প্রশ্ন ১১১ --> সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া কি ইসলামে জায়েজ?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
রাসূলুল্লাহ (সা) দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। যে ব্যাক্তি অন্যদের কাছ থেকে সম্মান প্রদর্শনের/গ্রহনের প্রতীক হিসেবে এমনটা আশা করবেন তিনি বড় গুনাহ করবেন। অন্যদিকে, হক্কানী ওলামায়ে কিরামের নিকট এই দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম করাটা বিদ’আত ও নাজায়িয। এমনটা না করার ব্যাপারে, সহীহ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ ও রয়েছে।
# হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত সাহাবায়ে কিরামের নিকট রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে প্রিয় আর কেউ ছিল না। এতদসত্বেও তারা যখন রাসূলুল্লাহ্ (সা)কে দেখতেন, দাঁড়িয়ে যেতেন না। কেননা তারা জানতেন যে তিনি দাঁড়িয়ে সম্মান করাকে অপছন্দ করেন। (তিরমীযী, মেশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩)
অন্য হাদীসে আছে,
# হযরত আবু উমামা রাযিঃ হতে বর্ণিত, একবার রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর দিয়ে বের হন, আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করে বললেন “অনারবরা একে অপরকে দাঁড়িয়ে সম্মান করে, তোমরা তাদের মত দাঁড়াবে না।” (আবু দাউদ, মেশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩)
আরেকটি হাদীসে বর্ণিত আছে,
# রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, যে ব্যক্তি তার সম্মানার্থে লোকদের দাঁড়িয়ে যাওয়াকে পছন্দ করে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল। (আবু দাউদ, মেশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩)
উল্লেখিত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে সম্মান করাকে নিষেধ করতেন, কেউ দাঁড়ালে অপছন্দ করতেন এবং এভাবে যে ব্যক্তি নিজেকে দাঁড়িয়ে সম্মান করাতে আনন্দ বোধ করে তার জন্য জাহান্নামের ধমকি শুনিয়েছেন।
আল্লাহ্ সুব'হালাল্লাহু তা'আল্লা আমাদেরকে সকল প্রকার গোমরাহী থেকে হেফাযত করুন। আমীন
বিদ্র:
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের প্রবেশের সময় ছাত্রদের দাড়াতে বাধ্য করা হারাম এবং ছাত্রদের দাড়ানো মাকরূহ।
সূত্র Islam-QA
STA-76.118
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
রাসূলুল্লাহ (সা) দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে নিষেধ করেছেন। যে ব্যাক্তি অন্যদের কাছ থেকে সম্মান প্রদর্শনের/গ্রহনের প্রতীক হিসেবে এমনটা আশা করবেন তিনি বড় গুনাহ করবেন। অন্যদিকে, হক্কানী ওলামায়ে কিরামের নিকট এই দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম করাটা বিদ’আত ও নাজায়িয। এমনটা না করার ব্যাপারে, সহীহ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ ও রয়েছে।
# হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত সাহাবায়ে কিরামের নিকট রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে প্রিয় আর কেউ ছিল না। এতদসত্বেও তারা যখন রাসূলুল্লাহ্ (সা)কে দেখতেন, দাঁড়িয়ে যেতেন না। কেননা তারা জানতেন যে তিনি দাঁড়িয়ে সম্মান করাকে অপছন্দ করেন। (তিরমীযী, মেশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩)
অন্য হাদীসে আছে,
# হযরত আবু উমামা রাযিঃ হতে বর্ণিত, একবার রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর দিয়ে বের হন, আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করে বললেন “অনারবরা একে অপরকে দাঁড়িয়ে সম্মান করে, তোমরা তাদের মত দাঁড়াবে না।” (আবু দাউদ, মেশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩)
আরেকটি হাদীসে বর্ণিত আছে,
# রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, যে ব্যক্তি তার সম্মানার্থে লোকদের দাঁড়িয়ে যাওয়াকে পছন্দ করে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল। (আবু দাউদ, মেশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩)
উল্লেখিত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে সম্মান করাকে নিষেধ করতেন, কেউ দাঁড়ালে অপছন্দ করতেন এবং এভাবে যে ব্যক্তি নিজেকে দাঁড়িয়ে সম্মান করাতে আনন্দ বোধ করে তার জন্য জাহান্নামের ধমকি শুনিয়েছেন।
আল্লাহ্ সুব'হালাল্লাহু তা'আল্লা আমাদেরকে সকল প্রকার গোমরাহী থেকে হেফাযত করুন। আমীন
বিদ্র:
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের প্রবেশের সময় ছাত্রদের দাড়াতে বাধ্য করা হারাম এবং ছাত্রদের দাড়ানো মাকরূহ।
সূত্র Islam-QA
STA-76.118
© 2013 by Ask Islam Bangla.