প্রশ্ন ১০৬ --> আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে কি কসম বা শপথ করা যায়?
উত্তর :
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নাম নিয়ে শপথ বা কসম করা জায়েজ নয়।
# নবী (সা) বলেন, সাবধান, নিশ্চয় আল্লাহ্ পাক তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদাদের নাম নিয়ে কসম করতে নিষেধ করছেন। কেউ যদি কসম করতে চায় তবে সে যেন আল্লাহ্র নাম নিয়ে করে অন্যথা যেন নীরব থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)
# আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা) বলেন, তোমরা স্বীয় বাপ-দাদা বা মা-দাদী-নানী প্রভৃতির নামে কসম করবে না। আর সত্য বিষয় ছাড়া আল্লাহ্র নামে কসম করবে না। (আবূ দাঊদ, নাসাঈ)
# নবী (সা) আরও বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করবে সে কুফরী করবে অথবা শিরক করবে। (মুসনাদ আহমাদ)
কসম সম্পর্কে শরীয়তের বিধান হল, কসমের মূল কথা হচ্ছে, কসমকৃত বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ এবং স্রষ্টার প্রতি সম্মান প্রদর্শন। এ কারণেই একমাত্র আল্লাহর নামে কসম করা ওয়াজিব করা হযেছে। আর গাইরুল্লাহর নামে কসম করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ সম্মানের দাবী হচ্ছে, আল্লাহর নামে সত্য কসম করা এবং অধিক কসম না করে তাঁর নামের ইজ্জত করা । কেননা মিথ্যা কসম এবং অধিক কসম উভয়টাই তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরিপন্থি। অথচ আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনই হচ্ছে তাওহীদের প্রাণশক্তি।
অনেকের মতে আল্লাহর যাত এবং সিফাতের কসম খাওয়া জায়েজ। এই মতে কুরআনের কসম খাওয়া জায়েজ। তবে কুরআন ছুয়ে শপথ করা অনর্থক। কারন কুরআনের নকশা মাখলুক। কিন্তু কুরআন আল্লাহর কালাম ও সিফাত।
হানাফি মাযহাবে কসম শুধু জাতের হবে,সিফাতের নয়। কারন কসম সংক্রান্ত হাদিসগুলোতে 'বিইসমিল্লাহ বা বিল্লাহি 'অর্থাৎ আল্লাহর নামে ' শব্দটি এসেছে। কিন্তু 'বিল্লাহি অ আসমাইহি বা বিয়াসমাইল্লাহি 'অর্থাৎ আল্লাহ ও তার নাম সমুহের ' কথা আসেনি।
তাই আরবি ব্যাকরণিক দৃষ্টিকোণ ও রাসুল ও সাহাবাদের থেকে সিফাতের কসমের শক্তিশালী প্রমান না থাকায় কসম শুধু আল্লাহর জাতের হবে। সিফাতের নয়।
এখন কথা হলো আল্লাহ বিভিন্ন বস্তুর কসম খেয়েছেন, আমরা খেলে সমস্যা কোথায়?
উত্তর হলো : আমরা আল্লাহর জাত বা সিফাতের সমকক্ষ নই।
তাই তিনি যা পারবেন,আমরাও তা পারবো এমনটা আবশ্যক নয়।
সূত্র :
Islam Helpline
STA-71.111
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নাম নিয়ে শপথ বা কসম করা জায়েজ নয়।
# নবী (সা) বলেন, সাবধান, নিশ্চয় আল্লাহ্ পাক তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদাদের নাম নিয়ে কসম করতে নিষেধ করছেন। কেউ যদি কসম করতে চায় তবে সে যেন আল্লাহ্র নাম নিয়ে করে অন্যথা যেন নীরব থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)
# আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা) বলেন, তোমরা স্বীয় বাপ-দাদা বা মা-দাদী-নানী প্রভৃতির নামে কসম করবে না। আর সত্য বিষয় ছাড়া আল্লাহ্র নামে কসম করবে না। (আবূ দাঊদ, নাসাঈ)
# নবী (সা) আরও বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করবে সে কুফরী করবে অথবা শিরক করবে। (মুসনাদ আহমাদ)
কসম সম্পর্কে শরীয়তের বিধান হল, কসমের মূল কথা হচ্ছে, কসমকৃত বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ এবং স্রষ্টার প্রতি সম্মান প্রদর্শন। এ কারণেই একমাত্র আল্লাহর নামে কসম করা ওয়াজিব করা হযেছে। আর গাইরুল্লাহর নামে কসম করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ সম্মানের দাবী হচ্ছে, আল্লাহর নামে সত্য কসম করা এবং অধিক কসম না করে তাঁর নামের ইজ্জত করা । কেননা মিথ্যা কসম এবং অধিক কসম উভয়টাই তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরিপন্থি। অথচ আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনই হচ্ছে তাওহীদের প্রাণশক্তি।
অনেকের মতে আল্লাহর যাত এবং সিফাতের কসম খাওয়া জায়েজ। এই মতে কুরআনের কসম খাওয়া জায়েজ। তবে কুরআন ছুয়ে শপথ করা অনর্থক। কারন কুরআনের নকশা মাখলুক। কিন্তু কুরআন আল্লাহর কালাম ও সিফাত।
হানাফি মাযহাবে কসম শুধু জাতের হবে,সিফাতের নয়। কারন কসম সংক্রান্ত হাদিসগুলোতে 'বিইসমিল্লাহ বা বিল্লাহি 'অর্থাৎ আল্লাহর নামে ' শব্দটি এসেছে। কিন্তু 'বিল্লাহি অ আসমাইহি বা বিয়াসমাইল্লাহি 'অর্থাৎ আল্লাহ ও তার নাম সমুহের ' কথা আসেনি।
তাই আরবি ব্যাকরণিক দৃষ্টিকোণ ও রাসুল ও সাহাবাদের থেকে সিফাতের কসমের শক্তিশালী প্রমান না থাকায় কসম শুধু আল্লাহর জাতের হবে। সিফাতের নয়।
এখন কথা হলো আল্লাহ বিভিন্ন বস্তুর কসম খেয়েছেন, আমরা খেলে সমস্যা কোথায়?
উত্তর হলো : আমরা আল্লাহর জাত বা সিফাতের সমকক্ষ নই।
তাই তিনি যা পারবেন,আমরাও তা পারবো এমনটা আবশ্যক নয়।
সূত্র :
Islam Helpline
STA-71.111
© 2013 by Ask Islam Bangla.