প্রশ্ন ১২৭ --> সন্তানদের পারিবিরিক প্রশিক্ষণে ইসলামী মূল নীতি কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
(ক) শারীরিক শাস্তি ছাড়া অপরাপর শাস্তি প্রদান:
আর এই শাস্তি তখন দেয়া হবে, যখন তার পক্ষ থেকে বার বার সালাত তরক (পরিত্যাগ) করা হবে; যেমন: তাকে নির্ধারিত উপহার দেয়া থেকে বঞ্চিত করা, প্রহারের হুমকি দেয়া এবং তার চাহিদা পূরণের আহ্বানে সাড়া না দেয়া ...ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর শারীরিক শাস্তি হবে মৃদু শাস্তি, কঠোর নয়; আর এই ধরনের শাস্তি কেবল তখনই কার্যকর করা হবে, যখন তার দশ বছর পূর্ণ হবে এবং তার পক্ষ থেকে বার বার সালাত তরক (পরিত্যাগ) করা হবে; আর এই শাস্তিবিধানের সময় শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসমূহ থেকে দূরে থাকতে হবে, যেমন: ঘাড়, পেট ও মাথা।
(খ) পুরুষ ও নারী জাতির জাতিগত বিশেষত্বের তাগিদ দেওয়া:
ছেলে ও মেয়ের প্রত্যেকের জন্য যে একে অপরের থেকে পৃথক বিশেষত্ব বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সে বিষয়ে তাকে অবহিত করা; আর এই অবহিতকরণের কাজ শুরু হবে তাদের বয়স দশম বছর পূর্ণ হওয়ার সময় থেকে তাদের বিছানা আলাদা করার মাধ্যমে। আর এটা একে অপরের নিকটবর্তী হওয়ার ও অশ্লিলতার পথ বন্ধ করার জন্য এবং স্বাতন্ত্রবোধ ও একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের অনুশীলনের জন্যও এই ব্যবস্থা।
(গ) নৈতিক চরিত্র ও শিষ্টাচারের উপর ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ:
আর এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত— চারিত্রিক কর্মকাণ্ডের উপর তাদের অনুশীলন এবং তার উপর তাদেরকে অভ্যস্ত করানো। যেমন: আচার-আচরণে এবং কাজে ও কর্মে সত্যবাদিতার নীতি অবলম্বন করা; প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না করা।
(ঘ) কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দান:
ছোট বয়সে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যা সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে, তা হল শিশুদের কর্মকাণ্ডের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে উৎসাহদান। তারা ছোট হলেও তাদের উপর এর অনেক প্রভাব রয়েছে।
(ঙ) বন্ধু-বান্ধবকে পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ:
ছোটবেলা থেকেই বন্ধু-বান্ধব ও সঙ্গী-সাথীর কর্মকাণ্ডের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা এবং এ ব্যাপারটি উপেক্ষা না করা। কারণ, সে তার বন্ধুর কাছ থেকেই কথা বলা, স্বভাব-প্রকৃতি ও কর্মকাণ্ডের অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়। অতএব তাকে এমন বন্ধুর নিকটবর্তী করাবে, যে উত্তম পরিবেশে জীবনযাপন করে এবং এমন সাথীর সঙ্গ থেকে দূরে থাকবে, যে মন্দ পরিবেশে জীবনযাপন করে।
আল্লাহ আমাদের সন্তানদের সাথে উত্তম আচরণ করার তাওফিক দিন
আমিন
STA-92.144
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
(ক) শারীরিক শাস্তি ছাড়া অপরাপর শাস্তি প্রদান:
আর এই শাস্তি তখন দেয়া হবে, যখন তার পক্ষ থেকে বার বার সালাত তরক (পরিত্যাগ) করা হবে; যেমন: তাকে নির্ধারিত উপহার দেয়া থেকে বঞ্চিত করা, প্রহারের হুমকি দেয়া এবং তার চাহিদা পূরণের আহ্বানে সাড়া না দেয়া ...ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর শারীরিক শাস্তি হবে মৃদু শাস্তি, কঠোর নয়; আর এই ধরনের শাস্তি কেবল তখনই কার্যকর করা হবে, যখন তার দশ বছর পূর্ণ হবে এবং তার পক্ষ থেকে বার বার সালাত তরক (পরিত্যাগ) করা হবে; আর এই শাস্তিবিধানের সময় শরীরের স্পর্শকাতর স্থানসমূহ থেকে দূরে থাকতে হবে, যেমন: ঘাড়, পেট ও মাথা।
(খ) পুরুষ ও নারী জাতির জাতিগত বিশেষত্বের তাগিদ দেওয়া:
ছেলে ও মেয়ের প্রত্যেকের জন্য যে একে অপরের থেকে পৃথক বিশেষত্ব বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সে বিষয়ে তাকে অবহিত করা; আর এই অবহিতকরণের কাজ শুরু হবে তাদের বয়স দশম বছর পূর্ণ হওয়ার সময় থেকে তাদের বিছানা আলাদা করার মাধ্যমে। আর এটা একে অপরের নিকটবর্তী হওয়ার ও অশ্লিলতার পথ বন্ধ করার জন্য এবং স্বাতন্ত্রবোধ ও একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের অনুশীলনের জন্যও এই ব্যবস্থা।
(গ) নৈতিক চরিত্র ও শিষ্টাচারের উপর ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ:
আর এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত— চারিত্রিক কর্মকাণ্ডের উপর তাদের অনুশীলন এবং তার উপর তাদেরকে অভ্যস্ত করানো। যেমন: আচার-আচরণে এবং কাজে ও কর্মে সত্যবাদিতার নীতি অবলম্বন করা; প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না করা।
(ঘ) কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দান:
ছোট বয়সে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যা সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখে, তা হল শিশুদের কর্মকাণ্ডের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে উৎসাহদান। তারা ছোট হলেও তাদের উপর এর অনেক প্রভাব রয়েছে।
(ঙ) বন্ধু-বান্ধবকে পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ:
ছোটবেলা থেকেই বন্ধু-বান্ধব ও সঙ্গী-সাথীর কর্মকাণ্ডের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা এবং এ ব্যাপারটি উপেক্ষা না করা। কারণ, সে তার বন্ধুর কাছ থেকেই কথা বলা, স্বভাব-প্রকৃতি ও কর্মকাণ্ডের অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়। অতএব তাকে এমন বন্ধুর নিকটবর্তী করাবে, যে উত্তম পরিবেশে জীবনযাপন করে এবং এমন সাথীর সঙ্গ থেকে দূরে থাকবে, যে মন্দ পরিবেশে জীবনযাপন করে।
আল্লাহ আমাদের সন্তানদের সাথে উত্তম আচরণ করার তাওফিক দিন
আমিন
STA-92.144
© 2014 by Ask Islam Bangla.