প্রশ্ন ১৪৬ --> আমার জন্য মেয়ে দেখেছিল পরিবার থেকে। কিন্তু মেয়ের মা আমাদের না বলে দিছেন কিছুদিন আগে। এর পর থেকে আমি অনেক মানসিক কষ্টে আছি। আমার টেনশন যাচ্ছে না। আমি এখন কি করতে পারি?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
যেকোন বড় দুঃখ ভুলে যাওয়ার একটাই উপায়, সেটি হচ্ছে, ঠিক সেই পরিমাণ বড় কোন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা, এজন্য বলব আপনি কুর'আনের লাস্ট পারাটা মুখস্ত করতে এবং ইমাম আন-নববী রহিমাহুল্লাহ এর চল্লিশ হাদীস (৪২টা আছে) আরবিতে সনদ সহ মুখস্ত করতে চেষ্টা করুন। এটি আপনার ব্রেইনকে ব্যস্ত রাখবে এবং কোন কিছু হারানোর ব্যাথা অনুভব করার মত ফ্রি সময় কম পাবেন।
আল্লাহ'র উপর ভরসা করুণ। তবে আমরা সেই চেষ্টা করলেও মানুষ হিসেবে নিজেদের কিছু দুর্বলতা থাকবেই যার জন্য আল্লাহ'র প্রতি ভরসা রাখলেও আমাদের কষ্ট নিজেদেরকে অবশ্যই ব্যথিত করবে। এক্ষত্রে আমি বলব এক্সট্রা স্বলাত আদায় করুন যেখানে রূকূ-সিজদাহ সহ স্বলাত বেশ দীর্ঘ হবে... মূলত এটি অন্তরে একটা হালকা প্রশান্তির সৃষ্টি করে।
একজন ছেলের জন্য কোন পছন্দনীয় পাত্র/পাত্রীকে হারানো বেশ কষ্টের, কোন কিছুই সেই চিন্তাকে পুরোপুরি দূর করতে পারে না, বিয়ে ছাড়া। তাড়াহুড়ো করতে বলবো না, তবে মানসিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে একটু তাড়াতাড়ি বিয়ের চেষ্টা করা যায়। আর মনে রাখা উচিত, অবশ্যই আপাত পার্ফেক্ট মনে হওয়া ব্যক্তিটি দুনিয়ার বেস্ট মানুষ নয়, হয়ত আপনার ঈমানের এই পর্যায়ের জন্য বেস্ট। কিন্তু আল্লাহ হয়ত আপনার ঈমানকে বৃদ্ধি করে তার চেয়েও উত্তম কাউকে আপনার জন্য মনোনীত করে রেখেছেন।
এটি একটু নেগেটিভ টাইপের কথা। আমি মনে করি যারা প্রাকটিসিং মুসলিম (বিশেষত যাদের দাঁড়ি আছে) তারা হচ্ছে মধ্যযুগীও। আমাদের কোন ইমোশন থাকতে নেই, কোন চাহিদা থাকতে নেই, কাউকে পছন্দ করার অধিকার নেই। এই সমাজ যেন আমাদের একটা খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে যেখানে আমাদের কথা শোনার মত কেউ নেই, আমাদের কষ্ট প্রকাশ করার মত, অনুধাবন করার মত কেউ নেই। আছেন শুধু একমাত্র আল্লাহ... একমাত্র আল্লাহ। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, আবার আমরা তার কাছি ফিরে যাবো, আর এই মধ্যবর্তী সময়কার affairs ও একমাত্র তাঁরই হাতে রয়েছে, আর কারোও হাতে নেই। তাই কেউ শুনুক বা না শুনুক আল্লাহ শুনবেন ইন-শা-আল্লাহ, এজন্যই তো আমরা গুরাবা, এজন্যই আল্লাহ আমাদের আর্জি শোনার জন্য প্রথম আসমানে আসেন, সারাদিন রাত দু হাত প্রশস্ত করে রাখেন, কারণ তিনি ছাড়া আর কেউ যে নেই আমাদের কথা শোনার, তাই আসুন তাহাজ্জুদে দাঁড়িয়ে যাই, শুকরিয়ার সিজদাহ দেই, তাঁর কাছেই নিজেদের কষ্ট প্রকাশ করি। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের কষ্ট শোনার জন্য, দু'ফোটা অশ্রু'র সমবেদনা সরূপ পুরষ্কার ও জান্নাত দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ এসব গুরাবাদের ছেড়ে যাবেন না। আর আল্লাহ যদি সাথে থাকেন, এই সমগ্র দুনিয়া, এই বিশ্বের মালিক যদি সাথে থাকে তাহলে আর কি লাগে? এ দুনিয়ায় আমরা যদি কেবল আল্লাহ আমাদের সাথে থাকেন তবেই আমরা খুশি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম জীবন সঙ্গী খুজে দিন। আমিন।
