প্রশ্ন ১৩৯ --> সুরা তাওবাহ,অায়াত-৩৪ আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ,অালেম/দরবেশদের মধ্যে অনেকেই মানুষের ধন সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে এবং মানুষদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরাইয়া রাখে।
(১)- উল্লেখিত আলেম/দরবেশ কারা?
(২)- বর্তমানে এ সমস্ত আলেম/দরবেশদের আমরা কিভাবে চিনব?
(৩)- এ সমস্ত আলেম/দরবেশগন কিভাবে মানুষদেরকে আল্লাহর পথ থেকে ফিরাইয়া রাখে?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
"হে ঈমানদারগণ! অধিকাংশ 'আহবার' এবং 'রুহবান' লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা(অতি লোভের বশবর্তী হয়ে) স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।" (সূরা আত তাওবাহঃ৩৪)
(১) সুদ্দী(রঃ) বলেন, উল্লেখিত 'আহবার' বলতে ইহুদী আলেমদের এবং 'রুহবান' বলতে খ্রিষ্টান আবেদদের বোঝানো হয়েছে। আবার, সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা(রঃ) বলেন, "আমাদের আমাদের আলেমদের মধ্যে যারা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে তাদের ইয়াহুদীদের সাথে কিছু না কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। আর আমাদের সুফী ও দরবেশদের মধ্যে যারা অনৈক্য সৃষ্টি করে তাদের খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে।"
সুতরাং এমনকিছু পথভ্রষ্ট আলেম বা দরবেশ আমাদের মধ্যেও রয়েছে।
(২) ইবন কাসির(রঃ) বলেন,"অজ্ঞতার যুগে জনগণদের মধ্যে ইহুদী আলেমদের অনেক মর্যাদা ছিল। তাদের জন্য উপঢৌকন ও ফকির দরবেশের মাযারে বাতি জ্বালাবার উদ্দেশ্যে দান নির্দিষ্ট ছিল। এগুলো তাদের চাইতে হতো না বরং স্বতঃস্ফূর্তভাবে লোকোজন তাদের এগুলো পৌছে দিত।" সুতরাং এসকল পথভ্রষ্টদের মাঝেও উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যাবে। তবে, তাদের চেনার জন্য সকল আলেমের ইজমা এর ভিত্তিতে তাদের কিছু পথভ্রষ্টতা উল্লেখ করছি
ক) রাসূল(সাঃ) কে তারা নূরের তৈরি বলে মনে করে এবং আল্লাহ'র নূরের অংশ দাবী করে
খ) রাসূল(সাঃ) কে আল্লাহ নূর হিসেবে প্রথম সৃষ্টি করেন এবং তার নূর থেকে অন্যান্য সৃষ্টি দাবী করে
গ) বিভিন্ন মিলাদ, ওরস, চল্লিশা ইত্যাদি বিদ'আহ পালন করে
ঘ) রাসূল(সাঃ) এর ছায়া ছিল না বলে দাবী করে
ঙ) কবর বা মাযারকেন্দ্রিক বিভিন্ন শিরকী কাজে লিপ্ত থাকে এবং তাদের কাছে বাই'আত দিলে সব গুনাহ মাফ বলে প্রচার করে
(৩) মানুষ মাত্রই গুনাহ থাকা তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কারোও কম, কারোও বা বেশি। কিন্তু অনেক গুনাহ এর বোঝা মাথায় নিয়ে মানুষ খুব দ্রুত এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শর্টকাট খুজতে থাকে আর তখনই তারা এরকম ধোঁকাবাজদের স্বীকার হয়। অথচ, তাওবাহ হলো শুধুমাত্র বান্দা এবং আল্লাহ'র মধ্যকার বিষয়। এর জন্য মাঝখানে কিছু নেই। এসকল পথভ্রষ্ট লোক নিজেদেরও গোমরাহ করেছে এবং নিজেদের গোমরাহী দ্বারা অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করেছে। যেহেতু, এসকল পথভ্রষ্ট'রাও বলে যে, 'আমরাও লোকদের সত্যের দিকে আহ্বান করছি' এবং সাধারণ মুসলিম'রা যেহেতু কুর'আন ও হাদীস পড়ে না সেহেতু সহজেই তারা কুর'আন ও হাদীসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে।
