ASK ISLAM BANGLA
  • Home
  • রচনাবলী
  • সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর
  • ইসলামি সাধারণ জ্ঞান
  • ইসলাম বিরোধী প্রশ্নের জবাব
  • ইসলামের সেই কাহিনীগুলো
  • সাহাবীদের কাহিনী
  • গল্পে গল্পে শিখী
  • ROAD TO PEACE
  • Forum

হযরত মুহাম্মদ (সা) এর বিবাহ সমূহ ও তার কারণ

22/10/2013

0 Comments

 
আমরা কজন রাসূলুল্লাহ (সা) এর সম্পূর্ণ নাম জানি ???আসুন আগে উনার সম্পূর্ণ নামটা জেনে নেই আরবদের নিয়মানুসারে।আবুল কাসেম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ আল মাদানী আর রাসূলুল্লাহ (সা)এছাড়াও উনার আরও অনেকগুণবাচক নাম রয়েছে ।এবার মূল বিষয়ে আসি ।রাসূলুল্লাহর পারিবারিক জীবণে তিনি ১১টি বিয়ে করেছিলেন ও উনার দুইজন দাসী ছিল ।ক্রমান্বয়ে তাদের সম্পর্কে জেনে নিই ।

১.  খাদিজা বিনতে খুয়াইলেদ (রা) :  মুহাম্মদ (সা) এর চারিত্রিক গুণাবলিতে মুগ্ধ হয়ে খাদিজা (রা) তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয় । বিয়েতে খাদিজা (রা) এর চাচা আমর ইবনে আসাদের প্রস্তাবে দেনমোহর ৫০০ দিরহাম নির্ধারণ করা হয় । বিয়ের সময় মুহাম্মদ (সা) এর বয়স ছিল ২৫ আর খাদিজা (রা) এর বয়স ছিল ৪০ বছর ।তার ঘরে রাসূলুল্লাহ (সা) এর দুই পুত্র ও চার কন্যা জন্ম লাভ করেন । তাদের নাম যথাক্রমে কাসেম ও আবদুল্লাহ এবং কন্যাদের নাম জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতিমা (রা) ।খাদিজা (রা) এর জীবিতাবস্থায় তিনি আর কোন স্তী গ্রহণ করেননি ।

২. সাওদা বিনতে যাম'য়া আল আমেরিয়া (রা) : খাদিজা (রা) এর মৃত্যুর পর সন্তান সন্ততি ও ঘর সংসারের দায়িত্ব রাসূলুল্লাহর কাধে হঠাৎ চলে আসলে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন । অপরদিকে সাওদা (রা) এর স্বামী মারা যাওয়ায় তিনিও অসহায় হয়ে পড়েছিলেন । তাই খাওলাহ বিনতে হাকীম নাম্মী মুহাম্মদ (সা) এর এক খালার মধ্যস্থতায় উনাদের বিবাহ সম্পন্ন হয় । মোহরানা ছিল চারশ মোহর যা সাওদা (রা) এর পিতাই বহন করেন । বিয়ে সম্পন্ন হয়ে হিজরতের তিন বছর পূর্বে । সাওদা (রা) এর বয়স তখন ৫৫ বছর ।

৩. আয়েশা বিনতে আবু বকর (রা) : সাওদা (রা) এর সাথের বিয়ের পনের দিন পর খাওলা (রা) এর মধ্যস্থতাতেই আয়েশা (রা) এর সাথে মুহাম্মদ (সা) এর বিবাহ সম্পন্ন হয় । বিবাহের মূল কারণ অবান্চিত কুসংস্কারের মূলোৎপাটন । কুসংস্কারটি ছিল বন্ধুর কন্যা বন্ধু বিয়ে করতে পারত না । মুহাম্মদ (সা) তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকর (রা) এর কন্যা আয়েশা (রা) কে বিয়ে করে এ কুসংস্কারের মূলোৎপাটন করেন । বিয়ের সময় আয়েশা (রা) এর বয়স নিয়ে মত পার্থক্য আছে । কেউ বলেন ৬, কেউ ৭ আবার কেউ বলেন ৯ বছর ।

৪. হাফসা বিনতে উমর (রা) :  হাফসা (রা) এর স্বামী বদর যুদ্ধে আহত হয়ে মদীনায় মারা যাবর পর তিনি পিতা ওমর (রা) এর কাছে এসে পড়েন । উমর (রা) তার এই যুবতী বিধবা কন্যার ভবিষ্যতের জন্য চিন্তিত হন ও তাকে বিয়ে দিতে চেষ্টা করেন । কিন্তু হাফসা (রা) এর স্বভাবও পিতার মত একটু কড়া হওয়ায় তা অনেকের ভাবনার কারণ ছিল । ওসমান (রা) ও প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন যা ওমর (রা) কে ব্যথীত করে । আবু বকর (রা) এ ব্যপারে একদম নিশ্চুপ থাকেন । কন্যাদায়গ্রস্হ ওমর (রা) রাসূলুল্লাহর নিকট ঘটনা বর্নণা করলে রাসূলুল্লাহ (সা) হাফসা (রা) কে বিয়ে করে ওমর (রা) কে চিন্তা হতে মুক্তি দেন এবং ওমর (রা) খুব খুশি হন । বিবাহ সম্পন্ন হয় হিজিরি ৩ সনে । তার বয়স তখন ২১ বছর । 

