প্রশ্ন ১৩ --> রাসূলুল্লাহ স. এবং তারা সাহাবীরা র. কি তিনবেলা খেতেন?তারা কয়বেলা খেতেন?রোযার সাহরী ইফতার ছাড়া আর কখন খেতেন?
পূর্ণ প্রশ্নঃ
ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন পড়ে জানতে পারলাম রাসূলুল্লাহ স. দিনে রাতে একবেলা খেতেন।এখন আমরা যে তিন বেলা বা তার অধিক খাই তা কি সুন্নাত হচ্ছে।এটা জানার পর আমি দুই বেলায় খাবার নামিয়ে এনেছি।এখন দেখছি রোযা আর সাধারন দিনের পার্থক্য পানি ছাড়া আর তেমন কিছু নাই।
আমার প্রশ্ন হল রাসূলুল্লাহ স. এবং তারা সাহাবীরা র. কি তিনবেলা খেতেন?তারা কয়বেলা খেতেন?রোযার সাহরী ইফতার ছাড়া আর কখন খেতেন?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আমরা এমন কোন লিস্ট পাই না যা আমাদের বলে রাসূলুল্লাহ (সা) কোন দিন কী কী খেতেন । কোন দিন দুই বেলা খেতেন আবার কোনদিন খাবার না থাকায় উনারা পেটে পা্থর বেধে রাখতেন । কারণ মুসলিমদের অবস্থা সে সময় খুবই করুণ ও সঙ্কটময় ছিল ।
# আয়েশা (রা) বলেন , " মুহাম্মদ (সা) এর পরিবার এক দিনে দুই বেলা খেতেন না ; কিন্তু ওই একবেলার খাবারও ছিল কেবল দুটি খেজুর । " (বুখারি)
সব মিলিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) দিনে দুইবেলা খেতেন এবং কম খেতে পরামর্শ দিয়েছেন । মুমিন এক পেটে খায় ও কাফের সাত পেটে খায় (অর্থাৎ সে সর্বদা বেশী খায়)। [.বুখারী, মিশকাত হা/৪১৭৩]
রোযায় উনারা ইফতার করতেন ও সেহরি করতেন । এবং কখনই খুব বেশি খেতেন না ।
সুতরাং কম খাওয়াই সুন্নত । তবে অবশ্যই জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ অবশ্যই খেতে হবে । পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে উনারা খাবার কম পেলেও আল্লাহ যেহেতু আপনাকে খাবার দিয়েছেন বেশি নিয়ামত হিসেবে তা পরিমাণ মত খেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে । তবে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেওয়া যাবে না । কারণ আল্লাহ যাকে যেমন দিয়েছেন তেমনটা ব্যবহার করাই মুসলিমদের কাজ ।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি। ড. বিলাল ফিলিপস বলেছিলেন, মুহাম্মাদ (সা) আমাদের মতোই একজন মানুষ। উনারও কিছু নিজস্ব পছন্দ ছিল। তাই আমাদের জানতে হবে,কোনটা সুন্নাহ আর কোনটা ওনার নিজের পছন্দ। যেটা সুন্নাহ সেটার উপরই আমল করতে হবে,আর ব্যক্তিগত পছন্দটি এর ক্ষেত্রে আমার নিজের ইচ্ছা যদি তাঁর ইচ্ছার সাথে মেলে তো করতে পারি,না করলেও সমস্যা নাই। কারণ ভৌগলিকভাবে ও আবহাওয়াগত কারণে অনেক কিছুই সে পরিবেশের সাথে সারা পৃথিবীর সাথে মিলবে না । তাই আল্লাহ তাআলা এসব বিষয় আমাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেননি ।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।
STA-6.20
ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন পড়ে জানতে পারলাম রাসূলুল্লাহ স. দিনে রাতে একবেলা খেতেন।এখন আমরা যে তিন বেলা বা তার অধিক খাই তা কি সুন্নাত হচ্ছে।এটা জানার পর আমি দুই বেলায় খাবার নামিয়ে এনেছি।এখন দেখছি রোযা আর সাধারন দিনের পার্থক্য পানি ছাড়া আর তেমন কিছু নাই।
আমার প্রশ্ন হল রাসূলুল্লাহ স. এবং তারা সাহাবীরা র. কি তিনবেলা খেতেন?তারা কয়বেলা খেতেন?রোযার সাহরী ইফতার ছাড়া আর কখন খেতেন?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আমরা এমন কোন লিস্ট পাই না যা আমাদের বলে রাসূলুল্লাহ (সা) কোন দিন কী কী খেতেন । কোন দিন দুই বেলা খেতেন আবার কোনদিন খাবার না থাকায় উনারা পেটে পা্থর বেধে রাখতেন । কারণ মুসলিমদের অবস্থা সে সময় খুবই করুণ ও সঙ্কটময় ছিল ।
# আয়েশা (রা) বলেন , " মুহাম্মদ (সা) এর পরিবার এক দিনে দুই বেলা খেতেন না ; কিন্তু ওই একবেলার খাবারও ছিল কেবল দুটি খেজুর । " (বুখারি)
সব মিলিয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) দিনে দুইবেলা খেতেন এবং কম খেতে পরামর্শ দিয়েছেন । মুমিন এক পেটে খায় ও কাফের সাত পেটে খায় (অর্থাৎ সে সর্বদা বেশী খায়)। [.বুখারী, মিশকাত হা/৪১৭৩]
রোযায় উনারা ইফতার করতেন ও সেহরি করতেন । এবং কখনই খুব বেশি খেতেন না ।
সুতরাং কম খাওয়াই সুন্নত । তবে অবশ্যই জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ অবশ্যই খেতে হবে । পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে উনারা খাবার কম পেলেও আল্লাহ যেহেতু আপনাকে খাবার দিয়েছেন বেশি নিয়ামত হিসেবে তা পরিমাণ মত খেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে । তবে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেওয়া যাবে না । কারণ আল্লাহ যাকে যেমন দিয়েছেন তেমনটা ব্যবহার করাই মুসলিমদের কাজ ।
এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলি। ড. বিলাল ফিলিপস বলেছিলেন, মুহাম্মাদ (সা) আমাদের মতোই একজন মানুষ। উনারও কিছু নিজস্ব পছন্দ ছিল। তাই আমাদের জানতে হবে,কোনটা সুন্নাহ আর কোনটা ওনার নিজের পছন্দ। যেটা সুন্নাহ সেটার উপরই আমল করতে হবে,আর ব্যক্তিগত পছন্দটি এর ক্ষেত্রে আমার নিজের ইচ্ছা যদি তাঁর ইচ্ছার সাথে মেলে তো করতে পারি,না করলেও সমস্যা নাই। কারণ ভৌগলিকভাবে ও আবহাওয়াগত কারণে অনেক কিছুই সে পরিবেশের সাথে সারা পৃথিবীর সাথে মিলবে না । তাই আল্লাহ তাআলা এসব বিষয় আমাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেননি ।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।
STA-6.20
© 2013 by Ask Islam Bangla.