনি জ্ঞানের মূল ঝান্ডাবাহক। তাই বর্তমান দেওবন্দের সুপরিচিত বড় আলিমের বাইরের কোন ব্যক্তির এব্যাপারে নিজস্ব অবস্থান/মতকে দেওবন্দী আলিমদের মত উল্লেখ করে দেওবন্দের উপর দোষারোপ করার পথ আমরা উন্মোচন করবো না কিংবা দেওবন্দের মত হিসেবে গ্রহণও করবো না। কারণ, কিবার আলিম (বড় আলিম) এর মতই (অফিসিয়াল ফতোয়া) আমাদের জন্য সিদ্ধান্ত নেবার জন্য যথেষ্ট। জাযাকাল্লাহু খাইর।
MRM-4.7
© 2016 by Ask Islam Bangla.