আল্লাহ আমাদের এদের হতে বাঁচিয়ে রাখুন এবং তাদের হিদায়েত করুন এই দুয়াই করি।
MMM-2.3
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
"হে ঈমানদারগণ! অধিকাংশ 'আহবার' এবং 'রুহবান' লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা(অতি লোভের বশবর্তী হয়ে) স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।" (সূরা আত তাওবাহঃ৩৪)
(১) সুদ্দী(রঃ) বলেন, উল্লেখিত 'আহবার' বলতে ইহুদী আলেমদের এবং 'রুহবান' বলতে খ্রিষ্টান আবেদদের বোঝানো হয়েছে। আবার, সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা(রঃ) বলেন, "আমাদের আমাদের আলেমদের মধ্যে যারা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে তাদের ইয়াহুদীদের সাথে কিছু না কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। আর আমাদের সুফী ও দরবেশদের মধ্যে যারা অনৈক্য সৃষ্টি করে তাদের খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে।"
সুতরাং এমনকিছু পথভ্রষ্ট আলেম বা দরবেশ আমাদের মধ্যেও রয়েছে।
(২) ইবন কাসির(রঃ) বলেন,"অজ্ঞতার যুগে জনগণদের মধ্যে ইহুদী আলেমদের অনেক মর্যাদা ছিল। তাদের জন্য উপঢৌকন ও ফকির দরবেশের মাযারে বাতি জ্বালাবার উদ্দেশ্যে দান নির্দিষ্ট ছিল। এগুলো তাদের চাইতে হতো না বরং স্বতঃস্ফূর্তভাবে লোকোজন তাদের এগুলো পৌছে দিত।" সুতরাং এসকল পথভ্রষ্টদের মাঝেও উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যাবে। তবে, তাদের চেনার জন্য সকল আলেমের ইজমা এর ভিত্তিতে তাদের কিছু পথভ্রষ্টতা উল্লেখ করছি
ক) রাসূল(সাঃ) কে তারা নূরের তৈরি বলে মনে করে এবং আল্লাহ'র নূরের অংশ দাবী করে
খ) রাসূল(সাঃ) কে আল্লাহ নূর হিসেবে প্রথম সৃষ্টি করেন এবং তার নূর থেকে অন্যান্য সৃষ্টি দাবী করে
গ) বিভিন্ন মিলাদ, ওরস, চল্লিশা ইত্যাদি বিদ'আহ পালন করে
ঘ) রাসূল(সাঃ) এর ছায়া ছিল না বলে দাবী করে
ঙ) কবর বা মাযারকেন্দ্রিক বিভিন্ন শিরকী কাজে লিপ্ত থাকে এবং তাদের কাছে বাই'আত দিলে সব গুনাহ মাফ বলে প্রচার করে
(৩) মানুষ মাত্রই গুনাহ থাকা তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কারোও কম, কারোও বা বেশি। কিন্তু অনেক গুনাহ এর বোঝা মাথায় নিয়ে মানুষ খুব দ্রুত এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শর্টকাট খুজতে থাকে আর তখনই তারা এরকম ধোঁকাবাজদের স্বীকার হয়। অথচ, তাওবাহ হলো শুধুমাত্র বান্দা এবং আল্লাহ'র মধ্যকার বিষয়। এর জন্য মাঝখানে কিছু নেই। এসকল পথভ্রষ্ট লোক নিজেদেরও গোমরাহ করেছে এবং নিজেদের গোমরাহী দ্বারা অন্যদেরও পথভ্রষ্ট করেছে। যেহেতু, এসকল পথভ্রষ্ট'রাও বলে যে, 'আমরাও লোকদের সত্যের দিকে আহ্বান করছি' এবং সাধারণ মুসলিম'রা যেহেতু কুর'আন ও হাদীস পড়ে না সেহেতু সহজেই তারা কুর'আন ও হাদীসের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে।
আল্লাহ আমাদের এদের হতে বাঁচিয়ে রাখুন এবং তাদের হিদায়েত করুন এই দুয়াই করি।
MMM-2.3
© 2015 by Ask Islam Bangla.