MMM-4.5
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
যেকোন বড় দুঃখ ভুলে যাওয়ার একটাই উপায়, সেটি হচ্ছে, ঠিক সেই পরিমাণ বড় কোন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা, এজন্য বলব আপনি কুর'আনের লাস্ট পারাটা মুখস্ত করতে এবং ইমাম আন-নববী রহিমাহুল্লাহ এর চল্লিশ হাদীস (৪২টা আছে) আরবিতে সনদ সহ মুখস্ত করতে চেষ্টা করুন। এটি আপনার ব্রেইনকে ব্যস্ত রাখবে এবং কোন কিছু হারানোর ব্যাথা অনুভব করার মত ফ্রি সময় কম পাবেন।
আল্লাহ'র উপর ভরসা করুণ। তবে আমরা সেই চেষ্টা করলেও মানুষ হিসেবে নিজেদের কিছু দুর্বলতা থাকবেই যার জন্য আল্লাহ'র প্রতি ভরসা রাখলেও আমাদের কষ্ট নিজেদেরকে অবশ্যই ব্যথিত করবে। এক্ষত্রে আমি বলব এক্সট্রা স্বলাত আদায় করুন যেখানে রূকূ-সিজদাহ সহ স্বলাত বেশ দীর্ঘ হবে... মূলত এটি অন্তরে একটা হালকা প্রশান্তির সৃষ্টি করে।
একজন ছেলের জন্য কোন পছন্দনীয় পাত্র/পাত্রীকে হারানো বেশ কষ্টের, কোন কিছুই সেই চিন্তাকে পুরোপুরি দূর করতে পারে না, বিয়ে ছাড়া। তাড়াহুড়ো করতে বলবো না, তবে মানসিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে একটু তাড়াতাড়ি বিয়ের চেষ্টা করা যায়। আর মনে রাখা উচিত, অবশ্যই আপাত পার্ফেক্ট মনে হওয়া ব্যক্তিটি দুনিয়ার বেস্ট মানুষ নয়, হয়ত আপনার ঈমানের এই পর্যায়ের জন্য বেস্ট। কিন্তু আল্লাহ হয়ত আপনার ঈমানকে বৃদ্ধি করে তার চেয়েও উত্তম কাউকে আপনার জন্য মনোনীত করে রেখেছেন।
এটি একটু নেগেটিভ টাইপের কথা। আমি মনে করি যারা প্রাকটিসিং মুসলিম (বিশেষত যাদের দাঁড়ি আছে) তারা হচ্ছে মধ্যযুগীও। আমাদের কোন ইমোশন থাকতে নেই, কোন চাহিদা থাকতে নেই, কাউকে পছন্দ করার অধিকার নেই। এই সমাজ যেন আমাদের একটা খাঁচায় বন্দী করে রেখেছে যেখানে আমাদের কথা শোনার মত কেউ নেই, আমাদের কষ্ট প্রকাশ করার মত, অনুধাবন করার মত কেউ নেই। আছেন শুধু একমাত্র আল্লাহ... একমাত্র আল্লাহ। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, আবার আমরা তার কাছি ফিরে যাবো, আর এই মধ্যবর্তী সময়কার affairs ও একমাত্র তাঁরই হাতে রয়েছে, আর কারোও হাতে নেই। তাই কেউ শুনুক বা না শুনুক আল্লাহ শুনবেন ইন-শা-আল্লাহ, এজন্যই তো আমরা গুরাবা, এজন্যই আল্লাহ আমাদের আর্জি শোনার জন্য প্রথম আসমানে আসেন, সারাদিন রাত দু হাত প্রশস্ত করে রাখেন, কারণ তিনি ছাড়া আর কেউ যে নেই আমাদের কথা শোনার, তাই আসুন তাহাজ্জুদে দাঁড়িয়ে যাই, শুকরিয়ার সিজদাহ দেই, তাঁর কাছেই নিজেদের কষ্ট প্রকাশ করি। নিশ্চয়ই তিনি আমাদের কষ্ট শোনার জন্য, দু'ফোটা অশ্রু'র সমবেদনা সরূপ পুরষ্কার ও জান্নাত দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ এসব গুরাবাদের ছেড়ে যাবেন না। আর আল্লাহ যদি সাথে থাকেন, এই সমগ্র দুনিয়া, এই বিশ্বের মালিক যদি সাথে থাকে তাহলে আর কি লাগে? এ দুনিয়ায় আমরা যদি কেবল আল্লাহ আমাদের সাথে থাকেন তবেই আমরা খুশি।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম জীবন সঙ্গী খুজে দিন। আমিন।
MMM-4.5
© 2015 by Ask Islam Bangla.