ASK ISLAM BANGLA
  • Home
  • রচনাবলী
  • সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইসলামি সাধারণ জ্ঞান
  • ইসলাম বিরোধী প্রশ্নের জবাব
  • ইসলামের সেই কাহিনীগুলো
  • সাহাবীদের কাহিনী
  • গল্পে গল্পে শিখী
  • ROAD TO PEACE
  • Forum

প্রশ্ন ১৫২ --> অনলাইনে কোন ছেলে কোন মেয়ের ফিতনায় পরেছে কিনা কিভাবে বুঝব? আর এটা থেকে বাঁচার উপায় কি? ​

উত্তর :

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

কারো ভাল লাগুক বা না লাগুক, মেয়েরা ছেলেদের জন্য পা থেকে মাথা পর্যন্ত ফিতনা, অফলাইন থেকে অনলাইন সবখানে ফিতনা। তব্র এতে মেয়েদের কষ্ট পাবার কিছু নেই। ফিতনা মানে হল পরিক্ষা। এটা ছেলেদের জন্য সবচেয়ে বড় ঈমানী পরীক্ষাগুলোর একটি। 

হুজুর ছেলেদের কাছে কিন্তু আবার বেপর্দা মেয়েদের চেয়ে হিজাবি মেয়েরা বড় ফিতনা। 

অফলাইনের ফিতনা নিয়ে ত সবাই অনেক সতর্কই আছে মনে হয়। তাই অনলাইনে এই ফিতনার কিছু রূপ তুলে ধরছি। মূলত দ্বীনী সমাজের ফিতনাটাই আলোচনা করছি।

ফেসবুকে এই ফিতনা চিহ্নিত করার মূল উপায় হল লাইক, কমেন্ট, মেসেজ। 

মেয়েরা কিভাবে বুঝবে যে কোন ভাইয়ের জন্য আমি বিশাল ফিতনা হয়ে গেছি?

- ফিতনায় পরা ভাই সব পোস্টে লাইক দিবে। ছাই পাশ যা খুশি পোস্ট করেন না কেন সে লাইক দিবেই। হয়ত সবার প্রথম লাইকটাই দেখবেন তার।
- পোস্ট নিজের কাছে পচা লাগলেও সে এসে কমেন্ট করে বসবে হয়ত
- টপ লেভেলের দ্বীনদার মেয়েরা কোন ছবি আপলোড দেয় না। যারা ছবি দেয় তাদের ছবিতে ফিতনায় পরা ভাইয়ের লাইক থাকবেই।
- ফিতনা যদি আরও বেশী হয় তবে নানা ছুতায় ওই ভাই মেসেজ পাঠাবে।
- একাধিক ভাইয়ের জন্য ফিতনার কারণ হলে তাদের মধ্যে সূক্ষ্ম প্রতিযোগিতা টের পাবেন।
- অনেক ক্ষেত্রে আপনি যাতে লাইক দিবেন ওই ভাইও তাতে লাইক দিবে।
মেয়েদের উদ্দেশ্য করে লিখলাম কারণ ছেলেরাই ফিতনায় পরে মূলত। 

ফিতনায় পরা কিছু ভাইকে পর্যবেক্ষণ করে এইগুলো সব পেলাম। তবে দুই একজন মেয়েও ছেলের ফিতনায় পরতে পারে। তখনও একই জিনিস হবে।
এখন ফিতনা থেকে বাঁচার উপায় -
১। ফিতনা যদি প্রথম লেভেলে হয় তবে আনফ্রেন্ড করে দিন।
২। তার সাথে কন্টাক্টের সব পথ বন্ধ করে দিন।
৩। অনলাইনে আচরণের হিজাব মেনটেইন করুন। যে পোস্ট ছেলেরা দেখছে তাতে হাসা হাসি, লুতুপুতু আচরন না করুন।
৪। যদি মনে হয় কোন ভাই সিরিয়াস ফিতনায় পরেছে তবে তাকে ব্লক করুন।

হয়ত প্রশ্ন আসবে জাহিলি সময় যাদের ফ্রেন্ড করেছেন। কাছের মানুষ তাদের কি করব। তারাত অপমানিত বোধ করবে, রাগ করবে।
এখানে আপনাকে সেই কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাওয়া মানুষদের হাদিসটা আবার পড়তে বলব। সাতটি দলের মধ্যে একটি দল ছিল যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একত্র হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিচ্ছিন্ন হয়। 

তাই আপনি যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ফিতনায় পরা ভাইদের থেকে বিচ্চিন্ন হন তবে ইনশাল্লাহ আল্লাহর আরশের ছায়া পাবার মত একটি কাজ করে ফেললেন।

আর ছেলেদের প্রতি, কারো কাউকে ভাল লেগেই যেতে পারে হঠাৎ। তাই কাউকে ভাল লাগলে শয়তানের ফাদে পা না দিয়ে নিজের নফসের লাগাম টেনে ধরুন। নিজে কিছু না করে মাহরাম নারীদের দিয়ে প্রস্তাব দিন। শয়তান বিয়ের আগে সুন্দর করে তুলে ধরে পাগল করে দিয়ে সরে যায়। এবং সারাজীবন তাদের ঝামেলা দেখে মজা নিতে থাকে। অপরদিকে কিছু বিয়ে যেন না হয় সেটার জন্যও শয়তান প্রাণপণ চেষ্টা করে। তাই শয়তান হতে সাবধান থাকুন সবাই।

◘ নারীদের জন্য- আমরা জানি, পুরুষের জন্য নারী সবচে বড় ফিতনা। আমি যেন কোন পুরুষের জন্য ফিতনার বস্তু না হই, এই দিকটা খেয়াল রাখা(অনিচ্ছাকৃত হলে আলাদা কথা, অন্তত ইচ্ছাকৃত যেন না হয়)।
◘ পুরুষের জন্য- যেহেতু নারী আমার জন্য সবচে বড় ফিতনা, আমি যেন কোন নারীর ফিতনায় আটকা না পড়ে যাই। আমার দৃষ্টি হিফাজতের দায়ভার তো আমার.

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহায্য করুন আমিন।

 
LTA-112.194
site search by freefind advanced

© 2015 by Ask Islam Bangla.
Powered by Create your own unique website with customizable templates.