ASK ISLAM BANGLA
  • Home
  • রচনাবলী
  • সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইসলামি সাধারণ জ্ঞান
  • ইসলাম বিরোধী প্রশ্নের জবাব
  • ইসলামের সেই কাহিনীগুলো
  • সাহাবীদের কাহিনী
  • গল্পে গল্পে শিখী
  • ROAD TO PEACE
  • Forum

প্রশ্ন ১৩১ --> আমার একজনকে ভালো লাগে, আমি তাকে ভুলে থাকতে চাই কিন্তু মাঝে মাঝে তার কথা মনে পড়ে। তার কথা আমি কাউকে বলি নি। আমি আমার বাবা-মাকে দুঃখ দিতে চাই না। এই অবস্থায় আমার করণীয় কি?

উত্তর :

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

আপনার যদি কোন ছেলেকে ভালো লেগে যায়, তাহলে দুইটা কাজ করা যায়ঃ

  1. ছেলেকে বিয়ে করে ফেলা।
  2. তাকে বিয়ে করা সম্ভব না হলে, ধৈর্য্যধারণ করা।

ইসলামের বিধান হলো, ছেলেমেয়ে বালেগ হলে যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা। এটাই রাসূলুল্লাহ (সা) এর নির্দেশ। জলদি বিয়ে করার মাধ্যমে নানা রকম ফিতনা থেকে দূরে থাকা অনেক সহজ হয়ে যায়। আর বিয়েকে বলা হয় দ্বীন ইসলামের অর্ধেক, তাহলে চিন্তা করুন, একে কতো বেশি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সুবহান আল্লাহ! আজকাল তো বাবা-মা ২৫-২৬ বছর বয়স না হলে বিয়ের কথা চিন্তাতেই আনেন না, ফলে ছেলেমেয়েরা নানা রকম ফিতনায় জড়িয়ে পড়ে, আর আমাদের সমাজে সেটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক!

তাই যতো জলদি সম্ভব বিয়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে। লজ্জা কাটিয়ে উঠে বাবা-মা কে বিয়ের ব্যাপারে বলতে হবে, তারা রাজি না হলে, রাজি করানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। ইনশা আল্লাহ তখন আল্লাহ তাদের মনকে গলিয়ে দেবেন।
এবারে, আরেকটা জরুরি বিষয়। যাকে ভালো লেগে গেছে, তাকেই কি বিয়ে করা উচিত?

ইসলামে বলা হয়েছে,

"নারীদেকে সাধারণত চারটি কারণে বিয়ে করা হয়ে থাকেঃ
  1. তাকওয়া (আল্লাহ ভীরুতা)
  2. সৌন্দর্য
  3. বংশমর্যাদা বা স্ট্যাটাস
  4. প্রাচুর্য
যদি কেউ তো দ্বীন দেখে বিয়ে করলো, সে লাভবান হলো।" [ বুখারী, মুসলিম ]

সুতরাং বিয়ের ক্ষেত্রে, একজন পাত্র বা পাত্রীর মাঝে কতোটা তাকওয়া আছে- সেটাই সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার। দেখা গেলো, আপনি আপনার পছন্দের একজনকে বিয়ে করলেন, অথচ সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজটা পর্যন্ত ঠিক মত পড়ে না!

তাহলে এমন ছেলে যখন একদিন আপনার সন্তানের বাবা হবে, তাকে দেখে সন্তানেরা কি শিখবে? এটা মনে রাখা দরকার, আমরা বিয়ে করে শুধু স্বামী/স্ত্রী বাছাই করি না, বরং আমাদের সন্তানদের জন্য বাবা/মা নির্ধারণ করি। তাই সে কতোটা আল্লাহভীরু সেটাই দেখবার বিষয়।

# আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন,‘যদি এমন কেউ তোমাদের বিয়ের প্রস্তাব দেয় যার ধার্মিকতা ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট তবে তোমরা তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে। যদি তা না করো তবে পৃথিবীতে ব্যাপক অরাজতা সৃষ্টি হবে।’[তিরমিযী: ১০৮৪]

আজকাল বাবা-মা বিয়ের সময় অনেক কিছু দেখতে যান, এতোকিছু দেখতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত বিয়েটাই হয় না! তাই বিয়ের সময় যতোটা সম্ভব সমঝোতা করার চেষ্টা করতে হবে। আর বাবা-মাকেও এই হাদীসের ওপর আমল করার চেষ্টা করতে হবে।

আচ্ছা, এই গেলো বিয়ের কথা। যদি ছেলের দ্বীন ও চরিত্র ভালো হয়, এবং আপনি তাকে বিয়ে করতে চান, তাহলে ইসলাম আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে।

তবে ছেলে যদি ভালো ঈমানদার ও সচ্চরিত্রের না হয়, তবে তাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে তার কথা আসলে, "আসতাগফিরুল্লাহ" বলে অন্য কোন ভালো কাজে মনোনিবেশ করুন এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় চান। তার কথা কখনোই ইচ্ছাকৃত ভাববেন না, কিংবা তাকে নিয়ে কল্পনার রাজ্যে ডুবে যাওয়া উচিত হবে না। আল্লাহ আমাদের গুনাহ ও ভুল-ত্রুটি মাফ করুক, আমীন!

আমার দেখা বিভিন্ন ঘটনায় এমন হয়েছে যে, অনেকে জাহেলিয়াতে থাকা অবস্থায় প্রেম করতো। পরে ইসলামের বুঝ পাওয়ার পরে, ভালো দ্বীনদার পাত্রকে বিয়ে করেছে। কিন্তু এরপরে তাদের আর কখনো পুরনো প্রেমিকের কথা স্মরণে আসে নাই। সুতরাং এইসব শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে দূরে থাকার একটি উত্তম উপায়ও হলো বিয়ে করে ফেলা।

আর আল্লাহ তা'আলাই ভালো জানেন।

পড়ুন

আমি কি ভালোবেসে বিয়ে করতে পারবো?

STA-96.150
site search by freefind advanced

© 2014 by Ask Islam Bangla.
Powered by Create your own unique website with customizable templates.