প্রশ্ন ১১৮ --> খিলাফত রাষ্ট্রের বৈদেশিক চুক্তি কেমন হবে?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ইসলামী বিধিমালা তথা শারী’আহ্ আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহকে বিশেষ ধরণের চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ এগুলো দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্কের কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে সম্পাদিত চুক্তি বা সমঝোতা। তাই চুক্তি সম্পাদনেরমৌলিক বিধিমালাগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বৈধ হিসেবে গণ্য হবার জন্য চুক্তিগুলোকে শারী’য়ার কিছু আইনের শর্ত পূরণ করতে হবে।
STA-83.133
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ইসলামী বিধিমালা তথা শারী’আহ্ আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহকে বিশেষ ধরণের চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ এগুলো দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্কের কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে সম্পাদিত চুক্তি বা সমঝোতা। তাই চুক্তি সম্পাদনেরমৌলিক বিধিমালাগুলো আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বৈধ হিসেবে গণ্য হবার জন্য চুক্তিগুলোকে শারী’য়ার কিছু আইনের শর্ত পূরণ করতে হবে।
- চুক্তিটি রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণে সহায়ক হতে হবে। চুক্তিটি যেন অবশ্যই ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যায়। যদি কোন চুক্তি রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কোন উদ্দেশ্য হাসিলে সহায়ক না হয়, তবে সে চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
- চুক্তির বিষয়বস্তু বৈধ হতে হবে এবং চুক্তির মধ্যে কোন অবৈধ শর্ত থাকতে পারবে না। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “মুসলিম চুক্তির শর্ত মেনে চলবে যদি না চুক্তিতে এমন শর্ত থাকে যা বৈধ বিষয়কে অবৈধ করে বা অবৈধ বিষয়কে বৈধ করে।” [তিরমিজী]
- যে কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট মেয়াদ থাকতে হবে। স্থায়ী বা আধাস্থায়ী চুক্তি (অনেক দীর্ঘ সময়, যেমন ৯৯ বছরের চুক্তি) ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।
- যে চুক্তি মুসলিমদের নতজানু করে রাখে, ইসলামী ভূখন্ডে কাফেরদের সার্বভৌমত্ব ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করে এবং মুসলিমদের উপর ক্ষমতা ও অধিকার প্রদান করে, সে সব চুক্তি ইসলামের দৃষ্টিতে অবৈধ (হারাম)। আর টাস্কফোর্স ও ট্রানজিটের মতোচুক্তিগুলো অবৈধ; কেননা এগুলো মুসলমানদেরকে কাফেরদের অধীনস্থ করার হাতিয়ার।
- কোন কুফর রাষ্ট্রের সাথে সামরিক জোট গঠন করা ইসলামী শারী’আহ্-এর দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অবৈধ। যেমন যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি, দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি, যৌথ সামরিক মহড়া এবং বিভিন্ন ধরণের সামরিক সহযোগিতা ইত্যাদি। এমনিভাবে কাফেরদেরকে সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেয়া, বিমানবন্দর, নৌবন্দর ইত্যাদি দিয়ে দেয়া ইসলামী নীতিতে হারাম। কারণ মুসলমানদের জন্য কাফেরদের পতাকাতলে লড়াই করা, কুফরী পথে লড়াই করা, কুফর রাষ্ট্র রক্ষার জন্য লড়াই করা এবং কাফের সেনাবাহিনীকে মুসলিম জনগণ বা ইসলামী ভূমির নিয়ন্ত্রণ প্রদান করা হারাম।
- মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত রাষ্ট্রের সাথে কোন চুক্তি হতে পারে না, যদি না তা হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নহলে তবেই সে রাষ্ট্রের সাথে অন্যান্য চুক্তি করা যেতে পারে।
- অমুসলিম রাষ্ট্রের সাথে ব্যবসা, অর্থনীতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে চুক্তি করা যায়। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন এসব চুক্তি মুসলমানদের স্বার্থের অনুকূলে হয় ও এর দ্বারা মুসলমানদের প্রয়োজন পূরণ হয়। তবে ঐ সব রাষ্ট্রের শক্তি বৃদ্ধি পায় কিন্তু মুসলিমদের কোন লাভ হয় না এমন শর্তের ভিত্তিতে কোন চুক্তিকরা যাবে না।
STA-83.133
© 2014 by Ask Islam Bangla.