৫.যয়নব বিনতে খুযাইমা (রা) : যয়নব (রা) এর স্বামী ওহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করায় তিনি শোকাহত হয়ে পড়েন , তার চেয়েও তার পিতা বেশি শোকাহত হয়ে পড়েন তাকে নিয়ে । এ ঘটনা রাসূলুল্লাহর নিকট পৌছালে তিনি কতিপয় নাহাবীদের কে বিয়ের জন্য রাজী করাতে চেষ্টা করেন কিন্তু সকলেই নানা ওজর দেখিয়ে পিছিয়ে যান । তাই তিনি (সা) নিজেই যয়নব (রা) কে বিয়ে করে নেন। বিয়ে হয় ৩ হিজরি সনে । যয়নব (রা) এর বয়স তখন ৩০ বছর । বিয়ের মাত্র তিন মাস পর তিনি ইন্তেকাল করেন ।

৬. উম্মে সালামা হিন্দা বিনতে আবী উমাইয়া (রা) :   ওহুদ যুদ্ধে আবু সালামা (রা) শাহাদাত বরণের পর উম্মে সালামা (রা) চরম অর্থকষ্টে পতিত হন। তখন তিনি অন্তঃসত্বা ছিলেন । সন্তান প্রসবের পর আবু বকর (রা) তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দেন । এটা দেখে আর কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিতে সাহসী হলেন না । ফলে উম্মে সালামা (রা) এর সংসারে অচলাবস্থা দেখা দেয় । তখন এই অনাথ মহিলা ও তার এতীম সন্তানদের দায়িত্ব রাসূলুল্লাহ নিতে চান ও বিয়ের প্রস্তাব পাঠান । উম্মে সালামা (রা) এতে রাজি হন ও আল্লাহর ইচ্ছায় তার সকল দুঃখ বেদনা লাঘব হয় । 

৪ হিজরি সনের শাওয়াল মাসে বিবাহ সম্পন্ন হয় । বিয়ের সময় বয়স ছিল ৩৫ বছর ।

৭. যয়নব বিনতে জাহাশ (রা) : তৎকালিন আরবের একটি কুসংস্কার ছিল পালিত পুত্রকে নিজের পুত্র ভাবা হত ও তার পরিত্যাজ্য বা বিধবা স্ত্র্রীকে বিয়ে করা  গর্হিত কাজ মনে করা হত । এই কুসংস্কার দূর করার জন্য সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ মুহাম্মদ (সা) তার পালিত পুত্র যায়েদ ইবনে হারেসা (রা) এর তালাক দেয়া স্ত্র্র্রী যয়নব (রা) কে বিবাহ করেন । তিনি মুহাম্মদ (সা) এর ফুফাত বোন ছিলেন । হিজরি ৫ সনে বিয়ে সম্পন্ন হয় ।

৮. জুয়ায়রিয়া বিনতে হারেস (রা) : বনু মুসতালিকের সাথে যুদ্ধে তিনি মুসলিমদের হাতে বন্দী হন ও সাবিত বিন কায়েস (রা) এর ভাগে পড়েন । তিনি ছিলেন সর্দারের কন্যা তাই তিনি নিজের মুক্তিপণ সাবিত (রা) এর সাথে আলোচনা করে নয় আওকিয়া স্বর্ণ ধার্য করেন । তার কাছে এ অর্থ না থাকায় তিনি রাসূলুল্লাহর কাছে যান ও রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে অর্থ দান করে মুক্ত করে দেন । এই মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন । কিন্তু এতে তার পরিবারের সাথে তার সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয় ও সমস্যায় পড়েন । তখন রাসূলুল্লাহ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করে নেন । তখন মুসলিমদের কাছে বনু মুসতালিকের ছয়শ বন্দী ছিল । কিন্তু যে বংশে রাসূল (সা) বিয়ে করেছেন তাদের কাউকে বন্দী রাখা সাহাবীরা রাসূলুল্লাহর জন্য অপমান জনক মনে করে সকলকে মুক্তি দিয়ে দেন । তখন তার বয়স ২০ বছর ছিল ।

৯. উম্মে হাবীবা বিনতে আবু সুফিয়ান (রা) : আবিসিনিয়ায় হিজরতের পর উম্মে হাবীবা (রা) এর প্রথম স্বামী খ্রিস্টান হয়ে যায় ও অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মারা যায় । অপর দিকে তার পিতা তখন মক্কার কাফেরদের সর্দার । ফলে তিনি চরম অসহায় হয়ে পড়েন ও অভাব অনটনের মধ্যে কাটাতে থাকেন আবিসিনিয়ায় । এ খবর পেয়ে রাসূলুল্লাহ বিয়ের প্রস্তাবসহ ইবনে উমাইয়া (রা) কে বাদশা নাজ্জাশির নিকট পাঠান । নাজ্জাশী রাসূলুল্লাহর পক্ষ হতে মোহরানা আদায় করে বিয়ে পড়িয়ে দেন এবং এর কিছুদিন পর উম্মে হাবীবা (রা) জাহাজে করে মদিনায় চলে আসেন । বিয়ে হয় হিজরি ৬ সনে । বিয়ের সময় বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর ।

১০. মায়মুনা বিনতে হারেস (রা) : মায়মুনা (রা) পূর্বে দুইবার বিয়ে করেছিলেন । প্রথম স্বামী কর্তৃক পরিত্যাক্ত হন ও পরে দ্বিতীয় স্বামী রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান । এতে তিনি জীবণের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে পড়েন ও আর বিয়ে করবেন না স্থির করেন । তার কিছু হিতাকাঙ্খী আপন লোক তার দুঃখ কষ্ট দেখে রাসূলুল্লাহকে অনুরোধ করেন তাকে বিয়ে করার ও মায়মুনা (রা) কেও আগ্রহান্বীত করে তুলেন । তাদের অনুরোধে সারা দিয়ে হিজরি ৭ সনে তাকে বিয়ে করে নেন ।

১১. সুফিয়া বিনতে হুয়াই (রা) :   ৭ হিজরিতে খায়বর যুদ্ধে বন্দী হয়ে তিনি মুসলিমদের কাছে আসেন । তখন সাহাবী দাহিয়া কালবী (রা) রাসূলুল্লাহর নিকট দাসী চেয়ে আবেদন করলে তিনি সুফিয়াকে নিতে বলেন । তখন জনৈক সাহাবী প্রতিবাদ করে বলেন বনু নাজির ও বনু কুরাইজার সর্দার কন্যাকে কেবল রাসূলুল্লাহর জন্যই শোভনীয় । তখন তিনি দাহিয়া (রা) কে অন্য একটি দাসী দেন ও সুফিয়াকে গ্রহণ করেন । সুফিয়া (রা) ইসলাম গ্রহণ করায় তাকে মুক্তি দিয়ে তিনি উম্মুল মুমিনিনের মর্যাদা দান করেন ।



রাসূলুল্লাহর দুজন দাসী ছিলেন 

১. মারিয়া আল কিবতীয়া (রা) : ৭ হিজরিতে আফ্রিকার শাসনকর্তা মিকাউকাস শুভেচ্ছা স্বরূপ বহু সম্পদ সহ স্বীয় চাচাতো ভগ্নী মারিয়াকে উপঢৌকন স্বরূপ রাসূলুল্লাহর দরবারে প্রেরণ করেন । আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী তিনি তখন মারিয়া (রা) কে গ্রহণ করেন । অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে ইসলাম গ্রহণের পর রাসূলুল্লাহ তাকে বিয়ে করে নেন ও উম্মুল মুমিনিনের মর্যাদা দেন । এরপর ওহী যোগে নতুন স্ত্রী গ্রহণ ও বর্জন বন্ধ করে দেওয়া হয় । তার ঘরে মুহাম্মদ (সা) এর শেষ সন্তান ইব্রাহীম (রা) জন্মলাভ করেন কিন্তু শৈশবেই মারা যান ।বলা হয় ইবরাহীম (আ) এর জন্য যেমন হাজেরা (আ) তেমনি মুহাম্মদ (সা) এর জন্য মারিয়া (রা) , দুজনই বাদশাহের পক্ষ হতে নবীর প্রতি উপহার ।

২. রায়হানা বিনতে আল কুরাযীইয়া :   বনু কুরাইযা হতে বন্দী হয়ে তিনি দাসী হয়ে আসেন । রাসূলুল্লাহ তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলে তা প্রত্যাখান করেন । কেউ বলেন পরে ইসলাম গ্রহণ করলেও দাসী হিসেবেই মারা যান । তার সম্পর্কে খুব কম জানা যায় ।

0 Comments



Leave a Reply.

    Muminder Khoje

    Slave of Allah


    Archives

    October 2013


    Categories

    All
    ইসলাম
    নবী-রাসূল
    বিজ্ঞান


    site search by freefind advanced

    RSS Feed

Powered by Create your own unique website with customizable templates.